নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাহিত্যের রহস্যময় নক্ষত্র

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৮



২০০৮ সালের ২১ জুলাই লোকান্তরিত হয়েছেন বাংলা সাহিত্যের রহস্যময় নক্ষত্র মাহমুদুল হক। তাঁর বহু বৈপরীত্যে পূর্ণ জীবনের কথা ভাবতে ভাবতেই অনেকটা পথ অতিক্রম করলাম আমরা। মহাখালী, বনানী, খিলক্ষেত পেছনে ফেলে উপস্থিত হলাম উত্তরায়। ঢাকা মহানগরের অভিজাত এই আবাসিক এলাকার একটি অংশে বাস করেন মাহমুদুল হকের সখা আহসানউল্লাহ খান। তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমে উঠল আড্ডা। প্রাণবন্ত সেই আড্ডার অনিবার্য প্রসঙ্গ হিসেবে অতি দ্রুতই উঠে এলেন মাহমুদুল হক।

মাহমুদুল হকের সঙ্গে আহসানউল্লাহ খানের পরিচয় ১৯৫৮ সালের শেষ দিকে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুসলিম স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আহসানউল্লাহ খান তখন ভর্তি হয়েছেন জগন্নাথ কলেজে। কলেজজীবনের শুরুতেই মানিক নামের একজন সহপাঠীর সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠল তাঁর। মানিক ছিলেন ওয়েস্ট এন্ড স্কুলের ছাত্র। ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে মানিকের সহপাঠী ছিলেন মাহমুদুল হক। মূলত মানিকের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরেই মাহমুদুল হকের সঙ্গে সৃষ্টি হলো আহসানউল্লাহ খানের বন্ধুত্বের বন্ধন।

মাহমুদুল হকের ঘরোয়া নাম বটু। তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালে, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে। তাঁর বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। মায়ের নাম মাহমুদা বেগম। বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান তিনি।

মাহমুদুল হকের বাবা ১৯৪৭ সালের দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বিভাগ-উত্তর বাংলায় আসেন পরিবার ছাড়াই। সৌভাগ্যক্রমে সরকারি চাকরিও পেয়ে যান তিনি। ১৯৫১ সালে ঢাকায় আসে সিরাজুল ইসলামের পরিবার। আজিমপুর সরকারি আবাসের ১৪/এফ নম্বর বাসায় বসবাস শুরু করেন তাঁরা। ১৯৫২ সালে লালবাগের ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন বারাসাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করা মাহমুদুল হক।

স্কুলে শিক্ষারত অবস্থায়ই সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়ি হয় মাহমুদুল হকের। তাঁর শিক্ষক কথাসাহিত্যিক শহীদ সাবেরের অনুপ্রেরণায় অগ্রগামী নামে হাতে লেখা একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৫৩ সালে সৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গল্প ‘দুর্ঘটনা’। মাহমুদুল হক যখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, ওয়েস্ট এন্ড স্কুলের বাংলার শিক্ষক মোহাম্মদ সুলতানের সাহচর্য ও প্রেরণায় ছাত্র ইউনিয়নের স্কুল শাখা গঠন করেন তিনি।

‘১৯৫৫ কিংবা ১৯৫৬ সালে ইত্তেহাদ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় “উঁচুতলার সিঁড়ি” নামে একটি গল্প ছাপা হয় তাঁর। মাহমুদুল হকের অন্তরঙ্গ অভিমতে এটিই তাঁর লেখা প্রথম বড়দের গল্প’, বললেন মাহমুদুল হকের বহু স্মৃতির সাক্ষী আহসানউল্লাহ খান।

সাহিত্যে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জীবনের সাময়িক সংযোগ স্থাপন করেন মাহমুদুল হক। ১৯৫৭-৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তির পর সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ স্তিমিত হয়ে পড়ে তাঁর, অল্প দিনের ব্যবধানে পূর্ণচ্ছেদ পড়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়ও।

