নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় 71

মুক্তিকামী

বুলবুলহেপি

মুক্ত মনের মানুষ

বুলবুলহেপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী আন্দোলন করা ফরজ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৬

ইসলামী আন্দোলন" বললে অনেকেই জামাতে ইসলামীর কাজকে মনে করে থাকেন। ইসলামী আন্দোলন অর্থ হলো ইসলামের মহান আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বলা। ইসলাম পালন যেমন ফরজে আইন তেমনি তা প্রতিষ্ঠা করাও ফরজে আইন। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা ফরজ এই জন্য যে, যদি কোন জায়গায় ইসলাম পালন করার সুযোগ না থাকে তাহলে সেখানে ইসলামের কাজগুলো যেমন, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি পালান করা যাবে না।তাই সবার আগে ইসলাম পালন করার জায়গা তৈরী করতে হবে। এখানে ছোট্ট একটা উদাহরন দেওয়া যেতে পারে- সম্প্রতি ভারতের মধ্য প্রদেশে গরু জবেহ নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেখানে গরু জবেহ করলে ৭ বছরের জেল হবে। গরু জবেহ বা গরুর গোশত বিক্রি করলে, এমনকি কারও কাছে গোশত পাওয়া গেলেও তাঁকে ওই দণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। তাহলে দেখুন আগে জমিন ঠিক করতে হবে। এ আন্দোলন যেমন মানুষকে তার প্রকৃত লাভ-ক্ষতির সঠিক তাৎপর্য বাতলে দেয়, তেমনি তার মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনের নিগূঢ় তত্ত্বও সবার সামনে উন্মোচন করে দেয়।ফলে প্রতিটি জটিল ও দুঃসমাধেয় সমস্যা থেকেই মানুষ চিরতরে মুক্তি লাভ করতে পারে। ইসলামী আন্দোলনের সফলতা শুধু জাগতিক জয়-পরাজয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সফলতা বা ব্যর্থতা মূলত আখিরাতে পীড়াদায়ক শাস্তি থেকে নাজাত পাওয়ার ওপরই নির্ভরশীল। এক কথায় আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার মাঝেই ইসলামী আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করে। দুনিয়াতে কেউ সফল হলেও আল্লাহ পাক যদি তার ওপর খুশি না হন তাহলে তার উক্ত সফলতা আখিরাতে মূল্যহীন হবে। আর দুনিয়াতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে বিফল মনে হলেও খুলুসিয়াতের সাথে কাজ করে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারলে তিনি প্রকৃত অর্থেই সফলকাম। অতএব, ইসলামী আন্দোলন এবং অন্যান্য আন্দোলনের সফলতা বা ব্যর্থতা একই আঙ্গিকে বিচার করা ঠিক নয়। ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশ্য দ্বীনের বিজয়- মানবতার মুক্তি।এক কথায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মেনে চলা।

যুগে যুগে সময় ও স্থানের চাহিদা মোতাবেক মানব জাতির স্রষ্টা আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের জন্য ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যেথায় যতটুকু প্রয়োজন সেথায় ঠিক ততটুকুই পাঠিয়েছেন। তবে মূলনীতি ছিল একই, যেমনটি আল্লাহ্ বলেনঃ

“আল্লাহর ‘ইবাদাত করার ও তাগূতকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়ার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি।” [সূরা আন্-নাহ্লঃ ৩৬]

এখানে তাগুতকে বর্জন করার অর্থ হল শয়তানের রীতিনীতি বর্জন করতে হবে, শয়তানের রচিত আইন-কানুন, কৃষ্টি-সংস্কৃতি; সব বর্জন করতে হবে। আল্লাহ বলেন-

“তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল যেন থাকে যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে; আর এরাই সফলকাম।” [সূরা আলে-ইমরানঃ ১০৪]

আপনি একাবার চিন্তা করেন তো আপনি যে প্লাটফর্মে বর্তমানে অবস্থান করছেন সেখান আল্লাহর এ নির্দেশগুলো পালন করতে পারেন? আল্লাহ বলেন-

“তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নূহ্কে, আর যা আমি ওহী করেছি আপনাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে, এ বলে যে, আপনারা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করুন এবং তাতে মতভেদ করবেন না।” [সূরা আশ্-শূরাঃ ১৩]

