![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুজুগে বাঙাল শব্দটা আমাদের জন্য পরিপূর্ণ মানানসই। আমরা গিরগিটির ন্যায় মুহূর্তেই রঙ পাল্টাই। ৪০ বছর আগে 'রাষ্ট্র ভাষা বাঙলা চাই' শ্লোগানে উর্দ্দুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। অথচ তার সহদোর ভাষা হিন্দিকে ক্রমেই আপন করে নিচ্ছি। বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ যেন ভারত মাতাকে বাংলাদেশ বিলিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন ষড়যন্ত্র।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে আমরা সকলেই হয়তো অনুমান করতে পারছি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিনত হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল, যদি বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার কাছেই বেচে দিতে হয়, জাতির কাছে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষাই এতো প্রিয় হয়-
তাহলে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের কী দরকার ছিলো?
কী দরকার ছিলো লক্ষ লক্ষ ভাইয়ের শহীদ হওয়ার?
কী দরকার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষিতা হওয়ার?
উর্দু এবং হিন্দি ভাষার মধ্যে তো লেখ্য বর্ণমালা ছাড়া তেমন কোনও পার্থক্য নেই! তাহলে কেনো যুদ্ধ হয়েছিও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে?
কেনো রাষ্ট্র ভাষা বাঙলা চাই শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিলো বাঙলার মাটি?
জাতি কী শহিদদের সাথে গাদ্দারি করছে না?
আমরা চেতনা ব্যবসায়ীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে গলা ফাটাই অথচ ঘরে সারাদিন হিন্দি চ্যানেল চলে, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই সেগুলো গোগ্রাসে গিলে|
সবচেয়ে বড়ো চেতনাধারী (!) ছাগলের ৩নম্বর বাচ্চার মতো আমরা যুবক শ্রেণিদের তো এখন বলিউড মুভি ছাড়া খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব হারাম|
আড্ডা যেনো লেটেস্ট হিন্দি মুভির আলোচনা ছাড়া আর জমে না!
মা-বোনদেরকে কিছুই বলার নেই| তাদের বিষয় সবার সামনে স্পষ্ট| আমরা তাদের হিন্দি সিরিয়াল দেখা নিয়ে শত শত আর্টিকেল ছাপাই কিন্তু হিন্দি ফিল্ম যে আমাদের বদহজমির ঔষধ সেটা কিন্তু আমরা স্বীকার করি না|
(আমরা তো এখন মনে করি জন্মলগ্ন থেকে বাংলা গিলতে গিলতে বদ হজম হয়ে গেছে তাই হিন্দিই এর মহৌষধ)
যাইহোক এবার মূল কথায় আসি|
আমরা যতোদিন মুসলিম জাতি ছিলাম ততোদিন আমাদের চেতনাও উজ্জীবিত ছিলো|
আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে, ভাষার বিরুদ্ধে ও ধর্মের বিরুদ্ধ্যে প্রোপাগান্ডা কখনোই সহ্য করতাম না|
কিন্তু যখনই বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত হলাম,
তখন আর বাঙলা চর্চার প্রয়োজন অনুভব করি না|
বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দবোধ করি| অথচ এই ইংরেজরাই আমাদের ওপর ২০০ বছর নির্যাতন করেছে|
ভারতবর্ষের মতো অতি উর্বর ভূমিকে নীল চাষ করে ধ্বংস করে দিয়েছে|
ভারতবর্ষের কোটিকোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত্ִ করে এখন তারা ক্ষমতাধর!
সুবিশাল সম্রাজ্য ভারতবর্ষ তাদের কূটকৌশলে আজ তৃখন্ডিত|
(ভারত শাসন করতে না পেরে প্রথমে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানে বিভক্ত করে| ওই সময় পরিকল্পিতভাবে দু'দেশের ম্যাপ তৈরী করা হয়, মাঝখানে ভারত আর দুইপাশে পাকিস্তান| এভাবে বিভাজন করতে পারে গাঁজাখোর আর ভিনদেশি প্রভূদের দালালরাই|)
আমরা এখন আর শহিদদের জন্য দোয়া করি না|
সেই ইংরেজদের দেখানো পদ্ধতিতেই শহিদ মিনার তৈরী করি, সেখানে নগ্নপদে গিয়ে ফুল দেই| অথচ মসজিদ জুতার পানিতে নাপাক করতে বিবেকে বাধে না|
আজ ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করলেও আমাদের ধর্ম প্রীতি জাগ্রত হয় না|
এখন আমরা বাঙালি জাতি!