১৯৫৯ সালে সংবাদে চাকরি শুরু করেন মাহমুদুল হক। তিন মাস পর চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ব্যবসা করার অভিপ্রায়ে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গড়ে তোলেন সম্পর্ক। ১৯৬০ সালে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে মনিহারি ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন পর মনিহারি ব্যবসা গুটিয়ে গড়ে তোলেন ‘তাসমেন জুয়েলার্স’ নামে অত্যন্ত সফল একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

১৯৬৭ সালে মানিকগঞ্জের ধামরাইয়ের পাঠানতোলার আহম্মদ আলী খান ও আজগরী বেগমের জ্যেষ্ঠ কন্যা হোসনে আরা কাজলের সঙ্গে সংসারজীবন শুরু করেন মাহমুদুল হক। ১৯৬৮ সালে তিনি রচনা করেন প্রথম উপন্যাস নিরাপদ তন্দ্রা

১৯৬৯ সালে জন্ম নিল মাহমুদুল হকের পুত্র সিমুয়েল হক। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হলো অনুর পাঠশালা। ১৯৭১ সালে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। রক্তক্ষরা এই সময় জন্ম নিল তাঁর কন্যা তাহমিনা মাহমুদ।

‘সত্তরের দশক থেকে আশির দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত মাহমুদুল হকের জীবন অতিবাহিত হলো স্বচ্ছন্দ গতিতে। ১৯৮১ সালে শেষ উপন্যাস পাতালপুরী লিখলেন তিনি’, স্মৃতিতাড়িত কণ্ঠ আহসানউল্লাহ খানের। তিনি আরও জানালেন, ‘১৯৮২ সালের পর তেমন কিছু লেখেননি মাহমুদুল হক। কেবল একটি ছোটগল্প লিখেছিলেন ’৯৫-এর দিকে, কায়সুল হক সম্পাদিত শৈলীতে। গল্পের নাম ‘বনফুল’। এরপর সম্ভবত আর কিছু লেখেননি মাহমুদুল হক।’

কিন্তু কেন লেখেননি আর? যখন তাঁর কলমের নির্যাস আরও দূরপথ পাড়ি দিতে প্রস্তুত, তখন কেন তিনি সরে এলেন সাহিত্যচর্চা থেকে? বহুজনের বহুল উচ্চারিত প্রশ্নই প্রতিধ্বনিত হয় পুনরায় আমাদের কণ্ঠে।
উত্তরে মাহমুদুল হকের আমৃত্যু সঙ্গী আহসানউল্লাহ খান ইঙ্গিত করেন নতুন এক যাত্রাপথের দিকে, ইঙ্গিত করেন নতুন এক অভিসারের দিকে। তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের দেখা পায়, বড় কোনো উত্তরের কাছে পৌঁছায়, জীবনের অনেক প্রাত্যহিকতাই সম্ভবত নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’
কথাগুলোর উৎস কি ব্যাখ্যাতীত অতীন্দ্রিয়বাদ?
ধারণাতীত এমন কিছু যা সুস্পষ্ট নয়, স্বচ্ছ নয় বিষয়বুদ্ধিতে আচ্ছন্ন মানুষের কাছে?
বিষয়টি জটিল! নাকি সহজ! এতই সহজ, যার ব্যাখ্যা সহজে মেলে না!

ছবি: সংগৃহীত

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩১

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: মাহমুদুল হক সর্ম্পকে কিছু জানতে পারলাম সেজন্য দীপংকর চন্দ ভাইকে ধন্যবাদ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

মাহমুদুল হক হচ্ছেন আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের রত্ন, যাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানেন বাংলাদেশের প্রতিটি শিল্পাঙ্গনের দিকপালগণ। আমি নই।

এটা আমার মতো একজন নগণ্য মানুষের ধৃষ্টতা যে, এমন একজন মহারথীর জীবন সম্পর্কে অনুসন্ধানের সাহস দেখাই!!

প্রত্যুত্তরে কি লিখবো, বুঝতে পারছি না!!

