নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আই দোন্ত এনি ফুদ, আই দোন্ত এনি ওয়াতার, আই দোন্ত এনি মানি। আই দোন্ত এনিথিং…
***
বিবিসি রেডিওতে সিরিয়ান এক ভদ্রলোকের আকুতি শুনছিলাম।
সিরিয়ায় একদিকে তুরস্কের হামলা, অন্যদিকে রাশিয়া সমর্থিত সিরিয় সরকারি বাহিনীর হামলা। যুদ্ধে সবকিছু হারিয়ে তুরস্ক পালিয়েছিলেন হতভাগ্য লোকটি। তুরস্কে পৌছেও রেহাই নেই। তার মতন 'অনুপ্রবেশকারী'দের তুরস্ক আবার ঠেলে দিয়েছে গ্রিস সীমান্তের দিকে। গ্রিস হয়ে জার্মানি যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন অসহায় লোকটি। কিন্তু সীমান্তের গ্রিস পুলিশ আবার তাদের পাঠিয়ে দিচ্ছে তুরস্কে। তুরস্ক হয়তো আবার তাদের পাঠিয়ে দেবে সিরিয়ায়।
তুরস্ক-গ্রিস সীমান্ত থেকেই বিবিসির সঙ্গে কথা বলছিলেন লোকটি। অসহায় লোকটি হয়তো শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারছিলেন না, কিন্তু বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছিলো না। অধিক আনন্দ অথবা অধিক বেদনা ব্যাক্ত করতে তো আসলে ভাষা নিষ্প্রয়োজন।
***
অনেক বছর আগে একবার আমাদের দেশের এক সীমান্তে গিয়েছিলাম। বুড়িমারী সীমান্তে। একটা পিচঢালা রাস্তা আমাদের বুড়িমারী থেকে ভারতের চেংরাবান্ধা চলে গিয়েছে।
সীমান্তরক্ষী আমাদের বারবার করে সাবধান করে দিলেন, ওই দাগের ওপাশে যাবেন না।
সীমান্তে সেদিন ঘন্টা খানেকের মতো ছিলাম। এক সময় দেখা গেল একটা সারমেয় তার সঙ্গীকে নিয়ে খুনসুটি করতে করতে সেই সড়ক ধরে, যেই দাগ আমার অতিক্রম করা নিষেধ, অনায়াসে সেই দাগ অতিক্রম করে, ভারতে চলে গেল। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরাও ওদের আটকালো না, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরাও না।
যেই দাগ একটা কুকুর অতিক্রম করতে পারবে, সেই দাগ অতিক্রম করা একটা সাধারণ মানুষের জন্য অসাধ্য!
সেই দাগের এপাশে দাড়িয়ে সেদিন এক গভীর দুঃখের সাথে উপলব্ধি করেছিলাম, পৃথিবীতে মানুষই বোধহয় একমাত্র প্রাণী, যারা নিজেরাই বেড়া দেয়, নিজেরাই খাঁচা বানায়, সেই খাঁচায় আবার নিজেরাই বন্দী হয়ে থাকে!
১৯৪৮ সালের আগে এই একই বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা সড়কের দুপাশে অস্ত্র হাতে দাড়ানো সান্ত্রীরা কি কোন পথিককে বলতো--এই দাগ অতিক্রম করবেন না?
নাকি তখন কুকুর, পাখি, মানুষ সব একই কাতারে ছিলো; আর ১৯৪৮ সালে সেই দাগ দেবার পর থেকে আমরা উন্নত প্রাণী হয়েছি?
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ভাবনা
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: বর্ডার, কাটা তার এবং পাসপোর্ট পৃথিবী না থাকলেই সবচেয়ে ভালো হতো।
পুরো পৃথিবীটাই মানুষের দেশ।