নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেঞ্জওয়ার্ল্ড

চেঞ্জওয়ার্ল্ড

জয় হোক মানুষের

চেঞ্জওয়ার্ল্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেলুকাস কি বিচিত্র দেশ!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮



কারো হাতে বিশাল আকৃতির পুরুষাঙ্গ। আবার কেউ চুষছেন লিঙ্গ আকৃতির চকলেট কিংবা আইসক্রীম। কেউবা শুধু নেচে গেয়েই অস্থির। কেউ কেউ মন্দিরের পথে ছুটেছেন পূণ্যের আশায়।

প্রথম সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে সাড়ম্বরে পালিত হলো লিঙ্গ উৎসব। ৬ এপ্রিল শুরু হয়ে ৭ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলে এই উৎসব।

প্রতিবছর বসন্ত কালে জাপানের কানাগাওয়া কেন এর কাওয়াসাকিতে অবস্থিত কানামারা মন্দির (ওয়াকামিয়া হাচিমাঙ্গু মন্দির) প্রাঙ্গণে সাড়ম্বরে পালন করা হয় এই লিঙ্গ উৎসব। স্থানীয়রা একে বলে কানামারা মাতসুরি। মানে লৌহ-লিঙ্গ মেলা। এটি মূলত একটি শিন্তো ধর্মীয় উৎসব। যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তি বাড়ানোর জন্য বন্দনা করা হয়। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে প্রথম প্রচলন হয় এই বিচিত্র উৎসবের।

স্থানীয় বারবণিতারা ঘটা করে এই মেলা উদযাপন করতো। তারা বসন্তের শেষে বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে মিছিল করে কাওয়াসাকি কানামারা মঠে প্রার্থনা করতে যেতো। উদ্দেশ্য একটাই, যেন তারা সারা বছর সিফিলিসসহ অন্য যে কোনো যৌনব্যাধী থেকে বাঁচতে পারে। অবশ্য উৎসবটি বর্তমানে পেয়েছে ভিন্ন মর্যাদা। নিরাপদ যৌনতা, এইডস সংক্রমণ রোধ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার অংশ হিসেবেই এখন এ উৎসব পালিত হচ্ছে। উৎসবের দিনে বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করেন সিন্টো ধর্মালম্বী নারীরা। পুরুষাঙ্গের আদলে তৈরি চকলেট আর আইসক্রিম চুষতে চুষতে তারা বের হন রাস্তায়। পুরুষাঙ্গের বিশাল বিশাল সব রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করতে করতে যান মন্দিরে। কেউ কেউ বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গের পাশে ছবির জন্য পোজ দেন। বর্তমানে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এ উৎসব। শুধু জাপান নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আলোচিত হচ্ছে কানামারা মাৎসুরি।

জাপানের সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো এর বৈচিত্র। কাঁচা থেকে পোড়া সব ধরণের মাছই যেমন থাকে খাবার মেন্যুতে। তেমনি সংস্কৃতি চর্চ্চায়ও প্রচন্ড রনশীলতার পাশাপাশি রয়েছে অবারিত উন্মোচন। ভারতবর্ষ বিজয়ের পর দিগি¦জয়ী গ্রীক বীর আলেকজান্ডার তার সেনাপতিকে বলেছিলেন, সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ! আলেকজান্ডার ভারতবর্ষের শিব লিঙ্গ পূজা দেখেছিলেন কিনা আমার জানা নেই। তবে তিনি যদি জাপানে যেতেন তাহলে সেই দেশ সম্পর্কে সেলুকাসকে কি বলতেন, তা হতে পারে গবেষণার বিষয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

sumit বলেছেন: সরাসরি লিংক দিয়া দিতে পারতেন। কয়দিন আগে আমি এই সাইট থেকে কিছু পোষ্ট করেছিলাম। সেগুলো সামু ডিলিট করে দিয়েছে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪০

মুহামমদল হািবব বলেছেন: জানলাম। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.