নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সচেতন হই অন্যকে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করি

মো: হাসিব উদ্দীন চঞ্চল

আমি শেষ ডিগ্রি অজন করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিক্টিমোলজি এন্ড রেষ্টরেটিভ জাসটিস থেকে। আমি সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছি এবং অন্যদেরকেও সচেতন হবার জন্য উদ্বত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো

মো: হাসিব উদ্দীন চঞ্চল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজব ও আমাদের করণীয়

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ইংরেজিতে rumour;অর্থ হল গুজব, জনসাধারনের সম্পর্কিত যেকোন বিষয়, ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মুখে মুখে প্রচারিত কোন বর্ণনা বা গল্প।
সামাজিক বিজ্ঞানের ভাষায়, গুজব হল এমন কোন বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চত করা সম্ভব হয় না। অনেক পন্ডিতের মতে, গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র। সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া যায়।
গুজব অনেক ক্ষেত্রে "ভুল তথ্য" এবং "অসঙ্গত তথ্য” এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। "ভুল তথ্য" বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং "অসঙ্গতি তথ্য” বলতে বুঝায় ইচছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা।
রাজনীতিতে গুজব বরাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাজক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব সর্বদা অধিক কার্য়কর হতে দেখা যায়।
কিছু দিন আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তা ভিন্ন খাতে নিতে কয়েক দিন ধরেই দেশে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ব্লগে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট, লেখা, লাইভ ভিডিও এর মাধ্যমে উস্কানি ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই গুজব না বুঝে তা শেয়ার করছেন। এতে করে অনেক মানুষ বুঝে না বুঝেই বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন ও পুলিশের ঝামেলাই জড়িয়ে পড়ছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ভুয়া তথ্য প্রচারকে কেন্দ্র করে নানাসময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় বিতর্কের। এসব গুজব যে কোনও মুহূর্তে সমাজের পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এ থেকে প্রতিকার পেতে তথ্য প্রকাশ বা ঘটনার ছবি ও ভিডিও শেয়ারে সবার সতর্ক থাকাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও তথ্য শেয়ার করা বা প্রকাশ করার সময় খুবই সতর্ক থাকা উচিত। তথ্য প্রকাশ করার আগে বারবার বিভিন্নদিক চিন্তাভাবনা করে এর তধ্য যাচাই বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আপনি কি করবেন।
এখন আসি আপনি কিভাবে গুজব এর খবর এর সত্যতা যাচাই করবেন । অনলাইনে প্রকাশিত কোন ছবি,কোন খবর বা কোন তথ্যের সঠিক সোর্স কী তা যাচাই করতে গুগলসহ অন্যান্য বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন আছে যা আপনাকে এর সত্যতা এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে । এছাড়া বেশ কিছু সফটওয়ার ব্যবহার করেও তথ্য যাচাই বাছাই করা সম্ভব। আবার বিভিন্ন দেশের বেসরকারি বেশ কিছু সংস্থাও প্রকাশিত সংবাদ যাচাই বাছাইয়ের কাজটি করে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও ছবি, ভিডিও বা তথ্য শেয়ার করতে গেলে অবশ্যই খুবই সতর্ক থাকা উচিত। আর সেই সতর্কের অংশ হিসেবেই বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে বেশ কিছু উপায়ও রয়েছে।‘
‘কোনও তথ্য, ছবি বা ভিডিও সঠিক কী না সেটা বুঝতে হলে যিনি শেয়ার করেছেন তিনি বিশ্বস্ত কেউ কিনা—হতে পারেন বন্ধু, হতে পারেন কোনও সেলিব্রেটি, অথবা বিশ্বস্ত কোনও পত্রিকা—তা প্রথমেই খেয়াল করা উচিত। এছাড়া, যে বা যারা ওই তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে তারা নিজে সেটা দেখেছে, নাকি অন্য কারও কাছ থেকে জেনেছে সেটা জানা খুবই জরুরি। যখন কোন ঘটনা বা আন্দোলন হয় অথবা কোনও একটি সংকট পরিস্থিতি চলমান থাকে তখন কোন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে হলে বারবার চেক করা উচিত। তারপরও যদি মনে হয়, সেই তথ্য শেয়ার করলে পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে এমন তথ্য না ছড়ানোই আপনার জন্য উত্তম।
গুগলে ইমেজ সার্চ করেও ছবি সঠিক নাকি মিথ্যা তাও জানা সম্ভব । গুগলে ইমেজ সার্চ নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে যে সোর্স থেকে ইমেজগুলো এসেছে সেই সোর্সের লিংক অথবা ছবি গুগল ইমেজে ইনপুট দিলে ওই ছবির রিলেটেড ছবিগুলো দেখা যায়। তখন প্রকৃত ছবি কবে কোন সাইটে বা কোন ফেসবুক আইডিতে আপলোড করা হয়েছে তা জানা যায়। ছবি বা তথ্যটি পুরোনো কিনা তা যাচাই করতে তা প্রকাশের তারিখের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। সর্বশেষ আপনাদের বলব যে কোন তথ্য শেয়ার করতে গেলে একটু সতর্ক থাকবেন। যেটা শেয়ার করবেন সেটা অন্য কোনও অথেনটিক নিউজ পেপার বা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত বা প্রচারিত কিনা অথবা বিশ্বস্ত কোন জায়গা থেকে পাওয়া কিনা সেটা বুঝে তারপর শেয়ার করা উচিত।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.