আমাদের বাঙালিত্ব জাহির হয় সিনেমা হলে পতাকা দেখে সম্মান প্রদশনে কেউ না দাঁড়ালে!
বাঙালিত্ব জাহির হয় কুরআন বিরোধী রুসম রেওয়াজ পালনকালে!
অথচ যে ধর্মীয়গুরুদের রক্তে আজ ইংরেজদের দুঃশাসন থেকে আমরা রেহাই পেলাম কালক্রমে এই চির-সবুজ বাংলা পেলাম তাদের রক্ত ঝরিয়েই আজ আমরা আনন্দ পাই। শাহ আব্দুল আযীয রঃ যদি ভারতবর্ষকে দারুল হরব ফতোয়া দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো আজ পর্যন্ত ইংরেজদের প্রত্যক্ষ গোলামই থেকে যেতাম। পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা রশিদ আহমদ তর্কবাগীশ রঃ যদি ভাষা আন্দোলনের ডাক না দিতেন তাহলে আমরা বহু আগেই বাংলাভাষাকে চিরতরে হারাতাম।
আজ আমরা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বাররের নাম নেই কিন্তু তর্কবাগীশের নাম আড়ালেই থেকে যায়। আমরা ব্রিটিশ বেনিয়া থেকে মুক্তির গল্প বলি, সিপাহী বিপ্লবের গল্প বলি কিন্তু নেপথ্যে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের নাম ভুলেও আমাদের মুখে উচ্চারিত হয় না। সিপাহী বিপ্লবে আলেমদের ভূমিকা থাকায় বিপ্লবের পর আলেমদের পরিবারের ওপর জুলুম নির্যাতন, সুবিশাল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের প্রত্যেকটা গাছে কমপক্ষে ১ জন আলেমের লাশ ঝুলতে থাকার ঘটনাতো আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছেই ফেলেছি।
আজ সেই ইংরেজদের থেকেই আমাদের শিখতে হয় ইসলাম। তাদের কাছ থেকেই আমাদের জানতে হয় আমরা কেমন মুসলমান। আজ তারা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করাকে জঙ্গিদমন বলে প্রচার করে। আর তারা যখন জাতি, দেশ ও ধর্ম রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করে তখনই তাদেরকে জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যা দিয়ে যুগ যুগ ধরে তাদের ওপর চালাতে থাকে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার। আর আমরাও তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে থাকি আপনমনে।
পৃথিবীতে দ্বিতীয় এমন কোনও জাতি আছে বলে আমার জানা নেই যারা তাদের ধর্মীয়গুরুদের গালাগাল দেয়, তাদের ওপর হাত তোলে, তদের রক্তাক্ত করে, এমনকি তাদেরকে খুন করে ও খুন হতে দেখে তালি বাজায়। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ জানাজা পড়া ও লাশ দাফন করার মতো সহজ কাজের ন্যুনতম জ্ঞান রাখে এরকম আলেমও খুঁজে পাবে না। গ্রামের পর গ্রাম তালাশ করেও কোনও আলেম খুঁজে না পেয়ে বিনা জানাজায় দাফন করবে, যেমনটি ঘটেছিলো সিপাহী বিপ্লবের পর।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।যদি বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার কাছেই বেচে দিতে হয়, জাতির কাছে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষাই এতো প্রিয় হয়-
তাহলে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের কী দরকার ছিলো?
কী দরকার ছিলো লক্ষ লক্ষ ভাইয়ের শহীদ হওয়ার?
কী দরকার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষিতা হওয়ার?
উর্দু এবং হিন্দি ভাষার মধ্যে তো লেখ্য বর্ণমালা ছাড়া তেমন কোনও পার্থক্য নেই! তাহলে কেনো যুদ্ধ হয়েছিও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে?
কেনো রাষ্ট্র ভাষা বাঙলা চাই শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিলো বাঙলার মাটি?
জাতি কী শহিদদের সাথে গাদ্দারি করছে না?
আমরা চেতনা ব্যবসায়ীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে গলা ফাটাই অথচ ঘরে সারাদিন হিন্দি চ্যানেল চলে, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই সেগুলো গোগ্রাসে গিলে|
সবচেয়ে বড়ো চেতনাধারী (!) ছাগলের ৩নম্বর বাচ্চার মতো আমরা যুবক শ্রেণিদের তো এখন বলিউড মুভি ছাড়া খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব হারাম|
আড্ডা যেনো লেটেস্ট হিন্দি মুভির আলোচনা ছাড়া আর জমে না!
