নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির সবকিছুই রূপান্তর, এখানে কোন কিছু সৃষ্টি হয় না

২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪


এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু আছে তার সব কিছু নিয়েই প্রকৃতি। এই পৃথিবী, জীব জগত, মানুষ সব কিছুই প্রকৃতির অংশ। মানুষের চিন্তা প্রসূত জগতের বাইরে যা কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে সবই প্রকৃতি। প্রকৃতির উদ্ভব এক অতীব উত্তপ্ত ও অতীব সংকুচিত অবস্থা থেকে, বিজ্ঞানীরা সেই অবস্থার নাম দিয়েছেন বৃহৎ সম্প্রসারণ বা বিগ ব্যাঙ্গ। ১৩.৮ বিলিয়ন বছর পূর্বে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এর পর থেকে আজ অবধি এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সম্প্রসারণ ঘটছে। সূত্রপাতের সময় এতে তাপীয় শক্তি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। পরবর্তীতে সম্প্রসারণের ফলে এর তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং বিভিন্ন ধাপে আলো, বল, বস্তু কণিকার মেঘ পুঞ্জ, মৌলিক পদার্থ সমূহ, তারকা পুঞ্জ, ছায়াপথ, সৌর মণ্ডল ও গ্রহ উপগ্রহের উদ্ভব ঘটে। মহা বিশ্ব একটি ক্ষুদ্র সরল অবস্থা থেকে ক্রমশ জটিল ও বিশৃঙ্খল অবস্থার দিকে একমুখী যাত্রা শুরু করে।

মানুষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহা বিশ্বের এই ইতিহাস জানতে পেরেছে। মানুষের অনুসন্ধান এই প্রাকৃতিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ। প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছরে প্রকৃতি যে আচরণ করেছে ও করছে, মানুষ অনুসন্ধান করে সেই আচরণগুলোই সূত্রবদ্ধ করেছে। মানুষ দেখেছে প্রকৃতি কখনো এই সূত্রবদ্ধ আচরণের বাইরে যায় না। এই সূত্রগুলি প্রকৃতি গঠনের পর থেকে কার্যকর। এর পূর্বে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কোথা থেকে কি ভাবে এলো সেটা জানা যায় না। এখন এ পর্যন্ত জানতে পারা প্রকৃতির নিয়মগুলো কি?

এই মহা বিশ্ব ক্রম সম্প্রসারণশীল।

পরিবর্তন হচ্ছে একমুখী। অর্থাৎ সরল অবস্থা থেকে বিশৃঙ্খল অবস্থায় যাত্রা।

তাপীয় অবস্থা থেকে শীতল অবস্থার দিকে যাত্রা।

মহা বিশ্ব তার পরিসর নিয়ে একটি সিস্টেম, যার অভ্যন্তরে রয়েছে নিজস্ব নিয়ম বিধি।

এই সিস্টেমের মধ্যেই অসংখ্য সিস্টেমের উদ্ভব ঘটেছে। যেগুলোর রয়েছে নিজ নিজ নিয়ম বিধি।

প্রতিটি সিস্টেমের উদ্ভবের পিছনে পূর্বাপর এক বা একাধিক সিস্টেমের মধ্যে রূপান্তরের সম্ভাবনা বা উপযোগিতা থাকে।

মহা বিশ্বের উদ্ভব থেকে বর্তমান পর্যন্ত যত পরিবর্তন ঘটেছে তার সবই পূর্বাপর পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।

বর্তমানের প্রতিটি বস্তু পূর্বাপর অবস্থার পরিবর্তিত রূপ।

মহা বিশ্বের শুরুতে যে পরিমাণ শক্তি ছিল শেষ পর্যন্ত তা ই থাকবে।
কিন্তু শক্তির রূপান্তর ঘটছে পদার্থে ও পদার্থের বিভিন্ন ক্রিয়ায়।

মহা বিশ্বে যে কয়টি বল রয়েছে সেগুলো সমগ্র অণু পরমাণু, গ্রহ, নক্ষত্রের সাথে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় জড়িত। কোন কিছু এই প্রভাবের বাইরে নয়।

মহা বিশ্বের সিস্টেমের বাইরের কোন কিছুর প্রভাব সিস্টেমের অভ্যন্তরে কোন কিছুর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়নি বা হয়না।

সব কিছু নিয়ম মেনেই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করে, কোন কিছু অলৌকিক আচরণ করে না।

নিয়ম বিধির দুটো জগত রয়েছে। একটি হোল পরমাণু ও তার ক্ষুদ্র অংশের জগত, আর একটি হোল অণু থেকে বৃহত্তর অংশের জগত।

অণু পরমাণু থেকে বৃহত্তর বস্তু জগতের আচরণ আমরা পদার্থ বিজ্ঞান থেকে জানতে পারি।

অণু পরমাণুর মধ্যে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াগুলো আমরা রসায়ন বিদ্যা থেকে জানতে পারি।

জৈব যৌগ থেকে যখন সক্রিয় আবদ্ধ চক্রের সিস্টেমের উদ্ভব ঘটে তখন সেগুলোকে আমরা জীবাণু বিদ্যা থেকে জানতে পারি।

