![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুরে খাবার পর চায়ের দোকানে দাড়িয়ে আছি। আমার সন্তানের বয়সী একটা শিশু এসে দুপুরের ভাত খাবার জন্য কিছু টাকা চাইলো।
আমি দুপুরে যত টাকার খাবার খেয়েছি তার এক তৃতীয়াংশ পরিমান টাকা শিশুটিকে দিলাম। ওই টাকায় মতিঝিলে ছেলেটার এক বেলার খাবার হবেনা। মনে মনে একটু সঙ্কোচ নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম।
শিশুটিকে পাশের দোকানের এর ওর কাছেও হাত বাড়াতে দেখে নিজের সঙ্কোচ আরও ঘনীভূত হলো।
শিশুটি এই লাইনে নতুন। হাত পাতার সঙ্কোচ-দ্বিধাবোধ তার এখনও পুরোপুরি কাটেনি। আমার কাছ থেকে টাকা নেবার পরও পাশের দোকানের চা প্রত্যাশীদের কাছে হাত বাড়াতে বাড়াতে প্রতিবারই একবার করে আড় চোখে আমাকে দেখে নিচ্ছে। আমিও দেখছি।
পাশের দোকানের কেউ কেউ কিছু দিলো। কেউ ধমক-ধামক দিয়ে ভাগিয়ে দিলো। এক রিকশাওয়ালা দেখলাম টাকাও দিলো না, আবার ধমকও দিলো না। বরং ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিলো।
রিকশাওয়ালাকে শিশুটির মাথায় হাত বোলাতে দেখে কেন যেন মনটা আরও ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। শিশুটির এখন বাসায় বসে বসে মায়ের হাতে ভাত খেতে খেতে গল্প শোনার কথা ছিলো। গল্প করার কথা ছিলো আজ স্কুলে কোন বন্ধু কী করলো, স্কুলের টিচার কী বলেছে, বড় হয়ে সে পাইলট হবে, নাকি শিক্ষক হবে।
***
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকের মতন হোমড়াচোমরাদের হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের (+/-) ৪০তম বৃহত্তম অর্থনীতি।
সেন্টার ফর ইকোনমিক এন্ড বিজনেস রিসার্চ-এর ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর কে পেছনে ফেলে হবে বিশ্বের ৩০তম অর্থনীতি।
আর ২০৩৩ সালের মধ্যে হবে বিশ্বের ২৪ তম অর্থনীতি!
***
একজন মোটামুটি শিক্ষিত হিসেবে, একজন তথাকথিত সচেতন নাগরিক হিসেবে, আমার অর্থনীতি বোঝা উচিৎ। মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর কে পেছনে ফেলার তাৎপর্য বোঝা উচিৎ।
কিন্তু আমি ৪০তম, ৩০তম বা ২৪তম অর্থনীতি বুঝতে চাইনা; আমি চাই একবেলা খাবারের সন্ধানে আমাদের সন্তানদের যেন কারও কাছে হাত না পাততে হয়। আমি চাই, আমাদের সন্তানেরা যেন থাকে, দুধে-ভাতে…
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ফরমালিন যুক্ত দুধভাতের চেয়ে কিছু না খেয়ে থাকা ভালো কিনা সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই!
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে এরকম না খাওয়া শিশুর সংখ্যা অনেক।
দেশের অর্থনীতি সুষ্ঠু না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৫
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: এরকম হাত পাতা শিশুর সংখ্যা অনেক।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কি সুন্দর স্বাস্থ্য, সুস্থ কিশোর বয়সি ছেলেরা রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকে দিনভর। এরা কাজ করতে চায় না সহজে। সারা রাত বিড়ি গাঞ্জা টেনে দিনে ঘুমায় । এরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সোচ্চায় হয় না। এদের বুঝালেও বুঝে না। হাত পাতা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় একসময়। দেখলে খুব খারাপ লাগে
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৭
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: এরা আসলে জীবন নিয়ে এই বয়সেই আশাহীন। এদের নিয়ে আরও যত্ন সহকারে কাজ করা উচিৎ।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অনিরুদ্ধ রহমান,
স্বাভাবিক ভাবেই এটা একটি মানবতাবোধ সম্পন্ন পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ এমন করে ভাবার জন্যে।
ঠিকই বলেছেন, আমাদের অর্থনীতি বোঝার দরকার নেই, এটা বোঝার দরকার আমাদের সন্তানেরা কি করে থাকবে দুধে ভাতে।
পাশাপাশি সহব্লগার কাজী ফাতেমা ছবির মন্তব্যটির সারকথাতেও সত্যিটাই লুকোনো।
আসলে হাতপাতা স্বভাব এখন আমাদের মজ্জাগত।
কারন সামাজিক, রাষ্ট্রিক, নাগরিক, অর্থনৈতিক, রাজনীতিক, মানবিক দেউলিয়াত্ব অনেককাল আগে থেকেই আমাদের আর সুরক্ষা দেয়না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪০
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: আসলে আমাদেরও ভাবা দরকার এই অবস্থার পরিবর্তে কোন অবদান রাখতে পারি কিনা।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তবতার অনন্য লিখনী।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪০
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫০
ইমরান আশফাক বলেছেন: শুধু অর্থনীতির আকার ও গতি বাড়ালেই হবে না, বন্টন ব্যবস্হাও একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান বর্তমানের অর্থনীতির মধ্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সন্তানেরা ফরমালীনযুক্ত দুধভাত খাচ্ছে