মা-বোনদেরকে কিছুই বলার নেই| তাদের বিষয় সবার সামনে স্পষ্ট| আমরা তাদের হিন্দি সিরিয়াল দেখা নিয়ে শত শত আর্টিকেল ছাপাই কিন্তু হিন্দি ফিল্ম যে আমাদের বদহজমির ঔষধ সেটা কিন্তু আমরা স্বীকার করি না|
(আমরা তো এখন মনে করি জন্মলগ্ন থেকে বাংলা গিলতে গিলতে বদ হজম হয়ে গেছে তাই হিন্দিই এর মহৌষধ)
যাইহোক এবার মূল কথায় আসি|
আমরা যতোদিন মুসলিম জাতি ছিলাম ততোদিন আমাদের চেতনাও উজ্জীবিত ছিলো|
আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে, ভাষার বিরুদ্ধে ও ধর্মের বিরুদ্ধ্যে প্রোপাগান্ডা কখনোই সহ্য করতাম না|
কিন্তু যখনই বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত হলাম,
তখন আর বাঙলা চর্চার প্রয়োজন অনুভব করি না|
বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দবোধ করি| অথচ এই ইংরেজরাই আমাদের ওপর ২০০ বছর নির্যাতন করেছে|
ভারতবর্ষের মতো অতি উর্বর ভূমিকে নীল চাষ করে ধ্বংস করে দিয়েছে|
ভারতবর্ষের কোটিকোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত্ִ করে এখন তারা ক্ষমতাধর!
সুবিশাল সম্রাজ্য ভারতবর্ষ তাদের কূটকৌশলে আজ তৃখন্ডিত|
(ভারত শাসন করতে না পেরে প্রথমে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানে বিভক্ত করে| ওই সময় পরিকল্পিতভাবে দু'দেশের ম্যাপ তৈরী করা হয়, মাঝখানে ভারত আর দুইপাশে পাকিস্তান| এভাবে বিভাজন করতে পারে গাঁজাখোর আর ভিনদেশি প্রভূদের দালালরাই|)
আমরা এখন আর শহিদদের জন্য দোয়া করি না|
সেই ইংরেজদের দেখানো পদ্ধতিতেই শহিদ মিনার তৈরী করি, সেখানে নগ্নপদে গিয়ে ফুল দেই| অথচ মসজিদ জুতার পানিতে নাপাক করতে বিবেকে বাধে না|
আজ ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করলেও আমাদের ধর্ম প্রীতি জাগ্রত হয় না|
এখন আমরা বাঙালি জাতি!
আমাদের বাঙালিত্ব জাহির হয় সিনেমা হলে পতাকা দেখে সম্মান প্রদশনে কেউ না দাঁড়ালে!
বাঙালিত্ব জাহির হয় কুরআন বিরোধী রুসম রেওয়াজ পালনকালে!
অথচ যে ধর্মীয়গুরুদের রক্তে আজ ইংরেজদের দুঃশাসন থেকে আমরা রেহাই পেলাম কালক্রমে এই চির-সবুজ বাংলা পেলাম তাদের রক্ত ঝরিয়েই আজ আমরা আনন্দ পাই। শাহ আব্দুল আযীয রঃ যদি ভারতবর্ষকে দারুল হরব ফতোয়া দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো আজ পর্যন্ত ইংরেজদের প্রত্যক্ষ গোলামই থেকে যেতাম। পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা রশিদ আহমদ তর্কবাগীশ রঃ যদি ভাষা আন্দোলনের ডাক না দিতেন তাহলে আমরা বহু আগেই বাংলাভাষাকে চিরতরে হারাতাম।
আজ আমরা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বাররের নাম নেই কিন্তু তর্কবাগীশের নাম আড়ালেই থেকে যায়। আমরা ব্রিটিশ বেনিয়া থেকে মুক্তির গল্প বলি, সিপাহী বিপ্লবের গল্প বলি কিন্তু নেপথ্যে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের নাম ভুলেও আমাদের মুখে উচ্চারিত হয় না। সিপাহী বিপ্লবে আলেমদের ভূমিকা থাকায় বিপ্লবের পর আলেমদের পরিবারের ওপর জুলুম নির্যাতন, সুবিশাল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের প্রত্যেকটা গাছে কমপক্ষে ১ জন আলেমের লাশ ঝুলতে থাকার ঘটনাতো আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছেই ফেলেছি।
