নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৪ঠা নভেম্বর ২০১৭ ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমন নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। আর তার ২য় কিস্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল। আগেই বলেছি গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্ক আমার না যাওয়া জায়গার মধ্যে অন্যতম একটা জায়গা ছিল, কিন্তু গত শুক্রবার সেটা যাওয়া হয়েগেল। গতকিস্তি শেষ থেকে আলোচনা শুরু করা যাকঃ-
এত চমৎকার সবুজ পরিবেশ আমার হিয়া কে দুলে দিয়েছে। এমন নির্জনতা, এমন কোলাহল মুক্ত বিশুদ্ধ পরিবেশ না গেল তা অনুভব করা যাবে না।
এই যে দেখুন। কি নীল আকাশ আর সবুজের সমারোহ। যদি ক্রুল মানের কেই এই পরিবেশ যায় আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি তার মন ভাল না হয়ে পারবে না।
এটা নারিকেল গাছ। জায়গা ভেদে সবাই একই নামে ডাকে। বরিশালে নাকি নারকেল বেশি উৎপাদন হয়। সেখানে কি নামে ডাকা হয় সেটা আমি জানি না।
গাছের ফাঁক দিয়ে ঐ দেখুন ওয়াচ টাওয়ার। এই টাওয়ারে উঠে দারুন সবুজ বন দেখতে পাবেন। যেদিকে আপনার চোখ যাবে সেদিকে সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের মাঝে যদি কোন অবুঝ যায় সেও বুঝমান হয়ে যাবে। আমি সেখানে আমার মন কে আবেগ আপ্লত হয়ে গেছি। আমার মন আর সেখান থেকে আসেতে চায়ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে আসতেই হলো। কেননা সেখানে থাকতে মানা।
আমি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে দেখলাম যেদিকে তাকাই এরকম সবুজ আর সবুজ। চতুর্দিকে এরকম সবুজ। মন টা ভাল হয়ে গেল আমার। আমি সেই সবুজ প্রকৃতির মাঝে সবুজে আবগাহন করলাম। অনেক দুরে কিছু বড় বিল্ডিং দেখা যায় আবছা আবছা।
এটা খেজুর গাছ। ওয়াচ টাওয়ার থেকে তুলেছিলাম। দেখতে দারুন। আমার কাছে ভাল লেগেছে।
গরু মহিষ এখানে ঘাস খায়। সাথে ঘোড়াও আছে। ঘোড়াতে করে আপনি ঘুরতে পারেন। ১০০ টাকা নিবে। ওয়াচ টাওয়ারে উঠলে তিন টাকা দিতে হবে। ন্যাশনাল পার্কে গেলে সকাল বের হবে। সেখানে বেশি রোদেও সমস্যা নেই। কারন ছায়াঢাকা নিবড়ি পরিবেশ। সাথে খাবার নিয়ে যাবেন। শীতল পাটি নিতে ভুলবেন না। একটু টায়ার্ড হয়েগেলে বসে পড়বেন। আর দুরে দেখতে পাচ্ছেন একটা ছোট ছাওনি। ওখানে বসে থাকতে পারেন। সব মিলিয়ে অবকাশ কাটানোর জন্য দারন প্লেস।
শালবনের ফাকে ফাকে এমন ধান ক্ষেত চোখে পড়বে। এলাকার লোক এই কাজ গুলো করে থাকে। অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগও আছে তারা নাকি বন কেটে চাষের জন্য জমি তৈরি করে। যা সম্পূর্ন অবৈধ। উপরে নীল আকাশ দেখতে সত্যিই দারুন। উপভোগ্য।
গহীন অরন্য। আমি অরন্য আনোয়ার কে বলেছিলাম আপনার নাম এই গহীন অরেন্যে সাথে মিল রেখে রাখা হয়েছিল নাকি? সে বলল ঠিক তা না তবে আমার অরন্যের সাথে সখ্য আছে।
পরিশেষে, সেই শুক্রবার টি ছিল আমার জীবনের সেরা শুক্রবার। আমি অনেক আনন্দ উপভোগ করলাম। আপনারও যেখানে যাবেন এবং প্রকৃতির সাথে সখ্য করবেন। এবং এই শহুরে ঘিঞ্জি পরিবেশ ও বিষাক্ত হাওয়া থেকে নির্জন ও শুদ্ধ হাওয়া নেবার জন্য সেখানে যাবেন। আশাকরি যারা ভ্রমনপিপাসু তারা সেখানে পরিবার সহ এবং গ্রুপ সহ মজা করতে যাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে। শুভকামনা রইল সবার প্রতি...
আমার আগের পোষ্ট এখানে...
ন্যাশনাল পার্কে একদিন। প্রথম কিস্তি
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
শুভকামনা জানবেন।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা সবুজ কি সবুজ
সুন্দর ছবি ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা।
সব ঠিক ছিল শুধু নারকেল গাছ টা উল্টো হয়েগেছে...
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: চমৎকার সব ফটো আগের পর্বের মতোই | অনেক ভালো লাগলো আমার ছেলেবেলার অনেক স্মৃতির লাল মাটির গাজীপুরকে এতদিন পর এতো সবুজ দেখে | ধন্যবাদ |
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আপনার ভাল লেগেছ জেনে আমি আনন্দিত।
নেক্সষ্ট ফ্রাইডে এনাদার প্লান...
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
কামরুননাহার কলি বলেছেন: বাহ বেশ সুন্দর জায়গা তো । যাবো একদিন ।
যাবো রে আকাশ যাবো
আমি তোর আকাশে
ঘুড়ি উড়াতে যাবো।
সেইদিন আমি তোর সঙ্গে
লুকোচুরি খেলতে যাবো
যাবো রে বাতাস যাবো
আমি তোর হাওয়া দুলবো
হাহাহাহহাহাহা
আমার কবিতা পড়ে কেউ হাসবেন না কিন্তু। হুম বলে দিলাম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
চমৎকার কবিতার জন্য।
আন্তরিক শুভকামনা জানবেন।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫
ওমেরা বলেছেন: গাছ, গাছালি ,বন বনানী আমার অনেক পছন্দ। আপনার ছবি গুলো খুব সুন্দর।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
মাকার মাহিতা বলেছেন: গাছ, গাছালি ,বন বনানী আমারও অনেক পছন্দ!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!! বেশ।