![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডঃ মিজানুর রহমান ফকীর নেত্রকোনায় নিজ শহরে ছুটিতে বেড়াতে গেছেন। বাজারে স্বর্নকারের দোকানে তাকে একটি মুদ্রা দেখানো হয়। আরবি হরফযুক্ত কাচা টাকা। তিনি দেড়শ টাকায় সেটা কিনে নেন। প্রাচ্যকলা বিভাগে তার সাথে গল্পের সময় বিষয়টি তিনি তোলেন। আমি মুদ্রাটি দেখতে চাইলে দেরাজ থেকে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় সেটা বের করেন। দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে ছবি তুলে বাসায় চলে এলাম। এরপর বইপত্র আর নেট ঘেটে বুঝা গেল বাংলার স্বাধীন সুলতান নাসির উদ্দীন নুসরাত শাহের মুদ্রা আমরা পেয়েছি। বাংলায় সে সময় বিভিন্ন ধরণের মুদ্রা চালু করেছিলেন সুলতান। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকশাল বসিয়েছিলেন। আলোচ্য মুদ্রাটি সম্ভবত কিশোরগঞ্জ টাকশালের উৎপাদিত।
এটি ২০ থেকে ২৫ গ্রাম ওজন, ব্যস-১ ইঞ্চি, ধাতু-রূপা।
ছবিতে পাঁচটি লাইনের প্রথম লাইনে লেখা আছে- আল সুলতান
দ্বিতীয় লাইনে লেখা আছে- বিন আল সুলতান নাছের
তৃতীয় লাইনে লেখা আছে- আল দুনিয়া ওয়া আল দ্বীন
চতুর্থ লাইনে লেখা আছে- আবু আল মুযাফ্ফর
পঞ্চম লাইনে লেখা আছে- নুসরত শাহ
অপর পাশের ছবি পরে দেয়া হবে।
সাধারণভাবে দেখলে এটি কুফি এবং মুহাক্কাক লিপির মিশ্রন বলা যায়। লেখার চারপাশে বৃত্তের বাইরে বর্ডারে পেচানো দড়ির নকশা দেখে সে সময় পাটজাত দ্রব্যের মটিফ মনে হয়। অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক দিয়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল বলে ধারণা হয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে- তখন সাধারণ মানুষের আরবি লিপি এবং ভাষা সম্পর্কে ভাল ধারণা ছিল। এ মুদ্রায় সাল উল্লেখ আছে ৯৩৪হিজরী মোতাবেক ১৫২৭ ইসায়ি।
©somewhere in net ltd.