নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

হৃদয়ে বেদনা

সবুজ এর মধ্যে হারিয়ে যেতে মন চায়!!

হৃদয়ে বেদনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাকবীরে তাশরীক তিনবার বলাটাই শরীয়তের ফতওয়া

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫২



পবিত্র যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর যে তাকবীর পাঠ করা হয় তাকেই তাকবীরে তাশরীক বলে। জামায়াতে বা একাকী, মুসাফির অথবা মুকীম, শহর অথবা গ্রামে প্রত্যেককেই প্রতি ফরয নামাযের পর উক্ত তাকবীর পাঠ করতে হবে।

‘দুররুল মুখতার’ কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফযীলতের কারণ হবে।” আর ‘ফতওয়ায়ে শামী’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “কেউ কেউ বলেছেন (তাকবীরে তাশ্রীক) তিনবার।”

‘গায়াতুল আওতার শরহে দুররুল মুখতার’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে (খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদিষ্ট হওয়ার কারণে একবার তাকবীরে তাশ্রীক বলা ওয়াজিব। আর যদি একবারের চেয়ে অতিরিক্ত বলে তবে ছওয়াবের অধিকারী হবে।”

উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য কিতাবের বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, একবার তাকবীরে তাশ্রীক বলা ওয়াজিব এবং তিনবার বলা মুস্তাহাব।

{দলীলসমূহ: শামী, আইনী, আলমগীরী, হাশিয়ায়ে তাহ্তাবী, রদ্দুল মুহ্তার, দুররুল মুখতার ইত্যাদি।}



তাকবীরে তাশরীক :(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০১

জীবন যুদ্ধে পরাজিত রাফি বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২

নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৯ তারিখের কথা হাদীসের কোথাও নেই। আছে ইয়াওমে আরাফার কথা। অর্থাৎ আরাফার দিন বা হাজ্জীরা যেদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করে। কিন্তু আমরা সেদিন থেকে পড়া শুরু না করে তার পর দিন থেকে পড়া শুরু করি কেন ? যে দিন হাজ্জীরা আরাফা তে থাকেই না, সেদিনকে আমরা আরাফার দিন বানিয়ে পড়া শুরু করি, এটা কি ঠিক হচ্ছে। আমি সৌদির সাথে রোযা-হজ্জ করিন, বাংলাদেশের সাথেই করি, তবে এ ব্যাপারটার কোন সমাধান আমি পেলাম না, হাদীসে যদি তারিখের কথা থাকত তবে একটা ব্যাপার ছিল কিন্তু হাদীসে রয়েছে আরাফার দিনের কথা কিন্তু আমরা তার পর দিন থেকে তাকবীরে তাশরীক পড়া আরম্ভ করতেছি কোন যুক্তিতে ?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৫

হৃদয়ে বেদনা বলেছেন: মূর্খের মত কথা বললে আমার ব্লগে ঢুকবেন না??? কয় হাদীস শরীফ পড়েছেন??/

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৬

হৃদয়ে বেদনা বলেছেন: >>>>>>>>>>>>>>>>>নাজিবুল্‌লাহ >>>>>>>>>>>>>>>>>>>
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আপনাকে তারা চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন, চাঁদ মানুষের জন্য (ইবাদত) ও হজ্জের সময় নিরূপক।’
সউদী আরব যেদিন পবিত্র যিলহজ্জ মাসের চাঁদ তালাশ করবে সেদিন চাঁদ থাকবে দিগন্তরেখার বেশ নিচে।
পবিত্র যিলক্বদ মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করলেও পবিত্র যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
অর্থাৎ সউদী আরব তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরেও চাঁদ না দেখেই পবিত্র হজ্জের তারিখ ঘোষণা করে হজ্জ বাতিল করতে যাচ্ছে।

বলেন, সউদী আরব যেদিন পবিত্র যিলহজ্জ মাসের চাঁদ তালাশ করবে সেদিন চাঁদ থাকবে দিগন্তরেখার বেশ নিচে। পবিত্র যিলক্বদ মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করলেও চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। অর্থাৎ সউদী আরব এ বছরেও চাঁদ না দেখেই পবিত্র হজ্জের তারিখ ঘোষণা করে হজ্জ বাতিল করতে যাচ্ছে।


সউদী আরব চাঁদ না দেখেই বাংলাদেশের একদিন পূর্বে পবিত্র যিলক্বদ মাস শুরু করায় পবিত্র যিলহজ্জ মাসের চাঁদ তালাশ করবে ১৭ খামিছ-১৩৮০ শামসী, ১৫ অক্টোবর-২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ। অথচ সেদিন সউদী আরবে সূর্য অস্ত যাওয়ার ৮ মিনিট পূর্বেই চাঁদ অস্ত যাবে। ফলে চাঁদ দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। তাছাড়া সউদী আরব যদি যিলক্বদ মাস ত্রিশ দিনেও পূর্ণ করে, তবুও সেদিন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণ সেদিন চাঁদের বয়স হবে ২৬ ঘণ্টা, দিগন্তরেখার উপর চাঁদের উচ্চতা থাকবে ৭ ডিগ্রি ৪৮ মিনিট, কৌণিক দূরত্ব হবে ১৫ ডিগ্রি, সূর্যাস্ত ও চন্দ্রাস্ত সময়ের পার্থক্য হবে মাত্র ৪৪ মিনিট। চাঁদের এরূপ মান থাকা অবস্থায় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অত্যন্ত ক্ষীণ। এদিন চাঁদ দেখা না গেলে এ বছরেও হজ্জ বাতিল হবে।
উল্লেখ্য, সউদী সরকার চাঁদ দেখা যাওয়া বা না যাওয়ার উপর ভিত্তি না করে মনগড়া ক্যালকুলেশন অনুযায়ী আরবী মাস গণনা করে থাকে। ফলে প্রায়শই আরবী মাসের ২৮তম তারিখে, ২৯ তারিখ গণনা করে চাঁদ তালাশের মিথ্যা, সাজানো মজলিসের আয়োজন করে। আর তাদের মনগড়া গণনার ত্রিশতম দিনে- যেদিন চাঁদ নিশ্চিত দেখা যাবে, সেদিনও চাঁদ দৃশ্যমান হয় না।

ঘুমের ভান করে পড়ে থাকা ব্যক্তিকে যেমন ঘুম থেকে জাগানো যায় না, তেমনি পরিকল্পিতভাবে হজ্জ নষ্ট করার কুটপরিকল্পনা লালনকারী সউদী ওহাবী সরকারের বিরুদ্ধে অনেক লেখনী, আলোচনা, নছীহত করেও সতর্ক করা যাচ্ছে না। কিন্তু জীবনের সঞ্চিত, কষ্টার্জিত অর্থে হজ্জ করতে যাওয়া বিশ্বের অগণিত মুসলমানের এ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ফিকির করা প্রয়োজন। বিশ্বের সচেতন মুসলমানগণের প্রতিবাদের মুখে হয়তো সউদী ওহাবী সরকার তাদের এই ভ্রান্ত পদ্ধতি থেকে অবশ্যই ফিরে আসবে।
আপনার মতামত দিন


৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৮

হৃদয়ে বেদনা বলেছেন: নাজিবুল্‌লাহ ভালো করে পড় কোন কমেন্টস করবি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.