শুভকামনা জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪০

জুন বলেছেন: ‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের দেখা পায়, বড় কোনো উত্তরের কাছে পৌঁছায়, জীবনের অনেক প্রাত্যহিকতাই সম্ভবত নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’
এটাই চরম সত্য দীপংকর চন্দ ।

অজানা এক লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
+

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক। অনেক।

মাহমুদুল হকের মতো বিশাল মাপের মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার সামর্থ্য খুব সীমিত আমার।

তবে তিনি অজানা লেখক নন জুন।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষরাও তাঁর সাথে দীর্ঘ আড্ডায় মেতেছেন অনেকবার।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এমন একজন গুণী ব্যক্তি সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । শ্রদ্ধা রইলো মাহমুদুল হকের প্রতি!

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সুযোগ্য একজন সাহিত্যিকের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন আপনার।

মাহমুদুল হক সম্পর্কে কিছু জানানোর ক্ষমতা আমি রাখি না ভাই।

তাঁর সম্পর্কে জানার তীব্র কৌতূহল আমার ভেতরেও কাজ করে অন্য অনেকের মতোই!

শুভকামনা থাকছে।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক ভাল লেখকও স্বীকৃতি পায় না। নতুন বা অচেনা লেখকদের বই চলে না, কেউ বই পড়ে না। এই যে অামি তার নামও কোনদিন শুনি নাই। উনি সাহিত্যের একজন বনফুল। দয়া করে তার লেখার উপর প্রবন্ধ বা নিবন্ধ লিখুন। অার তার লেখা কোথায় পাওয়া যেতে পারে, দয়া করে জানাবেন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: "সাহিত্য প্রকাশ"-এ পাবেন মাহমুদুল হকের বেশ কিছু বই যদি মুদ্রণ শেষ না হয়ে থাকে।

মাহমুদুল হক একজন অতিমাত্রায় স্বীকৃত লেখক। এপাড় বাংলা- ওপাড় বাংলার সাহিত্য দিকপালদের সবাই চেনেন ওনাকে।

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা সুনীল- সব বিখ্যাতরাই।

বাংলাদেশে তাঁকে চেনেন না, শিল্পাঙ্গনের এমন কোন দিকপাল সম্ভবত নেই!

তবে ব্যক্তি মাহমুদুল হক সম্ভবত দুর্বোধ্য!!

শুভকামনা অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

রিকি বলেছেন: ‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের দেখা পায়, বড় কোনো উত্তরের কাছে পৌঁছায়, জীবনের অনেক প্রাত্যহিকতাই সম্ভবত নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’
কথাগুলোর উৎস কি ব্যাখ্যাতীত অতীন্দ্রিয়বাদ?


আসলে তার কি হয়েছিল দাদা??? লেখা ছেড়ে দিয়েছিল কেন??

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক রিকি।

এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই খোঁজার চেষ্টা ছিলো আমার!

চেষ্টা যে শেষ হয়েছে, তাও নয়!

যতটুকু মনে হয়েছে বিষয়টা জটিল হতে পারে, আবার সহজও হতে পারে, কিন্তু "-সহজ কথা যায় না বলা সহজে-"

হয়তো বলতে পারতেন বেলাল চৌধুরী, মিজানুর রহমান, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষরা!!

তবে স্বল্পভাষী আহসানউল্লাহ খান- এর কথায়ও মুগ্ধ আমি!

আমার নাছোড় মনোভাবকে স্নেহ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি!

শুভকামনা অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

সুমন কর বলেছেন: উনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। চমৎকার শেয়ার।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সময় হলে অবশ্যই আমরা জানবো মাহমুদুল হককে।

কারণ, বাংলা সাহিত্যের সাথে মাহমুদুল হকের সম্পর্ক অনেক নিবিড়।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,



আহসানউল্লাহ খান এর বলা কথাটি ------‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের ........................নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’
এর প্রেক্ষিতে আপনার দ্বিধা------ধারণাতীত এমন কিছু যা সুস্পষ্ট নয়, বলে জানিয়েছেন ।
আসলে কোন মানুষের কাছে কোনটি যে "সত্য" আর কোনটি যে নয় তার উত্তর দেয়া দুরূহ । কোনটি যে প্রয়োজন আর কোনটি নিষ্প্রয়োজন তাও আপেক্ষিক । সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যাবার জিনিষ । তবে একটি কিছু কখন "সত্য" বা "নিষ্প্রয়োজন" হয়ে উঠবে মানুষের কাছে তা সম্ভবত নির্ভর করে সে মানুষটির মনের গঠন , তার পারিপার্শকতাকে চিনে ওঠার ক্ষমতা , নিজেকে জানা আর তার আকাঙ্খার ব্যাপ্তির উপর । এটা বুঝে ওঠা বেশ কঠিন ।

