![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবির ছোট্ট মেয়েটি অ্যাঙ্গেলা ডরোথি কাসনের। হামবুর্গে জন্ম নেয়া ছোট্ট এই মেয়েটিই পরবর্তীতে খ্যাত হয়ে উঠেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নারী হিসেবে। আমাদের সবার কমবেশি চেনা 'আইরন ফ্রাউ' খ্যাত জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।
মাত্র তিন বছর বয়সেই অ্যাঙ্গেলার পরিবার চলে আসে বার্লিনের অদূরে টেমপ্লিন নামক জায়গায়। স্কুলে থাকাকালীন সময়ে অ্যাঙ্গেলা রাশিয়ান ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। রাশিয়ান ও গণিতে অসাধারন সাফল্যের কারনে অর্জন করে নেন মস্কো ঘুরে আসার সুযোগ। পদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহের কারনে
১৯৭৩ সালে তিনি পাড়ি জমান ইউনিভার্সিটি অফ লাইপজিগে। ১৯৭৭ সালে উলরিখ মের্কেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলে আসেন পূর্ব বার্লিনে এবং রিসার্চার হিসেবে বার্লিনের একাডেমি অফ সাইন্সেস-এ যোগদান করেন অ্যাঙ্গেলা। কিন্তু তিন বছরের মাথায়ই তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৮৯ সালে অ্যাঙ্গেলা যোগদান করেন রাজনীতিতে। ১৯৯১ সালে ৩৬ বছরের অ্যাঙ্গেলা হেলমুট কোহলের সরকারের অধীনে নারী এবং যুব বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন। এসময়ে তিনি 'Gleichberechtigungsgesetz' বা সম-অধিকার আইন প্রনয়ন করেন, যা ছিল জার্মানিতে নারীদের পেশাগত পরিস্থিতি উন্নয়নের অনেক বড় পদক্ষেপ। ১৯৯৪ সালে তিনি নিযুক্ত হন পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে। তাঁর অধীনেই এ সময়ে বার্লিনে প্রথমবারেরমত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, শুরু হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমানোর প্রথম উদ্যোগ। ১৯৯৮ সালে তিনি কেমিস্ট্রির প্রফেসর ইয়োয়াখিম সাওয়েরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
২০০৫ সালে প্রথম বারের মত জার্মানিতে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন কোন নারী, শুরু হয় মের্কেল যুগের। পর পর তিন বার চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়ে ডয়েচল্যান্ডকে তিনি পরিণত করেন মের্কেলল্যান্ডে। শুধু জার্মানিই নয়, বরং সমগ্র ইয়োরোপের ডি ফ্যাক্টো লিডার হয়ে উঠেন মের্কেল। ইয়োরোপের অর্থনীতিতে তাঁর ভূমিকা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে বলা হয়ে থাকে, ইউরোর ভাগ্য নির্ভর করে মের্কেলের হাতে। ইয়োরোপে সবচেয়ে বেশী সময় ধরে ক্ষমতাসীন নারীর পদবিটিও তাঁর ঝোলায়। মজার ব্যাপার হল তাঁকেই একসময় জার্মানির সরকারী একটি চাকুরীর দরখাস্তে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
ইয়োরোপের হাজারো ঝামেলা যাঁর কাঁধে, তিনি আবার ফুটবলের বিশাল ফ্যান। বিভিন্ন সমস্যা সামাল দিয়েও তাঁকে প্রায় পৌঁছে যেতে দেখা গেছে জার্মানির হাই-ভোল্টেজ ফুটবল ম্যাচগুলোতে।
গ্রীসের নিভু অর্থনীতি অথবা জার্মানির নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট সমস্যা কোনটাতেই সমালোচকদের তোপের মুখে পিছপা হন না তিনি। 'মাখটফ্রাউ'(macht frau) বা 'মুট্টি' (Mutti) - তকমার পাশাপাশি নিন্দুকেরা তাঁকে 'ফ্রাউ নাইন'(Frau Nein) ডাকতেও ছাড়েননি। কিন্তু তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ শান্ত, ঠাণ্ডা মাথায় নিজের পরিকল্পনা থেকে সরেননি। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বাক্য 'স্টেপ বাই স্টেপ' দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন জার্মানি তথা সমগ্র ইয়োরোপকে।