অসংখ্য সক্রিয় আবদ্ধ চক্র সিস্টেম অর্থাৎ বহুকোষী জীব যখন বিভিন্ন অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, তন্ত্র নিয়ে একটি পৃথক সিস্টেমে পরিবর্তিত হয় তখন সেগুলোকে জীব বিদ্যার মাধ্যমে জানতে পারি।

এই পৃথক সিস্টেম অর্থাৎ উন্নত জীবের মধ্যে যখন বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ পায় এবং তাদের মধ্যে যখন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা সামাজিক সিস্টেম গড়ে উঠে তখন আমরা সমাজ বিদ্যার দ্বারা জানতে পারি।

কোয়ার্ক কণিকা থেকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত সবকিছুই প্রাকৃতিক সিস্টেমের অন্তর্গত। সবকিছুই একই উৎস থেকে উৎসারিত ও পরস্পর সম্পর্কিত। কিন্তু সিস্টেম থেকে সিস্টেমের পরিবর্তন ভৌত ধর্মের সম্পর্কহীন আমূল পরিবর্তন ঘটায়।

মানুষ সহ সকল জীব ও ছোট বড় বস্তু সমূহ বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের পরমাণু দ্বারা গঠিত। পরমাণু আবার গঠিত হয়েছে আরও ক্ষুদ্র কয়েক গুচ্ছ কণিকা দ্বারা। এই কণিকার জগতকে বলা হয় কোয়ান্টাম জগত। এই জগতের নিয়ম বিধি ও ধর্ম ভিন্ন। এই জগত ভীষণ অস্থির। এখানে তরল, কঠিন বা বায়বীয় কোন ধর্ম নেই। এখানে আছে শুধু তরঙ্গ। একটি কোয়ান্টাম ফিল্ড বা ক্ষেত্র, যা পুরো বিশ্বব্যাপী কুন্ডুলি পাকিয়ে আছে। এই কুন্ডুলিতে চলছে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন বা অস্থিরতা। অসীম সংখ্যক তরঙ্গের উত্থান ও পতন। এই তরঙ্গগুলোই বিভিন্ন কণিকা ও বল। কণিকাগুলোর ভর আছে কিন্তু অণু পরমাণুর মত কোন কঠিনত্ব নেই। এই অবস্থা একটি সিস্টেম। এই সিস্টেম দিয়েই আমাদের দেহ সহ এই বিশ্বজগৎ তৈরি হয়েছে, যাকে ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না। এই অদৃশ্য তরঙ্গ দিয়েই আমাদের মস্তিষ্ক তৈরি, যা আবার নিজের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করতে পারে, হাসতে পারে, কাঁদতে পারে।

তাহলে এই অদৃশ্য সিস্টেম দৃশ্যমান হোল কিভাবে? কারণ হোল সিস্টেমের পরিবর্তন। কণিকাগুলো স্ট্রংগ ফোর্স দ্বারা একত্রিত হয়ে প্রোটন তৈরি করে আর প্রোটন ইলেকট্রনকে নিয়ে তৈরি করে পরমাণু। এই পরমাণু হোল ভিন্ন এক সিস্টেম, যার ভৌত ধর্ম অলৌকিকভাবে ভিন্ন এবং দৃশ্যমান। পৃথিবীর তাপমাত্রায় এর কোনটা কঠিন, কোনটা তরল, আবার কোনটা গ্যাসীয়।

অলৌকিক যদি কিছু থাকে তাহলে সেটা আছে সিস্টেমের ভৌত ধর্মে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন অণু দুটোই সাধারণ তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু এ দুটো মিলিত হয়ে যখন পানির সিস্টেমে পরিবর্তিত হয় তখন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানির ভৌত ধর্ম হয় তরল। দুইটা সিস্টেম গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল। এই দুইটি সিস্টেম রাসায়নিক ভাবে একত্রিত হয়ে পানির সিস্টেমে রূপান্তরিত হলো। এখন এই পানি কেন তরল হোল এর কোন জবাব নেই। পানি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের রূপান্তরিত ফল। অর্থাৎ পানি হলো প্রকৃতির রূপান্তরিত অবস্থা। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন ছাড়া পানির সৃষ্টি অসম্ভব। মানুষ কেন কোন শক্তিই মহা বিশ্বের সিস্টেমের অভ্যন্তরে এই সৃষ্টি করতে পারে না। আবার হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রূপান্তরের ইতিহাস এই মহাবিশ্বের উদ্ভবের সময় পর্যন্ত প্রলম্বিত।

