![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। ঐ বিষয়ে লেখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে সত্যকে সত্য বলার একটা চেষ্টাও করি। কারো ভাল না লাগলে কিছু করার নাই।
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম নাস্তিকতা নিয়ে একটা লেখা লিখব। বিষয়টা খুব কনট্রভারসাল তাই ইচ্ছা থাকা সত্তেও অনেক সময় লেখা হয়নি। যাইহোক, আজকে একটু অবসর ছিলাম তাই লেখেই ফেললাম।
প্রথমে বলে রাখি একটি লোক, ধার্মিক হোক, আস্তিক হোক, নাস্তিক হোক এটা তাঁর একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমি মনে করি তাঁর
সম্পূর্ণ অধিকার কাছে তাঁর আদর্শ নিয়ে স্বাধীনভাবে চলার , তাঁর মতামতকে প্রকাশ্যে বলার যেঁ আমি নাস্তিক বা আমি ধামিক। দুর্ভাগ্যবশত নানা সমস্যা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারনে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। মধ্যযুগে ইহুদিদের ইউরোপে প্রকাশ্যে নিজেদের হিহুরি বলা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিশেষ করে স্পেন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মত দেশে। ভারতীয় উপমহাদেশেও প্রাচীরকালে অনার্যদের ভাল চোখে দেখা হত না। আর বর্তমানে পশ্চিমের দেশগুলোতে মুসলমানদের আর মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কিছু দেশে নাস্তিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে। যাই হোক ,সেটা আমার ব্লগের মুল বিষয় না। তবে এটা বলে রাখলাম এ জন্য যাতে আমাকে কেউ রেসিস্ট না মনে করে। নাস্তিকরা যদি আমার প্রশ্নের উত্তর দেয় তাহলে আমার মনে হয় ব্লগ কি সার্থকতা পাবে।
প্রথমে বলি নাস্তিক বলতে আসলে আমরা কি বুঝি। ইংরেজিতে যাকে বলে Atheist । Atheist কে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় "Lack of Theistic Belief" বা যার মধ্যে আস্তিকতাঁ লোপ পেয়েছে। নাস্তিকও প্রায় একই অর্থ বুঝায়। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে নাস্তিক নামে না + আস্তিক। অর্থাৎ যে আস্তিক না। সেই হিসেবে ঈশ্বরকে যারা বিশ্বাস করে না তারা সবাই নাস্তিক। Atheist এর ক্ষেত্রে তাঁর ঈশ্বরের কোন ব্যাপারে বিশ্বাস না থাকলে (হোক সেটা আংশিক বা সম্পূর্ণ) সেই atheist.
আমি ব্যাক্তিগতভাবে কোন নাস্তিককে চিনি না। চিনলে হয়তো ব্লগটা লিখার দরকার পরতো না, তাঁর থেকেই জেনে নিতে পারতাম ( যদি সে জ্ঞানি নাস্তিক হয়ে থাকে তাহলে)। তাই আমি ঘেটে দেখলাম বেশ কিছু তথাকথিত নাস্তিকদের সাক্ষতকার। কিছুদিন আগে DW আসিফ মহিউদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল সেটাও একটু কাজে লেগেছে। মুল কথা হচ্ছে নাস্তিকরা বলে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের অস্তিত্বওর কোন প্রমান ওয়া যায়নি তাঁর মানে ঈশ্বর নেই।
ব্যাপারটা আমার কাছে খুব অবাক করলো। আমি বুঝতে পারলাম না কিভাবে তারা এই ক্লেইমটা করতে পারে? তাঁর মানে হচ্ছে ঈশ্বরের একটা সংজ্ঞা তাদের কাছে আছে। সংজ্ঞাটা আসলে কি। অনেকে হয়ত বলতে পারে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে যেভাবে সঙ্গায়িত করা হয়েছে সেটাই তো। কিন্তু এখানেই আমার প্রস্ন। প্রথমত তারা তো ধর্মীয় গ্রন্থে বিশ্বাস করে না। তাহলে তারা কিভাবে ধর্মীয় গ্রন্থের ঈশ্বরের সংজ্ঞাকে গ্রহনযোগ্য মনে করলো ?