আপনি যদি ইসলামপন্থী নয় এমন কোন দলের সদস্য হয়ে থাকেন আপনি কি পারেন আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে? আল্লাহ বলেন-

“আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।” [সূরা আয্-যারিয়াতঃ ৫৬]

আপনি শুধু আল্লাহর ইবাদত করেন, না তাগুতেরও ইবাদত করে থাকেন? আপনি যদি ইসলামপন্থী নয় এমন দলের সদস্য হয়ে থাকে তাহলেতো আপনি তাগুতেরই ইবাদত করলেন। আল্লাহ বলেন-

“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন। আর যে-ই আল্লাহ্র সাথে শরীক করে, সে এক মহাপাপ করে।” [সূরা আন্-নিসাঃ ৪৮]

আপনি যদি কলেমা শাহাদাতের অর্থ ভাল করে অনুধাবন করেন, তাহলেতো ক্ষমাহীন মহাপাপইতো করলেন।

আল্লাহ বলেন-

“মুমিনগণ যেন মুমিনগণ ছাড়া কাফেরদেরক বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ্্র কোন সম্পর্ক থাকবে না; তবে ব্যতিক্রম, যদি তোমরা তাদের নিকট থেকে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর।” [সূরা আলে-ইমরানঃ ২৮]

একবার চিন্তা করেন- কারা আমাদের বন্ধু? আজ আমরা মুসলিম দেশগুলো বাদ দিয়ে ভারতমাতাকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছি। আপনার নেতা বা নেতৃর বন্ধুকে আপনি যদি শত্রু মনে করেন তবেতো আপনি আপনার নেতৃত্বকে হারালেন। আল্লাহ বলেন-

“… যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।“ [সূরা মায়েদা: ৪৪]

“…যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।“ [সূরা মায়েদা: ৪৫]

“…আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।“[সূরা মায়েদা: ৪৭]

উপরের তিনটি আয়াত/আয়াতাংশ থেকে কি বুঝা যায়- আমাদের দেশের বিচার বিভাগ, যেমন- সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোট, জজকোর্ট- এরা কি আল্লাহর বিধান অনুসারে বিচার করে? করে না। যেমন আল্লাহর বিধান অনুসারে চুরির শাস্তি হাত কাটা। এখানে হাত কাটা হয় না। যেনা জঘন্যতম অপরাধ। এ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর শরীয়াহসম্মত তা প্রমাণিত হলে অবিবাহিত ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে এক শত বেত্রাঘাত করা ও তা‘যীর করা এবং বিবাহিত হলে হত্যা করা। এখানে কি এ বিচার হয়? এগুলো আপনিতো দেখেন প্রতিনিয়ত। আপনার নেতা বা নেতৃর সরকারের বিচার বিভাগই তো আল্লাহর বিধান অনুসারে ফয়সালা করে না, অথচ আপনি তারপরেও আপনি আপনার দলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, আপনার নেতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কি আপনি আপনার দলের বা আপনার নেতার কাজের ভাগিদার হলেন না? তাহলে কি আপনি কাফের নন, আপনি জালেম নন, আপনি পাপাচারী নন?

ইহকালে আপনার উঠাবসা যার সাথে, পরকালেও আপনার উঠাবসা তার সাথে হবে।



এইজন্য বলছি ইসলামী আন্দোলন করা ফরজ। আমি বলছি না, এ জন্য আপনাকে জামায়াতে ইসলামী করতে হবে। আপনি যেকোন একটা ইসলামী দলকে বেছে নিতে পারেন। যদি আপনার কোন দলই পছন্দ না হয়, তবে আপনাকে নিজস্ব একটা ইসলামী দল গড়ে তুলতে হবে। আর এটাই ইমানের দাবী।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৫

মদন বলেছেন: +

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৯

এক মুসাফির বলেছেন: ভাইজান, তার আগে ফরজ আপনার নিজের নফস এর বিরোদ্ধে আন্দোলন করা বা জেহাদ করা।
আর তাই নফসের বিরোদ্ধে জেহাদকে বলা হয় জেহাদে আকবর।
আগে নিজেকে শুদ্ধ করার শিক্ষা নিতে হবে।আর এই শিক্ষাটাই ফরজ।
বলেনতো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪০ বছর কোন ইসলামী দলটা কার বিরোদ্ধে জিহাদ করেছে???
এইসব ইসলামী দল মানে দান্ধাবাজী ছাড়া আো কিছুই নয়।
নিজেকে শুদ্ধ করার শিক্ষা গ্রহন করার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৯

