নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুখকে পাওয়ার জন্য সবসময় স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।

সব কিছুতেই স্বচ্ছতা চাই।

ধূ ধূ

সব কিছুতেই স্বচ্ছতা চাই।

ধূ ধূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের কাহিনী

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

৪/১/১৪ তারিখ দুপুর ২টা৩০ এ আমি আমার ৪জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আর ৮জন পোলিং অফিসার নিয়ে কেন্দ্রে পৌছাই। কেমন যেনো নিজেরে অনেক বড় হইয়া গেছি টাইপ মনে হচ্ছিলো। অনেকটা কলেজে ভর্তি হওয়ার পর যেমন মনে হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনের টুকটাক কাজ করতে করতে ভালোই কেটেছে। তারপর থেকেই একের পর এক ফোন আসতে থাকে জৈন্তাপুর এ বিভিন্ন কেন্দ্রে ককটেল হামলা হচ্ছে। আমরা সবাই এক রুমে ঢুকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন আমাদের কেন্দ্রে ককটেল ফুটবে... কিন্তু আমাদের হতাশ করে দিয়ে রাত দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখলো। কিন্তু ককটেল আর ফুটলোনা। তারপর হতাশ মন নিয়া ঘুমাইতে গেলাম। কিন্তু যেই ঠান্ডা পরছিলো, তার মধ্যে মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকা খুবই টাফ। সহকর্মীদের হস্তক্ষেপে বালিশ, বিছানা আর কম্বল পাইলাম। যেই মাত্র একটু ঘুম ধরছে এমন সময় আমাদের কেন্দ্রের মেইন গেটে চিল্লাচিল্লি। আমাদের সিকিউরিটির পুলিশ এসে আমাকে ডাকতে লাগলো। আমিও তারাতারি উঠে খুব ভাব সাব নিয়ে দরজা খুললাম যে কোন ঝামেলা হচ্ছে কিনা।হমম ঝামেলা হয়ছে। আমাদের কেন্দ্রের সামনে কে যেনো পেট্রোল বোমা ঢিল মাইরা গেছে। কিন্তু ফুটে নাই। তারাতারি বের হয়ে বোতল টা দেখে মেজাজ গেলো আরো বিগরাইয়া, কোন **** জানি অর্ধেক বোতল পানি ঢিল মাইরা গেছে। ধুর, আবার ঘুমাইতে গেলাম। কিছুক্ষন পর আবার ডাকাডাকি। এবার কিছু হয়ছে, আমি শিওর। না, দেখি আসছে বিজিবি। কিন্তু ততক্ষনে ককটেল হামলা শেষ। কিছুক্ষন আজাইরা গেজাইয়া উনারা চলে গেলেন। আর ঘুমাইতে পারলাম না।

পরদিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন এর সব কিছু রেডী করে আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি ভোট নেয়ার জন্য। যেহেতু কক্টেল হামলা হয় নাই সেহেতু ভোটার আসবে। কিন্তু.....এবারও আমরা হতাশ। আমাদের ধৈর্যের চরম পরীক্ষা নিয়া অবশেষে বেলা ১২টার দিকে একজন ভোটার আসলো ভোট দেয়ার জন্য। চরম ব্যস্ততার ভাব সাব দেখিয়ে উনার ভোট গ্রহন সম্পন্ন করা হলো। আবার রেস্ট......

অবশেষে ভোটিং এর টাইম শেষ হলো। সারাদিন আজাইরা বইসা থাকার পর ভোট গননা শুরু করলাম। মোট ২৬০০ ভোটের মধ্যে ৩৪৬ ভোট কাস্ট হয়ছে।

নৌকা প্রতীক পায়ছে ২৮০ ভোট আর বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য একটু মায়াই লাগতে ছিলো। উনি পেয়েছে ৬০ ভোট। আর ৬টা ভোট বাতিল হয়েছে।

যাই হোক অবশেষে মনে হইলো, এইটা কি কেন্দ্র রে বাপ। ককটেল নাই, ভোটও নাই। চরম হতাশ হইয়া,

ভোটের রেজাল্ট কেন্দ্রে টানাইয়া কেন্দ্র ছারি। তারপর বিজিবির এসকর্টে (যদিও এইটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমি সন্দিহান) সেন্টার ত্যাগ করে উপজেলার কন্ট্রোল রুমে যাই।



এই প্রথম একটা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু গল্প করার মতন কোন কাহিনীই হইলোনা.......

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

মদন বলেছেন: উত্তেজনাহীন কাহিনী, পানসে =p~

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

ধূ ধূ বলেছেন: ঠিকি কয়েচেন ভায়া :( :(

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন:

শেখ হাসিনা কি স্বৈরাচারী নন ??

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হন নাই জেনে সহ ব্লগার হিসেবে খুশি হলাম। যারা দায়িত্বরত অবস্থায় হতাহত হচ্ছে তাদের তো কোন দোষ নাই। জব না চললে পেটের ভাত আসে না, এটাও বিরোধীদের বুঝা উচিত।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

সেমিবস বলেছেন: ডিক্লারেশন কত হইচে সেইটা তো বললেন না!

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: ধুর মিয়া আগে কইতেন

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

রবিন আলম বলেছেন: ভোটার আসল ১ জন, কাস্ট হইল ৩৪৬। আপনি নিশ্চয় সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। না হলে এই ১=৩৪৬ ইকুয়েশন মেলানো সম্ভব না। তবে এটা বুঝতে পেরেছি সিলগুলো আপনি মারেননি। আপনি মারলে হয়তো সরকারি ৬ টি ব্যালট বাতিল হতোনা।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

মুঘল সম্রাট বলেছেন: হুম !


আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সাঃ ) আল্লাহর রাসুল।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৭

ধূ ধূ বলেছেন: robin vai, only 1st voter ghotona ta bolsi. tarpor 4ta porjonto 345 vote cast hoyse.sobgulir kotha bolte gele to moha kabbo hoye jabe.. :) r ami sorkari bank er na borong sorkari kormokorta. tao abar bcs diya :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.