নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সকলেই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াশীল। আর এই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার শক্তি যোগাচ্ছে প্রকৃতিরই কিছু শক্তি।
প্রকৃতির সব কিছুর মূলে আছে অণু, পরমাণু। পরমাণুর মূলে আছে কোয়ার্ক, লেপটন ও বোজন কণিকা।
মহাবিশ্বের প্রাথমিক মুহূর্তগুলিতে, বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী, মহাবিশ্ব ছিল অবিশ্বাস্য ভাবে উত্তপ্ত এবং ঘন শক্তির আধার। মহাবিশ্ব প্রসারিত এবং শীতল হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন শক্তি ক্ষেত্রগুলি তরঙ্গ গুচ্ছ আকারে বিভিন্ন ধরণের কণাতে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ কোয়ান্টাম শক্তি ক্ষেত্র কোয়ান্টাম কণিকায় রূপান্তরের প্রাথমিক শক্তি যোগায়।
কোয়ান্টাম কণিকায় এক ধরণের স্পিন ধর্ম রয়েছে। কণা পদার্থবিদ্যায়, স্পিন হল প্রাথমিক কণার একটি অন্তর্নিহিত ধর্ম। এটি প্রকৃতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। । ভর এবং বৈদ্যুতিক চার্জের পাশাপাশি, স্পিন কণার আচরণ এবং মিথস্ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কণিকার স্পিন একটি অক্ষের চারপাশে কণার শারীরিক ঘূর্ণন নয়। পরিবর্তে, এটি একটি কোয়ান্টাম যান্ত্রিক ধর্ম যা কণার তরঙ্গ প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত এবং তাদের কৌণিক ভরবেগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
মহাবিশ্ব পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতল হওয়ার পর, ইলেকট্রন এবং কোয়ার্কের মতো কণা একত্রিত হয়ে প্রথম পরমাণু তৈরি করে। প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রনের সমন্বয়ে গঠিত এই পরমাণুগুলি পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রনের কক্ষপথের গতির সাথে সম্পর্কিত একটি অতিরিক্ত ধরনের কৌণিক ভরবেগ প্রদর্শন করে। এই ধরনের কৌণিক ভরবেগ কণার অভ্যন্তরীণ ঘূর্ণন থেকে আলাদা কিন্তু তবুও একটি সিস্টেমের সামগ্রিক কৌণিক ভরবেগ প্রদানে অবদান রাখে।
পরমাণুর কেন্দ্র হল নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসে থাকে প্রোটন ও নিউট্রন। প্রোটন পজিটিভ চার্জ-যুক্ত। তারপরেও স্ট্রং ফোর্স তাদের একত্রিত থাকতে বাধ্য করে।
নিউক্লিয়াস কেন্দ্রের চারপাশে ইলেকট্রন গুলো ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ যুক্ত। নিউক্লিয়াসে প্রোটন এদের আকর্ষণ করে রাখে।
মহাবিশ্বে অণু পরমাণু গঠনের পর এদের ভর মধ্যাকর্ষন শক্তি বা ভর দ্বারা স্পেসের সংকোচনের ফলে কাছাকাছি সকল বস্তু একত্রিত হয়ে গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, ব্ল্যাক হোল গঠন করে। এতে যে গতি প্রাপ্ত হয় সেটা ঘূর্ণন ভরবেগ হিসেবে কাজ করে এবং সকল বস্তুই নিজ বা অন্য কক্ষপথে ঘুরতে থাকে।
আলো হল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের ফলে দূরাগত আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রলম্বিত হয়ে যায়। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ শুধুমাত্র আলোর উপর তার ক্রিয়া করতে পারে।
ছায়াপথগুলোর ঘূর্ণন বেগ এর উপর মহাকর্ষ বলের প্রভাবের চেয়েও অনেক বেশী। ফলে এদের উপর ব্ল্যাক এনার্জি ও ব্ল্যাক মেটারের প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
অণু পরমাণু পরস্পর রাসায়নিক বিক্রিয়া বা বন্ধন দ্বারা বহু প্রকার যৌগিক পদার্থ তৈরি করে। মূলত ইলেকট্রনের চার্জ এক্ষেত্রে শক্তি যোগায়।
জীব দেহের ভিতরে ও বাইরে যত ধরণের কাজ সংঘটিত হয় সেগুলো ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ বা আয়নিক চার্জ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে থাকে।
বস্তুর সকল গতি ও কাজ তাপ থেকে বা মধ্যাকর্ষন বল থেকে শক্তি পেয়ে থাকে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে মহাবিশ্বের সকল বস্তু প্রকৃতিরই কয়েকটি বলের দ্বারা পরস্পর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করছে।
২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
বুনোগান বলেছেন: মুসলমানদের কাছে কোরআন হাদীস সত্য।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
সত্যপীরবাবা বলেছেন: "পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউট্রন। নিউট্রন গুলি পজিটিভ চার্জ-যুক্ত। তারপরেও স্ট্রং ফোর্স তাদের একত্রিত থাকতে বাধ্য করে।
নিউট্রন কেন্দ্রের চারপাশে ইলেকট্রন গুলো ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ যুক্ত। নিউট্রন এদের আকর্ষণ করে রাখে।"
নিউক্লিয়াস হবে।
২৪ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪
বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য আমি মনে হয় লেখার সময় এবসেন্ট মাইন্ডেড ছিলাম। পরমাণুর কেন্দ্রকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াসে থাকে প্রোটন আর নিউট্রন। নিউট্রনের কোন চার্জ নেই। প্রোটনের থাকে পজিটিভ চার্জ। ফলে নিউক্লিয়াস হল পজিটিভ চার্জ যুক্ত। লেখাটা আবার এডিট করতে হবে। ধন্যবাদ আবারও।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সকল শক্তিই প্রাকৃতিক শক্তি, অতিপ্রাকৃতিক শক্তি বা সত্তা বলে কিছু নেই।
চমৎকার পোস্ট।
২৪ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মুসলিম আলেমদের মধ্যে একটা গোষ্ঠী পাওয়া যায় যাদের বলা হয় পরমাণুবাদী । কারণ তারাই মুসলিমদের মধ্যে প্রথম পরমাণুতত্ত্ব প্রচার করে । এরা মুতাজিলাতে প্রথমে থাকলেও পরে মুতাজিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এবং ইসলামি দর্শনে অনেক অবদান রাখেন । যদিও মুসলিমদের এক ইমাম গাজ্জালিকে নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে তাদের নিয়ে কম আলোচনা করা হয় । এদের আমরা চিনি আশ'আরি গোত্র বলে !!
