![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ দিন পর একজন পোশাককর্মীর জীবিত উদ্ধারের খবরটি দেশ বিদেশের গণমাধ্যম ফলাও করে প্রকাশ করেছে। দেশের গণমাধ্যমে রেশমার বেঁচে থাকার খবর প্রধান খবর ছাড়া বিকল্প ছিলনা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি দৈনিকে এ ঘটনাকে অভূতপূর্ব, অবিশ্বাস্য ও ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতার প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকা খবরটি ছেপেছে প্রথম ও পঞ্চম পাতায়। খবরের শিরোনাম ‘অবিশ্বাস্য রক্ষা—ধ্বংসস্তূপে প্রাণের স্পন্দন, মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন রেশমা’। সঙ্গে তিন কলামজুড়ে রঙিন ছবি। দৈনিক ‘এই সময়’ শিরোনাম করেছে ‘১৭ দিন পর প্রাণের খোঁজ মিলল ধসে পড়া রানা প্লাজায়’। দৈনিক ‘বর্তমান’ পত্রিকায় চার কলামজুড়ে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম ‘বাংলাদেশে ভেঙে পড়া সেই বহুতলের নিচ থেকে ১৬ দিন পর উদ্ধার মহিলা’, সঙ্গে ছবি। দৈনিক ‘আজকাল’ খবরটি ছবিসহ ছেপেছে চার কলামজুড়ে। শিরোনাম ‘অবিশ্বাস্য! সাভারের ধ্বংসস্তূপে ১৭ দিন পর উদ্ধার জীবিত তরুণী’। ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রথম পাতায় ছেপেছে খবরটি। খবরের শিরোনাম করেছে ‘১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে অবিশ্বাস্য উদ্ধার’। বাংলা দৈনিক ‘স্টেটসম্যান’-এর শিরোনাম ‘সতের দিন পর পুনর্জীবন রেশমার’। দৈনিক ‘এবেলা’ সংবাদটি ছেপেছে ছবিসহ তিন কলামজুড়ে। শিরোনাম করেছে ‘চাঙর সরিয়ে নিচে নামছি আর চিত্কার করছি বাঁচাও বাঁচাও’।
প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ খবরটি ছেপেছে প্রথম ও দ্বিতীয় পাতায়। প্রথম পাতায় এটি ছাপা হয়েছে দ্বিতীয় প্রধান খবর হিসেবে। ছবিসহ তিন কলাম আর দ্বিতীয় পাতায় ছবিসহ ছয় কলামজুড়ে খবরটি ছাপা হয়েছে। প্রথম পাতার শিরোনাম ‘রেশমা বিটস রাবল’। ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ ছবিসহ তিন কলামজুড়ে ছেপেছে খবরটি। শিরোনাম ‘১৭ ডেজ অন, উইম্যান পুল্ড অ্যালাইভ ফ্রম বাংলা ফ্যাক্টরি রাবল’। কলকাতার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলও সংবাদটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে।
যত যাই হোক -অবিশ্বাস্য,বিষ্ময়কর আর অলৌকিক শেষ কথা হলো রেশমা বেঁচে আছে ,ভালো আছে আর সম্ভব হয়েছে তাকে জীবীত উদ্ধার করা। মৃত্যুপুরি ফিরে এসে রেশমা আমাদেরতো কিছু একটি ম্যাসেজ দিয়েছে আমার মাথায় এমন চিন্তাটা এসেছে খুব স্বাভাবিক ভাবেই।
আমার মনে হলো রেশমার এক নাম্বার ম্যাসেজটি হলো "আল্রাহুআকবার"১৭ ঘন্টা আর ১৭দিন এটা কিছুই না,আল্লাহ যার যতদিন হায়াৎ রেখেছনে সে ততদিনই বেঁচে থাকবেন,মুহর্তটা যতই বিপদঘন হউকনা কেন,আর ধ্বংসলীলা যাই হোকনা কেন অলৌকিক ভাবেই সে বেঁচে থাকবে । সেখানে না থাক অক্সিজেন,থাক সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইড বা বিশাক্ত গ্যাস শুধুমাত্র আল্লাহর ইচ্ছাতেই সে বেঁচে থাকবে আর হায়াৎ না থাকলে শাহিনাদের অক্সিজেন দিয়েও রক্ষা করা যাবেনা।
{হযরত আবু যর (রাঃ) বলেন -নবী করীম (সাঃ) একটি আয়াত তিলাওয়াত করতেন যার অর্থ -"যে ব্যাক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে ,আল্লাহ তার জন্য সকল সংকীর্ণতা থেকে মুক্তির পথ খুলে দেন এবং কল্পনাতীত রিযিক দান করেন। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য যথেষ্ট"}
রেশমার দ্বিতীয় ম্যাসেজ [/sb"]মনবল"একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপা শাহিনার বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে যখন লাইভ বলছিলেন, তিনি দর্শকদের জানিয়েছিলেন শাহিনা ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে (সম্ভবত ঘটনার তিনদিন বা চারদিনপর) বলছিল ভালো আছে। যতদূর মনে পরে , ফারজানা রুপা বলেছিলনে এটা শুধু আমাদের খেঁটে খাওয়া বাঙ্গালী,হত দরিদ্রদের বেঁচে থাকার তাগিদে আধবেলা খেয়ে হাড়ভাঙ্গা খাটুনির মনবল থেকে বলছিল "আমি শাহিনা,আমার সাথে আরো তিনজন আছে,আমরা ভালআছি"। তবে রেশমা মুখে না বললেও কিন্তু ও আমাদের জানিয়ে দিয়েছে সব ধরনের বিপদেই আমাদের শক্ত মনবল নিয়ে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে লড়ে যেতে হবে।
রেশমার তৃতীয় ম্যাসেজ আমাদরে দেশের উদ্ধারকারী দল খুবই ভালো , খুবই ধৈর্য্যশীল। আসলেই তারা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করেছে। উদ্ধারকারিদের ব্যাপারে এর বেশকিছু বললে তাদের ছোটকরা হবে।
©somewhere in net ltd.