![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৷
কয়েকদিন আগে একটা কাজে ধানমন্ডি গিয়েছিলাম। সময়ের একটু বেশী আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। সময় কাটানোর জন্য তাই রাস্তার মোড়ের এক চায়ের দোকানে দাড়িয়ে চা পান করছিলাম।
হঠাৎ এক তরুণী এসে বললেন--মামা, একটা বেনসন লাইট দেন।
আমি কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম। এখনকার মেয়েরা নিজেই তার ছেলে বন্ধুকে সিগারেট কিনে দেয়!
যুগ অনেক এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সময়ে আমাদের মেয়ে বন্ধুদের জীবনের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই ছিলো ছেলে বন্ধুগুলোর ধূমপান ছাড়ানো। টিএসসি কিংবা মলচত্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মতো কতদিন আমাদের মেয়ে বন্ধুদের দেখা গেছে, ছেলেগুলোর কাছ থেকে জ্বলন্ত বা সযতনে সংরক্ষিত শলাকা উদ্ধার করে ধ্বংস করতে!
আর এখনকার মেয়েরা কিনা নিজেই তার ছেলে বন্ধুকে সিগারেট কিনে দেয়!
শুধু কিনে দিয়েই ক্ষান্ত হলেন না তিনি, বন্ধুর জন্য সিগারেটটায় আগুনও ধরিয়েও ফেললেন। এক কাপ চা খেতে খেতে আমি অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম, ওমা, তরুণীটি তার ছেলে বন্ধুর জন্য কেবল সিগারেট কিনলেন না, ছেলে বন্ধুকে কেবল সিগারেট ধরিয়ে দিলেন না, বরং ছেলে বন্ধুর হয়ে পুরোটা সিগারেট তিনি নিজেই টেনে শেষ করে ফেললেন!
এক তরুণী ধূমপান করছেন, আর পাশে দাড়ানো আমি শুধু চা পান করছি, কেমন যেন অপুরুষ অপুরুষ লাগছিলো।
চায়ের দাম চুকিয়ে মানে মানে কেটে পড়লাম।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: সময়ের সাথে তাল মেলাতে পারছি না। এটা অবশ্য আমাদের ব্যর্থতা।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
অ'তেই অনুভব শেষ হয়েছে, কা' অনুভব হয়নি সেই ভাল হা হা হা
আমার ফিয়াঁসে তো এক কদম সরেস ছিলো, মাদক কর্মকর্তার মতো খালি ধ্বংসই করেন নি,
বরং এর বদলে এরচে উত্তম নেশার ফ্রেঞ্চ' বিনিময় দিয়েছিল
হুম। সময় এগিয়ে গেছে! এভাবেই বুঝি বদলে যায় . . .
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ওয়াও। আপনাকে অভিবাদন।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এরা বখে যাচ্ছে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৫
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: কোন জিনিস ভালো না খারাপ তা অন্যের কাছে শোনার চেয়ে নিজে পরখ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আইডিয়াটাও খারাপ না।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৬
কামরুননাহার কলি বলেছেন: এখানেই তো পুরুষত্বের দোহাই দেন তাই নয় কি ভাই? মেয়েটা সিগেরেট খাচ্ছেন বলে আপনি খুব অবাক হলেন তবে একটা ছেলে যখন সিগেরেট খায় তখন কেনো অবাক হতে পারে না? নাকি মনে করেন আমরা পুরুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো? না পারবেন না। কারণ মানুষ কখনো এটা করেনা। যারা অমানুষ তারাই করে। আমি যদি বলি সিগেরেট খোর প্রত্যেকটি পুরুষই অমানুষ। সাথে কিছু মেয়েরাও।
হাসি লাগে যখন দেখি আপনাদের মতো মানুষেরা বেশি বেশি পুরুষেত্বর দোহাই দেয়। একটা মেয়ে চায়ের দোকানে সিগেরেট খাচ্ছে আর আপনারা পুরুষরা অবাক হচ্ছেন। আরে যখন একটা ছেলে দাড়িয়ে দাড়িয়ে, যেখানে সেখানে, বাংলাদেশের ৯৯% ছেলেরা সিগেরেট খেয়ে পরিবেশ, মানুষত্ব নষ্ট করে দিচ্ছে তখন অবাক হোনা কেনো?
