নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন মৃত্যুর সিদ্ধান্ত কে নিবে?

১৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩


ছবিঃ ইন্টারনেট
জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন অসুস্থ প্রিয়জনের মৃত্যুর সিদ্ধান্ত তার নিকট আত্মীয়কে নিতে হয়। ধরুন আপনার আপনজন আই,সিউ-তে লাইফ সাপোর্টে আছে। আপনি মনিটরে দেখছেন রোগীর দেহের অক্সিজেনের মাত্রা, হার্ট-বিট, প্রেশার,পালস সব ঠিক আছে। রোগীর বুক উঠানামা করছে, বুক ধুকপুক করছে, হাতে নাড়ি চলছে, শরীর গরম আছে কিন্তু রোগী অচেতনভাবে শুয়ে আছে, তার চোখের দ্যুতি দেখা যাচ্ছে না। চিকিৎসক বললেন রোগীর মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে কিন্তু দেহ চলছে লাইফ-সাপোর্টের উপর। আপনি জিজ্ঞেস করলেন লাইফ সাপোর্টে থাকলে কি উনি কি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ডাক্তার বললেন না উনি আর সুস্থ হবেন না। আপনি বললেন তাহলে আপনি লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। কিন্তু ডাক্তার সেই দায়িত্ব নিবেন না। কারণ তাতে দ্রুত হার্টের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। লাইফ সাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে দুই জন সাক্ষী সহ লিগ্যাল কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে। তার অর্থ ডাক্তার জানেন লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলে রোগীর মৃত্যু ঘটবে এবং এই মৃত্যুর সিদ্ধান্ত ডাক্তার নিবেন না, আপনাকে নিতে হবে।

এখন আপনি বা আপন জনেরা জীবন মৃত্যুর রহস্যের ধাঁধায় পরে গেলেন। মনে প্রশ্ন আসবে মৃত্যুর সিদ্ধান্ত কি মানুষ দিতে পারে? বা মানুষের হায়াত বা লাইফ স্পেন কি আপনার স্বাক্ষরের উপর নির্ভর করছে?

(জীবন-মৃত্যু রহস্য সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান না থাকলে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন)।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: বড্ড কঠিন একটা সমস্যার মুখমুখী করে দিলেন ।

২| ১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: এটা নির্ভর করে আপনি মানুষটিকে কতটা ভালোবাসেন এবং আপনার আর্থিক সামর্থের উপরে।

২০০৫ এ আমাদের প্রথম সন্তানের যখন গর্ভে এবং ৭ মাস বয়স তখন একটা রেয়ার কন্ডিসন ধরা পরে।

শহরের বেশিরভাগ ডাক্তারের মত ছিলো এই প্রেগনেনসি টারমিনেট করা।

এমনি কি আমার নিকটতম কিছু আত্নীয়র মত ছিলো এই বাচ্চা জন্ম নিলেও হয়তো সুস্থ হবেনা।

ঢাকারা বড় ডাক্তারও শারমিনকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলো যে যখন বাচ্চা নড়াচরা বন্ধ হয়ে যায় তখন এসে ভর্তী হয়েন আমরা দেখবো। তারাও তাকে বুঝিয়ে বলেনি আসলে তারা তিনি কি বুঝিয়েছেন।

সমস্যাটা খুবই জটিল ছিলো। স্কয়ারের নিওনিটলজিসট ডাক্তার রাজ ও বলেছিলেন যে তার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি মাত্র ২টা এমস কেস পেয়েছিলেন। যার ১জন সারভাইভ করেছেন আরেকজন করেন নাই।

আমরা জানতাম যে হয়তো বাচ্চাকে বাচানোর সম্ভনা খুবই কম। কিন্তু আমরা চেস্টা না করে কিভাবে থাকতে পারি।

পরের কাহিনি অনেক নাটকিয়। অনেক ভালো মন্দ অভিঙ্গতা, অনেক মানুষের সাহাজ পেয়েছিলাম অনেক মানুষের কাছে আজীবন কৃত্গ্য থাকবো আমরা।

আমাদের সন্তান ৬ দিন বয়সে মারা যায়। স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের সাধ্য মতন চেস্টা করেছিলেন, ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচা হয়েছিলো। কিন্তু একটা সান্তনা আছে মনে যে বাংলাদেশে যতটুকু সম্ভব আমরা আমাদের মেয়ের জন্য ততটাই চেস্টা করেছি।

অপর পক্ষে ছোট বেলার ঘটনা . আমার এক চাচাতো বোন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলো। চাচা দরিদ্র অত খরচ সম্ভব না বলে মেয়েকে বাড়ী নিয়ে এসেছিলেন। এবং কয়েক মাস পরে বোন মারা গিয়েছিলো।

তাই অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে চিকিতসা করতে না পেরে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
অনেক সময় টাকা থাকলেও ভালোবাসার অভাবে মানুষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

বুনোগান বলেছেন: আমার প্রশ্ন ছিল, "মানুষের হায়াত বা লাইফ স্পেন কি আপনার স্বাক্ষরের উপর নির্ভর করছে?"