এখন ধরুন "আসিফ" একজন নাস্তিক। আসিফকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ? তিনি বললেন না। তাঁর মানে হচ্ছে
১. সে জানে ঈশ্বরের সংজ্ঞা কি
২. সে সেই সংজ্ঞার সাথে তাঁর যুক্তি মিলিয়ে বলছেন যে ঈশ্বর নেই।
এখন ধরুনই আসিফ আগে মুসলিম ছিল। এখন সে নাস্তিক। হয়ত সে ঈশ্বরের সংজ্ঞা বলতে আল্লাহকে বুঝিয়েছেন। আর আল্লাহর বৈশিষ্ট্যর সাথে সে অস্তিত্বযোগ্য কিছু পাচ্ছেন না। কিছু সে কিভাবে আল্লাহর সংজ্ঞাকে ঈশ্বরের সংজ্ঞা কিভাবে গ্রহন করতে পারে যখন কিনা সে মানেই না আল্লাহর সংজ্ঞা সে বইইয়ে আছে সেটা সঠিক? মানে এখানে সে বিশ্বাসই করলো সে এটাই আল্লাহর সংজ্ঞা। তাই না? নাহলে সে সরাসরি না বলে কিভাবে ?
এখন হয়ত অনেকে বলবেন তাহলে নাস্তিকদের উচিত আগে যেঁ তাকে জিজ্ঞেস করবে তাঁর থেকে আগে তার স্রষ্টার সংজ্ঞা জানার। পরে বলার যে সেই সংজ্ঞার স্রন্টা কি আছে কি না।
হ্যাঁ, এটাও হতে পারে। কিছু যদি এটা হয় তাহলে নাস্তিকতা কি একটা ভুল কনসেপ্ট হল না ? এখন ধরুন সেই আসিফকেই একজন লোক যার নাম "মুস্ফিক" সে বলল " আমি মনে করি মহাবিশ্বই স্রষ্টা, আমার কাছে। তাহলে কি ঈশ্বর আছে ? " । আসিফ হয়তো বলবে, " হ্যাঁ আছে , কারন মহাবিশ্ব আছে। "
তাহলে হয়ত মুস্ফিকের কাছে আসিফ আস্তিক। তাহলে আসিফ আসলে কি !! সে কি একাধারে আস্তিক ও নাস্তিক উভয়ই। নাকি আসিফ তাঁর সংজ্ঞার নিজের ঈশ্বরের সংজ্ঞার ব্যাপারে অহংকারি ।
যদি আগে সংজ্ঞা জেনে তাঁরপর ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব নির্ধারণ করতে হয় তাহলে তো "নাস্তিকতা"র কোন ভিক্তিই থাকলো না। আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নতুন বলেছেন: সৃস্টিকতা যে আছে তার প্রমান যেমন নাই তেমনি সৃস্টিকতা` নেই তেমন প্রমানও এখনো নাই।
সেই হিসেবে কেউই বলতে পারেনা যে সে নাস্তিক কারন সৃস্টিকতা নেই তার প্রমান পেয়েছে।
সবোচ্চ agnostic বলতে পারে।
আর আমাদের আসলে এই আস্তিক/নাস্তিক ইসু বাদ দিয়ে সমাজের অনেক জটিল সমস্যা রয়েছে সেই গুলি নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
ক্যাটম্যান বলেছেন: Agnosticism ও তো ভুল কনসেপ্ট। কেননা একজন Agnostic এর মতে, ঈশ্বর কাছে কি নাই সেটা অজানা বা যেটা জানা সম্ভব নয়। " সেও তো ঈশ্বরকে নিজের মত করে সঙ্গায়িত করে নিল। উপরের ব্লগের একটা বড় অংশ Agnosticism এর উপরও খাটে।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ম্যাও ম্যাও প্যাও প্যাও এর শেষ কোথায়?