আপনি বলুন তো, কখনো কোন দিন, “লেখেছেন আজ অমক ছেলেটা রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে সিগেরেট খাচ্ছে মেয়েগুলোর সামনে এতো আমি খুব অবাক হয়েছি! কিংবা লেখেছেন ব্লগে কোনদিন?” কোনদিন বলেছেন অমক ছেলেরা স্কুল কলেজের সামনে দাড়িয়ে সিগেরেটের আড্ডা দিয়ে পরিবেশটা নষ্ট করে দিয়েছে, বলেছেন? কোন দিন বলেছেন, প্রতিবাদ করেছেন বাস ড্রাইভাররা গাড়ি চালাচ্ছে আর সিগেরেট খাচ্ছে সে সময় পাশের সিটগুলোতে মেয়েরা নাক চেপে বসে অসহ্য দুর্গন্ধ সহ্য করতেছে তখন কি কোন ড্রাইভারকে এসে বলেছেন এই বেটা তুই গাড়ির মধ্যে সিগেরেট খাচ্ছিস কেনো? বলেছেন কোন দিন? কোন দিন কোন পুরুষত্বের দোহাইকারী পুরুষরা বলেছে? বলুনতো
আজ খুব অবাক হচ্ছে একটা মেয়ে সিগেরেট খাচ্ছে বলে। বাংলাদেশ থেকে সিগেরেট খোরদের উঠান সুন্দর পরিবেশ তৈরি করুন তারপর পুরুষত্বের দোহাই দিবেন। আর এতে পুরুষত্বের দোহাই দেওয়ার কিছুই নাই। যারা নেশাখোর, যারা খারাপ তারা ছেলে হোক মেয়ে হোক এতে অবাক হওয়া কিছুইনা।
যদি বলে আমি এটা কে সমর্থন করি কি না। না আমি সমর্থন করি না। এটা কারো বেলাই করিনা। কোন মেয়ের বেলায়ও না কোন ছেলের বেলায়ও না। আমি আপনাকে কথাগুলো বলছি তার কারণ আপনি মেয়েটার বেলায় অবাক হচ্ছে কিন্তু কোন ছেলের বেলায় অবাক হচ্ছেনা। তাই আগে নিজেদের মনমানসিকতা চেঞ্জ করতে হবে। আপনি যদি আপনার বোনকে সাশন করে বলেন তুই সিগেরেট খাবি না, তুই আড্ডা দিবি না, তবে সেই একই কথা আপনার ভাইকেও বলতে হবে, তাহলে জগটা ঠিক থাকবে। আসা করি বুঝতে পেরেছেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ভাই, আমি আসলে নারী বা পুরুষ কাওকে ছোট বা বড় করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কিছু লিখিনি।
অবাক হয়েছিলাম সত্য। তার কারণটা হলো, সচারাচর মেয়েদের এমন প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায় না বলেই অবাক হয়েছিলাম। এদেশে যেমন বড় কোন প্রকল্পে কোন দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলে অবাক হবো, এদেশে যেমন কোন রাজনীতিবিদ বিপক্ষ রাজনীতিবিদকে গালমন্দ না করলে অবাক হবো, সেটা সেই রকম অবাক হওয়া ছিলো।
সাধারণত যা চোখে পড়ে না তা চোখে পড়ার অবাক হওয়া; ভালো কাজ-মন্দ কাজ, নারীবাদ-পুরুষবাদ, উচিৎ কাজ-অনুচিৎ কাজের অবাক হওয়া নয়।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার সামনে যখন কোনো পুরুষ সিগারেট খায় তখন কি পুরুষ পুরুষ লাগে?
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২০
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ভাই, চোখে দেখার অভ্যস্ততার কথা বলছিলাম, অন্য কিছু না।
যেমন, বাস ড্রাইভার মেয়ে দেখলে তাকে নারীর চেয়ে বড় কিছু মনে হয়, মহিলা কসাই দেখলে নারীর চেয়ে বেশী কিছু মনে হয়, পুরুষ ক্ল্যাসিকাল নৃত্যশিল্পী দেখলে তাকে পুরুষের চেয়ে বড় কিছু মনে হয়.
