নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ও বিজ্ঞান চর্চা

০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩০


ছবিঃ ক্রিয়েটর

কুরআনে এমন অনেক আয়াত রয়েছে যা জ্ঞানের গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং মুসলমানদেরকে এটি অন্বেষণ করতে উত্সাহিত করে। এখানে কিছু উদাহরণ::

১। "পড়ুন! আপনার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন (যা কিছু আছে)" [কুরআন 96:1-2]
এই আয়াতটি আল্লাহর সৃষ্টিকে বোঝার মাধ্যম হিসেবে পাঠ ও জ্ঞান অন্বেষণের গুরুত্ব তুলে ধরে।

২। "তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।" [কুরআন 58:11]
এই আয়াতটি জ্ঞানের মূল্যকে স্বীকৃতি দেয় এবং এটি বিশ্বাসীদের জন্য যে মর্যাদা নিয়ে আসে, তা নির্দেশ করে যে তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে উন্নত হবে।

৩। "বলুন: 'যারা জানে তারা কি সমান যারা জানে না?' কেবল তাদেরকেই মনে রাখবে [যারা] বুদ্ধিমান লোক।" [কুরআন 39:9]
এই আয়াতটি তাদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে যারা জ্ঞান চর্চা করে।

৪। "এবং বল, 'হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।'" [কুরআন 20:114]
এই আয়াতটি মুসলমানদেরকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করে।

এগুলি অনেকগুলি কুরআনের আয়াতের কয়েকটি উদাহরণ যা জ্ঞানের গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং মুসলমানদেরকে এটি অন্বেষণ করতে উত্সাহিত করে।

ইসলামি স্বর্ণযুগ, যা অষ্টম থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, সেটা ইসলামী বিশ্বে একটি মহান বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক অর্জনের সময় ছিল। এই সময়ে, মুসলিম পণ্ডিতরা গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা, রসায়ন, দর্শন এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

এখানে মধ্যযুগের উল্লেখযোগ্য কিছু ইসলামী বিজ্ঞানীর নাম দেওয়া হল:

১। আল-খোয়ারিজমি: তিনি একজন পারস্য গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ ছিলেন যাকে প্রায়শই বীজগণিতের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ত্রিকোণমিতির ক্ষেত্রেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

২। ইবন আল-হাইথাম: তিনি ছিলেন একজন ইরাকি পদার্থবিদ এবং গণিতবিদ যিনি মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিকাশ সহ আলোকবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।

৩। আল-রাজি: তিনি ছিলেন একজন পার্সিয়ান চিকিৎসক যিনি বহু রোগের আবিষ্কার এবং তাদের চিকিৎসা সহ ওষুধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

৪। ইবনে সিনা: তিনি ছিলেন একজন পারস্য চিকিৎসক এবং দার্শনিক যিনি চিকিৎসা, দর্শন এবং বিজ্ঞানের উপর ব্যাপকভাবে লিখেছেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হল "ক্যানন অফ মেডিসিন", যা বহু শতাব্দী ধরে ইউরোপে একটি প্রমিত চিকিৎসা পাঠ্যপুস্তক হিসেবে রয়ে গেছে।

৫। আল-বিরুনি: তিনি একজন পারস্য পণ্ডিত ছিলেন যিনি জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ভূগোল এবং ইতিহাস সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান নিয়েও বিস্তর লিখেছেন।

মধ্যযুগীয় সময়ে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অনেক ইসলামি বিজ্ঞানীর এগুলি মাত্র কয়েকটি উদাহরণ।

ইবন আল-হাইথাম (965-1040 CE) ছিলেন ইরাকের একজন মুসলিম পলিম্যাথ যিনি গণিত, পদার্থবিদ্যা, আলোকবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। বিজ্ঞানে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উন্নয়নে তার কাজ, যা আধুনিক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

বিজ্ঞানের প্রতি ইবনে আল-হাইথামের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র প্রাচীন গ্রন্থ এবং ঐতিহ্যের উপর নির্ভর না করে অভিজ্ঞতামূলক পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জ্ঞান শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা এবং পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, "বুক অফ অপটিক্স", বিজ্ঞান ও আলোকবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই কাজে, তিনি পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির রূপরেখা দিয়েছেন, যার মধ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল:

