![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামঃ ব্রুনো। সখঃ পোকা পর্যবেক্ষণ,আকাশ পর্যবেক্ষণ,বাগান করা,মাছপালা ,বেড়ানো
প্রজাপতির জাতের নাম কমন মরমন । এই প্রজাপতি বাঙলাদেশ সহ দক্ষিণ ও দক্ষিন-পূর্ব এশয়িার দেশগুলোতে পাওয়া যায় । প্রজাপতির আকার মাঝারি ।বর্ষার শুরুতে ও শেষে সাধারণত এই প্রজাপতির দেখা মেলে । এর শুয়োপোকা লেবু গাছে সাধারণত হয় । তবে কামিনী ফুলের গাছ,বেল গাছ,জামবুড়া গাছেও এর শুয়োপোকা হয় । প্রজাপতি সাধারণত রঙ্গন,নয়নতারা ফুলরে রস খায় ।
একদিন টিফিন সময়ে স্কুলের ঐ লেবু গাছের কাছে গেলাম পোকা খুঁজতে । দেখলাম একটি কমন মরমন প্রজাপতি সেই গাছের কচি পাতায় ডিম পারছে । বিরক্ত না করে বা প্রজাপতিটি ধরতে না গিয়ে গাছের আড়াল থেকে দেখলাম কেমন করে ডিম পারছে । তারপর ডিম পাড়া শেষ হলে আমি দেখলাম একটি কচি ডালে মা প্রজাপতিটি চারটি পাতায় চারটি ডিম পেরেছে । ডালটি অাসতে করে ভেঙ্গে ক্লাসে নিয়ে আসলাম । বোতলের পানিতে ডালের গোড়া রাখলাম যেন ডালটি শুকিয়ে না যায় । একদিন পর দেখলাম ডিম থেকে চারটিই শুয়োপোকা হয়েছে । কোন ডিম নষ্ট হয়নি । শুয়োপোকা গুলো ২ মিলিমিটারের বেশী হবে না । মাইক্রোস্কপ ছাড়া দেখা অস্ভব । পরেরদিন দেখলাম এই পোকা সাইজে দ্বীগুণ হয়েছে এবং খোলস বদলিয়েছে । চারটি শুয়োপোকা প্রায় কচি ডালটি এর পাতা শেষই করে ফেলেছে । সেদিন স্কুল থেকে আরেকটি কচি ডাল এনে বোতলের পানিতে ডালের গোড়া চুবিয়ে রাখরাম এবং পোকাগুলোকে সে ডালে দিয়ে দিলাম । ভয়ংকর ব্যাপার হলো যে এই শুয়োপোকা যে গাছরে সে জাতের গাছের পাতাই তিনি একমাত্র খাবেন ! যেমন লেবু গাছের কমন মরমন এর শুযোপোকা শুধু লেবু গাছেরই পাতা খাবেন । না খেয়ে মারা যায় তাও তিনি অন্য গাছের পাতা খাবেন না ! দু' দিন পর শুয়োপোকা চামড়া বদলিয়ে আরও বড় হলো । পজাপতি বা কীটপতঙ্গ অমেরুদণ্ডী প্রাণী । পোকামাকড়ের হাড় হলো বাইরের চামড়া । বাইরের চামড়া এদের দেহের আকৃতি ঠিক রাখা ও আর বিপদ থকেে রক্ষা করে । তাই বড় হতে হলে এদের চামড়া বদলাতে হয় । এ সময়ের শুয়োপোকা আনেকটা পাখি এর পায়খানার মতো । পাখি তো নিজের পায়খানা খায় না, তাই পাখি এদের নিজের দেহবর্জ্য মনে করে এড়িয়ে চলে । দু 'দিন পর দেখলাম এ শুয়োপোকা অাবার খোলস বদলিয়ে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে । যখন আমি একে ধরলাম তখন ধরা মাত্রই এটি মাথার পেছনে থেকে সাপের জিহ্বার মতো লাল জিনিস বের করলো এবং এখান থেকে বাজে গণ্ধ আসতে থাকলো । এটা হলো আসমেটেরিয়াম । এ জিনিস দ্বারা এই শুয়োপোকা এর শত্রুকে তাড়ায় । আর চদ্মবেশী পাখির পায়খানার বর্ণ না থাকায় এই পোকা সাধারণত পাতার নিচে থাকে । এ সময় এ পোকা একদিনে প্রায় নিজের সাইজের দ্বীগুণ সাইজের পাতা খায় । এ সময় এরা প্রচুর বর্জ্য্ও উ ৎপণ্ন্ও করে। পাঁচ দিন পরে দেখলাম শুয়োপোকাটি গুটিপোকায় রুপান্তরিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থাৎ ঝুলে আছে সিল্কের নিজস্ব তৈরী প্যাডের সাথে ।
১২ ঘন্টা পরে দেখলাম শুয়োপোকাটি খোলস বদলাচ্ছে । ৫ মিনিট লাগলো বদলাতে । একটু আগেই কেমন ছিল আর এখন কেমন ।অবশেষে একটি বাদামি বর্ণের গুটিপোকা হলো । সাধারণত এই প্রজাপতির গুটিপোকা সবুজ হয় । বাদামি হওয়াতে আমি মনে করআম এই গুটিপোকা চারটি কী অসুস্থই নাকি । নয় দিন পরে দেখলাম গুটিপোকার স্বচ্ছ চামড়া হয়ে গেছে এবং ভীতরে প্রজাপতি রয়েছে । কিছুক্ষণের মধ্যে দেখলাম একটি রঙিন প্রজাপতি হয়েছে । আবশেষে চারটি প্রজাপতি হলো । একটি পুরুষ ও ৩টি স্ত্রী প্রজাপতি হয়েছে । শুরুতেই প্রজাপতির পাখা সম্পূর্ণ বড় থাকে না । এক প্রকার তরল পদার্থ পাখায় সঞ্চারিত করে পাখা বড় করে সেই তরল পদার্থ বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয় । যখন প্রজাপতি চারটির পাখা শক্ত হলো ও ওড়ার চেষ্টা করলো তখন সে প্রজাপতিকে আমি ছেড়ে দিলাম । প্রজপতিগুলো নিকটতম নার্সারী যেদিকে সেদিকে উড়ে গেল । হয়ত বা সেখানে গিয়ে ফুলের রস কিংবা সেখাানকার লেবু গাছে ডিম পারবে ।
কমন মরমন সম্পর্কে বিস্তারিত
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫
শূন্য পথিক বলেছেন: কিছু জিনিস জানলাম। ছবি গুলো ঠিক করে দেবেন প্লিজ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ছবিটা আসেনি ....