নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই আছে নেই, এই আছে নেই, জীবন চঞ্চল

ফাতেমা-তুজ-জোহরা

আশা নিয়ে ঘর করি....

ফাতেমা-তুজ-জোহরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫০০ ক্ষুদেবার্তা এবং কিছু প্রশ্ন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

received more then 1500 hundred text most of the boys said "meyeder jama-kaporape er main reason n psycho ra child rape kore... sathe onek gulu kutshit galipurno sms on 8920............... thanx to all tomra na janale jantamna j Evabeo chinta kora jai........ upset..........



গতকাল রাতে আমার এক বন্ধুর ফেসবুকের স্ট্যটাস ছিল এটা। বন্ধুটি একটি এফএম রেডিওর কথাবন্ধু। বেশ কিছু দিন ধরেই আমাদের দেশ এবং পার্শবর্তী দেশে ধর্ষন শব্দটি একটি বহুল উচ্চারিত শব্দে পরিনত হয়েছে এবং তার যথেষ্ট কারনও আছে। সেইসব কারন নিয়ে গবেষনার জন্য আমি এই লিখতে বসিনি। সেসব কারন পেপার, পত্রিকা, টেলিভিশন এবং বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জানেন। কিন্তু আমি অবাক হই তখন যখন দেখি সেই সব কারন গুলোর সমর্থনে তথাকথিত পুরুষ বিভিন্ন যুক্তি দাড় করান। (হ্যাঁ আমি তাদের তথাকথিত পুরুষ বলবো। কারন আমি বিশ্বাস করি পুরুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা মানুষ এবং তারা কোনভাবেই নারীর প্রতিপক্ষ নয় বরং পরিপূরক।) সেই কিছু পুরুষের নারীর পোষাক আশাক নিয়ে মন্তব্য করা অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তারা জানায় আজকাল নারীর খোলামেলা পোশাকের জন্য সমাজে অনাচার (অনাচার বলছি কারন কেবল ধর্ষন নয়, ইভটিজিং, যৌনহয়রানীসহ নারীর প্রতি হওয়া সব ধরনের অন্যায় আচরনকে অন্তর্ভূক্ত করছি) বেড়ে গেছে।



এখানে আমার প্রশ্ন বিষয়টা কি আসলেই তাই? তাহলে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সেই মানুষের অবস্থান থাকলো কোথায়? কে কোন পোশাক পরবে কে কোনটা পরবেনা এটা পুরোপুরি একজনের নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। কারো সংক্ষিপ্ত পোশাক দেখে কোন পুরুষের মনে কামনা জেগে উঠলে তাতে ওই মেয়ের কি করার থাকতে পারে? একজন মানুষ নিশ্চই খাদ্য বস্তু না যে দোকানে লোভনীয় করে সাজানো দেখলেই খেতে মন চাইবে। যদি আপনার তাই মনে হয় তবে আপনাকে লোভী বলা ছাড়া আর কোন উপায়নেই। নারীর পোশাক নিয়ে যারা কথা বলেন তারা কী কখনো ভেবে দেখেছেন এতে করে আপনার লোভী চেহারাটা সবার সামনে খুলে যাচ্ছে।



এর পরেও যারা আসবেন বিভিন্ন যুক্তির ফুল ঝুরী ছড়াতে তাদের বলছি, আচ্ছা ধরেন এক মুহূর্তের জন্য মেনেই নিলাম নারীর পোশাকই সব নষ্টের গোড়া.... সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ বছরের শিশুরা যারা এখনো মেয়ে বা নারী হয়ে ওঠেনি তাদের প্রতি লোভ জাগার কারনের কোন ব্যাখ্যা কী দেয়া সম্ভব? তারা তো নিতান্তই শিশু।



