![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেষ ডিগ্রি অজন করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিক্টিমোলজি এন্ড রেষ্টরেটিভ জাসটিস থেকে। আমি সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছি এবং অন্যদেরকেও সচেতন হবার জন্য উদ্বত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো
বাংলাদেশের নদ-নদী
দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তর্গত বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাই শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীসমূহের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদীর মধ্যে অনেকগুলো আকার এবং গুরুত্বে বিশাল। এসব নদীকে বড় নদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।বৃহৎ নদী হিসেবে কয়েকটিকে উল্লেখ করা যায় এমন নদীসমূহ হচ্ছে: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি, শীতলক্ষ্যা, গোমতী ইত্যাদি।
পাউবো নির্ধারিত অন্যান্য নদী
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" বাংলাদেশের নদীগুলোকে সংখ্যাবদ্ধ করেছে এবং প্রতিটি নদীর একটি পরিচিতি নম্বর দিয়েছে। এর ফলে তাদের হিসাব অনুযায়ি বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫টি। পাউবো কর্তৃক নির্ধারিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১০২টি), উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১১৫টি), উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী (৮৭টি), উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী (৬১টি), পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী (১৬টি) এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী (২৪টি) হিসেবে বিভাজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিমালয় থেকে উৎসরিত ৩টি বৃহৎ নদীঃ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীগুলোর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে অভিন্ন। আবহমানকাল ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হচ্ছে এসকল নদীর পানিকে ঘিরে। এ তিনটি নদীর অববাহিকার মোট আয়তন প্রায় ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যার মাত্র ৭ শতাংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এসকল নদীর অন্যান্য অববাহিকাভূক্ত দেশ হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান ও চীন।
পদ্মা:
হিমালয়ের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে পদ্মা নদীর উৎপত্তি। উৎপত্তি স্থলে এর নাম যুমনা। আগ্রার তাজমহলের নিকট এসে এর নাম হয় গঙ্গা। মুর্শিদাবাদ জেলায় এসে গঙ্গা দুইভাগে বিভক্ত হয়। এর দক্ষিণভাগের নাম ভাগীরথী যা দক্ষিণে হুগলী জেলার দিকে প্রবাহিত হয়। অপর অংশ মুল গঙ্গা নামে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার (নবাবগঞ্জের) বোয়ালিয়া থানার ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নাম হয় পদ্মা। কুষ্টিয়া জেলার উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঘাট গোয়ালন্দে যমনুার সাথে মিলিত হয়। পদ্মা নদী সামনে অগ্রসর হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গতিপথ শেষ হয়ে যায়।
যমুনা নদী:
তিব্বতের কৌলাশটিলার মানস সরোবর হ্রদ থেকে যুমনা নদীর উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থলে এর নাম সানপো। সানপো নদী আসামে এসে ডিহিং নাম ধারন করে। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার মাঝাহিয়ালী নামক স্থান দিয়ে প্রবেশ করে নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। ১ম দিকে এই নদী ময়মনসিংহ শহর দিয়ে প্রবাহিত হতো। ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের কাছে যমুনার নামে বিভক্ত হয়। মুল ব্রহ্মপুত্র ভৈরব বাজারে চলে যায়। যমুনা শাখা সিরাজগঞ্জের উপকণ্ঠ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দ ঘাটে পদ্মার সাথে মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গতিপথ শেষ হয়ে যায়
মেঘনা নদী:
মনিপুর রাজ্যের নাগা মনিপুর পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মেঘনা নদীর উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থলে এর নাম বরাক নদী।
বাংলাদেশে ঢোকার আগেই সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সিলেটের জকিগঞ্জের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হবিগঞ্জের আজমেরিগঞ্জের নিকটে এসে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী পুনরায় মিলিত হয়ে কালনি নাম ধারন করে। কালনি নদী ভৈরব বাজারে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে নাম হয় মেঘনা। মেঘনা চাঁদপুরে এসে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে শেষ হয়।
কর্নফুলী নদী:
উৎপত্তি আসামের লুসাই পাহড়ের পাদদেশে লাংলেহ নামকস্থানে। বঙ্গোপসাগরে পতন। রাঙামাটি জেলা প্রবাহিত।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
মো: হাসিব উদ্দীন চঞ্চল বলেছেন: বিসিএস ও যারা অনান্য চাকরি জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য উপকারে আসবে
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষ্য করে দেখবেন বাংলাদেশের নদী গুলোর নাম খুব সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম। শুভ কামনা রইলো।