১ পর্যবেক্ষণ: নিদর্শন এবং সম্পর্ক সনাক্ত করার জন্য এটি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির যত্নশীল পর্যবেক্ষণ কাজে জড়িত।

২। অনুমানের প্রণয়ন: পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার জন্য অনুমান বা ব্যাখ্যা প্রস্তাব করা হয়েছিল।

৩। পরীক্ষা: এই অনুমানগুলি তাদের বৈধতা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

৪। যাচাইকরণ: অনুমানগুলি তারপরে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছিল, এবং যদি সেগুলি বৈধ বলে প্রমাণিত হয় তবে সেগুলিকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছিল।

ইবন আল-হাইথামের পদ্ধতিটি বস্তুনিষ্ঠতা, পুনরাবৃত্তি-যোগ্যতা এবং সংশয়বাদের নীতির উপর ভিত্তি করে ছিল এবং এটি পরবর্তী শতাব্দীতে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য একটি মডেল হয়ে ওঠে। আলোকবিজ্ঞানের উপর তার কাজ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

সুতরাং কোরআনে স্পষ্টত নির্দেশ রয়েছে যে আল্লাহর নির্দেশন থেকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই পৃথিবী ও মহাবিশ্বের মধ্যে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর নিদর্শন। এই নির্দেশনগুলোই জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র। অর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যেই জ্ঞান লুকায়িত রয়েছে।

ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম স্কলাররা জ্ঞান অর্জনের এই পথই অবলম্বন করেছিলেন। শুধু তাই নয় প্রকৃতির জ্ঞান অর্জনের জন্য বৈজ্ঞানিক কি পথ অবলম্বন করতে হবে তা সর্ব প্রথম ইবন আল-হাইথাম আবিষ্কার করেছিলেন। এই পদ্ধতিটি এখন সকল বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হচ্ছে। কোন জ্ঞানটি সত্য হিসেবে গ্রহণ করা হবে এই সম্পর্কে তিনিই পথ দেখিয়েছিলেন। তার পথ ধরেই স্বর্ণযুগের মুসলিম স্কলাররা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক অবদান রেখেছিলেন। সেই যুগেই জ্ঞান বিজ্ঞান শিল্প সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যে তারা চর্চা করেননি। এমন কি তখনকার সময়ে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির যত জ্ঞান ছিল তার সবগুলোই বিরাট বিরাট গ্রন্থাগারে সংগ্রহ ও অনুবাদ করেছিলেন।

মধ্যযুগীয় যুগে ইসলামী গ্রন্থাগারগুলি জ্ঞানের সংরক্ষণ, প্রসার ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ইসলামিক স্বর্ণযুগ, যা অষ্টম থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল, সমগ্র ইসলামী বিশ্ব জুড়ে অনেক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখানে মধ্যযুগের কিছু উল্লেখযোগ্য ইসলামী গ্রন্থাগারের উল্লেখ করা হোল:

১। বাগদাদে বায়ত আল-হিকমাহ (হাউস অফ উইজডম): ৮ম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটি শিক্ষা ও অনুবাদের কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির বই, পাণ্ডুলিপি এবং বৈজ্ঞানিক পাঠ্যের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে এবং বিভিন্ন শাখার পণ্ডিতদের গবেষণা পরিচালনা করতে এবং জ্ঞান ভাগ করার জন্য উত্সাহিত করা হয়েছিল।

২। মরক্কোর ফেজ-এ আল-কারাউইয়িন লাইব্রেরি: ৯ম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটিকে বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ক্রমাগত অপারেটিং লাইব্রেরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিতে ইসলামিক, ইহুদি এবং খ্রিস্টান পাঠ্যের একটি বিশাল সংগ্রহের পাশাপাশি বিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং দর্শনের পাঠ্য রয়েছে।

৩। মিশরের কায়রোতে আল-আজহার ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি: ১০শতকে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটি আল-আজহার ইউনিভার্সিটির অংশ ছিল, যা বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। গ্রন্থাগারটিতে ইসলামিক ও ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে এবং এটি ছিল ইসলামী আইন, ধর্মতত্ত্ব এবং দর্শনের অধ্যয়নের কেন্দ্র।

