নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
খুব ভোরে দৈবত সমুদ্রের পার ঘেষে হাটতে থাকি। ভাটার টানে উত্তরসাগরের ছোট ছোট ঢেউয়ে একরমর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ দ্যোতনার সৃষ্টি করে। আমি মেপে মেপে হাটি। কিছু দূরের ম্যাকডোনাল্ট সারারাত খোলা থাকে। ভোরের আলোয় শিফট চেন্জ করা সতেজ ক্রুমেম্বারদের হাসি আর এগমাফিনের সাথে ক্যাপাচিনোর উৎফুল্লতা নিয়ে আবারও উঠে পড়ি সকালের সমুদ্রযাত্রায়। দিগন্তে তখন শাদা- রুপালী আলোর বিভ্রম। মনে হয় ওখানে একটি পারদের মতো দ্বীপ; আকাশের অলিন্দের ভাগ-বাটোয়ারা করছে নূরের নকশা।
কোন বৃদ্ধ ঘাড গুজে এগিয়ে যাওয়ার সময় সুপ্রভাত বলে হেসে উঠে সহসা। আর তারপর বরফের মতো নি:স্তব্ধতা।
আমি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে সারিবদ্ধ কাঠের পাটাতনে বসে পড়ি। ভোরের শিশির মৃদ্যু ভিজিয়ে দেয় আমার পরিধেয় ট্রাউজারটি। আমি সারারাত্রীর শীতলতা মেখে নেই। সমুদ্রচিলের একটানা আহ্বান মনে করিয়ে দেয়: বাতাসের সুরভি আর ভোরের স্নিগ্ধতার অন্য এক ব্যাকরণ আছে।
দূরে একটি সমূদ্রগামী জাহাজের মাস্তুল দেখা যায়। দু’একটি ছোট নৌকার মতো স্প্রিডবোট। লালচে নিশানা। তিনভাগে ভাগ হওয়া পানির স্তর।
হঠাৎ কখনও আমার মনে হয়, আমি মেঘনার অববাহিকায় বসে আছি। জেলে নৌকা আর ভোরের আলোকস্তম্ভের মুখোমুখি। পাল তোলা সারিবদ্ধ নৌকার গলুইয়ে- রেশমের মতো নরোম উষ্ণতায়!
গামছা পরা আদুল গায়ের জেলের দল আমাকে দেখছে বিষ্ময়ে- দু’একটি ডাহুক আর পানকৌড়ির সম্মিলনে।
মানুষের এই এক ক্ষমতা। একাকার করে দিতে পারে দ্রাঘিমার মাপজোক। অতীত আর বর্তমানের সীমানায় তার কোন কাটাতারের দেয়াল নেই- উত্তরসাগর আর মেঘনা যেন সহোদরা, দু’বোন!
নষ্টালজিয়ার যে মোহ আমাকে এখানে আনে প্রায়শ: তার গল্প আমি কখনও করতে পারি না কাউকে। আকাশের যে অপার্থিব পরিধী তার অতলে শুধু দিকবিদিক ছডিয়ে দেই কাল্পনিক অনুরণন।
একসময় ফুরিয়ে যায় আমার প্রাত:ভ্রমণের সষ্ণয়। সময় আমাকে তীর্যক রোদ্দুরের প্লাবিত করে জানিয়ে দেয়, প্রত্যাহিক লেনাদেনার সালতামামী। আমি ক্যাপাচিনোর কাপটি ডাষ্টবিনে ফেলে মুছে ফেলি ইলিশের গন্ধ। ঝাঝালো সার্ডিনের স্বাদে কবে ভুলে গিয়েছি বোয়ালের আস্বাদ! একাকী বেচে থাকার অভিনব সব কায়দা ভেবে ভেবে বের করেছি আর ভুলে থাকার চেষ্টা করেছি সবুজাভাব এক বদ্বীপের স্বপ্ন!
আসলেই কি মানুষ পারে! যে দ্রাঘিমার পরিধী একাকার করে সে কি ভুলতে পারে দোআশলা স্মৃতির সোদা রোমান্থন! মানুষ কি আসলেই একা হতে হতে, নির্জনতায় জনারণ্যের চাষ করে!
এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমার আরও একটা ভোরসকাল দরকার, ভাববার!!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
অন্তরা রহমান বলেছেন: চমৎকার ভাবে ভাব প্রকাশ কাব্যিকতার মহিমায়
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০২
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ দারুন মন্তব্যের জন্য
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: অনুভূতির সহজ সরল প্রকাশ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৩
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, পাঠপ্রতিক্রিয়ায়.
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালী ডানার চিল,
বাইরের নিত্য কোলাহলের মাঝেও সব মানুষের ভেতরই একটা নির্জনতা বাস করে। জনারণ্যে আকীর্ণ শব্দাবলীর ভেতরেও থাকে নৈঃশব্দের সিম্ফনী। তেমন নিঃশব্দ- নির্জনতাকেই তুলে এনেছেন সমুদ্র ঢেউয়ের দোলায়িত লালিত্যে।
সুন্দর লিখেছেন অনেকদিন পরে এসেও।
লেখা পড়ে যেমন ভালো লাগলো তেমনি আপনাকে দেখেও।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। ধন্যবাদ-
হ্যা অনেকদিন পর সবাইকে দেখে আমারও ভালো লাগছে- শুভকামনা রইল
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩২
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুন্দর প্রকাশ
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভকামনা নিরন্তর-
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই কি যেন এক অসীম শুন্যতাবোদই বুঝি প্রাণ!
চলে চালায় গতিময়তায়
জীবনের অতীত ভবিষ্য বর্তমান একাকার
স্বপ্ন আর আশার পাল তুলে
বয়ে যায় অন্তহীন।
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: সময়ের কোন কাল নেই..
আপনি যথার্থই বলেছেন
অনেক ধন্যবাদ!!
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, পাঠপ্রতিক্রিয়ায়.
মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার ভাবনার প্রকাশ।