![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধরুন কোনো একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে দেখে খুব অবাক লগলো। মনে হলো এ আমি কোন আমি? নিজের সাথে বর্তমানকে মেলাতে পারছেন না। মনে হচ্ছে আপনিতো ২০০ বা ৫০০ বছর আগের কেউ। খুব অবাক আর খাপছাড়া লাগবে তাই না? অবাক লাগলেও আপনিই কিন্তু জাতিস্মর। জাতিস্মর, যার পূর্ব জন্মের কথা মনে থাকে। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে এই টার্মটা অনেকের কাছেই হাস্যকর মনে হতেই পারে। কিন্তু একটু খোঁজ খবর নিলেই দেখা যাবে এটি মোটেও ফেলনা কোনো বিষয় নয়। রীতিমত ভালো কিছু প্রমাণ আছে এই পুনর্জন্ম নিয়ে। হিন্দুধর্ম, জৈণধর্ম,শিখ ধর্ম, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকাসহ অনেক জায়গায় পাবেন এই জন্মান্তরের কথা। জন্মান্তরের মূল কথাই হলো আত্মার এক দেহ থেকে অন্য দেহে গমন। ব্যাপারটার সাথে অনেকের মতামতই মিলবে না। অনেকের কাছেই বুলশিট মনে হবে কথাটা।
ট্রুটজ হার্ডো নামে একজন জার্মান থেরাপিস্ট একটি বই লিখেছেন নাম ‘চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড বিফোরঃ রিনকারনেশন টুডে’। বইটিতে ড্রুজ আদিবাসী দলের একটি ছেলের কথা বলা আছে যে নাকি পুর্বজন্মের কথা বলতে পারতো। শিশুটি একটি আঘাতের চিহ্ন নিয়ে জন্মেছিলো। সে পুর্বজন্মে তাকে কে খুন করেছিলো তাকেও ধরিয়ে দিয়েছিলো। জিম টাকার পুর্বজন্ম নিয়ে গবেষণা করার সময় একটি কেস পেয়েছিলেন। শিশুটির নাম রায়ান। সেও গত জন্মের কথা বলতে পারতো। গতজন্মে সে নাকি এক ফিল্মে অভিনয় করেছে এবং সে তার জীবন বৃতান্ত বলেছিলো যা হুবহু মিলে গিয়েছিলো। আগের জন্মে তার নাম ছিলো মার্টিন যে ৩০ শতকে এক ফিল্মে অভিনয় করেছিলো। ভারতে শান্তিদেবীকেও তো মহাত্মা গান্ধীজির তৈরী করা সায়েন্টিফিক কমিশন তো জাতিস্মর হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও University of Virginia বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞানী Ian Stevenson প্রায় ৪০ বছর এরকম ২৫০০ কেস নিয়ে কাজ করেছেন। তাঁর দুটি বইও আছে ‘ twenty cases suggestive of reincarnation’ এবং ‘ where reincarnation and biology intersects’ নামে। বইদুটিতে জন্মান্তর নিয়ে বেশ শক্ত প্রমাণই আছে। এছাড়াও Antonia Mills, Satwant Pasricha, Godwin Samararatne, Erlendur Haraldsson সহ অনেকেই জন্মান্তর নয়ে কাজ করছেন বা করেছেন।
Carl Jung বলেছেন পৃথিবীর সবার সাথেই আমরা সবাই কানেক্টেড আমাদের ডিএনএ এর মাধ্যমে। যাকে বলা হয় কালেকটিভ আনকন্সাসনেস। এর মানে হলো আপনার ক্ষেত্রে যে মেমোরি গুলো ফিরে এসেছে সেগুলো এমন এক জনের যার সাথে আপনি জেনেটিক্যালি কানেক্টেড। এর প্রবল সম্ভাবনা থাকে নিজের পূর্বপুরুষ এর সাথে হবার। এছাড়াও আরো কয়েক ভাবে পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে আস্তে পারে। যেমন ৩.৫ হার্টজ ব্রেইন ওয়েভ। এই ৩.৫ হার্টজ ব্রেইনওয়েভ নানাভাবে ব্রেইন এর হিপোক্যাম্পাল জাইরাসকে জাগ্রত করতে পারে। যার ফলে হঠাত আমাদের পুরনো স্মৃতি ফিরে আসতে পারে। এছাড়াও পিনিয়াল গ্ল্যান্ড এর ক্ষরণেও পুরণো স্মৃতি এমনকি পূর্বজন্মের কথাও মনে পড়ে যেতে পারে। অর্থাত হঠাত আমরা পূর্বের জন্মের স্মৃতি ফিরে পেতেও পারি। এই পূর্বজন্মের কথা মনে করতে পারার কথাটা সাধারণত ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। যতগুলো কেস দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই তাদের পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে পেয়েছিলেন। এছাড়া হিপনোটিজমের সময় একজন মানুষের অন্য ভাষায় কথা বলার ব্যাখ্যা কিন্তু পূনর্জন্ম থেকেই দেয়া যায়।
©somewhere in net ltd.