আসলে পৃথিবীতে কিছু নির্দিষ্ট ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে এটা ঠিক । তবে এখানে আমরা এই মন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না যে এখানে কোন নিয়ন্ত্রক নেই । কারণ নিয়ন্ত্রণ ব্যাপারটা প্রথিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও নিহিত থাকে । আমি প্রতিদিন দাঁত মাজি , দাঁত মাজা একটা প্রক্রিয়া বটে তবে সেটা আমার থেকে ভিন্ন তো নয় । আমিই ক্রিয়াটা করে যাচ্ছি । যদিও আমার দাঁত পরিষ্কার হচ্ছে নির্দিষ্ট ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে । কিন্তু এটা বলা যাবে না যে আমি আমার দাঁত পরিষ্কার করছি না , ব্রাশ ও পেস্ট করছে , কিংবা খুলে বললে নির্দিষ্ট ক্রিয়াই কেবল করছে !!
২৫ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
বুনোগান বলেছেন: নিয়ন্ত্রক হচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তি বা বিভিন্ন ফোর্স। ব্রাশের উপর ক্রিয়া করছে আপনার হাতের পেশি। পেশি সংকুচিত ও প্রসারিত হচ্ছে পেশীতে অবস্থিত কোটি কোটি প্রোটিন দ্বারা। প্রোটিনকে শক্তি যোগাচ্ছে ইলেকট্রনিক চার্জ বা আয়নিক চার্জ । মস্তিষ্কের নিউরন তন্ত্রে ইলেক্ট্রো ক্যামিকেল চার্জ কাজ করার তাড়না তৈরি করছে এবং সেই সংকেত স্নায়ু তন্ত্রের মাধমে হাতের পেশিকে উজ্জবিত করছে। পেশীর কোষে যে মাইক্রোকন্ডিয়া থাকে সে পটেনশিয়াল শক্তি সঞ্চয় করে রাখে। আপনি বৃদ্ধ হলে কোষে মাইক্রোকন্ডিয়ার সংখ্যা কমে যায়। পেশী দূর্বল হয়ে যায়। তখন আপনার মস্তিষ্ক সংকেত পাঠালেও প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে পেশী ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মস্তিষ্কের সংকেতও নিউরোন কোষে ইলেকট্রিক্যাল চার্জের ক্রিয়া। অর্থাৎ সবই প্রাকৃতিক শক্তিগুলোর ক্রিয়া কলাপ। মহাবিশ্বের অভ্যন্তরের সকল ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া প্রাকৃতিক চারটি বল দ্বারাই ঘটে। এর বাইরে এমন কোন বল পাওয়া যায়নি যা কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো বলেছেন ,
আমি আমার বক্তব্যে বলেছি , কারণ নিয়ন্ত্রণ ব্যাপারটা প্রথিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও নিহিত থাকে । । আমার বক্তব্যের এই কথাটা যতটা না বৈজ্ঞানিক দর্শন থেকে বলেছি । ততটাই বলেছি ভাষার গূঢ়ার্থের দিক থেকে ।
সে যাক !
আচ্ছা একেকটা বলও তো আরেকটি বলকে প্রভাবিত করছে । আমার শক্তির যোগান না থাকলে এটা ঠিক যে আমার মস্তিষ্কের সংকেতেও কোন কাজ হবে না । কিন্তু প্রশ্ন হলো এখানে প্রভাবিত হবার যে ব্যাপারটা এটাও তো নিয়ন্ত্রণ । এখন একটি বস্তুকে দিয়ে আরেকটি বস্তুকে প্রভাবিত করবার ব্যাপারটা কী নিয়ন্ত্রণ নয় ??
২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৬
বুনোগান বলেছেন: বস্তু সমূহের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া পারস্পরিক। এবং উভয়ই প্রাকৃতিক জগতেরই অংশ।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুসলমানদের কাছে কোরআন হাদীস সত্য।
তার মানে তাঁরা মুসলমান হয়েছে, মানুষ হতে পারেনি।
২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
বুনোগান বলেছেন: এটা মানুষেরই প্রবৃত্তিগত আচরণ। সংখ্যা লঘু মানুষের জ্ঞান শ্রুতি নির্ভর। আর খুব অল্প সংখ্যক মানুষের জ্ঞান অনুসন্ধান নির্ভর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে কোরআন হাদীস কি মিথ্যা?