বুদ্ধু বলেছেন: অন্তর থেকে ধন্যবাদ। অত্যন্ত সুন্দর এবং তাৎপর্যমন্ডিত বিষয় অল্প কথায় তুলে ধরার জন্য। আল্লাহ এজন্য আপনাকে উপযুক্ত পুরস্কার দান করুন, আমিন।
প্রিয়তে রাখলাম।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫০

কানা আজম বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট (A+)

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭

ভীরু বলেছেন: @ এক মুসাফির। নিজেকে শুদ্ধ করার শিক্ষা কাকে দিলেন বুঝলাম না। চলেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ ইসলামী চাত্রলীগ করি। এখানেই সবচেয়ে বড় আত্বশুদ্ধি।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৩

মাইন রানা বলেছেন: ভাল

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৪

এক মুসাফির বলেছেন: @ভীরু ভাই আমি কোন দলের মধ্যে থেকে কাউকে শিক্ষা নিথে বলি নাই।
কোন ইসলামী দল নয়,ইসলামই আত্মশুদ্ধি লাভের একমাত্র ঠিকানা।
ইসলাম একক আর আল্লাহর একমাত্র মনোনিত জীবন ব্যবস্তা সেই ইসলামকে কেবলমাত্র সার্থের জন্য ইসলামী অমুক আর তমুক দল বের হয়েছে।
শব্দযুক্ত ইসলাম নয় আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সা: ) মনোনিত একক ইসলামের মাধ্যমেই কেবল আত্মশুদ্ধ লাভ করা সম্ভব।
ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৮

টাকিলা বলেছেন: where is this islamic party?

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৫

জিন্নাহ্ বলেছেন: এক মুসাফির নিজের নফস এর বিরোদ্ধে আন্দোলন করা বা জেহাদ করা হচ্ছে বড় জীহাদ। সন্দেহ নাই। কিন্তু আপনারা এই হাদিসটাকে ব্যবহার করছেন জীহাদ কে অস্বীকার করতে। পিঠ বাঁচানোর ধান্দ্বাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয়।

তো আপনাকে আরেকটা কথা জিগাই। আগে কোন জীহাদ করা দরকার বলে মনে করেন? বড় না ছোট? ছোটটা না করে বড়টা কিভাবে করবেন? তা ছাড়া এই জীবনে কারো নফসের বিরুদ্ধে জীহাদ করা কি শেষ হবে? যদি শেষ না হয় তবে ছোট জিহাদ যে আমরা কখনোই করতে পারবোনা। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়!

আরেকটা কথা আপনারা যারা ঐ হাদীসটাকে পূঁজি করে মানুষকে সমাজের অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে নিবৃত রাখার চেষ্টা করছেন তারা কি আসলে অন্যায়কে উস্কে দিচ্ছেন না?

আরেকটা কথা দেশের চিহ্ণিত শয়তানগুলা আপনাদের কে কেন এত পছন্দ করে?

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০১

এ জাফর বলেছেন: আমরা যদি নিজেরা নিয়মিত কোরআন ও হাদীস অর্থসহ পড়ি তাহলেই বুঝতে পারব কোনটা সঠিক ইসলামী আন্দোলন।অন্তত কোন দল তুলনামূলক বেশী ইসলামের অনুসরন করছে তা বুঝত পারব। আর সেই দলে শামিল হয়ে কাজ করাই হবে প্রকৃত ঈমানের দাবী।আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৬

এক মুসাফির বলেছেন: জিন্নাহ ভাই, বড় জিহাদ মানে যে জিহাদ আগে করতে হবে সে উদ্দেশ্য বুঝানো হয়েছে।
আপনি জানেন কি আমার রাসুল কেবল নফসের বিরোদ্ধে জয়ী সাহাবাদেরকেই আমার রাসুল যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে গেছেন।
কারন নফসের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া ছাড়া যুদ্ধের ময়দানে গেলে গনীমতের মাল দেখে বেসামাল হয়ে যেতে হবে।
আর নফসের বিরুদ্ধে জেহাদকে কি আপনি সহজ ভেবেছেন।
মাটে নামেন দেখবেন কোনটা সহজ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দয়া করুক।
ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৪