৪। মিশরের কায়রোতে দার আল-কুতুব আল-মিসরিয়াহ (মিশরীয় জাতীয় গ্রন্থাগার): ১৯ শতকে প্রতিষ্ঠিত, এই লাইব্রেরিতে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি এবং দুর্লভ বই সহ ইসলামী ও ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে। এটিকে ইসলামী বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৫। মালীর টিম্বক্টুতে সানকোর ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি: ১৪ শতকে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটি পশ্চিম আফ্রিকার শিক্ষা ও বৃত্তির কেন্দ্র সাঙ্কোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ছিল। এটিতে ইসলামিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে এবং এটি পশ্চিম আফ্রিকা জুড়ে ইসলামী বৃত্তি ও জ্ঞানের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এগুলি মধ্যযুগীয় সময়ে বিদ্যমান বহু ইসলামী গ্রন্থাগারের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। এই লাইব্রেরিগুলি কেবল জ্ঞানের ভাণ্ডারই ছিল না বরং বৃত্তি ও গবেষণার কেন্দ্রও ছিল, যেখানে বিভিন্ন শাখার পণ্ডিতরা ধারণাগুলি ভাগ করে নিতে এবং জ্ঞানের অগ্রগতির জন্য একত্রিত হত।

কিন্তু বর্তমান সময়ে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে ইসলামিক বিশ্ব অনেকটাই সরে এসেছে। এখন ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জ্ঞান চর্চা শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পরেছে। প্রকৃতি থেকে জ্ঞান আরোহণের চর্চাকে এখন সাধারণ মুসলমানেরা অবিশ্বাসীদের কাজ বলে মনে করে। কোরানেরই স্পষ্ট নির্দেশকে তারা ভুলে গেছে।

(নিবন্ধটি চ্যাটজিপিটি-৪ থেকে প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে সংগ্রহীত এবং সেগুলো গুগোল ট্রেন্সলেশন দ্বারা অনুবাদ করা হয়েছে।)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জ্ঞান চর্চা সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

২| ০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

কিরকুট বলেছেন: আপনি যাদের নাম বললেন এদের নাম বর্তমানে যারা নিজেদের ইসলামী স্কলার বলে তারা কয়জন জানে বা আলোচনা করে ? এরা ধর্ম কে বিজ্ঞানের সাথে মেলাতে গিয়ে মশা মাছি মাকড়শার জাল টাল সব মিলিয়ে একটা ঘোড়ার ডিম বানিয়ে হাস্যরসের শিকার হন তবুও সেই সব জ্ঞ্যানী বিজ্ঞানী মুসলিম পন্ডিতদের অবদান বা তাদের কির্তি নিয়ে কোন আলোচনা বা অনুসন্ধান করার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা তাদের মধ্যে দেখি না।

৩| ০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরেকটি দারুণ পোস্ট !

আল রাজী দুজন ছিলেন । একজন হলেন আবু ববকর আল রাজী আরকেজন হলেন ফখর আল দীন আল রাজী । প্রথমজন ছানি অপারেশনের জনক ছিলেন । আসলে মুসলিম আলেম জগতে কেবল আল গাজ্জালী বাদে আর কাউকে নিয়ে তেমন আলোচনা করা হয় না । এর কারণটা আমরা জানি , অথচ এদের নিয়ে তাদেরও চর্চা থাকলে মুসলিম জগত অন্য মাত্রা পেত !!

০৯ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্য সংযোজনের জন্য।

৪| ০৯ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যাঁদের কথা বলেছেন তাদেরকে পরবর্তীতে নাস্তিক বা কাফের আখ্যা দেয়া হয়।ইসলামের দৃষ্টিত জ্ঞান আর প্রকৃত জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য আছে।মাদ্রাসায় যা পড়ানো হয় সেটা হলো ইসলামী জ্ঞান।বাকিসব জ্ঞান হলো তাগুতি জ্ঞান।

সৃষ্টি বলতে আপনি কি পরিবর্তন বুঝিয়েছেন?

১০ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

বুনোগান বলেছেন: এখানে সৃষ্টি শব্দটি কোরআনের আয়াতে রয়েছে। আমি কিছু বুঝাইনি। আয়াতটি থেকে যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা হোল প্রকৃতিতে যা কিছু আছে সবই সৃষ্টির নিদর্শন। তবে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকৃতিতে কোন কিছুই সৃষ্টি হয় না, সবই পরিবর্তন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: আচ্ছা, ইরান ইরাক আফ্রিকা ওই বেল্ট থেকে অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী এসেছেন, সৌদির দিক থেকে আসেন নাই? আমার এই বিষয়ে জানা নাই বিস্তারিত। জানার জন্যই প্রশ্নটা করলাম।

১০ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

বুনোগান বলেছেন: গুগোলে সার্চ দেন।

৬| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক তথ্য জানলাম।
কিন্তু ভায়া চ্যাট জিপি তো অনেক ভুল তথ্য দেয়- আপনি ক্রস চেক করেছিলেন?

