নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
প্রিয় কবি, গল্পকার, প্রাবান্ধিক, সাহিত্য সমালোচক
আব্দুল মান্নান সৈয়দের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ......
-----------
জ্যোৎস্না ভূতের মতো দাড়িয়ে আছে দরোজায়;
সব দরোজায়, আমার চারিদিকে যতোগুলি দরোজা আছে
সময়ের নীলিমার পাতালের; জ্বলছে গাছসকল সবুজ মশাল;
বাস একটি নক্ষত্র, পুলিশ একটি নক্ষত্র, দোকান একটি নক্ষত্র;
আর সমস্তের উপর বরফ পড়ছে।
- এরকম দৃশ্যে আহত হয়ে আমি শুয়ে আছি পথের উপর,
আমার পাপের দুচোখ চাঁদ ও সূর্যের মতো অন্ধ হয়ে গেল,
আর যে-আমার জন্ম হলো তোমাদের করতলে মনোজ সে অশোক নয়;
জ্যোৎস্না তার কাছে ভূত কিন্তু একটি গানের উপর,
দরোজা তার কাছে পুলিশ কিন্তু একটি জন্মের উপর,
মৃত্যু তার কাছে দোজখ কিন্তু একটি ফুলের উপর।।
(অশোককানন- জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ/ আব্দুল মান্নান সৈয়দ)
সংযুক্তি: আমার লেখা আব্দুল মান্নান সৈয়দ’কে নিবেদিত একটি পুরানো কবিতা যোগ করলাম।
আশা করি পাঠক ধৃষ্টতা মার্জনা করবেন!
মান্নান সৈয়দের পাঁচটি মাছ সাঁতার কাটে সেই সদ্য শীতল বৃষ্টিতে
বিলেতি বর্ষায়ও পানি জমে রাস্তার কোণে
মান্নান সৈয়দের পাঁচটি মাছ সাঁতার কাটে সেই সদ্য শীতল বৃষ্টিতে
সোনালী মাছটি ভেজা কাঁঠুরের সাথে কথা বলে
পাতাল রেলের হুইসেল কখনও উড়িয়ে নিয়ে যায় বিভ্রম বাতাস
নাগরিক কোলাহলের এই সাঁকো পুরো শহরময় ছড়িয়ে আছে
বৃষ্টির মিনতি শুধু একপেশে আগুন জ্বালায়, কুয়াশায়
বুদ্ধদেবের বিয়ারের গ্লাসে এ কোন অন্য ঠোঁট!
বৃষ্টি ধুঁয়ে দিচ্ছে সোহু-অঞ্চল, মধুসূদন এখানেও এসেছিলেন
তবে এই বৃষ্টিতে নয়। অন্যরাতে, কুয়াশায়
মাছগুলো মাপার বাটখারার জন্যে আমি লাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ চমকে উঠি
জীবনানন্দ আমার সামনে দাঁড়িয়ে
সেই যে বউ-এর সাথে ঝগড়া করে বেরিয়েছিল
কোলকাতার কেউ তাকে দেখেনি কখনও আর;
এই বৃষ্টিতে প্রিয় জীবনানন্দ ভিজছো বিলেতে একা!
সকালের কাগজে বেরিয়েছে আজ তোমার খবর
সাদা চামড়ার দম নিয়ে নাকি তুমি উপহাস করেছো অনেক
সক্ষমতার দাম কি দেবে হারিয়ে যাওয়া বিবেক!
বিয়ারের ফোঁটা ছুঁইনি আমি কোনদিন আর
টিস্যুতে লেখা কবিতা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে কবেই
কালো ট্যাক্সিতে করে বাংলা ভাষা গচ্ছিত রাখি আইডিয়া লাইব্রেরীতে।
সেই হেঁটে বেড়ানো ফুলার রোড যেখানে হুমায়ুন আজাদের গোল্ডলিফ
খাওয়া দেখতাম সকালে বিকালে, আর একটু এগুলেই শামীম শিকদার
একমনে তাকিয়ে থাকতো অসম্পূর্ণ ভাস্কার্যে; আর আমরা ভাবতাম সে
পুরুষ কিনা! ক্ষুধা চেপে হেঁটে যেতাম পলাশীর মোড়ে, ভাবীর হোটেলে।
সেই বৃষ্টি আর এই বৃষ্টি, সেই আকাশ এখানেও, সারি সারি নিয়মের মাঝে
হৃদয় অনিয়ম খোঁজে কবিতায়। আমার প্রিয় সব কবি একাকার করে দেয়
পৃথিবীর মানচিত্র। বৃষ্টি তখন শুধুই হৃদয়ে ঝরে।
(অপরাহ্নে বিষাদী অভিপ্রায়/ কামরুল বসির)
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি!!
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দূর্দান্ত হয়েছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা-
খুব ভালো থাকুন সুপ্রিয় ব্লগার!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লেগেছে।