নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধ্যাত্মিক চিন্তা কোন ধর্মীয় চিন্তা নয়।
'পরম সত্য' কি এবং কোন পথে তার সন্ধান পাওয়া যাবে এই সম্পর্কিত চিন্তাই আধ্যাত্মিক চিন্তা।
আদিকাল থেকেই বহু মুনি ঋষি, দার্শনিক, ধর্মীয় প্রবক্তাগণ এর সন্ধান করেছেন। অনেকে নিজস্ব পথে সন্ধানও পেয়েছেন।
ধর্মীয় প্রবক্তাগণ সরাসরি সৃষ্টিকর্তা হিসেবে 'পরম সত্যের' পরিচয় দিয়েছেন এবং তাকে লাভ করার পথও বলে গেছেন।
অনেকে পরম সত্যের পরিচয় গোপন রেখেছেন কিন্তু তাকে পাওয়ার পথ কি হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অনেকে বলেছেন পরম সত্যকে প্রকৃতির মধ্যে বা সৃষ্টির মধ্যে খুঁজতে হবে, অনেকে বলেছেন জীবের মধ্যে খুঁজতে হবে, আবার অনেকে বলেছেন মানুষের মধ্যে খুঁজতে হবে।
অনেক আধ্যাত্মিক ব্যক্তিরা তো পরম সত্যকে খুঁজে পেয়েছেন এবং তার পরিচয়ও দিয়েছেন, তাহলে তাকে সবার নতুন করে খোজার কি আছে?
কারণ পরিচয় পেলেই পরম সত্যকে পাওয়া যায় না। তাকে পেতে হলে নিজের মনে যে বাঁধাগুলো রয়েছে সেগুলো ক্রমান্বয়ে কঠোর সাধনায় দূর করতে হয়। কারণ পরম সত্য নির্মল। তাকে পেতে হলে প্রথমে নিজেকে নির্মল করে তুলতে হবে।
মনের সবচেয়ে বড় বাঁধা হোল অহংবোধ। কারণ অহংবোধ নিজেকে অন্যের থেকে পৃথক করে ফেলে। কিন্তু 'পরম সত্য' একটাই। তাই এককে আসতে হলে মনের পৃথক সত্তাকে প্রথমে দূর করতে হবে।
একাকী কঠোর সাধনায় এই অহংবোধ দূর করা সম্ভব। অথবা আধ্যাত্মিক গুরুর আদেশ পালন করে করেও সেটা অর্জন করা সম্ভব। অথবা ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতে করতেও সেই অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব। তবে অনুশাসন পালন করলেই নির্মল হওয়া যায় না, অনুশাসন অহংবোধ কমাতে সাহায্য করে যদি তার লক্ষ্য থাকে অহংবোধ কমানো।
জন্মের পর শিশু অবস্থায় মানুষ থাকে নির্মল। কিন্তু তার শ্রেণী অবস্থান তার প্রাথমিক অহংবোধ তৈরি করতে থাকে। বড় হতে হতে সে সবদিক থেকে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চায় এবং তার মধ্যে অহংবোধ বাড়তে থাকে। কারো কারো অহংবোধ এত বেড়ে যায় যে, যেকোনো পন্থা অবলম্বন করতে পিছপা হয় না, পরিশেষে তারা মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠে।
অন্যদিকে 'আমি সবার থেকে ভাল' (আসলেই সে হয়তো ভাল কাজ করে), এই বোধও অহংবোধ জাগ্রত করে। ভাল হওয়া আর নির্মল হওয়া এক জিনিষ নয়।
অহংবোধের কিছু উদাহরনঃ কেউ যখন কেতা-দুরস্ত পোশাক পরিধান করে থাকে তখন সে নিজেকে চারিপাশের কিছু মানুষ থেকে উন্নত মনে করে এবং তার মধ্যে অহংবোধ তৈরি হয়। আধ্যাত্মিক গুরু তখন তাকে সব সময় সাদা বস্ত্র পরিধান করার আদেশ দেন। সে যদি সাদা বস্ত্র পরিধান করতে থাকে তাহলে পোশাক নিয়ে তার যে অহংবোধ ছিল সেটা কমতে থাকে।
এইভাবে ধর্মীয় অনুশাসন অহংবোধ কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু মন বড় বিচিত্র! সাদা বস্ত্র পরেও সে নিজেকে অন্যের থেকে উন্নত এই অহংবোধের শিকার হতে পারে।
তাই উত্তম পথ হোল সরল পথে থাকা, সরল জীবন যাপন করা, নিজের কাজ নিজে করা, অন্যের মনে আঘাত না দেয়া।
আসলে মানুষ নিজের মনের মধ্যে নিজে একা। শুরুতে সে ছিল নির্মল, পরম সত্যের কাছাকাছি। পরম সত্যে পঙ্কিলতা নেই। কিন্তু দিনশেষে পরম সত্য পঙ্কিলতায় চাপা পড়ে যায়।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের ভূ-ভারতে সাদার থেকে গেরুয়া পোশাকের প্রচলন বেশী, হেতু কি বলে মনে হয়?
