নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা-দর্শন

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০

জীবনের প্রথম দিককার পাঁচ-সাত বছর বাদ দিলে বাকি প্রায় দেড়-দুই দশকের ভালবাসা ক্যারিয়ার আমার। এত দিনের একটা ক্যারিয়ার পার করে প্রেম-ভালবাসা সম্পর্কে দু-চারটা কথা বলার অধিকার নিশ্চই আমার আছে।

আজকাল যদিও স্কুল-কলেজের পোলাপানদের প্রেম করতে দেখলে ইচরে পাকা মনে হয়, তবে একথাও সত্যি প্রেমের ক্ষেত্রে যারা পাকে তারা এচড়েই পাকে। ক্লাস ফাইভে প্রথম কো-এডুকেশনে পড়ি। তাও গ্রামের স্কুলে। মেয়েরা টিচারদের সাথে ক্লাসে আসে আবার ওই টিচারের সাথেই ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যায়। বাকি সময়টা কমন রুমে বসে থাকে। আমার মনে আছে, তখন থেকেই মেয়েদের খুব বেশি লজ্জা পাই। বেশি কাছাকাছি যাবার সুযোগ পেতে ইচ্ছে করে আবার সুযোগটা পেয়ে গেলে ওদের চেয়েও আমি বেশি লাল হয়ে যাই।

তখন থেকেই এই সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের শুরু ।

সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার কথাটা নিয়ে সুধীসমাজের আপত্তি থাকতে পারে। তাই কথাটা ব্যখ্যর দাবি রাখে। একজন কমার্সের ছাত্র হিসেবে ব্যপারটা হিসাব বিজ্ঞানের ভাষায় বলাটা আমার জন্য অপেক্ষাকৃত কম কঠিন। প্রেম ব্যপারটাকে আমরা খালি চোখে দেখি Dual Entry System হিসেবে, মানে ’ইয়েটা’ দ্বিপাক্ষিক। ওটাই অবশ্য বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। তবে ওর বাইরেও আছে Single Entry System-ভালো বেসে গেলাম শুধু টাইপ একটা ব্যাপার... যদিও অধিকাংশ প্রেমই এক তরফা দাখিলার মতো ছিলো তবুও ছিলোতো। সবারই তাই থাকে। কেউ বুকে হাত দিয়ে বলুক তো মনটা কখনও পাখির মতো ওড়াউড়ি করেনি, এক প্রেমের নিচে চাপা পড়েই এক জীবন কাটিয়ে দিয়েছে।

সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের প্রধান কারনটা হলো ভালোবাসা ব্যপারটাতো এত আমলাতান্ত্রিক কোন ব্যাপার নয়। ক্লাসের কোন মেয়ে আপনার আমার অস্ফুট অনুরোধে একটা কালো শাড়ি পড়ে আসলো --- এটাও তো ভালোবাসা।

আর প্রেমের বহুগামিতার ব্যাপারেও আমার মনোভাব ইতিবাচক। যেহেতু প্রেম বহুমুখী, তাই এটা বহুগামী হতে বাধ্য। তাছাড়া সংকীর্ণ মনের মানুষেরাইতো একবার প্রেম করে।

ভার্সিটির এক শিক্ষকও একদিন বিজনেসের এক অমর বানী পড়াচ্ছিলেন--Never Put All Your Eggs In One Busket. এই আপ্তবাক্য ব্যখ্যা করতে করতে তিনি ব্যবসায়িক ব্যাখ্যা ছেড়ে তিনি জীবন মুখী ব্যাখ্যায় গেলেন। সব ভালোবাসা একজনকে দেওয়ার পর প্রজেক্ট যদি ফেইল করে পুরোটাই যাবে, ডিম সবকটাই নষ্ট হবে। প্রেমও যাবে, ডোজের মাত্রা বাড়তে বাড়তে জীবনটাও যাবে। আর যদি সব ভালোবাসা একজনকে না দিয়ে কিছু কিছু করে বিভিন্ন পাত্রে রাখা যায় তবে একাধিক পাত্র পতিত হলেও একটা না একটা থেকে যাবে। স্যারের এই ব্যাখ্যার পর আমরা সবাই ডাইভারসিফিকেশন অব বিজনেস এর গুরুত্ব একদম বুঝে গেলাম।

তবে আমি জানি সুধীসমাজ এত অল্পতে ভোলার পাত্র নয়। তারা এইসব বিশ্বপ্রেমিক দের চরিত্র নিয়ে কেবল সন্দেহ পোষন করেই ক্ষান্ত হন না, বরং তার চরিত্রের উপযুক্ত নানান বিশেষণ অন্বেষণে নিয়জিত হন। তবে একথাও সত্য, বিপদে ডরে না বীর, অপবাদে প্রেমিক। তারপরও যারা একগুয়ের মতো জানতে চায় মানুষ এত প্রেম কেন কওে, কিভাবে করে, তাদের বলতে চাই-- প্রতিটি প্রেমই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র।

তবে একটা সত্যি কথা হলো কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবার ব্যাপারটা আমার একটু কমের দিকেই। বরং উল্টোটারই প্রাধান্য দেখা যায়, কাজে না বড় হয়ে কথায় বড় হবার। কাজেই আমি কথায় যত বড় বিপ্লবী কাজে তার ধারে কাছেও যেতে পারিনি। হোক না ভালোমানুষী সুযোগের অভাব, কিন্তু আমি কিন্তু নিজেকে একজন ভালোমানুষই ভাবি। আমার ধারনা আমার প্রেমিকারাও তাই ভাবে। কারন সবচেয়ে কাছের মেয়েটার সাথে গত অর্ধ দশকে কখনও বিশ্বাস ভঙ্গের কারণ ঘটেনি আর একটু দুরের প্রেমিকারা কেউ হয়তো জানেই না আমি তাদের ভালোবেসে ছিলাম, কিংবা তারাও জানতে দেয়নি যে তারা জানত--কারণ কখনও পারস্পারিক সম্মানের ও সম্পর্কের জায়গাতে তো কখনও আপাষ করিনি।

আর সিকি শতাব্দীর জীবন থেকে এটুকু জেনেছি মানুষের মনটা একটু পাখির মতনই। একটু আধটু ওড়াউড়ি সারাজীবনই করে। পুরুষ মানুষ, মেয়ে মানুষ সবাই পাখি। মেয়ে পাখিটা ধরা একটু কঠিন, আর ছেলে পাখিটা ধরে রাখা...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

অতুল মিত্র বলেছেন: মেয়ে পাখিটা ধরা একটু কঠিন, আর ছেলে পাখিটা ধরে রাখা...কঠিন ।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮

অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: হুমম। আমি বিশ্বাস করি।

৩| ০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

পল্লীবালক বলেছেন: পুরুষ মানুষ, মেয়ে মানুষ সবাই পাখি। মেয়ে পাখিটা ধরা একটু কঠিন, আর ছেলে পাখিটা ধরে রাখা..

ঠিক বলেছেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.