আবার কার্বন কেন্দ্রিক জৈব যৌগগুলিতে প্রাণের কোন ধর্ম থাকে না, কিন্তু তারা যখন যৌথ অবস্থায় একটি সক্রিয় আবদ্ধ চক্রের সিস্টেমে পরিবর্তিত হয় তখন তাতে জীবনের ধর্ম প্রকাশ পায়। কার্বন কেন্দ্রিক জৈব যৌগগুলোর ভৌত ধর্ম দেখে এটা বুঝার কোন উপায় নেই যে এরা রূপান্তরিত হয়ে একটি সক্রিয় আবদ্ধ চক্রে অর্থাৎ প্রাণে পরিণত হতে পারে। এই প্রাণে রূপান্তর হওয়ার ইতিহাস তো আরও জটিল ও দীর্ঘ। মানুষ কেন কোন শক্তির পক্ষেই পূর্ব উপাদানগুলো ছাড়া এর সৃষ্টি সম্ভব নয়। এভাবে প্রাণ কোষ থেকে মানুষে রূপান্তরের ইতিহাসও অনেক দীর্ঘ ও জটিল। এই প্রক্রিয়ায় অলৌকিক কিছু নেই, সবই প্রাকৃতিক রূপান্তর।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও মনে করি অলৌকিক বলে কিছু নেই- যে বিষয়ের ব্যাখ্যা আমরা করতে পারিনা সেটাকেই অলৌকিক মনে হয়।
এখন কথা হচ্ছে; আপনার বলা সিস্টেম নিয়ে
আপনি লিখেছেন;
মহা বিশ্ব একটি ক্ষুদ্র সরল অবস্থা থেকে ক্রমশ জটিল ও বিশৃঙ্খল অবস্থার দিকে একমুখী যাত্রা শুরু করে।
~ এই বিশৃঙ্খল মানেই কি সিস্টেমের বাইরে নয়?
আরেক জায়গায় লিখেছেন;
একটি কোয়ান্টাম ফিল্ড বা ক্ষেত্র, যা পুরো বিশ্বব্যাপী কুন্ডুলি পাকিয়ে আছে। এই কুন্ডুলিতে চলছে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন বা অস্থিরতা
~ এই অস্থিরতাওতো সিস্টেমের বাইরে-নয় কি?
আমাদের কল্পনা, ভাবনা কিংবা বাস্তবিক চিন্তা ও গবেষনায় একটা বিষয়ই আসে যে, কোন কিছুই আচমকা, আলৌকিক সিস্টেমের বাইরে হয়নি। কিন্তু অলৌকিকত্ব বা সিস্টেমের বাইরে ঘটনা ঘটেছে তো সেখানেই ,বৃহত সম্প্রসারনের আগের অবস্থাটাই। আমার ধারনা সেই অবস্থার বিষয়টা আবিস্কার করাতো দুরের কথা মানুষের কোন হাইপোথিসিসে সেটা ব্যাখ্যা করতে পারবে না। সিস্টেমের বাইরে কি ঘটতে পারে সেটা আমরা জানিনা- তাই বিগ ব্যাং আর পরে ঘটে চলা যাবতীয় ঘটনাকেই আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই মনে হচ্ছে।
এই ধরুন যে মানুষ যদি 'বাইপেডাল' হাটা না শিখত তখন আমাদের ধারনাই হোত যে, কোন প্রাণীরই সোজা হয়ে দুই পায়ে চলা সম্ভব নয়। আমাদের কল্পিত ও অঙ্কিত সব এলিয়েনেরা কিংবা রোবট শিম্পাঞ্জীর মত হাটত।
************
যাক এইসব তর্ক বিতর্ক চলবেই। কিন্তু আপনার লেখাটা যঠেষ্ঠ প্রানঞ্জল হয়েছে। আপনি চেষ্টা করেছেন যৌক্তিক বাংলা প্রতিশব্দ ব্যাবহারের।
এমন দারুণ একটা আর্টিকেলের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।


২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

বুনোগান বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনি জানতে চেয়েছেন,
"মহা বিশ্ব একটি ক্ষুদ্র সরল অবস্থা থেকে ক্রমশ জটিল ও বিশৃঙ্খল অবস্থার দিকে একমুখী যাত্রা শুরু করে।
~ এই বিশৃঙ্খল মানেই কি সিস্টেমের বাইরে নয়?"
এখানে সিস্টেম বলতে আমি অর্ডার বুঝাতে চাইনি। সিস্টেম বলতে একটি আবদ্ধ পরিসর বুঝাচ্ছি যার অভ্যন্তরে তার নিজস্ব নিয়ম বিধি রয়েছে। একটি বৃহৎ সিস্টেমের অভ্যন্তরে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সিস্টেম থাকতে পারে যাদের নিয়ম বিধি বৃহৎ সিস্টেম থেকে ভিন্ন। মহা বিশ্ব হোল মাতৃ সিস্টেম। আর সকল সিস্টেম এর গর্ভে রয়েছে। সরল থেকে জটিল ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় যাওয়াকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় Entropy বলে। শুরুতে মহাবিশ্বে শুধু তাপীয় শক্তি ছিল। এটা একটি খুবই সরল অবস্থা। সময়ের পথ ধরে একসময় কণিকাগুলোর প্লাজমা অবস্থা তৈরি হোল। এই অবস্থা পূর্ব থেকে জটিল। পরবর্তিতে অসংখ্য তারকা, ছায়াপথ তৈরি হল এবং এগুলো রেন্ডামলি পুরো বিশ্ব জুড়ে তৈরি হোল। এটাই বিশৃঙ্গখল অবস্থা। তবে বিশৃংখল হলেও তাতে ভারসাম্য আছে।
পরমানু থেকে ক্ষুদ্র জগত হোল কোয়ান্টাম জগত। এটা ভিন্ন এক সিস্টেম। ফ্লাকচুয়েশন এই জগতের নিয়ম। তবে অসংখ্য ফ্লাকচুয়েশন সন্মিলিত ভাবে একটি ভারসাম্য অবস্থা তৈরি করছে।

২| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমিও দীর্ঘদিন ধরে এ নীতিতেই বিশ্বাসী। এই মহাবিশ্বের যে একজন ক্রিয়েটর থাকতেই হবে, সবকিছুর জন্য একজনকে যে বস মানতেই হবে এই আইডিয়াটা মানুষ কই থেকে পেলো তা আমার বোধগম্য নয়। প্রকৃতিকে কখনো সৃষ্টি হবার প্রয়োজন হয় না বরং প্রকৃতি থেকেই সবকিছুর সৃষ্টি আর এ প্রকৃতির মাঝেই সবকিছু বিলিন হয়ে যায়। সৃষ্টিকর্তার ধারাণা'টি হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কুসংস্কার। যাবতীয় কুসংস্কারের সৃষ্টি এই সৃষ্টিকর্তার ধারণা থেকে।

তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা যদি থাকতেনই তাহলে বিজ্ঞানীরা এতদিন তাকে খোঁজে পেতেন বা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন অথবা তিনি নিজেই মানুষের সাথে যোগাযোগ করতেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছুই ঘটেনি বা তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কিছু অদ্ভুত দাবী ছাড়া।

Stephen Hawking's Final Book Says There's 'No Possibility' of God in Our Universe.

A Universe from Nothing

The 70-year-old quantum prediction comes true, as something is created from nothing

আমি জানি এখন কেউ কেউ এসে আমাকে সাজেস্ট করবেন মোটা একটি বই পড়ার জন্য, মহাবিশ্বের যাবতীয় জ্ঞান ওই মোটা বইয়ের মধ্যে দেয়া আছে, সৃষ্টিকর্তা নিজেই নাকি ওই বইটির লেখক। =p~

বিজ্ঞানীরা যে এখন পর্যন্ত সবকিছু আবিষ্কার করতে পারেনি বা বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার কিছুদিন পর পর ভুল হয়ে যায়, এ বিষয়ে প্রচুর কমেন্ট পাবেন আপনার এ পোস্টেই। ;)

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরেকটি দারুণ লিখা লিখলেন । তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

আমার একটা মত আছে । সৃষ্টি শব্দটির মূল অর্থ হলো শূণ্যাবস্থা থেকে তৈরী করে কোন কিছুর অস্তিত্ব তৈরী করা । আরও ঠিকভাবে বললে অনস্তিত্ব থকে অস্তিত্বে আনয়ন করা । এখন আমরা দেখতেই পাচ্ছি যে সব কিছু অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আসছে এবং অনস্তিত্ব থেকে বেরিয়ে এসে যখন অস্তিত্ব হবার প্রক্রিয়া চলছে এবং অস্তিত্ব হবার বিকাশ ঘটছে তখনই আমরা এখানে দৃকপাত করছি ও এর ওপরই মতামত দিচ্ছি । আমার মনে হয় না এতে করে আমরা সত্যের নিকটে পৌঁছাতে পারবো ।

অলৌকিক ব্যাপারটা আসলে এই যে যার লৌকিক ব্যাখ্যা নেই । আমরা এখনও অনস্তিত্ব থেকে সরাসরি অস্তিত্বে আসবার যে ঘটনা একে ব্যাখ্যা করতে পারছি না । যা আপনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন । সমস্যা হলো অস্তিত্ব হবার যে বিকাশ ধারা তার মধ্যেও আমরা অনেকাংশে কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারছি না । এটাও কিন্তু আমাদের অসারতা !!


আমার কথাগুলো হয়তো বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে । কিন্তু আমি অপ্রাসঙ্গিকতার মধ্য দিয়ে প্রাসঙ্গিকতার আলোচনা করলাম । ধন্যবাদ !!

