নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে কি দ্বিধা

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১১

ওইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে

জানিনা সে ওইখানে শুয়ে আছি কিনা।



জীবনানন্দ কী বলতে চেয়েছেন কে জানে। তবে কবিতায় একটা স্বাধীনতা আছে, যেভাবে ব্যাখ্যা করে সুখী হওয়া যায়। সরোজিনীর ওইখানে শুয়ে থাকার মতো অবস্থা আমাদের সবখানে। ওইখানে শুয়ে আছে, কিন্তু ওইখানে শুয়ে আছে কিনা আমরা জানি না। আমাদের চারিদিকেই এখন এই অবস্থা। কোন কিছুকে চোখের সামনে দেখেও আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না আবার অনেক কিছুই না দেখেও নিশ্চিত হয়ে বসে থাকছি।



কোন কিছুই আমরা সহজভাবে গ্রহণ করার অবস্থায় আর নেই। কোন কিছু শোনার সাথে সাথেই আমরা এর উতৎ সম্পর্কে জানতে চাই, এবং উতৎ জানার পর নিজেদের মত করে মডিফাই করে নিই। কোথাও মৃতের সংখ্যা ঘোষনা করা হলে আমরা আগে জানতে চাই সরকারি না বেসরকারি হিসেব। যদি সরকারি হিসেব হয় তাহলে আমরা তার সাথে আরও প্রমাণ সংখ্যক সংখ্যা যোগ করে বিশ্বাস করতে চাই। সরকার যদি সাফল্যের কথা বলে আমরা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি না, কারণ তারা শুধু সাফল্যের কথাই বলেন, আবার বিরোধী দলও কেবল ব্যার্থতার কথাই বলেন, তাই সেটাও পুরোপুরি বিশ্বাস করা কঠিন। কে সঠিক আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।



আমরা শাহ্বাগ না মতিঝিল, কে সত্য ঠাহর করতে পারি না। তবে এটুকু সত্য যে, তারা কেউই পুরোপুরি সত্য নয়। পুরোপুরি সত্য দুটি পক্ষ একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান নেবে কেন? গণজাগরণের উচ্ছাসের মাঝেই হঠাৎ মনে হয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কেবলই স্বতস্ফূর্ত জনতা নাকি অন্য কারও হাত আছে? তারা কি কেবলই যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায় নাকি অন্য কিছুও চায়? হেফাজতে ইসলাম কি ইসলাম ছাড়াও আরও অন্য কিছুর হেফাজত করতে চায় না? হেফাজত কি একা একাই মতিঝিল পর্যন্ত এসেছে নাকি কেউ পথ চিনিয়ে এনেছে? আমরা জানি না, জানিনা সরোজিনী ওইখানে শুয়ে আছে কিনা।



লিমন সত্য না র‌্যাব সত্য এখনও জানা গেল না।

আওয়ামী লীগ সত্য না বিএনপি কে সত্য জানিনা।

গণজাগরণ না হেফাজত, শাহবাগ নাকি মতিঝিল জানিনা।

সরকার সত্য নাকি বিজিএমইএ জানিনা।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি বলবিদ্যা আর ’থিওরী অব হরাইজোন্টাল শেকিং’ জানিনা।

কালো বিড়াল সত্য কিনা জানিনা।

জর্জ মিয়া নাকি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরির মামলা জানিনা।



আমরা কিছুই জানিনা । কোন একটা জিনিস বিশ্বাস করার দুর্বলতাও আমাদের নেই আবার প্রত্যাখ্যান করার শাহসও নেই।



ট্রুম্যান সত্যি কথাই বলেছেন, If you can’t convince them, confuse them. এটা সত্য, আমাদের দেশ আমাদের কখনই কনভিন্স করতে, তারা যেটা করতে পেরেছে তা হলো আমাদের কনফিউজড করে রাখা। এই একটা ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ভাই ভাই, সবার এক পলিসি। এই যে আমরা প্রতিবার ভোট দিয়ে একজনকে না একজনকে ক্ষমাতায় নিয়ে আসি, তার মানে হওয়া উচিৎ ছিল আমরা তাদের উপর Convinced, আসলে ব্যাপারটা তা নয়, বরং উল্টো, আমরা Confused হয়ে তাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসি।



একটার পর একটা ঘটনা জন্ম নিতে থাকবে। গ্রহণ করার জন্যই হোক আর প্রত্যাখ্যান করার জন্যই হোক, যখনই আমরা একটা সিদ্ধান্তের কাছাকাছি পৌছে যাবো তখনই নতুন ঘটনা জন্ম নেবে। নতুন সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও ঘটনা। ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আর আমরা জেনেও না জেনেই বসে থাকবো সরোজিনী ওই শুয়ে আছে কিনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.