এটা আমার মনের সমস্যা হতে পারে।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৬
ফাহমিদা বারী বলেছেন: সিগারেট নেশার বস্তু। এটা ছেলেরা খেলে দোষ নাই, মেয়েরা খেলে দোষ আছে, ব্যাপারটাকে এভাবে দেখার কিছু আছে বলে মনে করি না। ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই সিগারেট ক্ষতিকর।
মেয়েরা আজকাল শার্ট প্যাণ্ট পরছে, সেটাই অতি আধুনিকতা। কেউ কেউ এটাকেও দোষের বলে মনে করে না। নির্দোষ পোষাক হিসেবে দেখে। অর্থাৎ দৃষ্টিভঙ্গিও একটা ব্যাপার।
যুগ যেভাবে এগুচ্ছে,তাতে ভবিষ্যতে অনেক হিসাব নিকাশই নতুনভাবে করতে হবে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২২
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: সহমত।
হয় পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে শিখতে হবে, না হয় একঘরে হয়ে বাঁচতে শিখতে হব।
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেয়েরা আগে সিগারেট খাইতো না, এখন খাইতাছে, এইডা খারাপ। তয় এর লিগা আপনার নিজেরে অপুরুষ ভাবার কী হইলো বুঝলাম না। সিগারেট খাইলেই বরং পৌরুষত্ব কমে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ভাই, চোখে দেখার অভ্যস্ততার কথা বলছিলাম, অন্য কিছু না।
যেমন, বাস ড্রাইভার মেয়ে দেখলে তাকে নারীর চেয়ে বড় কিছু মনে হয়, মহিলা কসাই দেখলে নারীর চেয়ে বেশী কিছু মনে হয়, পুরুষ ক্ল্যাসিকাল নৃত্যশিল্পী দেখলে তাকে পুরুষের চেয়ে বড় কিছু মনে হয়.
এটা আমার মনের সমস্যা হতে পারে।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপাটি লেখা ।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৭
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আপনার মন্তব্যের আগ পর্যন্ত খুব চাপে ছিলাম!
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
নতুন বলেছেন: নারীরাও কিন্তু কম সিগারেট খেতো না আগের দিনে।
আগের দিনে গ্রামের অনেক নারীই কিন্তু বিড়ি খেতো।
আরেকটা কথা নারী সিগারেট দোকান থেকে কিনে খেলো তার সাথে পুরুষত্বের সম্পক` কি?
সিগারেট নারী পুরুষ সবার জন্যই খারাপ। নারী খাইলে অপুরুষ আর ছেলে খাইলে সুপুরুষ এটা ভন্ডামী নয় কি?
১০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধুমপানকি তবে পুরুষের একচেটিয়া অধিকার?
নেশা ছেলে মেয়ে দেখেনা। নেশা দেখে নষ্ট মগজ
যে মগজে ভালো মন্দ বাছ বিচার করতে জানেনা।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: সহমত।
১১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০
সোহানী বলেছেন: কামরুননাহার কলি যা বলার বলে দিয়েছে, আমি আর যোগ নাই করি। আর হাসানের ভাইয়ের কমেন্টে সুপার লাইক
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৮
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: আপনাকেও লাইক।
১২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এইটা কী আর এমন! আমার চাচি ফুপুদের কেউ কেউ তামাক সেবন করতেন। আমি আর আমার ফুপু একসঙ্গে সিগারেট ফুকতাম।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৯
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: উনারা আগে থেকেই আধুনিক।
১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার আসলাম সবার মন্তব্য গুলো পড়তে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৯
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: তারপর কী দেখলেন?
১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সময়ের সাথে সাথে নারীও ধূমপানে আসক্ত। অবাক ব্যাপারটা কেটে গেছে এসব দেখে দেখে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১১
অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: অনেক দেখলে আর অবাক না হওয়ারই কথা। আমি খুব অল্প দেখেছি, তাই এখনও অবাক হই।
১৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: সিগারেট মেয়েরা আগে খেয়েছে কিন্তু একটু আরে আবঢালে, গোপনে, লজ্জায়। এখন সেই লজ্জা নামক বস্তুটা ক্রমস্ হারিয়ে যাচ্ছে। এটা সমাজে বিরূপ প্রভাব পরব।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের ছেলে মেয়েরা বেশি আধুনিক হয়ে গেছে।
এটা মোটেও ভালো লক্ষন নয়।