![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশপন্থী।লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি। ভালবাসি বই পড়তে,তার চেয়েও বেশি ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে।
আমার জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। এমন একজন গুণী শিক্ষকের গল্প দিয়েই আজ লিখা শুরু করলাম। আমার অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক শ্রী দিপক সাহা তপন স্যার।একজন শিক্ষককে প্রথমেই একজন ভালো মানুষ হতে হবে, তপন স্যার ছিলেন তেমনি একজন নিরেট ভালো মানুষ। স্যার আমাদের ইংরেজী পড়াতেন। পড়ানোর চেয়ে গল্পই বেশি করতেন। আমরা গল্পের মর্ম তখন বুঝতাম না, এখন বুঝি সেই গল্পগুলো কত মূল্যবান ছিল। গল্পগুলো আমাদের জীবন গঠনে কতটা সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। এখন মনে হয় ঐ পড়াশোনার চেয়ে অনেক অনেক মূল্যবান ছিল তাঁর গল্প। তাঁর জীবন দর্শন আমাকে ছোটবেলা থেকেই মুগ্ধ করে।আমার কাছে তিনি নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছেন একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে। প্রতিটা ধর্মকে কিভাবে সম্মান করতে হয় তা তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। স্যার হিন্দু ধর্মের অনুসারী হয়েও মসজিদ দেখলে কিভাবে ভক্তি করতেন তা দেখে আমার ছোট্ট হৃদয় ভরে গিয়েছিল।
"মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য" এটা যে কত বড় শিক্ষা তা হয়তো লিখে প্রকাশ করা আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব না। তবে এতটুকু বলতে পারি মুসলমান মুসলমানের জন্য বা হিন্দু হিন্দুদের জন্য এই শিক্ষা আমি কখনো পাইনি। আমার জীবন দর্শন এর বীজ বপন যে তপন স্যরের মাধ্যমেই হয়েছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। স্যারকে কখনো এই কথাগুলো বলা হয়নি হয়তো বলাও হবে না। যে কারনে স্যারের কথা বলছিলাম তা হলো ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে লিখবো বলে। একজন মানুষ হিসাবে মায়ানমারের মানুষের জন্য যেমন আমার কষ্ট হয় তেমনি কষ্ট হয় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার হরকলি ঠাকুরপাড়া গ্রামের মানুষদের জন্য।ধর্মীয় অনুভূতি শুধু সিলেক্টিভ সময়ে কেন জাগে এটাই আমার মাথায় আসে না। মুসলমান মারা গেলে মুসলমানরা এর প্রতিবাদ করে আবার হিন্দু মারা গেলে হিন্দুরা প্রতিবাদ করে। কেন মুসলমান মারা গেলে হিন্দুরা তাকে মানুষ মনে করে প্রতিবাদ করে না,আবার একজন হিন্দু মারা গেলে কেন মুসলমানরা একজন মানুষ মনে করে তার প্রতিবাদ করে না। মানুষ তো মানুষই। হিন্দু, মুসলমান,বোদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার রক্তই লাল নয় কি??
হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে একজন মুসলমান খুশি হয়,আবার মুসলিম ধর্মের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে একজন হিন্দু খুশি হয়। যেকোন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে কেন সবাই একসাথে প্রতিবাদ করে না?? পৃথিবী যখন দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা নিজেরা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে জাতিকে পিছনে নিয়ে যাচ্ছি। আসুন মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করার শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলি। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
ধন্যবাদ
বুলবুল ইসলাম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ
নিরন্তর শুভকামনা
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
কানিজ রিনা বলেছেন: ভারতের উগ্রহিন্দুবাদীদের জন্য যেমন মুসলমান
অত্যাচারীত,এদেশে কিছু উগ্রমুসলিমদের জন্য
হিন্দুরা অত্যাচারীত। এই উগ্রতা দিন দিন
বেড়েই চলেছে। মানুষ যত সভ্যতার দিকে
আগাচ্ছে ততই যেন অসভ্য হয়ে উঠছে
যত জানছে তত জানোয়ার হচ্ছে।
যেখানে সংখ্যা লঘু সেখানেই ক্ষমতার উগ্রতা।
সম্প্রতি রহিঙ্গা মুসলিম নিধন সব উগ্রতাকে
হাড় মেনেছে। ধন্যবাদ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
বুলবুল ৩৩৩ বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট এর জন্য।
নিরন্তর শুভ কামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ হয়েছে এই ধর্ম নিয়ে।
হায়রে ধর্ম !!