আমি মনোরোগ বিশারদ নই, আমার পড়াশুনার বিষয়ও মনোবিজ্ঞান ছিলনা। কিন্তু নিজের চারপাশের মানুষদের আচরন এবং মানসিকতা পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয়েছে এই সমস্যার মূল আসলে আমাদের পরিবার গুলো। শিশুদের প্রথম শিক্ষা অনুকরণ এর পর আসে শিক্ষণ। এই দু'টি ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে মায়ের। ক্ষেত্র বিশেষে বাবার। তবে মা কেবল মাত্র মাই পারে একটি শিশুর মনো জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে। পৃথিবীকে মানুষকে ঘটনাকে ইতিবাচক ভাবে দেখার চোখ একমাত্র মায়ের সাহায্যেই পাওয়া সম্ভব। কোন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এই শিক্ষা যে দিতে পারেনা তার প্রমান খুঁজতে বেশিদূরে যেতে হবে না। যারা মেয়েদের পোশাক নিয়ে এমন মন্তব্য করে তাদের মধ্যেই ডিগ্রীধারী (আসলে মুখোশধারী) অনেককেই পাওয়া যাবে। এর জন্য ঢালাও ভাবে সব পুরুষকেও আমি দোষ দেই না। আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি, আমার স্কুল ছিল গার্লস স্কুল কিন্তু কলেজে এসে আমার কোএডুকেশনে পড়ার সুযোগ হয়। একদিন কোন একটি প্রয়োজনে আমার এক বান্ধুর কলেজে যাবার দরকার পড়ে যে কিনা মহিলা কলেজে পড়তো। ওর সঙ্গে আমি যখন ওদের ক্যন্টিনে গিয়ে বসি তখন দেখতে পাই কিছু মেয়ে ক্যন্টিনের টেবিলের ওপর বসে হাতে নেইল পলিশ লাগাচ্ছে। আমি কো এডুকেশন কলেজে পড়ি শুনে তারা প্রথমেই আমার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলে, " তোমাদের খুব ঝামেলা হয় না?" আমি যখন অবাক হয়ে কি সমস্যা সেটা জানতে চাই ওরা আমাকে মেয়েদের কিছু বিশেষ পোশাকের নাম উল্লেখ করে বলে "এই ধরো সবার সামনে যদি ওসব বেরিয়ে যায়.......ছেলেরা খেপায় না?......" :-/ :-/ :-/ আমার তখন হতভম্ভ হবার পালা আর আমার সেই বন্ধুটি লজ্জিত। আমি বলছিনা কোএডুকেশনে পড়লে শিক্ষা ভালো হবে, আমি কেবল গল্পটা এজন্য উল্লেখ করলাম যে, ওই মেয়েটা যখন জীবনে মা হবে তার ছেলেটিকে সে কি শিক্ষা দিতে পাবে? অথবা মেয়েটিকে? নিজের অজান্তেই সে তার ছেলেকে টিজ করতে সেখাবে আর মেয়েকে সেখাবে মেয়ে তোমার জন্ম হয়েছে অপমানিত হয়ে সহ্য করার জন্য। এমন অভিজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনেক আছে।



তার পরেও আশায় মন বাধি কোন একদিন এই অবস্থার পরিবর্তন নিশ্চই হবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: কে কোন পোশাক পরবে কে কোনটা পরবেনা এটা পুরোপুরি একজনের নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়।

নিজের সিদ্ধান্ত এইডা সাথে এক মত নই !!

প্রথমে সমাজ নিধারন করে / এল্লাঊ করে কোন পোশাক পড়া যাবে তারপর মা-বাবারা নিধারন করে !!

ছুডু কাল থৈক্কা আই তো জিপছি টাইপ কিছু কিনতে পারি নাই এহন তো বড় !!

১০০% শিক্ষিত সমাজের এই মূল্যবোধ জম্মায় নাই সেই ক্ষেত্র ৫০% শিক্ষিত সমাজে মূল্যবোধ জম্মানো ১ হাজার গুন কঠিন তার চেয়ে আফা শাস্তি-ব্যাবস্থা যদি কঠিন হয় ৩০-৪৫ দিনে ফাসিঁ তাহলে কিন্তু এইডা কমে যাবে !! - কঠন আইন ব্যবস্থা হয় - তাহলে ভয়ে মানুষ অন্যায় ছাড়বে এবং সেই ভয় এক সময় জাতির গর্ব হবে/হয়
----------------------------------------------------------------------

সহজ স্বীকারউক্তিঃ পোশাকের জন্য ইভটিজিং হইত্তারে কিন্তু ধর্ষন হয় বলে এখনো মনে হয়না -- !!



০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

hridoy43 বলেছেন: hm.. Ash0lei parißarik sikkha tai b0ro sikkha..
Sudhu pratisthanik sikkha gr0h0n k0rlei manush h0wa jai na :)

akj0n sustho o shavaßik m0ner manush h0war j0nn0 paribarik sikkha nek b0ro vumika rakhe

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: জি সঠিক

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: একমাত্র আইনের কঠোর প্রয়োগই এমন অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: হুমমম

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: ভাল লাগলো..++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.