![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
জানুয়ারীর শেষের দিক থেকে রোহিংগাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও বার্মা; চুক্তি অনুসারে, রোহিংগাদের প্রথমে তোলা হবে কোন এক "অস্হায়ী ক্যাম্পে"; অস্হায়ী ক্যাম্প থেকে তাদেরকে কখন কোন অবস্হায় বাড়ীতে যেতে দেবে তা মোটাই পরিস্কার বলে মনে হচ্ছে না; কারণ, এদের শতকরা ৯০ ভাগের বাড়ীঘর নেই, কিংবা থাকলেও সেগুলো নিরাপদ নয়। "অস্হায়ী ক্যাম্পে" থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরা নির্ভর করবে বার্মা সরকারের অনেকগুলো অনিশ্চিত ও পরিবর্তনশীল সিদ্ধান্তের উপর।
যাদের বাড়ীঘর পোড়ানো হয়েছে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, সেখানে বাড়ী কে নির্মাণ করবে, কত সময়ের মাঝে নির্মাণ করবে? যেসব বার্মিজ রাখাইন গত আগষ্ট মাসে রোহিংগা হত্যায় অংশ গ্রহন করেছে, তারা ফেরত রোহিংগাদের যে, আবার আক্রমণ করবে না, সেটার নিশ্চয়তা কি? ফেরত যাওয়া রোহিংগারা ক্যাম্পে থাকাকালীন সময়ে, "আরসা" যদি কোথায়ও কিছু করে, বার্মার সেনা বাহিনী কিছুতেই ক্যাম্পের লোকদের কোথায়ও যেতে দেবে না; সেনা বাহিনীর হাত থেকে পালানোর কোন পথও থাকবে না।
যদি অস্হায়ী ক্যাম্প করার কথা হয়, সেটা হতে হবে, নাফ নদীর পুর্ব তীরে নদীর সাথে লাগোয়া ভুমিতে, জাতি সংঘের পুরো কন্ট্রোলে; এবং ক্যাম্পে যারা থাকবে, তাদের বাড়ী ঘর না থাকলে, তারা ক্যাম্পে থাকাকালীন বার্মা সরকারের খরচে, জাতি সংঘের তত্বাবধানে ঘরবাড়ী তুলতে হবে; ঘর প্রস্তুত হলে জাতি সংঘের তত্বাবধানে রোহিংগাদের ঘরে যেতে হবে, ও সেই এলাকায় জাতি সংঘ নজরদারী করবে আগামী কয়েক বছর।
রোহিংগাদের নিজস্ব কোন নেতৃত্ব নেই; নেতৃত্ব না থাকলে, ক্যাম্পে থাকা রোহিংগাদের ন্যুনতম প্রয়োজনীয় ব্যাপারে সেনা বাহিনী বা সরকারের সাথে আলোচনা করবে কে? নেতৃত্ব থাকলে, ক্যাম্পে কোনরূপ নেতৃত্ব দেখলে, বার্মার সেনা বাহিনী তাদের সহ্য করবে না; সেনা বাহিনী তাদেরকে সন্দেহ করে অকারণে অত্যাচার করবে। ফলে, নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি কিংবা জাতি সংঘের লোকদের; সেটা নিয়ে চুক্তিতে কি আছে কে জানে!
বাংলাদেশ সরকার যাই করুক না কেন, রোহিংগাদের ব্যাপারে নিজদের বা জাতি সংঘের উপস্হিতি ব্যতিত কোন অস্হায়ী ক্যাম্পে পাঠাতে স্বীকার করা ঠিক হবে না; কারণ, ক্যাম্পে আটকা পড়লে রোহিংগাদের প্রাণ থাকবে বার্মার সেনা বাহিনীর হাতে; বার্মার সেনা বাহিনী ভয়ংকর মগের বাচ্চা ব্যতিত অন্য কিছু নয়, এদেরকে কোনভাবেই মানুষ বলা সম্ভব নয়।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
রোহিংগারা প্রাণ বাঁচাতে আন্তর্জাতিক মহলের রান্নাঘরে পালায়নি, পালায়েছে বাংলাদেশে; আন্তর্জাতিক মহলকে চুক্তিতে রাখেনি বাংলাদেশ ও বার্মা
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার ভাবনা সঠিক মনে হচ্ছে, এরা আসলে বাংলাদেশের গলায় কাটার মত আটকে গেছে, না পারছে গিলতে না পারছে বের করতে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমস্যা হচ্ছে; ওরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য এখানে আসাতে, আমাদের দায়িত্ব ঘাঁড়ে কিছু মানবিক দায়িত্ব পড়েছে।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১১
আটলান্টিক বলেছেন: আমরা শান্তিতে আছি
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
শান্তিতে আছে এরশাদ, রওশন এরশাদ, বেগম জিয়া, কর্ণেল ফারুক, তারেক, সালমান রহমান, বসুন্ধরা, আলম ব্রসাদার্স, ওরিয়নরা
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদের এক জায়গায় রাখলে সমস্যা আবারও হবে, এদের দেশে জায়গা আছে সারাদেশে ছড়িয়ে দিলে সমস্যা অদূর ভবিষ্যৎ এ হতো না!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওদের যায়গার অভাব নেই, ওদেরকে জাতীয়তা দিয়ে বার্মার অন্য অন্চলে দিলে সমস্যার সমাধান হতো; কিন্তু বার্মিজরা সমাধান করতে চাচ্ছে না
