নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
সবুজ পাতাটি একটু নড়ে সেখান থেকে বের হয়ে এলো এক আশ্চর্য ম্যাগপাই। দু’বিন্দু বৃষ্টি ভোরের প্রচ্ছদ খসে ভিজিয়ে দিল বৃন্তান্মূখ কিশোরী পল্লব। তখন জুনের ভোরের বাতাস রবিবারকে মহিমান্বিত করছিল হিম আর উষ্ণতার বিপরীত দোলাচলে।
আমি বসে আছি অফহোয়াইট ডাউনসোফায় ক্যাপাচিনোর ঠোঙা হাতে। কাঁচের ফাক গলে উপচে পড়ছে মর্নিংওয়াকরত মানুষের নীলাভ শর্টসের বিচিত্র চকমক।
আমি চোখ থেকে চশমা খুলে টেবিলে রাখলাম। এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। মূহুর্তে ঝাপসা হয়ে দুলে উঠলো কাঁচের বাইরের দুনিয়া। সবুজ, ম্যাগপাই, শারিরীক করসতে নিমগ্ন বর্ণিল শরীরসমূহ যেন ম্লান ফোটা ফোটা সবুজাভাব বুদ্বূদ হয়ে গেল নিমিষেই। আমার চোখের সামনে কাগজের কমলা ঠোঙায় ফুরিয়ে আসা ক্যাপাচিনো, ব্যবহৃত টিস্যু, কেচাপের পট আর বিলের কপি। কত সহজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই আমরা পারিপার্শ্বিক থেকে হঠাৎ। চোখ এবং অন্তরের মধ্যে দৃষ্টি ছিনিয়ে নেয় বিশ্বাসের প্রতিবিম্ব।
দূরে সবুজের ভেতর আবছা নীলের গুড়ো। ছায়াশরীর নিয়ে এগুচ্ছে মানুষের মতো সরিসৃপ। উষ্ণতা বাড়ছে ক্রমশ। শব্দের সাথে অতৃপ্তি মিশে হুল্লোড় করছে ভেতরের রেডিও।
আমি চশমা পরে নিলাম। ভেজা কান্ড শুষে নিয়েছে ভোরের জলকণা। অদৃশ্য হয়েছে ম্যাগপাইটি। ভিড় বাড়ছে সামনের চাতালে। রোদ্দূরের প্রশান্তিতে ঝলমল করছে নীলাকাশ।
একটু মাত্র ব্যবচ্ছেদ। একটু মাত্র বিরতী। একটুক্ষণের বিভ্রমে কতকিছুই না পরিবর্তিত হচ্ছে নিয়ত। সময় প্রত্যহ গিলছে কালের উচ্ছিষ্ট। আমাদের অগোচরে কতরাত, কতদিন কোটি মানুষের অন্তর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধারণ করছে নিযুত অভিজ্ঞান। তার কতটুকু বা জানি আমি, আমরা!
আর এই না জানা অংশকে সমীহ করে জনান্তিকে বলেছিঃ
‘জীবন এত ছোট কেনে?’
আইল অফ শেফি
১২.০৬.২০২২
২| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বর্ণনা টা মনোমুগ্ধকর।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৮:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন লেখনি-শৈলী!! মুগ্ধ হলাম
৪| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আহা ! কি চমৎকার ?
জীবন টা এতো ছোট কেনো... ভাবতে ভাবতেই বয়সটা বেড়ে গেলো।
৫| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অসাধারণ লেখা। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
৬| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখাটি মন ছুঁয়ে গেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ,কবি' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কবি নিতাইচরণ বীরবংশী (লেখকের ভাষায়, ডাকাত বংশের লোক। হরিজন সমাজ তাঁর জন্য গর্বিত) অবশ্য জীবনের আয়ু কম হওয়া নিয়ে আফসোস করেছেন কবিসুলভ প্রেমের অতৃপ্তির হাহাকার থেকে- "এই খেদ আমার মনে--/ ভালবেসে মিটল না সাধ, কুলাল না এ জীবনে!/ হায়-- জীবন এত ছোট কেনে?/এ ভূবনে?"
আপনারটাও সুন্দরের অবগাহনের জন্য হাহাকার থেকে উৎসারিত। নস্টালজিক হয়ে পড়ছি বারবার।
নিরন্তর শুভকামনা।
৭| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনটা ছোট বলেই তো বেঁচে থাকায় আনন্দ পাচ্ছি।
৮| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সোনালী ডানার চীল অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
৯| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই জীবনটা অনেক ছোট ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:৪৮
কামাল৮০ বলেছেন: জীবন ছোট বলেই আনন্দের।বড় হলে জীবন হয়ে যেতো বোঝা।