নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ কিংবদন্তী: রোনালদো

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৪





লুইস নাজারিও ডি লিমা নামে পরিবারের বাইরে তাকে কেউ চেনে কিনা কে জানে। এমনকি যে নামে তাকে সবাই চেনে সেই রোনালদো নামেও আছে সমস্যা, ব্যাখ্যা প্রয়োজন হয় ব্রাজিলের না পর্তুগালের কোন রোনালদো? তবে ’দ্যা ফেনোমেনন’ বলতে এই মর্ত্যে একজনকেই বোঝানো হয়। রোনালদো ’রোনালদো’ হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত একই দলে খেলা রোনালদো রদ্রিগেজ ডি জেসাস বা রোনালদো গুজারোদের মতো ’সিনিয়র রোনালদো’ থেকে নিজেকে আলাদা করতে পরিচিত ছিলেন রোনালদিনহো বা 'ছোট রোনালদো’ নামেও। ১৯৯৬-এর অলিম্পিকে খেলেছেনও জার্সিতে রোনালদিনহো নাম নিয়ে। আর ’আসল রোনালদো’ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলার একই সমস্যায় পরেছে নতুন রোনালদোরা। যেমন রোনালদো ডি আসিস মোজেইরা শেষ পর্যন্ত ’ছোট রোনালদো’ বা রোনালদিনহো নামেই মাতিয়ে গেছেন ফুটবল বিশ্ব।



রোনালদোকে বলা হয় থাকে সবচেয়ে পরিপূর্ণ স্ট্রাইকার। বিপক্ষ দলের ডি বক্সের আসেপাশে শিকারির মতো ওৎ পেতে থেকে বল পাওয়া মাত্রই তাকে বিপক্ষের জাল পর্যন্ত পৌছে দেবার এক অসাধারণ ক্ষমতাই রোনালদোকে আলাদা করেছে সমসাময়িক অপরাপর খেলোয়াড়দের থেকে। মাত্র ২০ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরার খেতাব। জিদান এবং মেসির সাথে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন বা তার অধিকবার জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। বিরল ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দী রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনায়। খেলেছেন ইন্টার মিলান এবং এসি মিলানেও।



মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় রোনালদোর। ১৯৯৪-এর বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেনও যুক্তরাষ্ট্রে। কোন ম্যাচ না খেলেই সেবার বাড়ি ফিরেছিলেন তরুণ রোনালদো।



তবে ১৯৯৮ এর ফ্রান্স বিশ্বকাপেই রোনালদো গিয়েছিলেন একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে। ৪ টি গোল করেছিলেন, করিয়েছিলেন ৩ টি গোল। ব্রাজিলের মোট ১৪ গোলের ৫০ শতাংশতেই ছিল রোনালদোর অবদান। স্বাগতিক ফ্রান্সের সাথে ফাইনাল ম্যাচের আগে এক আকস্মিক রোগে আক্রান্ত হন রোনালদো। ম্যাচ শুরুর ঘন্টা খানেক আগে কোচ জাগালো রোনালদোকে ছাড়াই প্রাথমিক দল পরিকল্পনা করেন। রোনালদোর প্রচন্ড আগ্রহের কারণেই শেষ পর্যন্ত তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু মাঠেও সেই চেনা রোনালদোকে খুজে পাওয়া যায়নি। রোনালদো কোন গোল করতে ব্যর্থ হন, গোল করতে ব্যর্থ হয় পুরো ব্রাজিল দল। ফ্রান্স ৩-০ তে জিতে নেয় নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা।



২০০২ বিশ্বকাপে আর কোন ছাড় দেননি রোনালদো। পুরো আসরে কেবল ইংল্যান্ড ছাড়া বাকি প্রতিটি দলের বিপক্ষেই গোল করেছেন। সেমিফাইনালে তুরস্কের বিপক্ষে থার একমাত্র গোলেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাজিল। ফাইনালেও রোনালদোর করা ২ গোলেই ২-০ তে ব্রাজিল জিতে নেয় নিজেদের ইতিহাসের পঞ্চম বিশ্বকাপ শিরোপা। ৮ গোল করা রোনালদো জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন শু। দুই বিশ্বকাপে মোট ১২ গোল নিয়ে পেলের সাথে যৌথভাবে হয়ে যান ব্রাজিলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা।



জার্মানিতে পরের বিশ্বকাপেও খেলেছেন রোনালদো। প্রথম দুই ম্যাচে ব্রাজিল জয় পেলেও কোন গোল পাননি 'মোস্ট কমপ্লিটেড স্ট্রাইকার’। বরং তার কমে যাওয়া গতি আর বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্য নিয়ে ততদিনে ততদিনে শুরু হয়ে গেছে ফিসফাস। তবে নানান গুঞ্জন-সমালোচনার মাধ্যেও কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেরা ঠিকই আস্থা রেখেছেন রোনালদোর উপর। এই আস্থার প্রতিদান দিতেই যেন তৃতীয় ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে করেন দুই গোল। জার্ড মুলারের সাথে যৌথ ভাবে হয়ে যান বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। হয়ে যান তিনটি বিশ্বকাপে গোলদাতা মাত্র ২০ জন খেলোয়াড়ের একজন। দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘানার বিপক্ষে ম্যাচে ১ গোল করে জার্ড মুলারকে ছাড়িয়ে এককভাবে হয়ে যান বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের সাথে ১-০ গোলে হেরে বিদায় না নিলে রোনালদো এই রেকর্ডটিকে নিয়ে যেতে পারতেন আরও উচ্চতর স্থানে।



