![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ট্যুর প্যানে চার্লস ব্রিজ আর তার অপর পাড়ে বিয়ার ফ্যাক্টরি ট্যুর আগেই সেট করা ছিল। গত রাতেই আমাদের ক্লাস টিচার বলে রেখেছে সকাল ১০.৩০ এ আমরা বেরুব । কিন্তু পুলাপান ভোর রাত পর্যন্ত Wenceslas Square আর দ্বিতীয় দফায় বাসায় ফিরে সকাল ৬ টা পর্যন্ত আড্ডা দিলেও ঠিকই ১০.০০ টার সময় সবার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বের হবার জন্য।
প্রবাসে পরিভ্রমন ৪ - ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - প্রাগ ভ্রমন-১
প্রবাসে পরিভ্রমন ৫ - ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - প্রাগ ভ্রমন ২
প্রবাসে পরিভ্রমন ৬- ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - ছবিতে প্রাগ ন্যাশনাল মিউজিয়াম
ছেলেরা মোটামুটি তাড়াহুড়া করে রেডি হয়ে গেলেও প্রব্লেম হল মেয়েদের নিয়া তারা মেকাপ আর সাজগোজ নিয়ে এত ব্যাস্ত আর টাইম নিল যে বাধ্য হয়ে তাদেরকে রেখেই ১১.০০ টায় আমরা বের হয়ে গেলাম । প্রাগ যে কারনে বিখ্যাত তার মধ্যে অন্যতম হল বিয়ার। আমাদের ক্লাস টিচার আগেই বিয়ার ফ্যাক্টরিতে ইমেল করে তাদের কাছ থেকে টাইম নিয়ে রেখেছিলেন , আর তাদের রেস্ট্রুরেন্টে টেবিল রিজার্ভেশন ও দিয়ে রেখেছিলেন। তাই বাকিদের রেখেই বের হতে হল।
যেহেতু আমাদেরকে সেখানে যেতে চার্লস ব্রিজ মানে Vltava ব্রিজ পাড় হয়ে যেতে হবে। তাই আজকের সারাদিনের প্ল্যান মোটামুটি চার্লস ব্রিজ বিয়ার ফ্যাক্টরি আর তার আশে পাশে ঘুরে দেখা।
যেহেতু চার্লস ব্রিজ নিয়ে কথা হচ্ছে তাই এর সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক। ইনফগুলো অবশ্যই উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।
Charles Bridge (চার্লস ব্রিজ ) প্রাগের Vltava নদীর উপরে তৈরি ঐতিহাসিক ব্রিজ, যেটির কন্সাকশন কাজ ১৩৫৭ সালে রাজা চার্লস ৪ এর সময় শুরু হয় । আর শেষ হয় ১৫ শতকে। ১৮৭০ সালের আগে এই ব্রিজটি স্টোন ব্রিজ বা প্রাগ ব্রিজ নামে পরিচিত ছিল। ৬২১ মিটার দীর্ঘ আর ১০ মিটার প্রস্থ এ ব্রীজ প্রাগে ক্যাসেল আর প্রাগ অল্ড টাউনের মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে । ব্রিজের দু পাশে ৩ টি প্রোটেকশন টাওয়ার রয়েছে যার ২ টি অল্ড টাউন সাইটে আর অন্যটি লেজার কোয়ার্টার্ড সাইটে। ব্রিজের দুপাশে ৩০ টা উপরে পুরোনা ও ঐতিহাসিক ট্যাটু বা ট্র্যাকচার রইয়েছে যেগুলো কিনা ১৭০০ সালের দিকে তৈরি করা হয়েছিল , কিন্তু সেগুলো সময়ে সময়ে রিপেয়ার করা হয়েছে। কোনটা ছেড়ে কোনটার ছবি যে উঠাব ঠিক করতে পারি নি।
উইকিপিডিয়া থেকে সেই পুরানো দিনের কিছু ছবি দেখা যাক।
১৮৪৮ সালের ওল্ডটাউনের পাশে সেই প্রাগ ব্রিজ।
১৯০৩ সালে চার্লস ব্রিজ
এবার চলুন আজকের Vltava নদী আর তার কিছু ছবি দেখা যাক । অবশ্যই আমার তোলা ছবিতে
এক কথায় অসাধারন একটা দৃশ্য
এবার প্যানারোমা ভিউতে Vltava নদী
এবার চলুন ছবিতে চার্লস ব্রিজ আর তার আসে পাশে কিছু দৃশ্য দেখি
এই ছবিটা আমাদের ইতালিয়ান ফ্রেন্ড লুকার তোলা যে কিনা দেরি করায় পরের লেডিস গ্রুপের সাথে এসেছিল ।ব্রিজের দুইপাশে যে টাওয়ারের কথা বলেছিলাম সেগুলো
ব্রিজের উপরের একটি স্ট্যাচু লুকার ক্যামেরায়। সামার টাইম হওয়ায় প্রচুর লোকজন থাকায় একে একে সব কয়টা স্ট্যাটুর ছবি তোলা সম্ভয় হয় নি। আর প্রতিটা স্ট্যাটুর সামনেই হাস্যময়ী লোকজনের ছবি তোলার হিড়িক থাকায় স্ট্যাটুর সিঙ্গেল ছবির সাথে জীবন্ত মানুষের ছবি চলে আসতেছি। তাই বেশি ছবি উঠাতে পারি নি। তার পরেও কইয়েকটা ছবিতো তুলতেই হয়।
এবার চলুন ব্রিজের উপর থেকে নদীর দুপাশের কিছু সুন্দর সুন্দর আর নদীর কিছু অপরুপ সৌন্দর্য দেখে নেওয়া যাক
ব্রিজ পার হয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্চি বিয়ার ফ্যাক্টরির দিকে। একেতো সামার তার উপরে পরিস্কার রৌদ্রউজ্জল একটা দিন । তাই প্রচুর লোকজন আশে পাশে।
আমরা এগিয়ে যাচ্চি সামনের দিকে। এখন শুধু খাড়া উপরের দিকে হাটতে হবে মানে পাহাড়ের উপরের দিকে উঠ তে হবে। কিন্তু রাস্তাটা একটু একটু করে উপরের দিকে উঠে যাওয়ায় শুরুতে বুঝা না গেলেও কিছুক্ষন পরেই একেক জন টের পাচ্ছে যে উপরে উঠতে হচ্ছে।
আমাদের গন্তব্যস্থল এইখানে ।
আজকে না হয় এখানেই থাক। আগামী লেখায় বিয়ার ফ্যাক্ট্ররি আর তার আশে পাশের কিছু ছবি দিয়ে না হয় প্রাগ ট্যুর শেষ করব। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ দা , আপনার মন্তব্য উৎসাহ যোগায়।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
সোহানী বলেছেন: এবারের পর্বটা তো দেখি জোস্ । আমার আবার নদী খুব পছন্দ তো ..........। তবে স্টাচুগুলার সাথে জার্মান স্টাচুর মিল আছে অনেক।
বরাবরের মতই ভালো লাগা।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, নদী না আমারও ভাল লাগে। মজার কথা কি জানেন,আমার কাছে না সব স্ট্যাচুই এক রকম লাগে ।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো তবে বেশি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল পোস্ট
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,সামনের পর্বটা না হয় একটু বড় করেই লিখব।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুধের স্বাধ কি ঘোলে মেটে
ব্লগে ভ্রমনের কথা আর কি সত্যিকারের দেখার স্বাদ.. আহ কি সূখ!!
তবুও ধন্যবাদ। ঘোল না পেলে যে ঘোলই খেতে হতো
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার।