![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমে নিজের কথাই বলি আমি আসলে দিশেহারা। কোনটা আসলে সঠিক ইসলাম । সে প্রশ্ন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম,ইসলামী ঐক্যজোট ,ইসলামী আন্দোলন আহালে সুন্নাত আল জামাতসহ আরো কতকী নামে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসলাম। এছাড়াও রয়েছে সরিয়ত,তরিকত,হকিকত ও মারফত। কাদের দলে যাব। কারা সঠিক পথে আছে। সবাইতো আল্লাহ রাসুলের দোহাই দেয়। সবাইতো ইমানের কথা বলে। বলে জাহান্নাম-জান্নাতের কথা । আবার প্রত্যেকের সাথেই প্রত্যেকের মতভেদ রয়েছে। আমরা আসলে যাই কোনদিকে। কোনদিকে গেলে সঠিক ইসলামের ঠিকানা পাবো। ভেবেছিলাম আমি হয়তো একাই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ঘোরপাক খচ্ছি। দেখলাম না্। আমার মতো আরো অনেকেই এখন নিজের বিবেকের কাছে এসব প্রশ্নের মুখোমুাখি। কথা হলো আমার এলাকার এক বড় ভাই মো: শরীফ তার সাথে । তিনি তাবলীগের সাথে জড়িত। প্রায় সময়ে তিনি দলবদ্ধভবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বেড়িয়ে যান ইসলামী দাওয়াতের জন্য। থাকেন মসজিদে। কখনো তিনদিন কখনো ৪০ দিন। ওই কদিন তারা নিজেদের মধ্যে অর্থাৎ মুসলমান ভাইদের দাওয়াত দেন মসজিদ মুখি হওয়ার। নামাজ পড়ার জন্য অনুনয় বিনিনয় করেন। তার ভাষায় প্রথমে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। নিজের ভাইদের আগে ইসলামী সরিয়া ও রাসুলের (স সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতাল সমর্থনে তিনিও রাজপথে ছিলেন । আমি আমার সংবাদ সংগ্রহের জন্য মাঠে ছিলাম। তার সাথে দেখা হয়েছিল। পরবর্তিতে এলাকায় এসে তার সাথে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাস করলাম আসলে ভাই ব্যাপারটি কী ? তিনি অবশ্য বেশি কিছু আলোচনা করতে রাজি না হয়ে শুধু এতটুকু বললেন যাওয়াটা আসলে ঠিক হয়নি। সামনে আর যাবনা। কারণ আমাদের তাবলীগের আমীরদের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোন নির্দেশ আসেনি। আরো একজন আমার বন্ধু মিল্টন তার সাথে কথা হয়েছে। মিল্টনের সাফ সিদা কথা কোন পীর বুঝিনা। ঘরে আমার মা রয়েছে সেই আমার পীর। তার পায়ের নিচে আমার বেহেশত। এর বেশী কিছু বুঝতে চাইনা। যতটুকু বুঝি কোরআন ও সহি হাদিস অনুযায়ী পরিচালিত হব নিজে এর বেশি নয়। বর্তমান পরিস্খিতীতে কে আসলে কার স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করছে তা খুজে বের করার মতো জ্ঞান আমাদের নেই। আর এ সব বিশ্লেষন করতে আলেমদের কাছে গেলে একেকজন একেকভাবে ব্যাখ্যা দিবে শেষ পর্যন্ত মাথাটা আরো ঘোলা হবে। আমি আসলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি যারা আমার আল্লাহ -রাসুল বা ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ করে তাদেরকে তুমি হেদায়াত দাও ,তাদের নসিবে হেদায়াত না থাকলে তুমি আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দাও। মিল্টনের এ মতবাদের সাথে আমার ভিতরে লালিত চিন্তা হুবহু। তবে আমার আরেকটা কথা । আমি পেশায় সাংবাদিক বর্তমানে একাত্তর টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। অনেকের ধারনা সাংবাদিক বা কলামিষ্টরা নাস্তিক। এ ধারনাটা সম্পূর্ণ ভুল। আমি বলতে চাই যারা নাস্তিক তারা নাস্তিকই । তার পেশা আর নাস্তিকতা একসাথে গুলিয়ে ফেলার কোন কারণ নেই। আমার মতে সাংবাদিকরা আসলে নাস্তিকও নয় আবার তারা আস্তিকও নয়। আমরা যেমন ধর্ম নিয়ে কোন বারাবারি পছন্দ করিনা এবং ঘৃনা করি তেমনি মৌলবাদিতা বা ফতোয়াবাজির চরম বিরোধীতা করি। যতটুকু জানি ইসলামে কোন গোড়ামীর (মৌলবাদ) স্থান নেই এবং ফতোয়াবাজদেরও কোন স্থান নেই। ইসলামের শাব্দিক অর্খ শান্তি । ইসলাম কোন অশান্তিকে উষ্কানি দিতে পারেনা বলেই বিশ্বাস করি।
শেষ করতে চাই আল কুরআনের দুটি বাক্য দিয়ে। আল্লাহ আল কুরআনে পরিষ্কার ভাবে বলেছেন--"ইন্নাল্রাজিনা ফাররা কুদিনাহুম ওয়া কানু শিইয়া আল্লাছতা মিনহুম ফি মাইঈন" অর্থাৎ নিশ্চই যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে ,তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। '(সূরা-আন'নাম:আয়াত-১৫৯)
আপনি ধর্মকে বিভক্ত করতে পারেননা । যে ব্যাক্তি এটিকে বিভক্ত করে সে ভ্রান্ত পথে রয়েছে।পরেমেশ্ব মানুষকে একটি স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন যে তুমি তোমার ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারো। তিনি একটি পথ নির্দেশনা দিয়েছেন । সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নির্দেশনা । সর্বশেষ ও চূড়ান্ত ওহি -মহিমান্বিত কুরআন। করনীয় ও নিষেধাজ্ঞা এতে বিবৃত রয়েছে। (ডি,জেড,এন)
আল্লাহ কুরআনে আরো এরশাদ করেছেন--"মান কাতালা নাফছান বেগাইরে নাফছিন আও ফাছাদিন ফিল আরদে ফাকালান্নামা কাতালান্নাছা জামিয়ান ওয়া মান আহ্ইয়াহা ফাকালান্নামা আহ্ইয়ান্নাছা জামিয়ান"
অর্থাৎ,কোন লোক যদি কোন মানুষকে হত্যা করে ( হতে পারে সে মুসলিম বা অমুসলিম) যদি না তা হয় কোন খুনের বিনিময়ে বা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করার কারণে ,তাহলে সে যেন বিশ্বের সকল মানুষকেই হত্যা করলো। আর যদি কেউ কাউকে রক্ষা করে যেন সে পুরো মানব জাতিকেই রক্ষা করলো। ( সূরা : মায়িদা ,আয়াত-৩২)। সুতারাং ,সৃষ্টি কর্তা এটা ভালবাসেননা যে লোকেরা একে অপরকে হত্যা করে। ##
©somewhere in net ltd.