প্রথম আলো অনলাইনে মাঝে মাঝে আমার কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। সেই ভালোলাগা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কখনও কখনও ব্লগেও তা শেয়ার করি। কিন্তু এখানেই ঘটে বিপত্তী। অনেকেই সঙ্গত কারণেই বিভ্রান্ত হন, 'পুরোটাই কপি করার দায়ে' তেড়ে আসেন। বিভ্রান্ত হবেন না, এটি তেমনই একটি প্রয়াস।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৪১

সকাল হাসান বলেছেন: রোনালদো দ্যা এল ফেনোমেনন।
বেস্ট স্ট্রাইকার আই হ্যাভ এভার সীন।

ফিনিশিং এ রোনালদোর কোন জুড়ি নেই। সে একচ্ছত্র কিং ফিনিশিং এর।

২| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সত্যিই তিনি কিংবদন্তি ফুটবলার ...
যদিও তার সব খেলা দেখার সুযোগ হয়নি, তবু কমতো দেখিনি। যা দেখেছি, তাতে আজীবন আমার মতই ফুটবল ভক্ত দুনিয়া তাকে ভালোবাসায় স্মরণ করতে বাধ্য হবে।

একটা সত্যি কথা হচ্ছে, আজো "রোনালদো" নামটা শুনলে চোখে ওই বিশালদেহি ফেনোমেনোনের ছবি ভেসে ওঠে ... ক্রিশ্চিয়ানো নয়!

তার পায়ে যে ঝলক ছিলো তা আজো মনে পড়ে বেশ ...

৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=m8bZhNBQktQ

৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্যা ফেনমেনন রোনালদোর সেই রহস্যময় অসুস্থতা (১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে) সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। আপনার জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ, অনিরুদ্ধ রহমান।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: দেখুন : ২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে এতগুলো ডিফেন্সের মাঝে ব্যাক হিলে বল রিসিভ করে বুকে নিয়ে এরপর নিখুত গোল !

৬ থেকে ১২ সেকেন্ডে এক হালি ডিফেন্স আর গোল রক্ষককে কাটিয়ে গোল !

৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে গোলরক্ষক আর ডিফেন্ডারের ঠোকাঠুকির মাঝে ডজ!

৫৪ সেকেন্ডে দুই ডিফেন্সের কুস্তি, ৫৫ তে ল্যাং, ৫৬-৫৮ হাত ধরে টানাটানি, ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে কয়েকজন মিলে হাডুডু খেলার মত পাছড়ে ধরার চেষ্টা ! ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ডিফেন্ডারের গায়ের ধাক্কা

১৪ -১৮ সেকেন্ডে বডি ডজে একজন ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক ভুপাতিত, ৫০ সেকেন্ডে আবার গোলরক্ষক ভুপতিত, ১ মিনিট ২৫ এ মাটিতে পরে গোলরক্ষক ৩০-৩১ সেকেন্ডে দেখা যায় রোনাল্ডোকে ফেলে দেবার চেষ্টা করছে, ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে আরেক ডিফেন্ডার বডি ডজে পতিত , ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে মাটিতে পরে যায় গোলরক্ষক, ৩মিনিট ৭ -১০ সেকেন্ডে মাটিতে পড়ে যায় এক ডিফেন্স আর গোলরক্ষক, ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে, ৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে, ৬মিনিট ০ সেকেন্ডে , বডি ডজে ধরাশায়ী গোলরক্ষক

৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে ড্রপ কিক, ৬মিনিট ১২ সেকেন্ডে ড্রপ কিক সাইড ভলিতে ৫ মিনিট ৫২ তে নিখুত ফ্রী কিক

বার পোষ্টে লেগে গোল ৪২ সেকেন্ডে, ৬ মিনিট ৮ সেকেন্ডে, ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে উড়ন্ট বল রিসিভ না করে নিখুত শট !

কতগুলো বলব ?

আর ডিফিকাল্ট এংগেল নিখুত শটে থেকে ডজন ডজন গোলের কথা তো বলিই নি , যেগুলো উপরের ভিডিও তেই আছে !

৬| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: Ronaldo Brazil Impossible Technique And Dribbling Ever

http://www.youtube.com/watch?v=uVueW6X7TM0

৭| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

সময়ের ডানায় বলেছেন: রোনালদো "দ্যা ফোনোমেনন" একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার খেলতো

৯| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারণ প্লেয়ার ছিলেন।

১০| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: আমার পছন্দোর খেলোয়ার।


প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

১১| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৩

সুমন কর বলেছেন: পছন্দোর খেলোয়ার।
গুড পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.