নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানে স্বাক্ষরতা

২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬


ছবিঃ ইন্টার্নেট
আমরা শিশুকাল থেকেই মাতৃভাষা শিখে ফেলি। ভাষা থেকেই আমরা প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করে থাকি। ভাষা একটি বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার। ভাষায় প্রতিটি শব্দের অর্থ রয়েছে, প্রতিটি জিনিসের নাম রয়েছে, সাথে রয়েছে তার ব্যাখ্যা। ভাষায় রচিত গল্প, গাঁথা, লোককাহিনী, গান, বচন ইত্যাদিতে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর অসংখ্য জ্ঞানের কথা। আমরা প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের অভিজ্ঞতা জানতে পারি, মিডিয়ার প্রচারণা, রাজনৈতিক বক্তৃতা, আলেমদের ওয়াজ থেকেও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। এগুলোকে বলা হয় শ্রুতি জ্ঞান। আমাদের জ্ঞানের সিংহ ভাগই এই শ্রুতি নির্ভর। আবার আমরা যারা লিখতে পড়তে জানি অর্থাৎ যাদের ভাষায় স্বাক্ষরতা রয়েছে তাদের সামনে রয়েছে জ্ঞান আহরণের অবারিত দ্বার। পুস্তক পত্রিকা পাঠ করে আমরা আমাদের আগ্রহ অনুযায়ী জ্ঞান সংগ্রহ করে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞানে স্বাক্ষরতার অভাবে জ্ঞানের একটা বিরাট অংশই আমাদের অজানা থেকে যায়। বিজ্ঞানে স্বাক্ষরতা হোল বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো বুঝতে পারা। বিজ্ঞানের সাধারণ জ্ঞান লাভ করা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারের জন্য এই জ্ঞান অতীব জরুরী। অবশ্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারের জন্য দর্শন, ইতিহাস, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে একটি সার্বিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সার্বিক জ্ঞান লাভের জন্য নিজ উদ্যোগের দরকার হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সার্বিক জ্ঞান লাভের কোন ব্যবস্থা থাকে না। সেখানে এক একটা বিষয়ে মাস্টার করা হয় এবং তার জ্ঞান সেখানেই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। শিক্ষার উদ্দেশ্য পেশাজীবী বানানো, জ্ঞানের উন্নয়ন নয়। তথাকথিত শিক্ষিত লোকেরা হোল কর্পোরেট জগতের সেবাদাস। তাদের মস্তিষ্ক ও জগত কর্পোরেট স্বার্থে নির্ধারিত। সার্বিক জ্ঞানের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় শ্রুতি জ্ঞানের উপর। একজন দন্ত চিকিৎসক প্রতিনিয়ত তার রোগীদের আক্কেল দাঁত উপরে ফেলছেন কিন্তু এই আক্কেল দাঁত কেন মাড়িতে যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছে না তার কারণটি জানা থাকলেও সেই জ্ঞানকে তিনি উপেক্ষা করে থাকেন। কারণ সার্বিক জ্ঞানের আলোকে তার দন্ত শিক্ষাকে যাচাই করা হয়নি। তাই তার সার্বিক জ্ঞান শ্রুতি জ্ঞানেই আটকে থাকে, জ্ঞানের কোন প্রসার হয় না।

অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞানে স্বাক্ষরতা থাকলে বিজ্ঞানের ভাষা বুঝা সম্ভব হয় এবং স্ব উদ্যোগে সার্বিক জ্ঞান চর্চার দ্বার অবারিত হয়। তাই আসুন বিজ্ঞানে স্বাক্ষরতা অর্জন করি, স্ব উদ্যোগে জ্ঞান চর্চায় নিবেদিত হই এবং নিজের ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারণ ঘটাই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেশে বিজ্ঞান খিচুড়ি ন্যায় বিরাজ করছে।

২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

বুনোগান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। মানব ইতিহাস দেখলে বুঝা যাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সব সময় এলিট শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আছে। তারা জনগণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিছু পেশাজীবী সৃষ্টির জন্য চালু করেছে। সমন্মিত জ্ঞান চর্চার সুযোগ এই ব্যবস্থায় নেই। তাই মানুষের সার্বিক জ্ঞান শ্রুতি জ্ঞানের উর্দ্ধে উঠতে পারেনি। সমাজের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত হয়নি। মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের নূন্যতম কিছু বিষয় সহজ ভাষায় প্রচার করা ভীষণ জরুরী। সমাজ সচেতন ব্লগ সাইটগুলো এই বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের জ্ঞানের সিংহ ভাগই এই শ্রুতি নির্ভর। - আর এই শ্রুতিগুলো সাধারণত অতীত কেন্দ্রিক হয়ে থাকে, মানে বহু বছর আগে কে কি বাণী দিয়ে গিয়েছেন তার উপর নির্ভর করে বর্তমান সময়ের মানুষের জীনধারা চলিত হয়। খুব কম মানুষ'ই বর্তমানে বসবাস করে। অতীতের উক্ত শ্রুতিটি যত'ই বর্তমান সময়ের সাথে কনফ্লিক হউক কিন্তু মানুষ তা হ্রদয়ে ধারণ করে এবং সে অনুসারে জীবনের গাইড লাইন তৈরী করে নেয়।

আমার ধারণা বিজ্ঞানের বেসিক কমবেশী সবাই জানে, এবং তা পরীক্ষায় লিখে ভালো ভালো নাম্বারও পায় কিন্তু সমাজিক / ব্যক্তিগত লাইফে হ্রদয়ে ধারণ করে অন্য কিছু। মনে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করলেও বিজ্ঞানমনস্ক হয় না।

পোস্ট কিন্তু ভালো হয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

বুনোগান বলেছেন: পোস্ট ভাল লেগেছে বলে উৎসাহিত হলাম। বিজ্ঞানের বেসিক অনেকেই জানে কিন্তু বিজ্ঞানের এই জ্ঞান সমাজ ও দর্শনের সাথে সমন্মিত ভাবে জানে না। আবার সাধারণ বিষয়ে পরাশুনা করা শিক্ষিতরা স্ব উদ্যোগে জ্ঞান চর্চা করতে গিয়ে বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ের মর্ম উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। তাই আমার মনে হয় সবারই একটা নূন্যতম বিজ্ঞান জানা থাকা প্রয়োজন।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞানের নিন্দা করা সঠিক কাজ হবে না।
বিজ্ঞান আমাদের অন্ধকার থেকে আলোতে এনেছে।

২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১০

বুনোগান বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: ভাষার মাধ্যমেই আমরা চিন্তা করি।জ্ঞানের বিকাশের মূলে আছে ভাষ।যে যত বেশি শব্দ জানে,চিন্তা করার ক্ষমতা তার তত বেশি।যে ভাষায় যত বেশি শব্দ সে ভাষা তত বেশি সমৃদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.