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি তো একটা প্রতিপাদমান সাবজেক্ট গুলিয়ে ফেলছেন। সৃষ্টিকর্তা শব্দটা নিয়েই তো যত আপত্তি।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
ক্যাটম্যান বলেছেন: যখন একজন ধর্ম মানে না, তাঁর কাছে ঈশ্বরের সংজ্ঞাগ্রহনযোগ্যতা পায় কিভাবে? কারন যেই সংজ্ঞাকে মাথায় রেখে সে নাস্তিক সেই সংজ্ঞা তো তাঁর দৃষ্টিমতে মানুষেরই দেয়া। আর সেই মানুষের দেয়া সংজ্ঞা (যেটা সে মনে করে) তাঁর উপর নির্ভর করেই নাস্তিক/এগনসটিক হয়েছে । তাহলে এই নাস্তিকতা বা সংশয়বাদের ভিক্তি কি ?
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: Agnosticism ও তো ভুল কনসেপ্ট। কেননা একজন Agnostic এর মতে, ঈশ্বর কাছে কি নাই সেটা অজানা বা যেটা জানা সম্ভব নয়। " সেও তো ঈশ্বরকে নিজের মত করে সঙ্গায়িত করে নিল। উপরের ব্লগের একটা বড় অংশ Agnosticism এর উপরও খাটে।
আসলেই কি মনে হয় যে সৃস্টিকতার অস্তিত্বের প্রমান করা সম্ভব হবে?
আমার মনে হয় না। তাই্ আমি এই বিষয়ে চিন্তাকে বেশি গুরুত্বপূন মনে হয়না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
ক্যাটম্যান বলেছেন: সম্ভব হোক বা না হোক। মুল কথা হচ্ছে যখন একজন ধর্ম মানে না, তাঁর কাছে ঈশ্বরের সংজ্ঞাগ্রহনযোগ্যতা পায় কিভাবে? কারন যেই সংজ্ঞাকে মাথায় রেখে সে নাস্তিক সেই সংজ্ঞা তো তাঁর দৃষ্টিমতে মানুষেরই দেয়া। আর সেই মানুষের দেয়া সংজ্ঞা (যেটা সে মনে করে) তাঁর উপর নির্ভর করেই নাস্তিক/এগনসটিক হয়েছে মানুষ।
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার ক্লিয়ার আইডিয়া থাকতে হবে নাস্তিকতা ও সংশয়বাদিতা এক নয়।
নাস্তিকতায় একজন বুদ্ধিমান প্রাণি নিজেকে নিশ্চিত এক বিশ্বাসের বলয়ে নিজেকে রাখেন এবং কোন প্রকারের অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন।
প্রকৃত পক্ষে নাস্তিকতার জীবনমুখী সংজ্ঞাটাই দেখা উচিত যেখানে একজন নাস্তিক নিজেকে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে নিজের জীবনকে নিয়ে ভাবতে পারেন ও নির্বাহ করতে পারেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
ক্যাটম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার প্রতিউত্তরের জন্য। আমি জানি নাস্তিকতা ও সংশয়বাদিতা এক নয়। নাস্তিক তাঁর ক্লেইমের মাধ্যমে একটা অনড় জায়গায় দাড়িয়ে যায় যেঁ, ঈশ্বর নেই। আমার কাছে এটাও একটা অন্ধত্ব আর কিছুটা অহংবোধই মনে হয়। কারনটা আমি ব্লগেই বুঝিয়েছি।
আর জীবনমুখি সংজ্ঞাটা আমি কেন দেখবো ? যখন নাস্তিকরা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কথা বলে তখন তারা তো ধর্মের মৌলিক উদ্দেশ্যকে দৃষ্টিগোচর করে। কারন ধর্মের প্রতিটি ক্লেইমেই যদি কেউ শুধু " ধর্মের জীবনমুখী উদ্দেশ্য" ই দেখে তাহলে ধর্মকে পরখ করা আর সঠিককে বের করে আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। নাস্তিকতাকেও প্রশ্নের সম্মুখীন করার সময় "জীবনমুখী" হওয়া উচিত না।
নাস্তিকতা যেকোন বিষয়ে আস্থামুক্ত। মানে কোন বিষয়ে সে যদি ভুল হয় আর যুক্তিপ্রমান অন্য কথা বলে। তাহলে তারা যুক্তিপ্রমান সহজেই মেনে সেই। সেই ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজেকে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে নিজের জীবনকে নিয়ে ভাবতে নাস্তিক হওয়াই একমাত্র পন্থা না। আর আমার মতে সেই আদর্শ মৌলিক দিক থেকেই ভুল সেটা না মানাই উচিত। আপনি নাস্তিক না হয়ে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে নিজের জীবনকে নিয়ে ভাবতে তো দোষের কিছু নেই।