২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

বুনোগান বলেছেন: লিখাটি আপনার ভাল লেগেছে বলে অনুপ্রানিত বোধ করছি। তবুও আমার মনে বিজ্ঞানকে আমি সহজ ভাষায় বুঝাতে পারছি না। অস্তিত্ব অনস্তিত বিষয়ে আমি পূর্বে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন শুন্য থেকে অস্তিত্ব আসতে পারে। কোয়ান্টাম সিস্টেমে প্রতি মূহুর্তে অসীম সংখ্যক বস্তু কণিকার অস্তিত্ব হচ্ছে, আবার বিলীন হচ্ছে। অর্থাৎ যেখানে কণিকার অস্তিত্ব ছিল না সেখানে কণিকা অস্তিত্ববান হচ্ছে। কিন্তু কণিকাগুলো একদম শুন্য অবস্থা থেকে হচ্ছে না। এটা হচ্ছে কোয়ান্টাম ফিল্ড বা ক্ষেত্রে যা একটি শক্তির পরিসর থেকে তরঙ্গ গুচ্ছ আকারে। কনিকার আবির্ভাব হওয়া কোয়ান্টাম সিস্টেমের একটা ভৌত ধর্ম। অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব একটি আপেক্ষিক ব্যপার। কোয়ান্টাম সিস্টেমে পরমাণুর কোন অস্তিত্ব নাই। কিন্তু মহা বিশ্বের পরিসরে অসীম সংখ্যক পরমানু অস্তিত্ব লাভ করেছে। কিন্তু এই অস্তিত্বও একটি সিস্টেম থেকে অন্য একটি সিস্টেমে রূপান্তর মাত্র।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: বিকাশের এক পর্যায়ে প্রানের আবির্ভাব।বিজ্ঞান যেটির ব্যাখ্যা দিয়েছে।এটা একটা জটিল প্রকৃয়া।লেখার সাথে সম্পুর্ণ একমত।দ্বিমত করার কিছু দেখছিনা।

২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

নতুন বলেছেন: সৃস্টিকর্তার বিষয়টা কে এক নজরে দেখলে কিন্তু মজা লাগে।

এই পযন্ত ধর্মীয় ইতিহাসে কয়েকজন মানুষ সৃস্টিকর্তার সাথে সরাসরি দেখা করেছেন।

সৃস্টিকর্তা প্রায় ১৪০০ বছর আগে শেষ বার্তা পাঠিয়েছেন এবং আর কোন বার্তা পাঠাবেন না বলেছেন। দুনিয়াতে ৬৫০০ ভাষা আছে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটা ভাষাতে বার্তা পাঠিয়েছেন। বেশির ভাগ সময়েই তিনি মধ্যপ্রচ্যােই বার্তা পাঠিয়েছেন।

তিনি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকার মতন বাকি এলাকাতে কোন প্রতিনিধি পাঠান নাই।

তাদের কেউই কিন্তু নিজ চোখে সৃস্টিকর্তাকে দেখেন বলে দাবি করেন নাই।

তাদের কাছে গায়েবী ভাবে বার্তা এসেছে।

এই লক্ষনগুলিকে হিলুসিনেসন হিসেবে ব্যক্ষা দেওয়া যায়।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

নাহল তরকারি বলেছেন: গরিবরা বিজ্ঞান বুঝে না। তাই তাদের কাছে সব কিছু আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ যে সব কিছু সিস্টেমে পরিচালনা করছে সেটা ওরা বুঝে না।

২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

বুনোগান বলেছেন: চিন্তার স্বাধীনতা
কেন বুঝে না? আমার পূর্বের পোস্টটি দেখুন।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ইসলামে কিন্তু যুক্তিকেই বেশী প্রাধান্য দিতে বলেছে।

৮| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথাকে এখন বিজ্ঞানীর সত্য বলে মনে করছে না।

আধুনিক কোয়ান্টাম থিউরি অনুযায়ী নাথিং থেকে কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। উপরে জ্যাক স্মিথের ৩ নাম্বার লিঙ্কটা পড়লে বুঝতে পারবেন যে বিজ্ঞান এখন বলছে যে নাথিং থেকে কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।

কোরআনে সুরা বাকারার ১১৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন;

Creator of the heavens and the earth from nothingness, He has only to say when He wills a thing, “Be,” and it is.

কোয়ান্টাম মেকানিক্স প্রচলিত অনেক বৈজ্ঞানিক চিন্তা ধারাকে চ্যালেঞ্জ করছে। একই সময়ে একটা জিনিসের দুই জায়গায় থাকা সম্ভব। তাই আরও অনেক কিছু জানার বাকি আছে আমাদের। স্রষ্টা নাথিং থেকে যে কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন। আল্লাহ 'কুন' বললেই হয়ে যায়। :)

ডার্ক এনার্জি তো মনে হয় দিন দিন বাড়ছে। কোথা থেকে এই নতুন ডার্ক এনার্জি আসছে কেউ জানে না। ইউনিভারসের গতি বেড়েই চলছে। এই নতুন শক্তি জোগাচ্ছে নতুন ডার্ক এনার্জি। কিন্তু কোথা থেকে এই ডার্ক এনার্জি তৈরি হচ্ছে কেউ জানে না।