১০ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১১

বুনোগান বলেছেন: আমি কোন ভুল দেখতে পাইনি। তবে কিছু শব্দের সংশোধন করেছি।

৭| ১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৮| ১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: সবই গুগলে সার্চ দিয়ে জেনে নিলে তো ব্লগের দরকার হতো না! কি অদ্ভুত প্রতিউত্তর আপনার!

১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

বুনোগান বলেছেন: লজ্জায় ফেললেন। আমি নেট ঘেটেই তথ্য সংগ্রহ করি। দু'জনের নাম বলতে পারি, ১। আল-খাজিনি (fl. 1115-1130): আল-খাজিনি ছিলেন একজন মুসলিম পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ যিনি বর্তমানে সৌদি আরবের খাজিন শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন পদার্থের নির্দিষ্ট মাধ্যাকর্ষণ নির্ণয়ের উপর তার কাজের জন্য পরিচিত এবং তার বই "দ্য বুক অফ দ্য ব্যালেন্স অফ উইজডম" ছিল পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২। আল-জাজারি (1136-1206): আল-জাজারি ছিলেন একজন মুসলিম প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক যিনি জাজিরাত ইবনে উমর শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা এখন সৌদি আরবের অংশ। তিনি অটোমেটা বা স্ব-অপারেটিং মেশিনের উপর তার কাজের জন্য পরিচিত, এবং তার বই, "দ্য বুক অফ নলেজ অফ ইনজেনিয়াস মেকানিক্যাল ডিভাইস" ছিল যান্ত্রিক প্রকৌশলের ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান।

৯| ১০ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৯

নিমো বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: সবই গুগলে সার্চ দিয়ে জেনে নিলে তো ব্লগের দরকার হতো না! কি অদ্ভুত প্রতিউত্তর আপনার!
মোটেও অদ্ভূত প্রতিউত্তর হয়নি, অত্যন্ত সঠিক জবাব দিয়েছেন উনি। এসব নিয়ে বলতে গেলেই ইসলামের ইতিহাস নিয়ে লিখতে হবে, চলে আসবে অনেক বিতর্কিত বিষয় দাস প্রথা, গণিমতের মাল , খিলাফতের নামে গৃহযুদ্ধ, কুরআনের সঠিক সংস্করণ সহ বহু বিষয়। এমনিতেই ব্লগের এক দল ধর্মের ঠিকাদার আছেও যারা মতের বিপরীত হলেই নাস্তিক, বিদ্বেষী, ইসলাম‌োফ‌োব বলেন, পারলে কল্লাই উড়িয়ে দিতে চান। নইলে গণপিটুনি, এমনিকি এসব অমুক তমুক দেশের যাবার পথও বলেন। অথচ ইসলামের অসংখ্য স্কুল অব থটস নিয়ে কোন জানা-শোনাই নাই। তাই লেখক জান বাঁচাতে উত্তর না দিতে চাইলে, তাকে তিরস্কার না করে, ব্লগের ওসব কুলাঙ্গারদের করুন, যারা নিজের মতটাকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে।

১১| ১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাইবেল এন্ড সাইন্স, এ ব্যাপারে চ্যটজিপিটি কি বলে? আপনি কি ইসলামের ভিতরেই শুধু বিজ্ঞান খুঁজতে গিয়েছিলেন? অন্যন্য ধর্মের বিজ্ঞানের ব্যপারে চ্যাটজিপিটি কি বলে?

ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২২

বুনোগান বলেছেন: আমি ইসলামের ভিতরে বিজ্ঞান খুঁজতে যাইনি। আমি দেখাতে চেয়েছি কুরআনে ভৌত জ্ঞান চর্চার কথা বলে হয়েছে এবং মধ্য যুগের ইস্লামিক স্কলাররা ভৌত জ্ঞানের চর্চা করেছিলেন। চ্যাটজিপিটি কোন ব্যপারে তার নিজস্ব মতামত দেয় না, তথ্য সরবরাহ করে মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.