নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাটুকারদের উপর দোষ চাপিয়ে শেখ হাসিনাকে উপরে রাখার প্রচেস্টা

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৪



"শেখ হাসিনা দেশকে সুইজারল্যান্ড বানায়ে ফেলতেন, দেশ এতোদিনে চীনকে অতিক্রম করে যেতো, রাশিয়ানরা আমাদের পেছনে পড়ে থাকতো; শুধু সম্ভব হচ্ছে না চাটুকারদের জ্বালায়, ওরা শেখ হাসিনাকে ঘেরাও করে রাখে, দেশের প্রকৃত অবস্হা জানতে দেয় না"; এইগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনার অন্ধ ভক্তদের কথা; এসব অন্ধ ভক্তরা কিন্তু ঠিক মতো জানেও না যে, সুইজারল্যান্ড কোথায় এবং ইহা সুইডেনের বড় বোন কিনা! এতে করে শেখ হাসিনা আপাতত এক রূপকথার চরিত্রে পরিণত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবে অবশ্য তিনি ভালোই করেছেন; দলটিকে এখনও ধরে রেখেছেন; তিনি না থাকলে দল ভেংগে যেতো; তখন দলটি মিলিটারীর সাথে পেরে উঠতো না; বাংলাদেশ মিলিটারী পাকিস্তান বা মিশরের মিলিটারীর মতো আজীবনের জন্য মাথায় উঠে বসে থাকতো। অবশ্য, সব অস্বাভাবিক কর্মের জন্য কাউকে না কাউকে দাম দিতে হয়; এক্ষেত্রে সাধারণ বাংগালীরা মুল্য দিয়ে চলেছে। মিলিটারী ও তাদের রাণী বেগম জিয়াকে থামাতে গিয়ে, উনাকে ১৯৮১ সাল থেকে আজ অবধি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে থাকতে হয়েছে; ফলে, তিনি রাজনীতি ফাজনীতি ভুলে গেছেন, উনি জানেন যে, দলই শক্তি, উহা না থাকিলে তিনি কেহ নন।

ভালো যে, সব দোষ চাটুকারদের উপর দিয়ে শেখ হাসিনাকে বুদ্ধিমান ও দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে মনের মাঝে ধরে রেখেছেন ভক্তেরা; এসব ভক্তেরা অবশ্যই অন্ধ, এদের কাছে জাতি মাতি হলো গৌণ, নেত্রীই হলো জীবনী শক্তি।

এরা কিন্তু পুরোপুরি যে ভুল করছেন তা নয়; এটা ঠিক যে, আওয়ামী লীগের মাঝে উনিই সবচেয়ে দক্ষ ব্যক্তি; যখনই তিনি দলের মাঝে কাউকে উনার চেয়ে দক্ষ মনে করেছেন, তাকে ২য় সারিতে স্হান করে দিয়েছেন কৌশলে; উনি এক্ষেত্রে সব সময় ব্যবহার করেছেন এসব লোকদের কোন না কোন দুর্বলতা, যা তিনি সঠিকভাবে খেয়াল রাখেন।

আওয়ামী লীগের সবাই কিন্তু উনার নীতি অনুসরণ করেন, আওয়ামী লীগের সকল নেতাই চেস্টা করেন যে, তার এলাকায় যেন নতুন কেহ শক্তিশালী নেতা হতে না পারে; এই কারণে দলটিতে শেখ সাহেবের পর কোন নেতার উদ্ভব ঘটেনি, এবং শেখ হাসিনার পরও কোন নেতা থাকবে না।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ দেখায় না। যেখানে ভোটের অবমূল্যায়ন হয় সেখানে ব্যক্তি, দল মানুষের ভিতর কোন ফিলিংস তৈরী করে না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা প্রতমত: অশিক্ষিত; আবার, শিক্ষিত বাংগালীদের গড় দক্ষতা অন্য জাতির চেয়ে পেছনে; ফলে, অনেক ব্যাপারেই তাদের অবস্হান সঠিক নয়।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

আহা রুবন বলেছেন: অন্ধ সমর্থকরাই ওখন রাজনীতির নিয়ামক শক্তি। সাধারণ মানুষ পেটের ধান্দায় ব্যস্ত।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



অন্ধ, কানা, লুলারা এখন দলের শক্তি; কানারা আমাদের কো্থায় নিয়ে এসেছে ওরা নিজেরাই জানে না।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

সাপলুডু বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষিতেরা ভার নিতে চায় না। এরা টকশোতে গলাবাজি করতে পারে, পাড়ায় পাড়ায় খুব সুন্দর ভাবে লেকচার দিতে পারে, চলতি অবস্থার কঙ্কাল খুঁজে বের করে! কিন্তু যখনই এঁদের বলা হয় তাহলে আপনিই দায়িত্ব নেন, এঁরা তখন ব্যস্ততা দেখান। সময় নেই তাদের হাতে। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম, ক্ষেত্রবিশেষ ভিন্ন চিত্র থাকতেও পারে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


টকশো'তে আমি শিক্ষিত দেখিনি, দেখেছি বলদ

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার উচিত চাটুকারদের ঝাঁটা মেরে বের করে দেওয়া। দেশের উন্নয়নে কোনো আপোশ চলবে না।
সবচেয়ে বড় কথা- উনি কি পত্রিকা পড়েন না? টিভিতে নিউজ দেখেন না?