কয়েক বছর আগে নারীদিবস উপলক্ষে 'বিল্ড' পত্রিকায় দেয়া তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ বাংলায় পড়তে পড়ুন নারী দিবসের বিশেষ সংখ্যা জার্মান প্রবাসে ।সকল নারীর প্রতি সম্মানার্থে আমরা এবারের ম্যাগাজিন জার্মান প্রবাসে সাজিয়েছি শুধুমাত্র নারীদের লেখা দিয়ে। জার্মানিতে অবস্থানরত নারীদের মধ্যে অনেকেই বহু বছর যাবৎ জার্মানিতে অবস্থান করছেন, নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছেন আবার কেউ বা সদ্য পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু বিসাগের প্ল্যাটফর্মে তাঁদের পদচারণা তুলনামুলকভাবে অনেক ক্ষীণ। তাই আমাদের চেষ্টা তাঁদের চোখ দিয়ে আরেকবার জার্মানিকে আপনার কাছে তুলে ধরা। জার্মান প্রবাসে – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪
http://bsaagweb.de/bsaag-magazine-march-2014/
ধন্যবাদ
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৪৪
উদাস কিশোর বলেছেন: দারুন পোষ্ট
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১
হাসিব০৭ বলেছেন: নারী দেখলেই ভয় লাগে তবে এইরকম নারী দেশের গর্ব
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের দেশের নারী নেত্রীরা কবে এমন হবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে স্টেপ বাই স্টেপ।
দুর্দান্ত পোষ্ট +++
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে আপনাদের মূল্যবান ও উৎসাহমূলক মন্ত্যব্যের জন্য । আপনাদের মন্তব্য আমাদেরকে অনুপ্রানিত করে।
আমাদের নারীদিবসের বিশেষ সংখ্যায় যা যা এবারের আয়োজনে আছেঃ
# নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্বলতার ছাপ রেখে চলা তিনজন জার্মান প্রবাসি বাংলাদেশী নারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে রইল উত্তরণে নারী।
# এছাড়া শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, তানজিয়া ইসলাম, সাঈদা জাহান বৃষ্টি এবং রত্না রায়ের লিখায় থাকল প্রত্যেকের নিজ নিজ অনুভবে নারীদিবসের ভাবনা এবং জার্মানি।
# রূপবতী শহর প্রাগ ভ্রমণকাহিনীতে শ্রাবস্তী ধর তুলে ধরেছেন তাঁর ব্যক্তিগত অভজ্ঞতায় প্রাগ শহরের মনোরম বর্ণনা।
# জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সংক্ষিপ্ত জীবনাবলী এবং নারীদিবস উপলক্ষে তাঁর দেওয়া একটি অনুবাদিত সাক্ষাৎকার নিয়ে রইল আইরন ফ্রাউ।
# এছাড়াও আমাদের প্রতিবারের আয়োজন কুইজ তো থাকলই। সবশেষে অভিনন্দন আমাদের এবারের কুইজ বিজয়ী ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বাংলাদেশ থেকে রাশেদ আল আমিনকে।
এবারের সংখ্যাটি পৃথিবীর সেই সমস্ত নারীদের প্রতি উৎস্বর্গ করা হল কালে কালে যুগে যুগে অত্যাচারের শিকার হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও মানুষের জন্য কাজ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
জার্মান প্রবাসে – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪
http://bsaagweb.de/bsaag-magazine-march-2014/
৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আমাদের দেশে হবে সেই নারী কবে?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে !
৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আমাদের দেশে হবে সেই নারী কবে?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ! - সহমত
তবে এটাও সত্য আমাদের আশেপাশে এমন প্রচুর নারী আছেন যাদের অবদান সমাজের প্রতি কোন অংশে কম নয়। কিন্তু তারা রয়ে গিয়েছেন আড়ালে!!
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শূভকামনা।
১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে আপনাদের মন্ত্যবের জন্য ।
বই/ম্যাগাজিন/পত্রিকা নিয়ে আমরা কত আলোচনাই না করি!
জার্মান প্রবাসে এটি সম্পূর্ণরুপে স্বেচ্ছাসেবী এবং অরাজনৈতিক প্রয়াস।কটু পড়ে যদি রিভিউ দেন তাহলে অশেষ উপকার হয়। আর কি কি যোগ করা যায় তাও জানাতে পারেন আমাদের। আপনার একটা চাওয়া, একটা মন্তব্য অথবা আপনার কোন অভিজ্ঞতা ভাগ করুন না আমাদের সাথে! চটজলদি লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবাই!
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
লেনন রাসেল বলেছেন: ভাল পোস্ট!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:২৩
নিয়েল হিমু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট