নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে পরিভ্রমন ৯- ক্যাবল কারে চড়ে জার্মানীর দীর্ঘতম ও পৃথিবীর প্রথম ক্যাবল লাইন পরিভ্রমন

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৪১

জার্মান জীবনের প্রথম ৯টি মাস যে শহতে কেটেছিল ব্যাস্ততা ও বাস্তবতার কারনে সে শহরটি ও ভালকরে দেখা হয়নি। সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবরতী ফ্রাইবুর্গ শহরটি ট্যুরিস্টদের সমাগমে মুখর থাকে সারা বছরই । বলা হয়ে থাকে এ শহরে নাকি সবচেয়ে বেশি সময়ে সুর্যের আলো থাকে, শীতকালে যেহেতু প্রচুর ঠান্ডা ও তুযার পরে তাই সুর্যের আলো একটি গুরুত্বপুর্ব বিষয়। বছর খানেকের বেশি হয়ে গেছে সে শহরটি ছেড়ে এসেছি, কিন্তু পুরুনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাতের জন্য মাঝেই মাঝেই সে শহরে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘুরে দেখা হয় তেমন একটা। নতুন সেমিস্টারে এডমিশন নিয়ে পুরুনো বন্ধুরা ইত্যিমধে সে শহর ছেড়ে অন্য শহরে মুভ করার অদূর ভবি্য্যরে সে শহরে যাওয়া হবে না, সেই ভেবে এক বদ্ধুকে যে কিনা কয়েকদিনের মধ্যে এ শহর ছেড়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দুরের আরেক শহরে চলে যাচ্চে তাকে প্রস্তাব করলাম এ শহরের কিছু আকর্যণীয় স্থানে ঘুরে দেখার । আর সেই প্ল্যান থেকেই Schauinslandbahn শাওইন্যাসবান এ চড়ার প্যান। ইতিহাস বলে এটি পৃথীবির প্রথম মিউচুয়াল কেবল অপারেশনের কেবল কার। আর জার্মানীর দীর্ঘতম ক্যাবল কার লাইন।



যেটি জার্মানির Black Forest এলাকায় Baden-Wrttemberg রাজ্যের অবস্তিত। ৩.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ক্যাবল লাইনে করে ২০ মিনিটে প্রায় ১২২০ মিটার উপরে Schauinsland পাহাড়ের চুড়ায় পৌছা যায় এ কারে করে। 17 July 1930 সালে চালুর পরে 1987/88 সালের পর রিকন্টাকশন করে ৪ জনের বেশি লোকজন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জার্মানির প্রথম অটোমেটিক কেবলকার এ রুপান্তর করা হয়।



1 January 2009 সাল থেকে ১০০% গ্রিন এনার্জি ব্যবহার করে এটি পরিচালনা করা হচ্ছে।



অনেকতো কথা হল এবার চলুন ছবিতে ঘুরে আসি Schauinsland আর ব্ল্যাক ফরেস্টের প্রাকৃতিক সোন্দর্যে।



আমাদের যাত্রা শুরু হচ্ছে ফ্রাইবুর্গ শহর থেকে। আমরা প্রথমে ট্রামে তার পর বাসে করা আমাদের নিদ্রিস্ট গন্ত্যবের যাব। এইতো দেখা যাচ্ছে আমাদের কাঙ্খিত ট্রাম


আমি উঠছি উঠে দেখি আপনাদের জন্য যায়গা আছে কিনা?

হ্যা এখনো অনেকগুলো ছিট ফাকা আছে তাই তাড়াতাড়ি উঠে ফাকা সিটে নিজের দখল নিন। তা না হলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।

মাত্র মিনিট দশেকের পথ আর রাস্তার দুপাশের সবুজের সমারহ চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ।


নিজেদের মাঝে টুকটাক গল্প আর রাস্তার দুপাশের ব্ল্যাক ফরেস্টের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখনযে আমাদের ট্রেনের শেষ গন্ত্যবে চলে এসেছি টেরই পাওয়া গেল না।

এবার ট্রেন থেকে নেমে বাসে উঠতে হবে। এইতো আমাদের বাস দেখা যাচ্ছে। আর ২ মিনিট পরেই ছাড়বে তাই তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে পড়ুন।

উচু নিচু আর আকা বাকা পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাস। মিনিট ১৫ এর মধ্যেই আমরা আমাদের গন্ত্যবে চলে এসেছি। এবার নেমে পড়ুন কারন এটাই বাসের শেষ স্টপেজ না তাই তাড়াতাড়ি নেমে পড়ুন।

এইতো আমাদেরকে স্বাগতম জানাছে


সবাই আসছেতো নাকি কেউ বাসে রয়ে গেছে। সবাই থাকলে আর দেরি না করে চলুন ঢুকে পরি।

দেয়ালে এলাকার ম্যাপ আর কিছু ইনফো দেয়া আছে, সেগুলো দেখতে দেখতেই সামনে এগূনো যাক।



এইতো সামনে টিকেত কাউন্টার দেখা যাচ্ছে।পাশেই টিকেটের দাম সহ লিস্ট । অনেকেই ক্যাবেল কারে করে শুধু উপরে গিয়ে তার পরে বাইকে করে বা পায়ে হেটে নিচে নাম। ৩.৫ কিলোমিটার পথা তাও পাহারী পথ তার উপরে আমরা সংখ্যায় অনেকে তাই আমরা যাওয়া ও আসার টিকেট কাটি

১২ ইউরো লাগবে টিকেটের জন্য । মজার ব্যাপার হল আমরা যে ট্রাম ও ট্রেনে এসেছি সেই কোম্পানিই এই ক্যাবেল কার সার্ভিস প্রোভাইড করে তাই আমরা যেহেতু ট্রামের টিকেট কেটে এসেছি তাই আমাদের ডিসকাউন্ট প্রাইজ ৯ ইউরো।

এবার তাহলে সামনে যাওয়া যাক । এইতো এন্ট্রেন্স দেখা যাচ্ছে চলুন তাহলে ভেতরে ঢুকা যাক


টিকেটযে কাটলাম এইটা আবার স্ক্যান করে ভেতরে ঢুকতে হবে

আমাদের ফ্রেন্ড আগে যাচ্ছে সে তার টিকেট স্ক্যান করে ঢুকতেছে

সো আমরা ঢুকে পরলাম ক্যাবল কারে

এই পথে আমাদের ক্যাবল কার বেরিযে যাবে


যাত্রা হল শুরু

আমরা ইতিমধ্যে কিছু দূর এসে গেছি। এই যে ছোট ঘরটা দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হছেছিল।

এবার আর কোন কথা হবে না চুপচাপ ব্যাক ফরেস্টের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার পালা


চার পাশের প্রকৃতি

নিচের পাহারের মাঝখানে আকাবাকা পথ

২ পাশের ২ লাইন ধরে একের পর এক ক্যাবল কার চলে যাচ্ছে



নিচের দৃশ্য


আশে পাশের দৃশ্য


চলতে চলতে প্রায় ২০ মিনিট সময় পেরিয়ে আমরা আমাদের গন্ত্যবের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এইযে উপরের ব্লিল্ডিংটা দেখা যাচ্ছে সেটা আমাদের শেষ গন্তব্য স্থল

এখানে একটা রেস্ট্রুরেন্ট ও আছে। আর ব্ল্যাক ফরেস্টের ভেতরে কোথায় কোথায় ট্র্যাকিং এ যেতে পারবেন তারও প্ল্যান দেয়া আছে এখান।

আমার এনার্জি নাই তাই আমি এই রেস্ট্রুরেন্টে একটু সময় থেকে আবার ব্যাক করব । ততক্ষনে আপনারা আশে পাশ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। মনে রাখবেন লাস্ট ক্যাবল কার ৬ টায় তাই বিকাল ৬ টার আগে ফেরত আসবেন আশা করি । তা না হলে পায়ে হেটে নিচে নামতে হবে কিন্ত

এইতো নিচে ফ্রাইবুর্গ শহর ও তার আশে পাশের এলাকা দেখা যাচ্ছে

এবার তাহলে ফেরার পালা । যে পথে এসেছি সে পথেই ফেরত যাব। আসার সময় ছবি তুলতে তুলতে চারপাশটা ক্যামেরার চোখে দেখেছি এবার না আর কোন ছবি নয় শুধু প্রকৃতিকে নিজের চোখে দেখব। আর আপনাদের জন্য ইউটিউভ থেকে দুটো ভিডিও দিচ্ছি যেখানে চারপাশের প্রকৃতিকে সুন্দর করে তুলে আনা হয়েছে । একটা ভিডিও সামারে আর একটা উইন্টারের।