৩| ১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

শাওন আহমাদ বলেছেন: রকম সিচুয়েশান কারো না হোক।

১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

বুনোগান বলেছেন: এরকম অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত পড়ছে। যে কারো জীবনে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। সে তখন বিরাট সিদ্ধান্থীনতায় পড়ে যায়।

৪| ১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

নতুন বলেছেন: বিশ্বাসীরা বলবে যে এটাই লেখা আছে । অর্থ আপনার সাক্ষর করাই আ্পানর ডেসটেনি। আরো অনেক কিছু যুক্তি দেবে কারন লাইফ স্প‌্যান সৃস্টিকর্তা হাতে এটা নিদ্ধারিত। তাই।

কিন্তু নিদ্ধারিত কাজের জন্য আবার সাজা পাওয়া কতটা যৌক্তিত সেটাও প্রশ্ন।

একটা মানুষ যখন একজনকে হত্যা করে তখন কি অন্য মানুষটির সন্তান জন্ম দেবার এবং অনেক ঘটনা তিনি ঘটাতেন সেটা বন্ধ করে দেওয়া হলো না?

মানুষের চয়েসই তার ভবিশ্যত নিদ্ধারন করে, আসলে প্রতিটা মানুষের চয়েসই অন্য মানুষের জীবনে কোন কোন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। অন্য মানুষের ভবিষ্যত পাল্টে দেয়।

তাই কোন কিছুই লিখিত বলে মনে হয় না। মানুষের সিদ্ধান্তেই ভবিষ্যত নিদ্ধারিত হয়।

১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

বুনোগান বলেছেন: মানুষকে নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে বলেই তার পাপ পুণ্যের বিচার করা হয়। এখানে মানুষ তার স্বাধীনতার সুযোগে অন্যের লাইফ স্পেন কমাতে বাড়াতে পারে। লাইফ স্পেন যদি আগেই নির্ধারিত থাকে তাহলে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার স্বাধীনতা "স্বাধীনতার" সংজ্ঞায় পড়ে না। এখন তার সিদ্ধন্তের জন্য যদি একজনের মৃত্যু ঘটে তাহলে পাপের ভাগীদার নিশ্চই হবে। তাহলে তো কেউ কোন রোগীকে লাইফ সাপোর্ট দিতে চাইবে না।

৫| ১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: লাইফ সাপোর্ট মানে এক ধরনের মৃত্যু। এই মৃত্যুকে লম্বা করা ঠিক না।

১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

বুনোগান বলেছেন: না, লাইফ সাপোর্ট মানে সবক্ষেত্রে মৃত্যু না। ধরুন একজনের একটা ভাইটাল অরগান নষ্ট হয়ে গেছে। লাইফ সাপোর্ট না দিলে সে স্বল্প সময়ে মারা যাবে। কিন্তু লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার অরগানটা যদি রিপ্লেস করা যায় তাহলে সে আরো বহু বছর বেঁচে যাবে। আর মৃত্যু যদি হত তাহলে ডাক্তাররা কেন লিখিত ভাবে বলেন না যে মৃত্যু হয়েছে?

৬| ১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যা ঘটে তা’ আল্লাহর ইচ্ছাতেই ঘটে, মুমিনগণ এমনটাই বিশ্বাস করে। কেউ যদি তার রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা সে আল্লাহর ইচ্ছাতেই করেছে। আর কেউ যদি তার রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে চায় তার সুস্থ্যতার আশায়, তাও ধরে নিতে হবে সে এটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই করেছে।

৭| ১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এ ক্ষেত্রে জীবন মৃত্যুর এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানুষকে নিতে হবে। যারা রোগীর আই সিউ'র বিল মেটাচ্ছে তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর যদি দুই তিন দিনের আই সিউ এর বিল বকেয়া পরে যায় তাহলে ডাক্তারই সিন্ধান্ত নিবে স্বজনদের আর কষ্ট করে সিন্ধান্ত নিতে হবে না।

যদি বেঁচে থাকার সম্ভবনা না থাকে তাহলে রোগীকে আর কষ্ট দিয়ে লাভ নেই, তাকে চিরমুক্তি দিন, আর যদি কিছুটাও সম্ভবনা থাকে এবং আই সিউ এর বিল মেটানোর মত সামর্থ থাকে তাহলে যতদিন সম্ভব বাঁচিয়ে রাখুন।

২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

বুনোগান বলেছেন: হার্ট বিট থেমে না যাওয়া পর্যন্ত ডাক্তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত দেয় না। আমার প্রশ্ন ছিল মানুষের লাইফ স্পেন তাহলে কি মানুষের হাতে?

৮| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০২

নতুন বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যা ঘটে তা’ আল্লাহর ইচ্ছাতেই ঘটে, মুমিনগণ এমনটাই বিশ্বাস করে। কেউ যদি তার রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা সে আল্লাহর ইচ্ছাতেই করেছে। আর কেউ যদি তার রোগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে চায় তার সুস্থ্যতার আশায়, তাও ধরে নিতে হবে সে এটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই করেছে।

এমনটা বলা সহজ। এমন অবস্থায় যারা পড়ে তারাই বোঝে কেমন লাগে।

আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম তাই বুঝি।

আমি আশা করি আমার চরম শত্রুও যেন তার সন্তান বা বাবা,মা নিয়ে এমন কোন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়।

৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার প্রশ্ন ছিল মানুষের লাইফ স্পেন তাহলে কি মানুষের হাতে?
- অবশ্যই মানুষের হাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.