মাহমুদুল হককে আমরা তেমন জানিনে । যেটুকু জানা বাইরের মানুষের, তা তাঁর লেখা থেকে আঁচ করা যেতে পারে মাত্র । অনেক গল্প- উপন্যাস লিখেছেন মাহমুদুল হক । অবশ্য একটা যাত্রাপথের কথা বলেছেন বন্ধু আহসানউল্লাহ খান । কোন দিকে তাঁর যাত্রা ? তা কিন্তু বলেন নি । তাই আমরা রহস্যের বেড়াজালে আটকে থাকবো ।

ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধতা মন্তব্যে!!!

আপনার মতো একজন পাঠক সামান্য একটা লেখার চেষ্টাকেও ভিন্ন মাত্রা দিতে পারে, একথা আমি আগেও বলেছি সম্ভবত!

//আসলে কোন মানুষের কাছে কোনটি যে "সত্য" আর কোনটি যে নয় তার উত্তর দেয়া দুরূহ । কোনটি যে প্রয়োজন আর কোনটি নিষ্প্রয়োজন তাও আপেক্ষিক । সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যাবার জিনিষ । তবে একটি কিছু কখন "সত্য" বা "নিষ্প্রয়োজন" হয়ে উঠবে মানুষের কাছে তা সম্ভবত নির্ভর করে সে মানুষটির মনের গঠন , তার পারিপার্শকতাকে চিনে ওঠার ক্ষমতা , নিজেকে জানা আর তার আকাঙ্খার ব্যাপ্তির উপর । এটা বুঝে ওঠা বেশ কঠিন ।//

অত্যন্ত সুন্দর বলেছেন!!!

জয় গোস্বামীর কথা মনে পড়ে।
তিনি শঙ্খ ঘোষের একটা ছোট কবিতার মাত্র দুটো শব্দ ' লেখো আয়ু ' নিয়ে দিনের পর দিন যেভাবে ভেবেছেন, কেন লিখলেন শঙ্খ এমন শব্দ, আয়ু কিভাবে লেখা যায়- (জয়ের ভাষ্যে) জয় যেভাবে খুঁজেছেন লেখার মর্মার্থ, এতেই প্রমাণ হয় কেন তিনি জয় গোস্বামী!!

মাহমুদুল হকের লেখাও আমাদের ভাবাবে সম্ভবত!!

//আহসানউল্লাহ খান এর বলা কথাটি ------‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের ........................নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’
এর প্রেক্ষিতে আপনার দ্বিধা------ধারণাতীত এমন কিছু যা সুস্পষ্ট নয়, বলে জানিয়েছেন ।//

আহসানউল্লাহ খানের দীর্ঘ বক্তব্যের নির্যাস এটি! এবং আপনি ঠিক ধরেছেন আমি দ্বিধামুক্ত নই!

আহসানউল্লাহ খান যাত্রাপথের কথাও বলেছেন। হয়তো সেই পথ নির্দেশ করছে ব্যাখ্যাতীত অতীন্দ্রিয়বাদকে!

হয়তো কিছু কিছু ব্যাপার থাকে শুধুমাত্র উপলব্ধির!!

যেহেতু কিছু বিষয়ে দ্বিধা আছে আমার, তাই রহস্যময় নক্ষত্র রহস্যঘেরাই থাকছেন আপাতত।

মাহমুদুল হক সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে আমাদের আশেপাশেই, রহস্য উন্মোচনের সুযোগ উন্মুক্ত থাকছে উৎসাহীদের জন্য!

শুভকামনা থাকছে। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অজানা এক প্রতিভার কথা জানলাম। তবে তাঁর কাজ তুলে দিতে পারলে সেটা তাঁকে চেনাতে আরো সাহায্য করতে পারবে। শুভেচ্ছা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তনিমা।

অজানা প্রতিভা তিনি নন। মাহমুদুল হক দুই বাংলায় স্বীকৃত শক্তিমান সাহিত্যিক।

জীবন আমার বোন, নিরাপদ তন্দ্রা, কালো বরফ, অনুর পাঠশালা, মাটির জাহাজ, অশরীরী-এর কথা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে!

