নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্মান পড়ালেখা, কালচার ও কিছু এলোমেলো কথা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪৭

জার্মান পড়ালেখা ১ ||

আমেরিকাতে যদিও প্রাইভেট স্কুলগুলো খুবই খরুচে এবং সরকারী স্কুলগুলোর তুলনায় প্রাইভেট স্কুলগুলো অনেক উচ্চমানের পড়ালেখার প্রতিশ্রুতি দেয় (তাই গরীব শিক্ষার্থীদের ভাল লেখাপড়ার সুযোগও বেশ কম আমেরিকাতে) কিন্তু জার্মানীতে প্রাইভেট স্কুল নেই বললেই চলে, সবই সরকারী স্কুল এবং সরকারী স্কুল গুলোই পড়ালেখার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখে। ধনী গরীব নির্বিশেষ তাই সবাই এদেশে সরকারী স্কুলগুলোতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আমেরিকানদের ১২ বছর পর্যন্ত হাই স্কুলে পড়ানোর পদ্ধতির মত সমমানের একটি পদ্ধতি জার্মানিতে ‘গেজামশুলেন’ নামে পরিচিত ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এটিকে রক্ষণশীলরা সমমাত্রিক হিসেবে আখ্যায়িত করে এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে। বর্তমানে ট্রেডিশনাল জার্মান পাবলিক স্কুল পদ্ধতিতে ছোটকাল থেকে ১০ বছর পড়াশুনা করার পর তারা ছাত্রছাত্রীদেরকে ৩ টি ভাগে ভাগ করে ফেলে। তাদের মধ্যে যারা খুবই মেধাবী এবং ব্যক্তিগতভাবে সুচ্চরিত্রের অধিকারী শুধুমাত্র তারাই ‘গিমনাজিউম’ নামক সবচেয়ে ভাল শ্রেণীর স্কুলে ভর্তি হতে পারে এবং পরবর্তীতে শুধুমাত্র গিমনাজিউম শিক্ষার্থীরাই আমাদের দেশের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মত জার্মানীর ‘আবিটুয়ার’ ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তাই এই গিমনাজিউম যদিও স্কুল লেভেলের পড়ালেখা কিন্তু তা আসলেই অনেক উঁচুমানের। অনেক ক্ষেত্রে আমেরিকার কলেজগুলোতে প্রথম দুই বছরে যা যা পড়ানো হয় তা এই গিমনাজিউমে স্কুল লেভেলেই জার্মানদের পড়ানো হয়। তবে গিমনাজিউম ব্যতীত অন্য দুই স্কুলের ছাত্রদের জন্যও স্কুল পরিবর্তন করা সম্ভব। কিন্তু এটি বাস্তবে খুবই কঠিন একটি কাজ (জার্মানরা কখনই নিয়ম বহির্ভূত কাজ করতে চায় না!) এবং খুবই বিরল। তাই এইদেশের মোট জনসংখ্যার বেশ কম অংশ (প্রায় ৩৩%) ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী অর্জন করে যা আমেরিকাতে প্রায় ৫০% এর বেশী। এর আরও একটি কারন হচ্ছে জার্মানীতে ডিগ্রী অর্জনে লম্বা সময়। যেমন, আমেরিকাতে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রীতে ৪ বছর লাগলেও (যেটি পাঠ্যক্রমের তুলনাতে জার্মানীর ‘ফোয়ারডিপ্লোম’ সমমানের) জার্মানীতে ‘ডিপ্লোম’ করতে লাগে ৫-৭ বছর যা আসলে অন্যান্য দেশের মাষ্টার ডিগ্রী সমমানের। তবে বর্তমানে জার্মানী ডিপ্লোম ডিগ্রী থেকে সরে এসে ব্যাচেলর এবং মাষ্টার ডিগ্রী কোর্স চালু করেছে সমগ্র ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সাথে জোট বেঁধে একই মান বজায় রাখার উদ্দেশ্যে; এবং বিদেশী ছাত্রছাত্রীদেরকে আকর্ষণ করতে।



লেখাটি বিসাগ ( বাংলাদেশি স্টুডেন্ট ও এলাম্নাই এসোসিয়েশন ইন জার্মানি) "জার্মান প্রবাসে" একটি মাসিক বিসাগ প্রকাশনা শাওন সূত্রধর এর লেখা আর্টিকেল এর কিছু অংশ । আর দুটি ঘটনা রয়েছে লেখাটিতে। জার্মানি ও জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশী স্টুডেন্ট দের দিনকাল ও জার্মানিতে পড়াশুনা ও আর অনেক কিছু জানতে ও পড়তে লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

বেলা শেষে বলেছেন: I had studied most of your writing...
একবার করে হলেও আমি আপনার "Blog" দেখবো এবং পড়বো ।
Salam & Respect to you...
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
...good writing , good post,
Thenk you very much

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৯

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.