২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

বুনোগান বলেছেন: এই মহা বিশ্বের সিস্টেমের অভ্যন্তরে 'কুন' বলে কোন কিছু সৃষ্টি হয়নি অর্থাৎ এখানে হঠাত কোন কিছু সৃষ্টি হয়নি। সব কিছুই আদি তাপীয় শক্তির রূপান্তর। আপনি এমন কোন জিনিষের নাম বলতে পারবেন না যার কোন রুপান্তরের ইতিহাস নেই। কেবলমাত্র মহা বিশ্বের সিস্টেমটি কোথা থেকে এসেছে এ বিষয়ে বিজ্ঞানের অনেক মডেল রয়েছে যা এখনও প্রমাণিত না। কারণ মহা বিশ্বর অভ্যন্তরের কোন নিয়ম বিধি দিয়ে এর বাইরের সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা করা যায় কিন্তু প্রমাণ করা যায় না। কারণ বাইরের কোন সিস্টেম যদি থাকে সেখানকার পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম বিধি ভিন্ন রকম হবে। আবার বাইরের কোন সিস্টেমের নিয়ম বিধি মহা বিশ্বের সিস্টেমে কাজ করবে না। যদি করত তাহলে তার প্রভাব বা বস্তু জগতে তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হত। আপনি তাহলে দেখতে পেতেন হঠাত আপনার গাড়িটা তেল না থাকা সত্ত্বেও ছুটে চলছে। অথবা সকালে ঘুম থেকে দেখলেন পৃথিবীর সকল বস্তু আকাশে ভেসে চলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বা প্রযুক্তিবিদরা এত টাকা খরচ করে পদ্মা ব্রিজ বানাতো না। কারণ সেটা নদীতে ভেঙ্গে পরবে কিনা তার কোন গাণিতিক সুত্র কাজ করত না ইত্যাদি।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অলৌকিক যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেটা আছে সিস্টেমের ভৌত ধর্মে। কথাটা দারুণ লেগেছে। ব্যাখ্যাটাও সুন্দর দিয়েছেন। মানুষ ও প্রাণিকূলের বেঁচে থাকাটাও এক অলৌকিক ব্যাপার।

২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্টটি পড়লাম।

প্রকৃতিতে নতুন কিছু সৃষ্টি হয়না এবং সব কিছুই রূপান্তর, ব্যাপারটা কি পরম সত্য? বিজ্ঞান দিয়ে কি আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি ব্যাখ্যা করা সম্ভব? কোন বিজ্ঞানী অন্তত এখনও তা পারেনি! প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না তাই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে এক বিলিয়ন সময়ের এক ভাগ সময়ের ভিতর অগণিত কণা এবং প্রতিকণা তৈরি হয় এবং নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে বেশীরভাগই আবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আর যেগুলো ধ্বংস হতে পারে না যেই কণাগুলো থেকে যায় এবং ইনফ্লেশন থিওরি অনুসারে তা থেকে বিগ ব্যাংক এবং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়! তাহলে এই প্রকৃতি কেন শূন্য স্থান পছন্দ করে না?, কেন কণা প্রতিকণা তৈরি করছে? এই প্রকৃতি কে? তার কি কোন সত্তা আছে? তাছাড়া কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের জন্য যেই বল দরকার সেটা কোথা থেকে এলো? কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে কোন কিছু নাই থেকে কিভাবে কিছু সৃষ্টি হল? ম্যাথম্যাটিক্যালি এটা কি ভাবে সম্ভব?

আমাদের এই মহাবিশ্বের ছায়াপথ, গ্রহ এবং নক্ষত্র তৈরিতে গ্রাভিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে গ্রাভিটির উৎস কোথায়? কিভাবে তৈরি? বিজ্ঞান এখানে ব্যাখ্যা করতে অসমর্থ! এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে যেটা নির্দেশ করছে একটি শক্তি বা এনার্জি এই মহা বিশ্বকে টেনে বড় করছে যাকে বিজ্ঞান ডার্ক এনার্জি বলে, এই ডার্ক এনার্জি কিভাবে এলো এর কোন ব্যাখ্যা নেই! তবে আইনস্টাইন একটি থিওরি দাড় করিয়েছিল, এই মহাবিশ্বের বাইরেও যেই শূন্যস্থান আছে তার নিজস্ব হয়ত শক্তি আছে, সেই শক্তিই এই মহাবিশ্বকে টেনে বড় করছে! এই শক্তি কি? কোথা থেকে তৈরি হল? তাছাড়া বিগ ব্যাংক এর সময় যেই অসীম ঘনত্বের সৃষ্টি হল সেটা কিভাবে সম্ভব? অসীম মানে-তো তার কোন শেষ নেই!

মহাবিশ্ব সৃষ্টি ব্যাখ্যাতে বিজ্ঞানের যেই গ্যাপ আছে সেটা সৃষ্টি কর্তা ছাড়া ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, অন্তত কোন বিজ্ঞানী এখনও পারেনি! তবে ষ্টিফেন হকিং আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞান দিয়ে! তিনি অন্তত প্রকৃতির রূপান্তর দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারেননি, এমন কি কোন বিজ্ঞানীই পারেননি!! আমি তার বইগুলো অরিজিনাল ইংলিশ ভার্সন পড়েছিলাম, অনুবাদে আমার বিশ্বাস নেই কারণ এখানে লেখক বায়াস হয়ে অনুবাদ করতে পারে!

ষ্টিফেন হকিংও তার কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বইতে বলেছিল পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো বিশেষ করে গ্রাভিটির ভূমিকা আছে এই মহাবিশ্ব এবং প্রান সৃষ্টিতে! তিনি এক জায়গায় বলেছেন সৃষ্টিকর্তা হয়ত পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো নির্ধারণ করেছেন তবে এতে তিনি আর হস্তক্ষেপ করবেন না! ব্যাপারটা আমার কাছে স্ব-বিরোধী মহে হয়েছে! তার দ্যা-গ্র্যান্ড ডিজাইন (৬ নাম্বার চ্যাপ্টারে পাবেন!) বইতেও মহাবিশ্বকে সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি এম থিওরি দাড় করিয়েছেন, তিনি বলেছেন কোন কিছু নাই হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অসংখ্য মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে যার পরিমাণ ১০ পাওয়ার ৫০০ সংখ্যক মহাবিশ্ব এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কিছু সূত্র আছে! এই অসংখ্য মহাবিশ্বের মাঝে আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে কাকতালীয়-ভাবে, যেখানে প্রাণ ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্রগুলো অলৌকিকভাবে মিলে গেছে!

আসলে প্রকৃতির নিয়মে বা নিজে নিজে বা বিজ্ঞান দিয়ে এই মহাবিশ্ব ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি! সব কিছুই প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বাস করতে হলে আমাকে কয়েকটি জিনিষ বিশ্বাস করতে হবে তা হল অলৌকিক ভাবে এই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সৃষ্টি হয়েছে, এই বল, গ্রাভিটি এবং ডার্ক এনার্জি সব কিছু অলৌকিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে! আসলে সৃষ্টি কর্তা ছাড়া আমাদের এই মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না, এটা সম্ভব না! প্রাণ সৃষ্টি এবং বিবর্তনের ইংরেজি বইও পড়েছি ডারউইন নিজেও বিবর্তনকে ফ্যাক্ট দাবি করেননি বরং একটি লজিকাল ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছেন এবং বলে ভবিষ্যতে হয়ত প্রমাণ হতে পারে, আমি বিস্তারিত গেলাম না অন্য প্রসঙ্গ বিদায়! বিজ্ঞানী নিউটনের মতে বিজ্ঞানীও যে কিনা পদার্থ বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ন্য ভূমিকা পালন করেছেন যার সূত্র দিয়ে এই ফিজিক্যাল ওয়াল্ড অনেক কিছু ব্যখ্যা করা যায় তিনি বলেছেন স্রষ্টা ছাড়া এই মহাবিশ্ব ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় ((Newton saw a monotheistic God as the masterful creator whose existence could not be denied in the face of the grandeur of all creation.)।

২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

বুনোগান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি খুশী হয়েছি এইজন্য যে আপনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছেন। আমি এই লেখায় বিজ্ঞানের প্রমাণিত বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি। যে মডেলগুলো পরিক্ষা করলে এখনও একই ফলাফল পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানের যে কোন মডেল সম্পর্কে ভবিষ্যতে হয়ত আরো কোন অধিক কার্য্যকর ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে তখন বিজ্ঞানীরা সেটাই গ্রহণ করবেন। আমি আলোচনা করেছি এই মহা বিশ্বের সিস্টেমের অভ্যন্তরীন নিয়ম বিধি সম্পর্কে। আমি আরো বলেছি এই সিস্টেমের বাইরে অন্য কোন জগত আছে কিনা সেই সম্পর্কে ধারণা গুলো প্রমাণিত না। কারণ এই সিস্টেমের ভিতরের নিয়ম বিধি শুধুমাত্র এই সিস্টেমেই কার্য্যকর। আপনি আমার পোস্ট ধরে ধরে প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়া যেত। আপনি শুধু এই মহাবিশ্বের অভ্যন্তরে এমন একটা ঘটনা বা বস্তুর উদাহরন দেন যার রুপান্তরের কোন ইতিহাস নেই!

১১| ২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তবুও আমার মনে বিজ্ঞানকে আমি সহজ ভাষায় বুঝাতে পারছি না।

আপনি পারছেন বুনোগান । ঠিকভাবে উপলব্ধি না হলে আমি এই মন্তব্য করতাম না । আমি আসলে সামগ্রিক অর্থেই কথাটা বললাম । মানে একদম সরলিকরণ অর্থে । তাই হয়তো এমনটা বোঝাচ্ছে । আমি বলতে চাইছি এই যে রূপান্তর প্রক্রিয়া এটি কিন্তু অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ববান হবার মূল প্রক্রিয়া নয় । পূর্ণ অস্তিত্ববান হবার যে বিকাশ কার্যক্রম তাই হল রূপান্তর প্রক্রিয়া !!

যদি দয়া করে আপনার সেই পোস্টের লিংকটা দিতেন তবে ভালো হয় !!

