নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশিত কবিতার বই: জনারণ্যে শুনিনি সহিসের ডাক (কামরুল বসির)। অপরাহ্ণে বিষাদী অভিপ্রায় (কামরুল বসির)।

সোনালী ডানার চিল

বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...

সোনালী ডানার চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্তব্ধতা খুঁজেছি না অন্ধকার না আলোর সমান্তরাল সময়রেখায়!

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮



আজ ভোর থেকে অবিশ্রাম বৃষ্টি, অনিয়মে- একটানা ঝরছিল। আমি কাচের ফাঁক দিয়ে অস্পষ্ট ভোরের আশায় তখন ক্যাপাচিনোর মগে চুমুক দিচ্ছি। এখানে বৃষ্টির সাথে ব্যাঙের কোরাস শোনা যায় না; এখানে বৃষ্টি একরকম সোদা গন্ধ আনে না সাথে করে। সবুজ বনানীর নমনীয়তায় বৃষ্টি, বাদলের সাথে মাদল বাজায় না এখানে।

তবে, ভোরের যে অভূতপূর্ব নির্জনতা, তার সাথে বৃষ্টি ছাট একরকম লিকার তৈরী করে, যেন মস্ত হাওরের পানসী বুদবুদ। আমি নির্জনতার কব্জীতে একটি হাওয়া ঘড়ি পরিয়ে দেই। আমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা ম্যাগপাইয়ের লেজে লিখে রাখি বর্ষার দূরন্ত দূরালপন।
একটু পরেই মানুষ নামবে পথে। বৃষ্টি ধাক্কিয়ে তাদের বর্ষাতি আর শকটের শব্দে তিনটি মেঘ সরিয়ে সূর্য্যটা উঠবে টুপ করে- আলো, মাটি আর বৃষ্টি জন কনষ্টেবলের তৈলচিত্রের মতো আকাশের গায়ে ঝুলে থাকবে সহসা।

আমার পথের কনক্রিটে রোদ্দুর করবে ভর। আমার বেসবল ক্যাপের কার্নিশে ঝিলিক দেবে সকালের নান্দনিকতা। মানুষ তো আলো ছাড়া কোথাও সুন্দরতা খোঁজে নি কখনও! রাত আর দিনের সন্ধিক্ষণে যে নিযুত আগ্রহের ভোর, তা অদেখা হয়ে থাকে দিনের প্রস্তুতির যাতাকলে।
আমার মগের কফি ফুরিয়ে আসে। ত্রিকোণ আলোর স্রোত ঝিলিক মারে পূর্বাকাশে। শা করে ছুটে যায় একটি কালো মার্সিডিজ। দু’টো বুনো খরগোশ গোল চোখে বেরিয়ে আসে ঝোপ থেকে। অজস্র ভোরের পাখি অনুচ্চশব্দে ডেকে উঠে চারপাশে।

আমি নির্জনতার অনুবাদে শুধু বাংলা ভাষাকেই বেছে নিয়েছি। আমি এই বিচ্ছিন্ন উপত্যকায় পাঁচটি সবুজ পাহাড়ে নিবন্ধিত করেছি আমার মনযোগ। আমি বৃষ্টিকেই প্রিয় ভাবনার সবটা দিয়ে, স্তব্ধতা খুঁজেছি না অন্ধকার না আলোর সমান্তরাল সময়রেখায়!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঢাকায় কিন্তু ভোরের এই অভূকপূর্ব নির্জনতাটুকু পাওয়া যায় না।লক্ষ লক্ষ মাইক এত সাথে গর্জন করে উঠে।আজানের এমন শুমধুর ধ্বণীকে কেমন একটা গমগম শব্দে পরিনত করে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। নির্জনতা হিরন্ময়, আপনার জন্য শুভেচ্ছা!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: স্তব্ধতা খুঁজতে হবে না। সে নিজেই এসে ধরা দিবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: কখনও কোন দূর্লভ ধরা দেয় না এসে স্বেচ্ছায়!
শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কখনো কখনো নির্জনতা চরম কাংখিত হয়ে উঠে বিশেষ করে নিজের জীবনের আত্মউপলদ্ধির জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩১

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রিয় বাংলা ভাষা দিয়ে আপনি বৃষ্টির সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরেছেন। অনন্য সুন্দর হয়েছে কবি। স্যালুট--------

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পাঠে, শুভেচ্ছা রইল।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন সবসময়।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: মাগো! আপনি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে ঠেকালেন!
তবে শীতের এই তীব্র স্রোতে ভাসতে ভাসতে যখন নিরাপত্তার খোঁজে কিছুটা উঞ্চতার মগে চুমুক দিচ্ছি, তখন বর্ষাতি গায়ে দেয়া এই গল্প আমার উঞ্চতাকেই শৈত্যপ্রবাহে বদলে দিচ্ছে....

নিত্যকথন ভালো লাগলো স্যার।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। মন্তব্যের আবেগটুকুর জন্য হয়ত আবার কিছু লিখবো।
এভাবেই শব্দ শরীর থেকে মস্তিস্কব্যাপি নির্জনতা ছডিয়ে দিক, আমরা উপভোগ করি নি:শব্দে!

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায়, খুব সুন্দর!
শিরোনামটাও আকর্ষণীয় হয়েছে, ছবিটাও।
পোস্টে দ্বিতীয় ভাল লাগা + +।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.