নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনার জগতে একদিন- ১

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮


ছবি- এ,আই

আজ সকালের আরামদায়ক আবহাওয়ায় আরাম কেদারায় বসে আছি। আমার দৃষ্টিসীমায় সবুজ বাগানটি সকালের মিষ্টি রোদ পোহাচ্ছে। গাছগুলি কি চিন্তা ভাবনাহীন! কিন্তু জীবনের আলোয় কি ঝলমলে! ভাবলাম আমিও গাছগুলোর মত কিছু ভাবব না। চোখ বন্ধ করে নিশ্চল বসে রইলাম। উদ্দেশ্য মনটাকে শূন্য অবস্থায় নিয়ে আসা। কিন্তু কিছুতেই শূন্য করতে পারছি না। মনঃ জগতে ইতি উতি দিয়ে কিছু না কিছু ভাবনা ঢুকে পড়ছেই।

শুনেছি আদি যুগে মুনি ঋষিরা নির্জন স্থানে বসে বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারতেন। সত্য জ্ঞান লাভের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ধ্যান মগ্ন থাকা জরুরী ছিল। ভাবলাম আমিও সত্য জ্ঞান লাভ করতে চাই।জাগতিক সকল চিন্তা বাদ দিতে পারলেই সত্য জ্ঞান লাভ করা যাবে। অনেক দার্শনিকরাই বলে গেছেন সকল জ্ঞানের উৎসে রয়েছে পরম সত্য জ্ঞান। সেখান থেকেই মানুষ জ্ঞান লাভ করেছে।

কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম আমি মনে মনে সব সময় কথা বলে যাচ্ছি। মনে মনে কথা না বলে আমি কোন কিছু চিন্তা করতে পারছিলাম না। আমি চাচ্ছিলাম কল্পনায় একটি উড়ন্ত সারস পাখী দেখতে। কিন্তু আমাকে মনে মনে ‘উড়ন্ত সারস পাখী’ কথাটি আওরাতে হচ্ছে। কথা ছাড়া আমি কোন কিছু কল্পনায় আনতে পারছি না। কোন কিছু ভাবতে গেলেই আমাকে মনে মনে সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। আমি বার বার মনঃস্থির করতে চাইলাম। আমি চাইছিলাম ভাষার সাহায্য না নিয়ে কোন কিছু কল্পনায় নিয়ে আসতে। কিন্তু আমি বার বারই ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিবারই ভাষার শব্দের অর্থ আমার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

তাহলে ভাষা আবিষ্কারের পূর্বে আদিম মানুষেরা কিভাবে কোন কিছু কল্পনায় আনত? ধরুন এক গুহা মানবের পানির তেষ্টা পেয়েছে। আধা মাইল দূরে একটা ঝর্ণা আছে। তার মনে কোন বোধ জেগেছিল যে সেই বোধ থেকে সে পানি পান করার জন্য যাত্রা শুরু করেছিল? আমি নিজেকে গুহা মানব হিসেবে ভাবলাম এবং কল্পনায় সেই ধরণের বোধ জাগাতে চাইলাম। কিন্তু ঝর্না শব্দটা আমাকে বলতেই হচ্ছিল। ঝর্না শব্দটা মনে মনে উচ্চারণ করতেই আমি কল্পনায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি ঝর্নাকে দেখতে পেলাম। এমনকি তার পানির কুল কুল শব্দও যেন শুনতে পেলাম। কিন্তু ভাষাহীন কোন চিন্তা আমি করতে পারছি না।

আমি চিন্তা করি বাংলা ভাষায়। বাংলা ভাষার যে শব্দগুলো আমি দৈনন্দিন ব্যবহার করি আমার চিন্তার জগত বা ক্ষমতা তাহলে ততটুকুই। শিশুকালে আমার শব্দ ভাণ্ডার ছিল কম, আমার চিন্তার জগতও ছিল ছোট। ধীরে ধীরে আমার মস্তিষ্কে শব্দ ভাণ্ডার বাড়তে থাকে, সেই অনুযায়ী আমার চিন্তার জগতও বাড়তে থাকে। যে শব্দগুলোর অর্থ আমি জানি কেবলমাত্র সেই শব্দগুলোই কল্পনা করতে সাহায্য করে। । আমার জ্ঞানের বহরও ততটুকুই।

