![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় বর্ষা,
আমি জানি, তুমি যখন নীল আকাশটাকে কালো মেঘে ঢেকে দাও,আকাশটাতে যখন মেঘেরা গুড়ুম গুড়ুম ডাক তোলে ,কবিরা তখন আবেগে আব্লুত। তোমার অঝড় ঝড়ে হারিয়ে যায় কবি লেখকরা। বৃষ্টির ফোটা টিনের চালে ,সেই টাপুর টুপুর শব্দের অনুভুতি যে কী, তা শুধু কবিরাই ভালো বোঝে তাই নয়। সাধারণরাও সে অনুভুতির স্বাধ গ্রহণ করে। জেলেদের মনেও আনন্দ। বর্ষাকালে নদী-নালা,খাল-বিলে ,মাছ আর মাছ। তাদের ঘরের অভাবটা তাড়াতেই যেন তুমি বর্ষার আবির্ভাব । কৃষকেরাও যেন তার প্রিয় বর্ষার অপেক্ষায় থাকে। বর্ষার স্পর্শে সবুজ ফসলের হাসিতে পাগল হতে কৃষকের কাঙ্খিত তুমি।
কিন্তু তোমার নাম শুনলেই মানুষগুলো এখন ভয়পায় কেন ? তুমি নাকি এখন মানুষের চরম দূর্ভোগ নিয়ে আসো ? বলা নেই কওয়া নেই তোমার বর্ষা নাম বদলিয়ে বণ্যা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াও। কেন তা ভুক্তভোগিরা জানতে চায়। তোমার ফিরতি চিঠির অপেক্ষায়।
-----তোমাকে ভালো্বাসে এমন একজন
বর্ষার চিঠি:
জানি, তোমরা শেষ পর্যন্ত আমারই দোষ দেবে। এই অপবাদের ভয়েই কিন্তু আমি বিনামেঘে থম ধরে থাকি। তখনও কিন্তু আমাকে শান্তি দাওনা তোমরা। শুরু করো "আল্রাহ মেঘ দে ,পানি দে ,ছায়াদেয়েরে"। আর কি করার ,আল্লাহ তো তোমাদের ডাকে সারা না দিয়ে পারেনা। আমার ওপর হুকুম আসে রাগ ভাঙ্গার।
যাক সে সব কখা । ঐ যে বললেনা। আমাকে মানুষ এখন ভয় পায়। আমি নাকি এখন চরম দূর্ভোগ, আমাকে এখন বেশির ভাগ সময়ই মানুষ বণ্যা রুপে দেখে । তুমি সবই ঠিক বলেছে। একটি কথা বলোও নি। আমি যে মাঝে মাঝে সর্বনাশে ঝড় হয়ে আসি। তছনছ করে দেই সব। সেটা কিন্তু বলোনি। তবে যতো যাই বলো এর জন্য একটুও আমি নই দায়ী । সব তোমাদের জন্য।
একটু চেয়ে দেখ,তোমার দেশে গাছ আছেতো ? না কেটে খান-খান। জলাশয়গুলো আছে তো ? না সব ভরাট করে ফেলেছ ? নদী তাকেও কী সুস্থ রেখেছ তোমরা। নদীর বুকে তোমরা যখন নৌকার পাল না উড়িয়ে ,চার চাকার গাড়ি চালাও তখন কী আর, আমি বর্ষা থাকতে পারি। আমি বাধ্য বণ্যায় রুপান্তরিত হতে। যাক আর কিছু বলবনা ,পরিবেশ দূষনের কল কারখানার কথাও বলবো না। আমি শুধু বলব ,বার্ষার নামের পাশে দূর্ভোগের কলঙ্ক লাগিয়েছ তোমরাই। এখানে বর্ষার কোন দোষ নেই। বর্ষাও তার আগের রূপে ফিরে যেতে ব্যাকুল।
----ইতি বর্ষা
©somewhere in net ltd.