নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুরানের গল্প: একটা বেবী গাছের গল্প

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭


তুরানেত জানালার পাশে থাকে একটা মা গাছ আর একটা বেবী গাছ। বেবী গাছটা তুরানের বন্ধু আর মা গাছটাকে তুরান ডাকে আন্টি গাছ। তুরান মা গাছ আর বেবী গাছকে অনেক ভালোবাসে। গাছের পাতা ছেড়ে না, ডাল ভাঙ্গে না, গাছ কে ব্যাথা দেয় না, গাছকে পানি খেতে দেয়। মা গাছ আর বেবী গাছও তুরানকে ভালোবাসে।

একদিন তুরান শিশুপার্কের গল্প করছিলো। আগামীকাল শিশুপার্কে বেড়াতে যাবে। বেবী গাছটা শিশুপার্কের গল্প শুনে মা গাছকে বললো, মা মা, আমিও শিশুপার্কে যেতে চাই।

মা গাছটা বললো, গাছের কি পা আছে? গাছ কি রিক্সায় চড়তে পারে? নাহ। তাহলে গাছ কিভাবে শিশু পার্কে যাবে?

শুনে বেবী গাছটার মন খারাপ হয়ে গেল। সে কোন কথাই শুনতে চায় না। বারবার বলতে লাগলো, আমি শিশু পার্কে যেতে চাই।

মা গাছটা তখন বললো, এক কথা বার বার বলতে হয়না বাবা। তাহলেতো তুমি পচা গাছ বেবী হয়ে যাবে।

একথা শুনে বেবী গাছটার কান্না পেয়ে গেল। কোন ভাবেই কান্না থামানো যাচ্ছিলো না। সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো।

তুরান জানালার কাছে এসে শুনতে পেল কে যেন কাঁদছে। তুরান জিজ্ঞেস করলো, কে কান্না করে রে?

বেবী গাছ বললো, আমি বেবী গাছ।

তুরান বললো, কেন কান্না করছো তুমি?

বেবী গাছ বললো, আমি শিশু পার্কে যেতে চাই। কিন্তু মা বলেছে, গাছ নাকি শিশু পার্কে যেতে পারে না…

বেবীগাছ আবার চোখ মুছতে লাগলো।

তুরান তখন বেবীগাছকে সান্তনা দিয়ে বললো, তুমি মন খারাপ করো না। আমি তোমাকে শিশুপার্কে নিয়ে যাবো। দেখি কী বুদ্ধি বের করা যায়।

বেবীগাছ বললো, সত্যি? আমার অনেক খুশি লাগছে।

তুরানতো বলে ফেললো, কিন্তু কিভাবে নেয়া যায় বেবীগাছ কে?

কী করা যায়, কী করা যায় চিন্তা করতে করতে তুরান একটা বুদ্ধি বের করলো। বেবী গাছকে বললো, তুমি চিন্তা করো না। আম বলেছি তোমাকে নিয়ে যাবো, আমি নিশ্চই তোমাকে নিয়ে যাবো।

একটু পর তুরান বেবী গাছটাকে সুন্দর করে মাটিসহ উঠিয়ে একটা টবে লাগিয়ে দিল। তারপর টবসহ বেবীগাছটাকে নিয়ে রিক্সায় করে শিশুপার্ক রওনা দিল। সারা বিকেল তুরান আর বেবীগাছ অনেক মজা করলো--ট্রেনে চড়লো, ঘোড়ায় চড়লো, হেলিকপ্টারে চড়লো, আরও কত কিছুতে চড়লো।

সন্ধায় বেবীগাছটাকে এনে তুরান আবার তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিল। দিনটা তুরান আর বেবীগাছ দুজনেরই অনেক ভালো কাটলো।

***
তুরানের বয়স হলো সাড়ে তিন।

সারাদিন যেমন-তেমন, কিন্তু রাতে ঘুমাতে গিয়ে সে বাবার ঘুম হারাম করে ছাড়ে--বাবা, গল্প শোনাও, গল্প শোনাও, গল্প শোনাও। এবং কোন রেডিমেড গল্প হলে চলবে না, কাস্টম মেড হতে হবে। কারণ গল্পের পাত্র-পাত্রী এবং বিষয়বস্তু সে নিজে নির্বাচন করে দেবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সেই পাত্র-পাত্রীর সাথে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার বা উপেন্দ্র কিশোর রায়ের পাত্র-পাত্রীর কোন মিল নেই। যদি কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় তবে তা একান্তই কাকতাল মাত্র। কোনদিন তার পাত্র-পাত্রী হলো একটা মা সিএনজি আর একটা বেবি সিএনজি, কোনদিন বাবা ফ্যান আর বেবী ফ্যান, কোনদিন স্পাইডারম্যান আর ব্যাটম্যান।

গল্পগুলি জমিয়ে রাখছি তুরানের ত্রিশ বছর বয়সের জন্য, কোনদিন যদি তার পুত্রও ঘুমাতে গিয়ে শুনতে চায় একটা মা সাইকেল আর একটা বেবি সাইকেল কিংবা একটা মা টেম্পু আর একটা বেবি টেম্পুর গল্প।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৬

প্রতিভাবান অলস বলেছেন: বুঝে উঠতে পারলাম না!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৩

অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: পুত্রের ঘুমপাড়ানি গল্প। বিশেষ কোন অর্থ নেই। Nonsense Literature.

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো লাগলো।
অনুবাদ?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৩

অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

নাহ।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: চমৎকার লিখেন আপনি , ভাল লাগা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.