শয়ন কুমার বলেছেন: ইসলামী শাষন ব্যবস্থা কায়েম হোক এটা আমরাও চাই।কেননা ইসলামী শাষন ব্যবস্থায় সকল মানুষের নিরাপত্তা ও সুন্দর শোষনহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিরাজমান । কিন্তু সেই
ইসলামী শাষন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য কি আমাকে ৭১ এ গনহত্যায় জড়িত ও নারী ধর্ষকদের সংগঠন শান্তি কমিটির তৎকালীন নেতাকর্মীদের সাথে কাজ করতে হবে ?? অবশ্যই না ।

এজন্য এদেশে ৭১এর নারী ধর্ষকদের দল রাজাকারমুক্ত একটি শক্তিশালী ইসলামী সংগঠন খুবই দরকার

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৭

শয়ন কুমার বলেছেন: "ইসলামী আন্দোলন অর্থ হলো ইসলামের মহান আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বলা।" ১০০% সহমত

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তানভীর২২ বলেছেন: @এক মুসাফির ভাইঃ মেনে নিলাম যে সবচেয়ে বড় জিহাদ নফসের বিরুদ্বে জিহাদ। এই হাদিস দ্বারা রাসূল সঃ এই কথা বুঝান নাই যে নফসের বিরুদ্বে জিহাদ করলে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে, তাহলে রাসূল সঃ সারাজীবন কাফেরদের বিরুদ্বে জিহাদ করতেন না। তিনি মানুষকে নফসের বিরুদ্বেই জিহাদ করতে বলতেন। যারা এই হাদীস দ্বারা দলিল দেয় তারা নিতান্তই স্বার্থপর, আপনি শুধু আপনার দিকটা চিন্তা করছেন,অপরদিকে আপনার যে ভাইটির পক্ষে পারিপার্শ্বিকের সাথে মানিয়ে নফসের বিরুদ্বে জিহাদ করতে পারছে না,কারণ বর্তমান আমাদের সমাজটা এমন কিছু মানুষদের হাতে যারা ইসলাম বিদ্বেষী,সমাজে তাদের প্রভাব বিস্তার করছে,তাই আমাদের প্রথমে সমাজে ইসলাম প্রচার করতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে পারলে মানুষ অন্যায় কাজের সাথে জড়িয়ে পাড়বে না। তাহলে সে নিজের নফসের সাথে আর জিহাদ করতে এমনিতেই সে ভালো কাজ করবে।

১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তানভীর২২ বলেছেন: @এক মুসাফির ভাইঃ মেনে নিলাম যে সবচেয়ে বড় জিহাদ নফসের বিরুদ্বে জিহাদ। এই হাদিস দ্বারা রাসূল সঃ এই কথা বুঝান নাই যে নফসের বিরুদ্বে জিহাদ করলে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে, তাহলে রাসূল সঃ সারাজীবন কাফেরদের বিরুদ্বে জিহাদ করতেন না। তিনি মানুষকে নফসের বিরুদ্বেই জিহাদ করতে বলতেন। যারা এই হাদীস দ্বারা দলিল দেয় তারা নিতান্তই স্বার্থপর, আপনি শুধু আপনার দিকটা চিন্তা করছেন,অপরদিকে আপনার যে ভাইটির পক্ষে পারিপার্শ্বিকের সাথে মানিয়ে নফসের বিরুদ্বে জিহাদ করতে পারছে না,কারণ বর্তমান আমাদের সমাজটা এমন কিছু মানুষদের হাতে যারা ইসলাম বিদ্বেষী,সমাজে তাদের প্রভাব বিস্তার করছে,তাই আমাদের প্রথমে সমাজে ইসলাম প্রচার করতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে পারলে মানুষ অন্যায় কাজের সাথে জড়িয়ে পাড়বে না। তাহলে সে নিজের নফসের সাথে আর জিহাদ করতে এমনিতেই সে ভালো কাজ করবে।

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

তানভীর২২ বলেছেন: @এক মুসাফির ভাইঃ আপনি আরেকটি কথা বলেছেন যে,রাসূল সঃ শুধু নফসের সাথে বিজয়ী সাহাবিদের জিহাদে নিছেন, তাহলে উহুদের যুদ্বে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে কেন নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি কি নফসের বিরুদ্বে জিহাদে জয়ী ছিলো নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.