খেলাঘর নামে তাঁর একটা উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। আমি অবশ্য চলচ্চিত্র রূপটি দেখিনি ইচ্ছে করেই। উপন্যাসটি পড়া ছিলো বলে হতাশ হবার একটা ভয় কাজ করছিলো মনে! তবে মোরশেদুল ইসলাম দক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতা। এমনও হতে পারে যে খেলাঘরের চলচ্চিত্র রূপ উপন্যাসের চেয়ে ভালো হয়েছে!

শুভকামনা জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘মানুষ যখন বড় কোনো সত্যের দেখা পায়, বড় কোনো উত্তরের কাছে পৌঁছায়, জীবনের অনেক প্রাত্যহিকতাই সম্ভবত নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়।’

কথাটা গূঢ় রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক। অনেক ভালো লাগলো।

পুরো লেখাটাই ভালো লেগেছে। একজন হারানো নক্ষত্রকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: //কথাটা গূঢ় রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক//

উপলব্ধির যথার্থতায় শ্রদ্ধা জানবেন।

হ্যাঁ, সম্ভবত হারানো নক্ষত্রই মাহমুদুল হক!!!
অথচ বাংলাদেশের প্রতিটি শিল্পাঙ্গনের দিকপালরা তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের উন্নাসিক সাহিত্য পরিমণ্ডলও অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকার করেছিলো মাহমুদুল হকের কলমের প্রচণ্ড ক্ষমতাকে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত মানুষদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিলো তাঁর সাথে। সুনীলের সাথে মাহমুদুল হকের প্রাণবন্ত দীর্ঘ আড্ডার কথা বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত লোকের মুখে শুনেছি আমি। আহসানউল্লাহ খানও বলেছেন।

আমরা সম্ভবত বিস্মৃতিতে প্রশ্রয় দেই অবলীলায়!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাহমুদুল হকই কি "জীবন আমার বোন" এর লেখক? যদি হন তবে অসাধারণ এক সাহিত্যিকের কথা বলছেন আপনি, যদিও এটাই আমার ওঁর লেখা একমাত্র পঠিত বই|

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।

জীবন আমার বোন মাহমুদুল হকের উল্লেখযোগ্য কাজের একটি।

কালো বরফ ভালো লাগবে আশাকরি।

নিরাপদ তন্দ্রা, অনুর পাঠশালা, মাটির জাহাজ, অশরীরী, খেলাঘর পড়তে পারেন।

মাহমুদুল হক বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র।

রহস্যময় নক্ষত্র বলার কারণ বর্ণোজ্জ্বল সময়ে সাহিত্যচর্চা থেকে তাঁর আকস্মিক বিদায় নেয়া!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

বৃতি বলেছেন: ভালো লাগলো ব্লগটি- লেখক মাহমুদুল হকের সাথে পরিচয় হল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বৃতি।

আমার এই সামান্য লেখাটি চোখে না পড়লেও মাহমুদুল হকের সাথে আপনাদের পরিচয় হতোই।

তিনি নক্ষত্র। নিজের আলোতে আলোকিত।

নক্ষত্রকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

জেন রসি বলেছেন: মাহমুদুল হক সম্পর্কে জানা ছিল না।

উনি কি আধ্যাত্মিক কোন সাধনার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন?

শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কোন সমস্যা নেই ভাই।

সময় পরিচয় করিয়ে দেবে মাহমুদুল হকের সাথে!

মাহমুদুল হকের সাফল্যপ্রাপ্তির পরবর্তী জীবন ছিলো রহস্যময়!!!

বিদগ্ধ মহলে এ ব্যাপারে নানা ধরনের আলোচনা প্রচলিত!!!

শুভকামনা অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন শেয়ার.....!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এহসান ভাই।

শুরুতেই ক্ষমাপ্রার্থণা উত্তরের বহু বিলম্বের জন্য।

কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে।

অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছেই।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.