আমার জ্ঞানের পরিধির কথা ভেবে আরাম কেদারায় একটু নড়েচড়ে বসলাম। বাগানে সূর্যের আলো ততক্ষণে তেতে উঠেছে। কয়দিন ধরে লূ হাওয়া বইছে। শুনেছি গরমে নাকি মগজ গলে যায়। আমার জ্ঞানের দীনতার কথা ভেবে আমার মগজ এমনিতেই গুলিয়ে যাচ্ছে। ভেবে দেখলাম ভাষার মাধ্যমে আমি যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি তার সিংহ ভাগই শোনা কথা। বাল্যকালে গুরুজনেরা আমাকে যেভাবে পৃথিবী চিনিয়েছিলেন আমি সেভাবেই পৃথিবীকে চিনেছিলাম। যা যা বিশ্বাস করতে বলেছিলেন, সেগুলোই বিশ্বাস করেছি। তারা কথা বলেছিলেন বাংলা ভাষায় এবং যা বলেছিলেন, সেই শব্দগুলো ভাষাতেই ছিল।

আমি জন্মেছিলাম এক অজ পাড়াগাঁয়ে। সেখানকার আঞ্চলিক ভাষার অনেক শব্দই আমি চর্চার অভাবে ভুলে গেছি। আর তখন শহরের ভাষার অনেক শব্দই আমার কাছে অপরিচিত ছিল। ছোট সেই গাঁয়ে দৈনন্দিন কথোপকথনে কতগুলো শব্দই বা আর ব্যবহৃত হত। আর সবগুলো শব্দই ছিল গ্রামীণ জীবন সম্পর্কে। আমার জ্ঞানের দৌড় সেই ছোট গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। ‘হাইঞ্জা’ কালের পর দাদী আমাদের কুপির আলোয় কিচ্ছা শুনাতেন। সেইসব কিচ্ছায় যে জীবন দর্শন ছিল, সেই জীবন দর্শন নিয়েই আমি বড় হয়েছি। আমি শুনেছি মিছা কতা কইলে মাবুদে গুনা দেয়। সেই মিছা শব্দটা যে ভাব আমার কল্পনায় জাগাত এখনকার ‘মিথ্যা’ শব্দটা সেই ভাব জাগায় না। মিথ্যা শব্দটা দিয়ে যে ভাব প্রকাশ পায় সেটা যেন এখন আর অতটা নিষিদ্ধ কিছু নয়। মাবুদ শব্দটা যত মোলায়েম এবং আপনত্বের ভাব জাগায় সেটা যেন আর কোন শব্দে নেই। অনেকটা মায়ের মত।

আমি অনেক শব্দেরই অর্থ জানি। জানি মানে কি? সেই শব্দটি সম্পর্কে আমি আগেই শিখেছিলাম। সেটা আমার মগজের স্মৃতি কোষে জমা ছিল। শব্দটা মনে মনে উচ্চারণ করতেই স্মৃতি কোষ সেই শব্দ সম্পর্কিত আগে থেকেই জমা করা সকল তথ্য পুনরায় আমাকে সরবরাহ করছে। আমি ‘মা’ শব্দটা উচ্চারণ করতেই কল্পনায় মাকে দেখতে পেলাম। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত মায়ের সাথে আমার সুখ দুখের সময় গুলোও কল্পনায় ভেসে আসতে লাগল।

ভাবনায় ছেদ পড়ল। একটি অচেনা পাখী বাগানে গাছের ডালে ডালে উড়ে বেড়াচ্ছে। ওটাকে দেখতেই ‘পাখী’ শব্দটা আমার মনে এলো। এবং পাখীর কি কি সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে সেই তথ্য মস্তিষ্ক আমাকে সরবরাহ করল। কিন্তু যেহেতু আমি পাখিটির নাম জানি না, তাই পাখিটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোও মস্তিষ্ক আমাকে জানাতে পাড়ল না। আমি ধ্যান করে পাখিটি সম্পর্কে জানার চেষ্টায় ব্যর্থ হলাম। পাখিটি সম্পর্কে জানতে হলে যে জানে তাকে জিজ্ঞেস করতে হবে। নতুবা বেশ কয়েকদিন ধরে পাখিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আমাকে তার সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার একটি নাম দিতে হবে। পরবর্তীতে নামটি স্মরণ করলেই মস্তিষ্ক সেই জ্ঞান আমাকে সরবরাহ করতে পারবে। তাহলে জ্ঞান কি পর্যবেক্ষণ থেকে আসে?