এবার তাহলে দেখুন উইন্টারে তুযারের মাঝে ব্ল্যাক ফরেস্টের সুন্দর্য্য


ইতিমধ্য আমরা চলে এসেছি। এবার বিদায় নেবার পালা। আবার দেখা হবে আগামী কোন গন্ত্যবে । সবাই ভাল থাকবেন।
*****************************************
লেখাটির কিছু ছবি নিয়ে একটা লেখা জার্মানি থেকে প্রকাশিত আমাদের ম্যাগাজিন জার্মান প্রবাসের অক্টোরব সংখ্যা-২০১৪তে প্রকাশিত হয়েছে । জার্মানিতে বসবাসরত আমাদের সুখদুঃখের কথা আরো জানতে পারেন জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিনে - http://www.germanprobashe.com/archives/1251 ধন্যবাদ

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:২১

জাফরুল মবীন বলেছেন: বাহ্ দারুণ লাগল আপনার কেবল কার ভ্রমণ!সেখান থেকে তোলা ছবিগুলোও চমৎকার লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্ত্যবের জন্য আর আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ভাল থাকবেন।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++

চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট :)

ভালো থাকবেন ভ্রাতা :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ভাল থাকবেন।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লেগেছে...আপনার সাথে কিচ্ছুক্ষন আমিও ঘুরে বেড়ালাম কেবল কার এ.. :D

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: আহ্ মনে করিয়ে দিলেন আবার..... আপনাকে পানিশমেন্ট দেয়া হবে। আবার যে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ... সবুজ বন, ক্যাবল কার, শুভ্র বরফ...

চমৎকার লিখা আর ছবির জন্য ++++++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, অনেক দিন হল লিখি না, দেখেন না সেপ্টেম্বরে ভ্রমন নিয়ে কিছু লিখি নি। এই ট্যুরটাও জুলাইমাসের , কিন্তু লিখলাম অক্টোবরে । আরো ৩ টা প্লেস ঘুরেছি এই ট্যুরের সময় কিন্তু লেখার টাইম একদমই পাচ্ছি না।

চলে আসেন কোন এক সময় ব্ল্যাক ফরেস্ট আসলেই অসাধারন , বিশেষ করে চাদনী রাতে । ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ যতসব ছবি। ধন্যবাদ। ++

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৮

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , ভাল থাকবেন।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ, যাবার ইচ্ছা আছে। ;)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৯

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভ কামনা রইল। ভাল থাকবেন ।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে জব ভিসা নিয়ে যাওয়া যায় কিনা ??

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: যায় না সেটা বলা ভুল , তবে অনেকটাই কঠিন।সে ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল সহ ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি জার্মান ভাষার দক্ষতা অত্যাবশ্যক ।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

জনাব মাহাবুব বলেছেন: কেবল কার-এ চড়তে মুঞ্চায় :( :( :(

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: বাংলাদেশের কাপ্তাইয়ে নবনির্মিত "শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক" এ নাকি চালু হতে যাচ্ছে । আশা করি আপনার শখ ও পুরন হবে । ভাল থাকবেন ।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার সাথে সাথে আমরাও ঘুরে এলাম। ভালোলাগা পোস্টে। বাংলাদেশের কাপ্তাইয়ে নবনির্মিত "শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক" গিয়েছিলাম রোজার ঈদের পর, ওখানকার ২.২ কিমি পথের ক্যাবলকারে চড়তে, কিন্তু তখনো চালু হয় নাই, বলেছিল কুরবানির ঈদে চালু করবে, টিকেটের মুল্য ৩৪০ টাকা রাখা হয়েছে। আল্লাহ জানে কেমন হবে...

ভালো থাকুন, আর নতুন নতুন ভ্রমণ পোস্ট দিতে থাকুন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: শুনে ভাল লাগল, আশা রাখছি সামনে আপনার কাছ থেকে সেটা নিয়ে একটা চমৎকার লেখা পাব। দেশে এমন ভাল কিছু হোক সেই কামনা করি । পাশাপাশি ভয়ও লাগে না শেষে যমুনা ফিউচার পার্কের রাইডের মত হয়ে যায়। তার পরেও হোক । ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.