নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিরুদ্ধ রহমান

[email protected]

অনিরুদ্ধ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬


অফিস শেষে বাসায় ফিরতে প্রায়ই দেখা হয়।
পুলিশ হাসপাতালের ঠিক বিপরীত রাস্তায় ওরা দাড়িয়ে থাকে।

আপদমস্তক বোরখার ফাকে যেই চোখ দুটো দেখা যায়, তাতে গাঢ় কাজল মেখে ওরা উৎসুক ভাবে তাকিয়ে থাকে পান্থজনের পানে।

ওই পথটুকু পার হই মাথা নিচু করে।
ওই উৎসুক চোখ এড়ানোর জন্য নয়।
কোন তুচ্ছতা, অবজ্ঞা, অবহেলা, ঘৃণা থেকেও নয়।
এই সমাজের অংশ হিসেবে সমাজের এই ব্যার্থতার দায় কিছুটা নিজেই মাথা পেতে নিয়ে নতশিরে পার হই রাস্তাটুকু।

কয়েক দিন আগের ঘটনা।
সেই উৎসুক চোখের নারীদের একজনকে আবার দেখা গেল, এক হাতে ধরে আছেন ছয়-সাত বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত। আরেক হাতে সপাটে চড় মেরে চলেছেন শিশুটির কোমল গালে।

যিনি প্রহার করছেন তিনিই হয়তো শিশুটির জননী।
'কাজে' বের হয়েছেন, হয়তো মেয়েটিকে রেখে আসার মতন নির্ভরযোগ্য কোন গৃহ তার নেই।
সাথে এনেছেন, সাথে রাখার মতন উপায়ও তার নেই।
সেই সঙ্কট থেকেই হয়তো চড়াও হয়েছেন বাচ্চাটির উপর।

কিংবা হয়তো সন্তানের কোন বায়না পূরণে নিজের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা করছেন এই আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে।
অথবা তিনি হয়তো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই সাথে এনেছেন শিশুটিকে!
তিনি হয়তো শিশুটির আপন কেউই নন…

ঘটনা যাই হোক, ক্রন্দনরত শিশুটিকে দেখে মনে হলো, পৃথিবীটা এতটা কঠিন না হলে কার এমন কী ক্ষতি হতো?
প্রয়োজনে পিতা-মাতা আরেকটু চোখ মুছুক, আরও একটু ঘাম মুছুক কপালের, তবু অমলিন হোক সন্তানের হাসি

পুনশ্চঃ ছবিটি অন্তর্জাল থেকে নামানো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৩

কানিজ রিনা বলেছেন: বাংলাদেশের কত নারী গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে গার্মেন্টসে কাজ করে মা বাবা ভাই বোন স্বামী সন্তান নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম বসবাস করছে। অথচ এরা কেন যে এমন নির্লজ্জের মত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে বুঝে আসেনা।
এটা এটাকি বিলাসিতা? নাকি অভ্যাসের দাস?

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: কানিজ রিনা , আপনি ওদের কাজ দেন, কেউ এসব করবে না।
দেশে কাজ পাওয়া এতো সোজা না।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৮

রাােসল বলেছেন: Yes, it gives me pain. Sometimes I think I have nothing to do. Sometimes, it seems, I am guilty. There is much responsible person by designation and wealth but they do nothing in most cases. They are doing for themselves. Thanks for your subject.

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে
আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই
আজ যে শিশু মায়ের হাসিতে হেসেছে
আমরা চিরদিন
সেই হাসি দেখতে চাই
আজ যে শিশু
রেল লাইনের পাশে নয়
অন্ধকার সিঁড়িতেও নয়
প্রতিটি শিশু মানুষ হোক
আলোর ঝর্নাধারায়
শিশুর আনন্দ মেলায় স্বর্গ নেমে আসুক
হাসি আর গানে ভরে যাক
সব শিশুর অন্তর
প্রতিটি শিশু ফুলের হোক
সবার ভালোবাসার
শিশুর আনন্দ মেলায় স্বর্গ নেমে আসুক

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক জ্বলন্ত সত্য
মাথা নীচু করে দেয়া

অথচ নির্বিকার ভোগী সমাজ, উচ্ছিষ্টে খোঁজে সূখ
ক্রনিক চক্রে বাড়ে পৌন:পুনিক
আঁধারের পথযাত্রী!!!

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরা যুগ যুগ ধরে আছে, থাকবে। এরাও তো সমাজের অংশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.