২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ঠিকই বলেছেন, অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব রূপান্তর নয়। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সিস্টেমে অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব একই সাথে ঘটে, অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব আসে না। সেটা ঘটে কোয়ান্টাম ফিল্ডে তরঙ্গ তৈরি হয় বলে। তরঙ্গের পিক অবস্থা হোল কণা, তরঙ্গের ডাউন অবস্থা হোল এন্টি কণা, আর তরঙ্গের স্পন্দনহীন অবস্থা হোল ভ্যেকিউম অবস্থা অর্থাৎ কণাহীন অবস্থা।
লিঙ্কটি দিলামঃ
সৃষ্টিতত্ত্ব

১২| ২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলেছেন প্রকৃতির সব কিছুই অন্য কিছু থেকে রুপান্তর হয়েছে। ডার্ক এনার্জি রূপান্তরিত হয়েছে কোন বস্তু, কণা বা শক্তি থেকে এটার কোন ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নাই। মনে হচ্ছে ডার্ক এনার্জি নিজে থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে। আবার বিগ ব্যাঙের সময় সম পরিমান ম্যাটার এবং এনটি ম্যাটার তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই এনটিম্যাটারগুলো কোথায় হারিয়ে গেল সেটার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নাই। আপনার কথা মত এগুলির রূপান্তর হতে পারে। কিন্ত সেরকম কোন আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হিসাব আসলে মিলানো যাচ্ছে না। আপনি যতটা সরলীকরণ করেছেন ব্যাপারগুলো এতো সরল না।

বিগ ব্যাঙের আগে কি ছিল এই সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কি ধারণা আছে? থারমোডাইনামিক্স এর সাথে কোয়ান্টাম মেকানিকসের বিরোধ কি মেটানো গেছে? যায় নাই। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার থিউরির সাথে কোয়ান্টামের বিরোধ কি মিটেছে? মেটে নাই। তাই বিজ্ঞানকে আরও অংকে দূর যেতে হবে সৃষ্টিতত্ত্ব প্রকৃত ব্যাখ্যা জানতে হলে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ থিউরিগুলির মধ্যে সমন্বয় করা যাচ্ছে না।

২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪

বুনোগান বলেছেন: এই মহা বিশ্ব একটি সিস্টেম। এর পরিসরের অভ্যন্তরে কোন কিছু সৃষ্টি হচ্ছে না। যা হচ্ছে সেটা পরিবর্তন। এটা এই সিস্টেমের একটি মূল বিধি বা নিয়ম। এটা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ জাত সত্য। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যতিক্রম পাওয়া যায়নি। এই স্বতঃসিদ্ধের উপর বিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে। বিজ্ঞানের যত সূত্র, তত্ত্ব, আবিষ্কার, প্রযুক্তি, প্রাক ধারণা সবকিছু এবং আপনি আমি যে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছি তা এই নিয়মকে সত্য জেনেই করছি। এই নিয়ম আছে বলেই পর্যবেক্ষনের ফল যদি প্রাক ধারনার সাথে না মিলে তখন আমাদের গণনায় ভুল আছে বলে থিওরিটাকে বাতিল করে দেই।
মহা বিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এটা পর্যবেক্ষণজাত সত্য। কিন্তু এই মহা বিশ্বের তাবত দৃশ্যমান বস্তু ও শক্তির হিসেব করে দেখা গেছে প্রাপ্ত ফল দিয়ে মহা বিশ্বের সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির তুলনায় তা অনেক কম। ফলে রুপান্তরের নিয়ম মেনে বিজ্ঞানীরা থিওরি গঠন করেছেন যে বাড়তি কিছু শক্তি বা বস্তু রয়েছে যা আমরা এখনও পর্যবেক্ষণে পাচ্ছি না। এজন্য এদের নাম দিয়েছেন ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক মেটার। এটা এখনও থিওরির পর্যায়ে আছে, প্রমাণিত হয়নি। এবং বিজ্ঞানের যা কিছু এখনও থিওরির পর্যায়ে আছে, এখনও প্রমাণ করা যায়নি সেগুলো রুপান্তরের নিয়ম আছে বলেই প্রাক ধারণা করতে পারছেন এবং পর্যবেক্ষন চালিয়ে যাচ্ছেন। রুপান্তরের নিয়ম না থাকলে কিসের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা অংক কষবেন বা থিওরি দিবেন? আপনি যদি মনে করেন দুই আর দুই যোগ করলে চার নাও হতে পারে, সেখানে যেকোন সময় যে কোন সংখ্যা সৃষ্টি হতে পারে, তাহলে কি আপনি কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারবেন?
বিজ্ঞানীরা এখনও যা কিছু ধারণা করতে পারেন নি সেগুলো নিয়ে গুল গল্প ফেঁদে বসেন না, রুপান্তরের নিয়ম মেনে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকেন। প্রশ্ন গুলোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ৩০ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ব্যখ্যায় বা আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না। পরিবর্তন নীতির সাথে একমত তবে রূপান্তরের আগে তার অস্তিত্বের আর্বিভাব ০ থেকে হওয়া সম্ভব নয় এটা মনে রাখা জরুরী। ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

বুনোগান বলেছেন: মহা বিশ্বের সিস্টেমের অভ্যন্তরে সবকিছুই রূপান্তর। কিন্তু এই মহা বিশ্বের বাইরে কোন কছুর অস্তিত্ব আছে কিনা তা এখনও প্রমাণিত না। এ সম্পর্কে কিছু থিওরি আছে, দেখা যাক কি প্রমাণিত হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.