নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসের নিরাপত্তা কর্মী একজন বিংশতি-একবিংশতিকে সাথে করে এনে আমার সামনে দাড় করিয়ে দিয়ে বললেন, ইনিই অনি স্যার।
বিংশতি-একবিংশতি আরেকটু এগিয়ে এসে, সালাম দিয়ে, খানিকটা ইতস্তত করে বললেন, স্যার, আসতে পারি?
বিংশ-একবিংশ বয়সের ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করে নাকি কোন লাভ নেই। আমিও আর তার ভুল ভাঙ্গাতে গেলাম না যে, আমি 'স্যার' নই। আমিও দ্বিধা সামলে, তাকে আসতে বললাম, বসতে বললাম।
কিন্তু রহস্য ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
বসে, একটু জিরিয়ে নিয়ে, মেয়েটি জানালেন যে, তাকে তার নাজিম চাচা পাঠিয়েছেন আমার কাছে।
নাজিম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু বটে। কিন্তু এত বড় ভাতিজির চাচা হবার ইতিহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বছর ছয়েকে কখনও পাইনি। তাছাড়া, নাজিমের কাছে আমার ফোন নাম্বার নিশ্চিত ভাবেই আছে, ভাতিজিকে পাঠাবার আগে আমাকে একটা ফোন না করার ছেলে সে না।
রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
আমি জানতে চাইলাম, কী কাজে নাজিম তাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে। তরুণীটি জানালেন, ইন্টার্নশিপের ব্যাপারে তিনি এসেছেন।
হঠাৎ করেই সব রহস্যের জট খুলে গেল।
এই অনি সেই অনি নয়; এই নাজিমও সেই নাজিম নয়।
অত্র শাখায় দুইজন অনি আছে। আমি আর আমার ম্যানেজার স্যার। ইতিপূর্বেও দুয়েকজন ম্যানেজার স্যারকে খুঁজতে খুঁজতে আমাকে খুঁজে পেয়েছিলেন!
***
ছোট বেলায় পরীক্ষা পাশের জন্য নামকরণের সার্থকতা মুখস্থ করতাম--"ছুটি" গল্পের নাম করনের সার্থকতা, "পদ্মানদীর মাঝি" উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা, কবর, হাজার বছর ধরে, রক্তাক্ত প্রান্তর…
বিরক্ত হয়ে ভাবতাম, এসব মুখস্থ করে কী লাভ? বাস্তব জীবনে এর কোন উপকার আছে?
আজ ওই বিংশতি-একবিংশতির ঘটনায় বুঝলাম, বাস্তব জীবনেও পাঠ্য বই এর উপকার আছে।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পাঠ্য বই থেকে জ্ঞান নিয়ে আমরা দৈনিক সুন্দরভাবে জীবন যাপন করি।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ বাস্তবতা অনুধাবন করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ঝামেলায় পড়লে বুঝা যায় ঝামেলা কাহাকে বলে।