নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৩০ সালে উইলফ্রেড রোডস যখন তার শেষ টেস্টটি খেলতে নামেন তখন তার বয়স ৫২ বছর ১৬৫ দিন! ৫০ পেরিয়েও টেস্ট খেলে যাবার রেকর্ড আছে আরও ৩ টি। এমনকি খেলা ছেড়ে যে বয়সে মানুষ কোচিং বা আম্পায়ারিং-এ মন দেন সেই ৪৯ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেকের ঘটনাও আছে ইতিহাসে।
তবে এ সবই ঐতিহাসিক ঘটনা, ঘটে গেছে গত শতাব্দীর প্রথম আধেকেই যখনও ক্রিকেটারদেও কাছে খেলাটা পেশার চেয়ে বেশী ভালোবাসার বিষয়। এবং যার বেশীর ভাগই ঘটেছে টেস্ট ক্রিকেটে, যেখানে গতির চেয়ে স্থিতিই কাম্য। তাই বলে এই আধুনিক যুগের পেশাদার ক্রিকেটেও? তাও আবার নবীনতম সংস্করণ টি-২০ ক্রিকেটে? যেখানে ব্যাকরণের চেয়ে অকারণ চার-ছক্কার হৈ হৈ, শৈল্পিক-ধ্র“পদী ক্রিকেটের চেয়ে গতিশীল-তান্ডবময় ক্রিকেটই বেশী প্রত্যাশীত।
যারা বলেন ২০ ওভারের নতুন এই ক্রিকেট কেবল ২০-এর ঘরের ’ছোকরাদের’ জন্য তাঁদের ভুল প্রমাণ করে ৪০ এর আশপাশের ’বুড়ো’রাও দিব্যি খেলেছেন টি-২০। সনাথ জয়সুরিয়া যখন শেষ ম্যাচটি খেলেন তখন তার বয়স প্রায় ৪২ বছর, ৪১ বছর ১১৬ দিনে খেলেছেন কানাডার সুনিল ধানিরাম। কানাডার জন ডেভিসন বা আয়ারল্যান্ডের ট্রেন্ট জনস্টনরা খেলেছেন ৩৯ পার করেও, রাহুল দ্রাবিড় শেষ ম্যাচটি খেলেন ৩৮ বছর ২৩২ দিনে।
তবে এ তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ’বুড়োখেকা’ অস্ট্রেলিয়ার ব্রাড হগ। এ বছরের ১২ই মার্চ দক্ষিণ আফ্রকার সাথে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচটি যখন খেলতে নামেন তখন তার বয়স ৪৩ বছর ৩৪ দিন। হগ পেছনে ফেলে দেন গত বছর নভেম্বরে এই বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা কেনিয়ার স্টিভ টিকোলোর ৪২ বছর ১৫৪ দিনের রেকর্ডকে। এবারের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে থাকা হগ নিশ্চিত ভাবেই এই রেকর্ডকে নিয়ে যাবেন আরও দুরস্পর্ষ উচ্চতায়।
তবে ৪৩ বছর বয়স নিয়েও খুব একটা স্বস্তিতে নেই ব্রাড হগ। বয়সে ২৬ দিনের ছোট হংকং-এর মুনির দার ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছেন তার। এই বিশ্বকাপেই ৪০ পেরুনো খেলোয়াড় আছে আরও দু’জন--মুনির দারের সতীর্থ হংকং-এর নাজীব আমর এবং সংযুক্ত আরব আমীরাতের অধিনায়ক খুররম খান।
তিন ’ব্রাড’, ব্রাড হগ (৪৩), ব্রাড হজ (৩৯), ব্রাড হ্যাডিন (৩৬) দের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড মোট বয়স ৪৪৫ আর গড় বয়স প্রায় ৩০ নিয়ে এবারের আসরে দলগতভাবে সবচেয়ে বুড়ো দল। অস্ট্রেলিয়ার পরেই আছে দিলশান, সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনেদের নিয়ে গড়া শ্রীলঙ্কা; আর মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাদ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান আছে যথাক্রমে চার এবং পাঁচে। টি-২০ যে কেবল খোকাদের খেলা নয় তা প্রমাণ করতেই যেন ’বয়জোষ্ঠ্য’ পাঁচ দলের ৪ টিই এবারের শিরোপার অন্যতম দাবীদার।
অপরদিকে মোট বয়স মাত্র ৩৩৮ বছর আর প্রায় ২২ বছর ৬ মাসের গড় বয়স নিয়ে আসরের তরুণতম দল নেপাল। ২৫-এর কিছু কম গড় বয়স নিয়ে নেপালের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। আর ২৫এর কিছু বেশী গড় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তান। ৩১ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। এর পরই আছে ৩০ বছরের মাশরাফি। ২১ বছরের আনামুল হক বয়সে দলের কনিষ্ঠতম সদস্য। ২২ বছর বয়স নিয়ে নাসির হোসেন, সোহাগ গাজী, মোমিনুল হক, সাব্বির হোসেনরা আছেন ঠিক পরেই।
১৬ দলের পনের জনের স্কোয়াডের মোট ২৪০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৩০ বা তদুর্ধ বয়সের খেলোয়াড়ই আছে ৭০ জন। যাদের মধ্যে ৩৯ বছরের বুড়ো ব্রাড হজ, ৩৭ বছরের বছরের টিলকারাতেœ দিলশান, ৩৬ বছর বয়সের কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, সাঈদ আজমলরা বা ৩৪ বছরের ক্রিস গেইল কিংবা শহীদ আফ্রিদিরা আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়ে গেলে অবাক হবার কিছু নেই। লাসিথ মালিঙ্গা, ডেল স্টেইন, যুবরাজ সিং, মোহাম্মাদ হাফিজ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ব্রেন্ডন ম্যাককুলামরাও ৩০ পেরিয়েছেন বেশ আগেই।
বয়স নিয়ে কটু কথার জবাব মাঠেই দেবেন তারা।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩০
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
সরি খেলোয়াড় দের ছবি এড করার কথা বলতে চেয়েছিলাম!!
টাইপিং ভুল হইসে!!
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এই জন্যই তো আমার বয়সে হয়েছে তো কি হয়েছে এখনো পুচকাদের থেকে কোন অংশে কম নই
দারুন বিশ্লেষন করেছেন অনিরুদ্ধ। আপনার পোষ্টগুলোতে সবসময় কিছুতা ভিন্নতা থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
সবাই প্রিয় খেলোয়ার !!
প্লিজ এড করুন ভাইয়া!!!