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার আশে পাশে কোন চাটুকার নেই, এগুলো গুজব। উনি এতটুকুই

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২২

ইমরান আশফাক বলেছেন: আওয়ামী লীগের সবাই কিন্তু উনার নীতি অনুসরণ করেন, আওয়ামী লীগের সকল নেতাই চেস্টা করেন যে, তার এলাকায় যেন নতুন কেহ শক্তিশালী নেতা হতে না পারে; এই কারণে দলটিতে শেখ সাহেবের পর কোন নেতার উদ্ভব ঘটেনি, এবং শেখ হাসিনার পরও কোন নেতা থাকবে না।

সহমত, বিএনপিতে ও খালেদা জিয়ার পর কোন নেতা নেই। যদিও বেগম জিয়াকে আদৌ কোন নেতা বা নেত্রীর কাটাগরীতে ফেলানো যায় কিনা সন্দেহ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নেতা তো দুরের কথা বিএনপি'তে মানুষও ছিলো না কোনদিন, ওগুলো অমানুষ

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

রক বেনন বলেছেন: সাত অন্ধের হাতি দেখার ঘটনা মনে পড়ে গেল!!

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্ধ, লুলা, বধিররা কাজ পেয়েছে একটা, দল করছে!

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


"মিলিটারী ও তাদের রাণী বেগম জিয়াকে থামাতে গিয়ে, উনাকে ১৯৮১ সাল থেকে আজ অবধি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে থাকতে হয়েছে"

চাঁদগাজি ভাই আপনার মতো অত ভাল বুঝিনা রাজনীতি। আপনি যা লিখিয়াছেন তাহা চন্দ্র-সূর্যের মতোই সত্য বলিয়া ধরিয়া নিলাম। তয় ছোট একটা প্রশ্ন ছিলও;

বাংলাদেশে না হয় মিলিটারির ভয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ধরিয়া রাখিয়াছে; কিন্ত ১৯৪৭ সালের স্বাধীন হওয়ার পরে ১ দিনের জন্যও ভারতে মিলিটারি ক্ষমতায় আসে না; বা সেই রকম কোন সম্ভাবনাও দেখা দেয় নাই সেই দেশটিতে। কিন্তু সেই দেশে গত ৭১ বছর ধরিয়া বংশ পরম্পরায় নেহরু পরিবারকে কংগ্রেস নামক দলটির সভাপতির পদ আঁকড়াইয়া ধরিয়া রাখিয়াছে?

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
চাঁদগাজি ভাই আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে; আপনি মুক্তিযোদ্ধা মানুষ; যুদ্ধের সময় আপনার বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর ধরলেও বলতে হবে আপনি খুব ভাল ভাবে যুদ্ধের পূর্ববর্তী ৫ বছর ও পরের ৫ বছরের রাজনীতি সম্বন্ধে কিছুটা জানেন ও শেখ সাহেবের রাজনৈতিক জীবন প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই ৪ টা প্রশ্ন ছিলও আপনার কাছে? উত্তর গুলো পয়েন্ট আকারেই আশা করছি। মানে প্রশ্ন টু উত্তর:

শেখ সাহেব কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন?

নেতা হওয়ার পরে শেখ সাহেব নিজেও কি আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচিত করতেন?

দলীয় সিদ্ধান্ত কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিতেন?


অনুগ্রহপূর্ব প্রশ্ন গুলোকে ভিন্ন ভাবে নিবেন না। আমি শুধু জানার চেষ্টা করতেছি উনি নিজে কতটুকু গণতান্ত্র চর্চা করতেন।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সাপলুডুর মন্তব্যে বলব টিভির টকশো গুলর
ভালচনা অনুষ্ঠান গুলর ভালচনা আলাপ ও
গলাবাজী রাজনীতিবিদের একান দিয়ে ঢুকে
ওকান দিয়ে বেড়িয়ে যায়। গনতন্ত্র এখন শক্তি
তন্ত্রে যোগ হয়েছে। এরপর যে তন্ত্রই আসুক
একই শক্তিতন্ত্র ব্যবহার করবে।

রাজনীতি বিদরা মঞ্চে দাড়ালেই বিরোধীদল
ক্ষমতায় থাকা কালিন কোন অন্যায় করেছিল
আমরা আরও কম করছি বলে মঞ্চ বক্তৃতা
শেষ করে। তবে বংশ পরম্পরা নীতি আরও
কতকাল থাকবে এটাই কথা।

আমরা বেসকারী চাকুরী করেও সরকারী আয়কর টেনে যাচ্ছি। গার্মেন্স কর্মীরা দেশের
অর্ধেক অর্থকরীর সাপল্য রক্ষা করে।
বিদেশে থাকা লেবারদের রেমিটেন্স দেশের
অর্থকরী সাফল্যের বড় বিজয়। অথচ
আমরা জানি সব বিজয় সরকারের। কিন্তু
অট্টালিকা বাড়িগাড়ী ওলারা দেশ স্বাধীন কেমনে হয়েছিল তা মনে রাখেনা। বাড়ীগাড়ী
ওয়ালারা পথকলিরা গাড়ীর সামনে দাড়ালে
উটকো ঝামেলা মনে করে। কখনও মনে করেনা এসব শিশুরা ঘরের শিশুদের মতই
মানুষ শিশু।
চাঁদগাজী রাজনীতিতে কথা বলার সাহসে
প্রশংসোনীয় গালাগাল শুনতেও সাহস রাখেন।
তাইবলে ধর্মীয় পুরনা বিশ্বাসে আঘাত হেনে
ব্লগে তর্কের সৃষ্টি ভাল দেখায় না।
আমরা মানুষই পুরানা ভাবেই হাত পা চোখ
নাক নিয়ে একই ভাবেই পুরানের মতই জন্ম
গ্রহন করি। আমাদের জন্য পুরানা সুর্য জেগে
উঠে একই ভাবে প্রতিনিয়ত। যার ধর্ম তার তার সুর্য মনে করলে সে বিশ্বাসে আঘাত হানা
ঠিকনা বলে মনে করি। ধন্যবাদ শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.