নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চা বালক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৫



সকাল সকাল তুরান কে নিয়ে স্কুলে যেতে যেতে হঠাৎ দেখি ওরই কাছাকাছি বয়সের এক ছেলে এক হাতে একটা চায়ের ফ্লাস্ক আরেক হাতে একটা ছোট লাল বালতিতে সম্ভবত চায়ের কাপ-পিরিচ নিয়ে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে। রিক্সা, বাইক, গাড়ি কিছুই তাকে দমাতে পারছে না।

আমার রিকশাওয়ালাকে বললাম, কী হইছে ভাই?
রিকশাওয়ালা জানালো, আরেক রিকশাওয়ালা ওর 'যন্ত্রপাতি' ভেঙে দিয়েছে। ছেলেটা দৌড়ে তাকেই ধরার চেষ্টা করছে।

মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এতটুকুন বাচ্চা হাতে এতকিছু নিয়ে দৌড়ে কি আর ওই দুষ্কৃতকারীর নাগাল পাবে?

অবশ্য, না দৌড়েই বা কী করবে? ভাঙা ফ্লাস্ক হাতে বাসায় ফিরবে কী করে ছেলেটা? জানতে ইচ্ছে হয়, সারাদিন এই রং চা বিক্রি করে দিনশেষে সে কত টাকা তুলে দিতে পারে তার বাবা-মার হাতে? দুইশ? তিনশ?

বাবা-মা আরও কষ্ট করুক, আরও পরিশ্রম করুক, তাও যদি এইসব শিশুদেরকে একটা সুন্দর শৈশব দিতে পারতো! জানি তারা তাদের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েই তাদের প্রিয় সন্তানকে এই বয়সে পথে নামান।

ছেলেটার এখন স্কুলে যাওয়ায় কথা ছিলো আমার ছেলেটার মতন। ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে স্কুলের মাঠজুড়ে ছুটোছুটি করার কথা ছিলো। বাসায় ফেরার পথে বায়না ধরার কথা ছিলো এটা সেটা কিনে দেবার।

কিন্তু পরিস্থিতি তাকে এই সকাল সকাল চায়ের ফ্লাস্ক হাতে পথে নামিয়ে দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিই আবার এই সাতসকালে তার সেই ফ্লাস্ক ভেঙেও দিয়েছে।

'পরিস্থিতি' এমন কেন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া লেখা... তবে ভালো লাগলো।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশে এরকম হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.