নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন থেকে নেয়া-৫ ( বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন সেই কাদের )

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২০



পুলিশী নির্যাতনের কারণে প্রস্তুতি নিয়ে ৩১তম বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হয়নি। মাস্টার্স পরীক্ষা থাকার কারণে ৩২তম বিসিএসেরও প্রস্তুতি নিতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল কাদের। শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষা দেন।



স্বপ্ন ছিল পুলিশ অফিসার হবেন। তাতে হোচট খেলেও কাদের এখন খুশি। খুশি কাদেরের পরিবারের সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার ৩৩তম বিসিএসের প্রকাশিত ফলে তাকে রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।



২০১১ সালের ১৫ই জুলাই রাতে খিঁলগাও এলাকা থেকে কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ডাকাতির পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে।



খিলগাঁও থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাতাল পুলিশ তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মুক্তি দাবিতে আন্দোলন হয়।



পরে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে মুক্তি মেলে কাদেরের। মিথ্যা প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশের সব মামলা। তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের দায়ে খিলগাঁও থানার ওসি এবং পুলিশের এক এসআইকে বরখাস্ত করা হয়।



আদালতের নির্দেশে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও করেন কাদের।



স্বপ্নের খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নকে ছুঁতে না পারলেও খালি হাতে ফেরেন নি কাদের। সবকিছুর পর শেষ হাসি তিনিই হাসলেন। পুলিশ কর্মকর্তা না হতে পারলেও তাকে সরকারি কলেজে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি।



ফল ঘোষণার পরপর কাদের বলেন, আমি অনেক খুশি। তবে স্বপ্ন পূরণে আবারো পরীক্ষায় বসব।



কাদেরের বয়স এখন ২৭ বছর চলছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । আরও ৫ বছর সরকারি চাকরির পরীক্ষায় তিনি অংশ নিতে পারবেন। তাই প্রথম বিসিএসেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও শিক্ষকতায় যোগ দিয়ে সেখান থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান কাদের।



তিনি বলেন, আমি খুশি। চাকরিতে যোগ দেব। চাকরিটা খুবই দরকার। পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন পূরনে কঠোর পরিশ্রম করবেন বলেও তিনি জানান।



জীবনের প্রথম চাকরির পরীক্ষায় ছেলে সফল হওয়ায় খুশি কাদেরের মা-বাবা। উচ্ছাস ভরা কণ্ঠে মা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি আর ওর বাবা (আব্দুর রউফ) খুবই খুশি। পুলিশ হতে পারলে আরো ভালো লাগতো।



কাদের এর বাবা আব্দুর রউফ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ছিলেন থানা শিক্ষা অফিসার। বর্তমানে এলপিআর-এ আছেন।



ঢাবির প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাশ করে বর্তমানে কাদের একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। ২০০২ সালে কুমিল্লার শ্রীমন্তপুর এমএ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কাদের জিপিএ-৪.৩৮ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০০৪ সালে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে তিনি জিপিএ-৩.৯০ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৫-০৬ সেশনে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

-ক্যাম্পাস লাইভ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

আরজু পনি বলেছেন:
স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক আমাদের সামনে ...

সালাম রইল এই অধ্যবসায়ী মানুষটির জন্যে ।।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ। কোনকিছু এমন মানুষকে রুখতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.