প্রশ্নটি আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল। ভাষায় তো অনেক শব্দ রয়েছে। প্রতিটি শব্দের সাথে তথ্য রয়েছে। তাহলে ভাষা তো জ্ঞানের ভাণ্ডার। এই ভাণ্ডার বিরাট। আদিকাল থেকে মানুষের পর্যবেক্ষণ থেকে আসা জ্ঞান এই ভাষায় সঞ্চিত রয়েছে। আমি যে সমাজে বা সম্প্রদায়ে বাস করি তাদের ভাষা বাংলা। কিন্তু সবাই সবগুলো শব্দ ব্যবহার করে না। তাই ভাষায় সঞ্চিত যে জ্ঞান রয়েছে তার একটি ক্ষুদ্র অংশই ব্যক্তি মানুষের জ্ঞানে রয়েছে। কিন্তু যারা শুধু বাংলা ভাষা জানে সেই ভাষার বাইরের কোন জ্ঞান সে পর্যবেক্ষণ ছাড়া লাভ করতে পারে না। আবার একই ভাষায় বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে, রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি। সম্প্রদায় অনুযায়ী শব্দের ব্যবহারও ভিন্ন। সুতরাং প্রতিনিয়ত শব্দের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি সম্প্রদায়ের রয়েছে বিভিন্নমুখী জ্ঞান। আমাদের দেশে মুসলমান সম্প্রদায় এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করে যেগুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চর্চা কম। আবার তার উল্টোটাও সত্যি। তাই জ্ঞান যেমন ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন তেমনি সম্প্রদায় ভিত্তিক।

সকল জ্ঞান যদি পর্যবেক্ষণ থেকে আসে তাহলে সেই জ্ঞান সার্বজনীন নয় কেন? ভাষা জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় ভেদে সেই জ্ঞান বিভিন্ন কেন?

ভাবনাগুলো কেমন জটিল হয়ে যাচ্ছে। অচেনা পাখিটা কখন উড়ে চলে গেছে খেয়াল করিনি। এতো আর খাঁচার ভিতরের অচিন পাখী না, উড়ে তো যাবেই। লালন ফকিরের অচিন পাখি খাঁচার ভিতরে থাকলেও তাকে ধরা যায় না। লালন সারা জীবন অচিন পাখীটি ধরতে পারেননি। যা অচিন তার জ্ঞান আমি পাব কোথা থেকে? তাকে চিনতে হলে পর্যবেক্ষণের জগতে নেমে আসতে হবে। লালন মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি মানুষের মধ্যে জাতের কোন চিহ্ন খুঁজে পাননি। তাই তার জ্ঞানে সবাই সমান। লালন যতটুকু জ্ঞান ধরতে পেরেছেন এবং গানের মাধ্যমে যেগুলো ব্যাখ্যা করেছেন সেগুলো লালন দর্শন। লালন সম্প্রদায়ের লোকেরা সেই দর্শন ধারণ করে চর্চা করে। তাদের জ্ঞান লালন কেন্দ্রিক। তাদের জীবন দর্শন, জীবন যাপন, সংস্কৃতি ভিন্ন। তাদের সম্প্রদায়ের যে নিজস্ব সামাজিক জ্ঞান রয়েছে সেই জ্ঞানের দ্বারাই সবাই নিয়ন্ত্রিত। তাদের বিশ্বাস সেখানেই সীমাবদ্ধ। সেই বিশ্বাসের বাইরে তারা যান না। অন্য কারো জীবন দর্শন বা বিশ্বাসও তারা গ্রহণ করেন না। তারা মনে করেন অন্য সবার চেয়ে তাদের জ্ঞান উন্নত। ঠিক একইভাবে পৃথিবীতে যত সম্প্রদায় রয়েছে তার সকলেরই নিজস্ব সামাজিক জ্ঞান রয়েছে। সমাজের সকল সদস্যদের সামাজিক বিশ্বাস, জীবন দর্শন স্ব স্ব সম্প্রদায়ের সামাজিক দর্শন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সম্প্রদায়ের ভিতরে সকল ব্যক্তি বিশেষের সাধারণ জ্ঞান প্রায় একই ধরণের। ভাষা সেই জ্ঞান ধারণ ও প্রচারের মাধ্যম। কিন্তু সব জ্ঞানই বস্তু জগত পর্যবেক্ষণ করে আসেনি।

