নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ্রী থাকলে আসেন গেজাই

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত

চেরু

আমি চে'র মত আর্মসটাগলে বিশ্বাস করিনা,পরিবর্তন আসবে নিয়মত্নাত্রিকভাবে।যেটা হয়েছিল ৬২৩ সালে এক মহামানবের দ্বারা।

চেরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গীবাদ বিস্তার পাচ্ছে’

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

বাংলাদেশে উগ্র মতবাদ বিস্তারের ধারায় একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে বলছেন দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা গবেষক ।বাংলাদেশের নিরাপত্তা গবেষক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিস্ স্টাডিসের প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান বলছেন বাংলাদেশে উগ্র বা জঙ্গী মতবাদ বিস্তারলাভের স্থান এতদিন ধারণা করা হতো শুধু মাদ্রাসাগুলোর মধ্যেই সীমিত, কিন্তু এখন তা শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।আজ এই খবর দিয়েছে বিবিসি।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান বিবিসিকে বলছেন, অভিজাত এবং ধনী পরিবার থেকে শিক্ষার্থীরা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন সেখানে এধরনের মতবাদ বিস্তার লাভ করা শুরু করেছে ।



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার দায়ে দন্ড প্রাপ্ত বাংলাদেশী যুবক কাজী নাফিস শুক্রবার নিউ ইয়র্কের আদালতে বলেছেন, ঢাকার নর্থসাউথ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কিছু সহপাঠির সূত্রেই তার উগ্রবাদে দীক্ষা হয়।



সম্প্রতি ঢাকায় একজন ব্লগারকে হত্যার ঘটনায় যে কজন তরুণকে আটক করা হয়, তারাও ওই একই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।



এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদে দীক্ষা পাওয়ার যে কথা কাজী নাফিস বলেছেন, সেটার ভিত্তি কতটা?



বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনিরুজ্জামান বলছেন, তারা এতদিন ধারণা করে আসছিলেন যে বাংলাদেশে উগ্র বা জঙ্গী মতবাদের বিস্তারলাভের স্থান শুধু মাদ্রাসাগুলোর মধ্যেই সীমিত। কিন্তু এখন মাদ্রাসাগুলোর পাশাপাশি ঢাকার বড় বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে অভিজাত ও ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়তে যান সেগুলোও এই মতবাদের বড় কর্মক্ষেত্র হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।



তিনি বলছেন, বেশ উদ্বেগের সঙ্গে তারা লক্ষ্য করছেন হিযবুত তাহরির নামে বাংলাদেশে দুবছর আগে নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনটির কর্মকাণ্ড এইসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় বেশ বিশাল আকারে বিস্তার লাভ করেছে এবং হিযবুত তাহরিরের মাধ্যমে এধরনের উগ্র মতবাদ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়ছে।



মুনিরুজ্জামান আরো বলছেন, বাংলাদেশে হিযবুত তাহরিরের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা উত্তর আমেরিকায় শিক্ষালাভ করে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন এবং তাদের মতবাদ প্রসারে উদ্যোগী ভূমিকা নিচ্ছেন।



তাদের গবেষণায় তারা দেখেছেন যে এইসব শিক্ষক তাদের এই সংগঠনের সাথে যাদের জড়িত করছেন তাদের বেশিরভাগই এইসব ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা বিত্তবান পরিবেশ থেকে এসেছেন।



এসব শিক্ষার্থীরা কেন এই ধরনের মতবাদে আকৃষ্ট হচ্ছেন এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় মুনরিুজ্জামান বলেছেন, আভ্যন্তরীণ কিছু ব্যাপারে এদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এছাড়া বর্হিবিশ্বের যেসব ঘটনার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে পড়ছে তার জের ধরে এধরনের কর্মকাণ্ডে তারা জড়িয়ে পড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।



নতুন বার্তা/এসএফ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

মনুআউয়াল বলেছেন: জঙ্গীবাদ মৌলবাদ নিয়ে লিখে হামলা, মামলা , পরিবারসহ হত্যার হুমকি সম্মূখিন হয়েছি। তাই আর এই বিষয় নিয়ে লিখি না। কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে শুধূ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় সারা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ভয়াবহভাবে বিস্তার পাচ্ছে। যা আমরা অল্প দিন পরে হাড়হাড়ে টের পাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.