* ছবিটা বেশ আকর্ষনীয় মনে হয়েছিল কিন্তু হাত আর পায়ের দিকে তাকিয়ে ভিমড়ি খেলাম!! হাটুর নীচে পোশাক গায়ের সাথে মিলে গেছে, দু হাতের আঙ্গুল জোড়া লেগে গেছে। দুপায়ের পাতা আলাদা করে চেনার উপায় নেই। এ আই বড্ড বেশী ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে নাকি?
০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৩
বুনোগান বলেছেন: আমার মনে হয় সম্প্রদায়গত পার্থক্য করার জন্য বিভিন্ন রং ও ছাঁটের পোষাক পরিধান করা হয়। কিন্তু এতেও অহংবোধ তৈরি হয়ে যায়।
এ আই এখনও শিখছে। এখনও নিপুন হতে পারেনি।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নিমো বলেছেন: আপনি নিয়মিত লিখেন না কেন ? আপনার লেখাগুলোয় গভীর জীবন-বোধ থাকে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লিখার চেয়ে পড়তে বেশী ভালবাসি। তবে চেষ্টা করব।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: পরম সত্য বলে কিছু নাই।সকল সত্যই সর্তসাপেক্ষে সত্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:২১
বুনোগান বলেছেন: আছে কি নাই, থাকলে সেটা কি; এগুলোই মানুষের চিরায়ত জিজ্ঞাসা।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
বুনো, you're my favourite.
আধ্যাত্মিক চিন্তা কোন ধর্মীয় চিন্তা নয়।
সঠিক। তৃতীয় নয়ন বা ইনার আই দিয়ে সত্যকে জানার গভীর সাধনা।
খুব কম মানুষই হয়তো পারে সেই জায়গায় পৌঁছাতে, কিন্তু পারে।
সাদা শান্তির প্রতীক। পোশাকের অহংবোধ ছাড়াও মানুষের বিবিধ অহংবোধ আছে।
সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে সাদা পোশাক হয়তো এনাফ না।
তৃতীয় নয়নের সাধনায় তাদের মাঝে থাকে অহংকারহীন নির্মল সারল্য।
বুনোর আজকের লেখাটা তুলনামূলকভাবে ছোট।
আরও লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকবো।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪
বুনোগান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার উপলব্ধির সাথে সহমত। পোশাক একটি উদাহরণ মাত্র। যেমন অনেকের সুন্দর মুখ নিয়ে অহংবোধ তৈরি হয়। তখন গুরু আদেশ দেন মুখে ছাই মেখে চলতে। এখানে ছাইটা মুখ্য নয়, মুখ্য হোল কিছুদিন ছাই মেখে চললে শিষ্যের সুন্দর মুখের অহংবোধটা চলে যায়। চিন্তাশীল লোকের ছাই মেখে চলার দরকার নাই। সহজ, সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলে অহংবোধ এমনিতেই কমে যাবে।
লেখাটি ছোট কিন্তু এর মধ্যে গভীর চিন্তার খোরাক আছে। একে আরও বেশী সম্প্রসারনের সুযোগ ছিল।
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার মৃত্যুর ১০০ বছরের ও কম সময়ের মধ্যেই তিনি যেই নারী সমাজকে অবরোধ বাসিনী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছিলেন মুক্ত এক জগতে সেই নারী সমাজ ধীরে ধীরে কোন এক অশুভ শক্তির তৎপরতায় ধীরে ধীরে নিজেদেরকে আবার কালো কাপড়ের ভিতরে আবদ্ধ করে ফেলেছে । একটা সময় আসবে হয়তো তারা অবরোধ বাসিনী রূপে আবারও অবরুদ্ধ হয়ে যাবে!
০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:২৩
বুনোগান বলেছেন: 'আমি নারী হতে উত্তম, তাই তারা আমার অধীনে থাকবে' - পুরুষের এই অহংবোধ সমাজকে কুলষিত করেছে।
তবে এর পেছনে সুদীর্ঘ আর্থ সামাজিক কারণ রয়েছে।
সামাজিক জ্ঞানে সমতার ধারণা বৃদ্ধি করতে হবে। এই দায়িত্ব আপনার আমার সকলের।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: "পরম সত্য" এই কথাটাই প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম, আপনি মনে করিয়ে দিলেন।
তবে আপনি "পরম সত্য" কী এটা ব্যাখ্যা করেন নি, করলে আলাপ করতে সুবিধা হতো।
বাই দ্যা ওয়ে, আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথের কথোপকথন টা কী পড়েছিলেন? তাদের সেই কথোপকথনে রবীন্দ্রনাথ "পরম সত্য" নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন।
আর মনে পড়ে হেগেলের "এবস্যুলুট" বা "পরম সত্ত্বার" ধারনা। আর ভারতীয় দর্শনের ব্রহ্মা কিছু আলাদা।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তিনি এক জন সাধুবাবা।
দরবশে বাবা।