অচিন পাখীটা কখন উড়ে চলে গেছে খেয়াল করিনি। এখন বাগানে একটি শালিক পাখী নেমে এলো। সে বাগানের মাটি থেকে পোকা বের করে খাচ্ছে। আসে পাশে কোথাও তার জোড়াটাকে দেখতে পেলাম না। একটি শালিক দেখার অর্থ অমঙ্গল। আমার ভাষায় ‘একটি শালিকের’ সাথে অমঙ্গল তথ্যটি জড়িয়ে আছে। সামাজিক এই জ্ঞানটি নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ থেকে আসেনি। কিন্তু সমাজের কিছু মানুষ এই জ্ঞানটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তার জন্য এটা একটি সত্য জ্ঞান। কিন্তু সামাজিক জ্ঞানে এই তথ্য এলো কোথা থেকে? আমরা অনেক জ্ঞান পেয়েছি আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে। এগুলো বহুকালের সঞ্চিত জ্ঞান। পূর্ব পুরুষেরা সমাজে শৃঙ্খলা আনার জন্য অথবা প্রভাব বিস্তারের জন্য এইসব জ্ঞান তৈরি করেছিলেন। তাদের মুখের কথাই ছিল জ্ঞান। সেগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের ভাষায় চর্চা করেছে এবং মেনে চলেছে। এখন একটি শালিক দেখলেই আমাদের মস্তিষ্ক অমঙ্গলের তথ্য সরবরাহ করে। শালিকের সাথে অমঙ্গলের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ‘একটি শালিক’ এর সাথে অমঙ্গল তথ্যটি জুড়ে গেছে। এভাবে ভাষার প্রতিটি শব্দের সাথে সামাজিক জ্ঞান সম্পর্কিত রয়েছে।

ভেবেছিলাম নির্জন সকাল বেলায় মন থেকে সকল ভাবনা সরিয়ে ফেলব। কিন্তু পোড়া মন সব সময় কথা বলে যাচ্ছে। আমারও জেদ চেপে গেছে। আমি চিন্তাহীন জগতে প্রবেশ করেই ছাড়ব। সেই উদ্দেশ্যে আমি বাগানের বড় সর একটি গাছের ছায়াতল বেছে নিলাম। ধ্যানের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের অবচেতন মন মানুষের ক্ষতি করে।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

শায়মা বলেছেন: মন আর মস্তিস্ক কখনই ভাবনাবিহীন থাকতে পারে না। :(

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২১

আব্দুল মোমেন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: ভাষ ছাড়া মানুষ চিন্তা করতে পারতে পারে না। এখনো কেউ পারবে না।সেই চিন্তাকে আবার লেখনির মাধ্যমে সংরক্ষন করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।মানব জাতির বিকাশের মূলে আছে ভাষা ও লেখা।এই দুটির হাত ধরেই আজকের এতো উন্নতি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০০

বুনোগান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমি আরও বলতে চাচ্ছি ব্যক্তি মানুষের চিন্তা শক্তি ও তার জ্ঞান ততটুকুই যতটুকু সে মৌখিক ভাষার মাধ্যমে সমাজ থেকে গ্রহণ করে। আবার একটি সমাজের সামাজিক জ্ঞান ততটুকুই যতটুকু সেই সমাজ তার মৌখিক ভাষায় সঞ্চিত করেছে। তাই সকল সম্প্রদায়ের জ্ঞান একই রকম না। ব্যক্তি যে সমাজে, যে সম্প্রদায়ে বা কমিউনিটিতে বেড়ে উঠেছে সে সেই কমিউনিটির সাধারণ জ্ঞানকেই গ্রহণ করেছে। সে কিছুতেই অন্য সম্প্রদায়ের সামাজিক জ্ঞানকে মেনে নিতে চায় না। এমন কি সে যদি বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিতও হয় তাহলেও বিজ্ঞানের যে সব সত্য জ্ঞান তার সম্প্রদায় মেনে নেয়নি সেগুলো সে শিক্ষিত হয়েও মেনে নেয় না। আর সে যদি তার সম্প্রদায়ের সামাজিক জ্ঞানের বিরোধী কোন জ্ঞান গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী জীবন যাপন করতে চায় তাহলে সে বেশীদিন সেখানে টিকতে পারবে না।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ারা দরকার নেই। বেছে বেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.