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: নাস্তিকতা"র কোন ভিক্তিই থাকলো না
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: এভাবে নাস্তিকতার সমালোচনা করে আসলে তেমন লাভ হয় না।অনেক নাস্তিকের বিশ্বাসই ধর্মীয় গোঁড়ামির মত আরেকপ্রকার গোঁড়ামি। তারা আপনার কথা কিছুতেই মেনে নেবেন না। কোন গোঁড়ামিই কিন্তু সমর্থন করা যায় না।
আপনি বরং নাস্তিকদের প্রধান যুক্তিগুলো একের পর এক খণ্ডন করে যেতে থাকুন। দেখবেন তাহলে অজ্ঞ ও গোঁড়া নাস্তিকরা আপনার সাথে কথা বলার ঝুঁকি নেবেন না।
আর বিজ্ঞ নাস্তিকদের সাথে বিতর্ক ( তর্ক নয় ) করে আপনি আরও জ্ঞানার্জন করতে পারবেন।আপনার ধর্ম বিশ্বাসও আরও পরিস্কার হবে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১২
ক্যাটম্যান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, দরবেশমুসাফির
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনার কেন্দ্র হচ্ছে নাস্তিকতার সাথে বিকর্ষনমূলক। আপনি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে দেখতে না পেরে সুষ্পষ্ট সংজ্ঞায়িত থিওরীতে গোল পাঁকিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে লাভ নেই। বসে থাকেন আপনার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে। কেউই আপনাকে খোঁচাতে আসবে না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০
ক্যাটম্যান বলেছেন: আমি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে না। আমি মনে করি স্কেপটিকাল মানুষের আসলেই দরকার আছে। আর অধিকাংশ নাস্তিকই ধর্মান্ধ থেকে অনেক বেশি স্কেপটিকাল। তবে যে কারনে নাস্তিকরা ধর্মকে মানে না সেটা তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও বর্তায়। আশা করেছিলাম ব্লগের কোন ভুল আপনারা ধরিয়ে দিবেন সেটা না করে আমাকে বলছেন " বসে থাকেন আপনার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে"।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যদি আগে সংজ্ঞা জেনে তাঁরপর ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব নির্ধারণ করতে হয় তাহলে তো "নাস্তিকতা"র কোন ভিক্তিই থাকলো না। আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।
ওয়াও,,, বেশ বলেছেন
আই গট ইয়ূর পয়েন্ট..........চিন্তার নতুন একটা মাত্রা পাওয়া গেলো
তবে এসব নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো,আল কোর'আনের ভাষায়,''তোমাদের প্রতি সালাম''।
তাদের সাথে আলোচনায় কোনো লাভ নেই।সংশয়বাদীদের কাছে কখনো কোনো সমাধান থাকেনা।তারা পারে শুধুমাত্র সমস্যাই চিন্হিত করতে।তারচেয়েও বড় কথা নিজেদের যুক্তিবাদী বল্লেও এরা কিন্তু যুক্তির ধার ধারেনা,পুরোপুরি ব্রেইন ওয়াশড্।যখনই সমাধানের পথে এগুবেন তখনই তারা লাফ দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাবে........মোদ্দা কথা বিতর্কই বৃথা।
*সবাই নয়,তবে বেশীরভাগ।বিশেষ করে দেশীয় স্বল্পশিক্ষিত নব্য নাস্তিক যারা।এরা মৌলবাদীদের চেয়েও অনেক বেশী চরমপন্থী,হিংস্র এবং উগ্রবাদী।(আজকাল এটা অনেকটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষ একটা শ্রেণীর কাছে।মাঝে মাঝে তাদেরকে নাস্তিক কম ইসলাম বিদ্বেষী বেশী মনে হয়।)
চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।প্রিয়তে রাখলাম।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০ ০
লেখক বলেছেন: আমি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে না। আমি মনে করি স্কেপটিকাল মানুষের আসলেই দরকার আছে। আর অধিকাংশ নাস্তিকই ধর্মান্ধ থেকে অনেক বেশি স্কেপটিকাল। তবে যে কারনে নাস্তিকরা ধর্মকে মানে না সেটা তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও বর্তায়। আশা করেছিলাম ব্লগের কোন ভুল আপনারা ধরিয়ে দিবেন সেটা না করে আমাকে বলছেন " বসে থাকেন আপনার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে"।
কোন কারনে নাস্তিকরা ধর্ম মানে না?? (আপনার ধারনা থেকে বলেন)
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৭
ক্যাটম্যান বলেছেন: ধর্মের ব্যাপারগুলো তাদের সাথে যুক্তিযুক্ত মনে হয় না কারন সেটার হয়ত প্রমান নেই অথবা যেটা বলা আছে সেটার সাথে সাঙ্ঘরসিক কিছু প্রমান পাওয়া গিয়েছে। সেটা বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, গাণিতিক, নৈতিক; যেকোন কিছু হতে পারে।
যখন একজন লোক বলছে " আমি নাস্তিক, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি না" তখন সে মনের মাঝে একটা ঈশ্বরের সংজ্ঞা বানিয়ে নিচ্ছে আর সেটার উপর ভিক্তি করে নিজেকে নাস্তিক দাবি করছে। কিন্তু সেই সংজ্ঞার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু ? মনের মাঝে এভাবে একটা সংজ্ঞা চিন্তা করে নিজেকে নাস্তিক বলা মানে হচ্ছে আপনি মেনে নিয়েছেন ঈশ্বরের সংজ্ঞা ঐটা ( নাস্তিকের মনের সংজ্ঞা)। সেটাও তো একটা যুক্তিবিহীন, প্রমানহীন একটা সংজ্ঞার চয়ন নয় কি। এ জন্যই বলেছি " যে কারনে নাস্তিকরা ধর্মকে মানে না সেটা তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও বর্তায়"
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাইরে। কেউ চিন্তা করে নাস্তিক হয় না। নাস্তিক হয় জগতের বিমুঢ় কিছু রহস্য জানার প্রতিক্রিয়ায়। অবশ্য বাংলাদেশের নাস্তিকরা হয়েছে অবাধ্যতার উপর বেজ করে।
আসলে ধর্মের সাথে নাস্তিকের দুরত্ব খুব বেশি নয়। একজন নাস্তিক নিজেকে অসাধারণ কিছু ভাবে না। সে নিজেকে জাস্ট একটা হোমো সেপিয়েন্সের সদস্য মনে করে। অপরের মতকে সে অশ্রদ্ধ্যাও করে না।
আর ইশ্বরের সংজ্ঞা কোন নাস্তিকই মন থেকে চয়ন করে না। জগতের আর ১০ টা মানুষ যে কল্পিত শক্তির কাছে মাথা নত করে কেবল ঐটাই সে চিহ্ণিত করে বর্জনের এক আদর্শিক সংগ্রামে লিপ্ত হয়। ব্যস।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
ক্যাটম্যান বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে ১০টা মানুষ ১০ ভাবে চিন্তা করে। ধরেন একজন ক্লাসিক্যাল গ্রিক ধর্মের জিউসকে ঈশ্বর মনে করে, আরেকজন হয়তো শিবকে ঈশ্বর মনে করে। আরেকজন হয়তো আল্লাহকে, অনেকের কাছে জগত নিজেই ঈশ্বর। আপনি একাধারে ১০টা মানুষের কল্পনাকে এক করতে পারবেন না। যখন করবেন তখন আপনার উত্তরের গ্রহনযোগ্যতা হারাবে।
১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমার একটা ধারণা শেয়ার করলাম, সময় পেলে দেখে নিয়েন...স্রষ্টার ধর্মচিন্তা
আমি মনে করি, স্রষ্টার বিশালতা আর আমাদের অজ্ঞতা দুটোই অসীম...