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: আপনার মাথে সহমত,প্রিয় ব্লগার।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্যাম্পে রেখে না মারলেও গরু ছাগলের মত পুষবে।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: যত যাই হোক না কেন বার্মার সাথে বাংলাদেশের ভবিষ্যতে চূড়ান্ত সংঘাত অনির্বাচ্চ। এটা এড়ানোর কোন উপায় নেই কারন বার্মা নিজের স্বার্থেই আমাদের সাথে যুদ্ধে জড়াবে। বাংলাদেশের সকল প্রতিবেশী দেশগুলি নির্বিধায় বার্মিজ জান্তাকে সমর্থন দিবে সেটার প্রমানও আমরা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি।
রোহিংগাদের জাতীসংঘ অথবা বাংলাদেশের সক্রিয় উপস্হিথি ব্যাতিত ওখানে ফেরৎ পাঠানো যাবে না এটা সবাই স্বীকার করবে।
আপাতত কয়েক বৎসর আমরা সরাসরি কোন সংঘাতে না জড়িয়ে নিজেদের সামর্থ ও প্রস্তুতি বাড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধ্বের আদলে প্রচলিত যুদ্ধ্ব ব্যবস্হা থেকে সরে এসে কৌশলগত ও তরিৎ তৎপরতার মাধ্যমে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিতে। ব্যাপকভাবে প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধকৌশল আয়ত্ব করতে হবে। আধুনিক সমরাস্ত্র উৎপাদন ও গবেষনায় ক্রমান্বয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। মহাশুন্য গবেষনা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। গোয়েন্দা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং কয়েকটা ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রত্যেক ভাগের কার্যক্রম আলাদা হবে এবং প্রযুক্তি নির্ভরশীল করতে হবে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ সরকার মানজুষকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় করে রেমিট্যান্স থেকে হার্ড-কারেন্সী আয় করছে, যুদ্ধ করার কোন ক্ষমতাই নেই; আমাদের মিলিটারী এখন অন্য দেশের পুলিশের সমান।
যুদ্ধের পেছনে টাকা ব্যয় না করে, তার শতকরা ১ ভাগ দিলে ১০ লাখ রোহিংগা পালন সম্ভব।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: উভয় সংকট !
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের পাশে মগের মুল্লুক, খারাপ প্রতিবেশী থাকলে অশান্তি বাড়ে।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: রোহিঙ্গাদের বিপদ আরও বাড়বে বুঝা যাচ্ছে। আসলে সবারই পথ বন্ধ। বাংলাদেশও বিপদে আছে। আর আন্তর্জাতিক মহল এই ইস্যু নিয়ে খেলা দেখছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক মহল মুসলিমদের ব্যাপারে উদাসীন।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানদের সবাই ভয় পাচ্ছে: পাকিস্তান, ইরান, সৌদি যা করছে, যা বলছে এগুলো ভয়ের ব্যাপার। যেভাবে সিরিয়া, ইরাক ও ইরানে শিয়া, শুন্নী যুদ্ধ করছে, এগুলো ভয়ের ব্যাপার। আমেরিকা অনেক চেষ্টা করেও ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে বের হতে পারছে না, এগুলো ভয়ের ব্যাপার।
ব্লগে কি ম্যাঁওপ্যাঁও লিখে বাংলাদেশে ১৮ জনের প্রাণ গেছে, এগুলো ভয়ের ব্যাপার।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মগরা জল্লাদ, এদের সামনে আরো বিপদ আছে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওরা চীনের কাছে জমি, গ্যাস, তেল, গাছ বর্গা দিয়ে খাচ্ছে এখন; কিছুদিন পর, চীনের কাজ করে খাবে, ওদের কোন চিন্তা ভাবনা নেই। শতকরা ২৫/৩০ ভাগ কোন কাজ করে না, এরা ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কোনভাবে ভিক্ষা থেকে জীবন যাপন করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তারপরও রোহিঙ্গাদের না পাঠিয়ে কি কোন উপায় আছে?
তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কি করবে সেটা নিশ্চয় আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে থাকবে।