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
ক্যাটম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় নিয়ে পড়বো আশা করি।
১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
রাশেদ বিন রাদ বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম, ভাই আমি মুসলিম- মৃত্যর পর আমার ধর্মে নাস্তিকদের আসতে দেব না।
হিন্দুরা ভাইয়েরা -মৃত্যর পর আমার ধর্মে নাস্তিকদের আসতে দেব না।
বুদ্ধ ভাইয়েরা- মৃত্যর পর আমার ধর্মে নাস্তিকদের আসতে দেব না।
খ্রিষ্টান ভাইয়েরা- মৃত্যর পর আমার ধর্মে নাস্তিকদের আসতে দেব না।
ইহুদি ভাইয়েরা- মৃত্যর পর আমার ধর্মে নাস্তিকদের আসতে দেব না।
তাহলে মৃত্যুর পর নাস্তীকদের লাস কবর দেওয়া যাবেনা। মাটিতে পুতে ফেলা যাবে না। আগুন দিয়ে জ্বালনো যাবে না্ । ঝুলানো যাবেনা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
ক্যাটম্যান বলেছেন: কোন ধর্মের মানুষ কোন অধিকারে বলে একজন মানুষকে মৃত্যুর পর কি করা হবে কি হবে না ? সে যেটা ইচ্ছা করতে পারে। যাই হোক, cryonics ও কিন্তু একটা অপশন হতে পারে।
১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ম্যাও ম্যাও প্যাও প্যাও এর শেষ কোথায়?
১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
জেন রসি বলেছেন: আপনাকে যদি বলি ভূতে বিশ্বাস করেন??
তাহলে কি উত্তর দিবেন?
যদি বলেন না তাহলে কি ধরে নিব আপনি ভূতকেই সংজ্ঞায়িত করছেন!
আপনার বিশ্লেষণটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় নাই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
ক্যাটম্যান বলেছেন: যখন আমাকে এই প্রশ্নটা করা হবে তখন আমিও আমার নিজের পারসেপ্সন থেকে ভুতের একটা সংজ্ঞা চিন্তা করে সে অনুযায়ে উত্তর দেই। ধরুন আমাকে যখন প্রশ্ন করা হল " ভূতে বিশ্বাস করেন?? " আমি প্রথমে চিন্তা করবো ভুত কি। আমার পারসেপ্সন বলবে একটা অশরীরী প্রান। অনেকের কাছে এর সংজ্ঞা হতে পারে মৃত ব্যাক্তির আত্মা। কোন সাধারণ মুসলিমকে প্রশ্ন করলে সে হয়ত পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন "আপনি কি জীনের কথা বলছেন? যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বিশ্বাস করি।" (তখন যে ধর্মীয় সংজ্ঞাটা এখানে নিয়ে আসবে।) সে হয়তো জিন-ভুত বিশ্বাস করে। কিন্তু মৃত্যু ব্যাক্তির অতৃপ্ত আত্মাকে সে বিশ্বাস করে না।
আমার প্রশ্নটাও সেটাই। আস্তিকত্ব বা নাস্তিকত্ত পুরোটাই নির্ভর করে "ঈশ্বর" এর সংজ্ঞাকে আপনি কিভাবে নিয়েছেন তাঁর উপর।
১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩ ০
লেখক বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে ১০টা মানুষ ১০ ভাবে চিন্তা করে। ধরেন একজন ক্লাসিক্যাল গ্রিক ধর্মের জিউসকে ঈশ্বর মনে করে, আরেকজন হয়তো শিবকে ঈশ্বর মনে করে। আরেকজন হয়তো আল্লাহকে, অনেকের কাছে জগত নিজেই ঈশ্বর। আপনি একাধারে ১০টা মানুষের কল্পনাকে এক করতে পারবেন না। যখন করবেন তখন আপনার উত্তরের গ্রহনযোগ্যতা হারাবে।
১০ টা মানুষের চিন্তার মৌলিকত্ব এক। ভাবার্থ সেইম। কেউ একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। সৃষ্টির সূচনা নিয়ে অভিন্ন মৌলিক ভাবনা। এটা অস্বীকার করে লাভ নাই ভায়া।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
ক্যাটম্যান বলেছেন: পেনথিএজম আর মনথিএজমের মৌলিক ভাবার্থ কিভাবে এক হয়, এটা আমার বুঝতে পারছি না। অন্য ইজমের কথা বাদই দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন । ধন্যবাদ।