আজ সেই ইংরেজদের থেকেই আমাদের শিখতে হয় ইসলাম। তাদের কাছ থেকেই আমাদের জানতে হয় আমরা কেমন মুসলমান। আজ তারা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করাকে জঙ্গিদমন বলে প্রচার করে। আর তারা যখন জাতি, দেশ ও ধর্ম রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করে তখনই তাদেরকে জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যা দিয়ে যুগ যুগ ধরে তাদের ওপর চালাতে থাকে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার। আর আমরাও তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে থাকি আপনমনে।
পৃথিবীতে দ্বিতীয় এমন কোনও জাতি আছে বলে আমার জানা নেই যারা তাদের ধর্মীয়গুরুদের গালাগাল দেয়, তাদের ওপর হাত তোলে, তদের রক্তাক্ত করে, এমনকি তাদেরকে খুন করে ও খুন হতে দেখে তালি বাজায়। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ জানাজা পড়া ও লাশ দাফন করার মতো সহজ কাজের ন্যুনতম জ্ঞান রাখে এরকম আলেমও খুঁজে পাবে না। গ্রামের পর গ্রাম তালাশ করেও কোনও আলেম খুঁজে না পেয়ে বিনা জানাজায় দাফন করবে, যেমনটি ঘটেছিলো সিপাহী বিপ্লবের পর।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে আমরা সকলেই হয়তো অনুমান করতে পারছি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিনত হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল, যদি বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার কাছেই বেচে দিতে হয়, জাতির কাছে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষাই এতো প্রিয় হয়-
তাহলে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের কী দরকার ছিলো?
কী দরকার ছিলো লক্ষ লক্ষ ভাইয়ের শহীদ হওয়ার?
কী দরকার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষিতা হওয়ার?
উর্দু এবং হিন্দি ভাষার মধ্যে তো লেখ্য বর্ণমালা ছাড়া তেমন কোনও পার্থক্য নেই! তাহলে কেনো যুদ্ধ হয়েছিও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে?
কেনো রাষ্ট্র ভাষা বাঙলা চাই শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিলো বাঙলার মাটি?
জাতি কী শহিদদের সাথে গাদ্দারি করছে না?
আমরা চেতনা ব্যবসায়ীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে গলা ফাটাই অথচ ঘরে সারাদিন হিন্দি চ্যানেল চলে, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই সেগুলো গোগ্রাসে গিলে|
সবচেয়ে বড়ো চেতনাধারী (!) ছাগলের ৩নম্বর বাচ্চার মতো আমরা যুবক শ্রেণিদের তো এখন বলিউড মুভি ছাড়া খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব হারাম|
আড্ডা যেনো লেটেস্ট হিন্দি মুভির আলোচনা ছাড়া আর জমে না!
মা-বোনদেরকে কিছুই বলার নেই| তাদের বিষয় সবার সামনে স্পষ্ট| আমরা তাদের হিন্দি সিরিয়াল দেখা নিয়ে শত শত আর্টিকেল ছাপাই কিন্তু হিন্দি ফিল্ম যে আমাদের বদহজমির ঔষধ সেটা কিন্তু আমরা স্বীকার করি না|
(আমরা তো এখন মনে করি জন্মলগ্ন থেকে বাংলা গিলতে গিলতে বদ হজম হয়ে গেছে তাই হিন্দিই এর মহৌষধ)
যাইহোক এবার মূল কথায় আসি|
আমরা যতোদিন মুসলিম জাতি ছিলাম ততোদিন আমাদের চেতনাও উজ্জীবিত ছিলো|
আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে, ভাষার বিরুদ্ধে ও ধর্মের বিরুদ্ধ্যে প্রোপাগান্ডা কখনোই সহ্য করতাম না|
কিন্তু যখনই বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত হলাম,
তখন আর বাঙলা চর্চার প্রয়োজন অনুভব করি না|
বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দবোধ করি| অথচ এই ইংরেজরাই আমাদের ওপর ২০০ বছর নির্যাতন করেছে|
ভারতবর্ষের মতো অতি উর্বর ভূমিকে নীল চাষ করে ধ্বংস করে দিয়েছে|
ভারতবর্ষের কোটিকোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত্ִ করে এখন তারা ক্ষমতাধর!
সুবিশাল সম্রাজ্য ভারতবর্ষ তাদের কূটকৌশলে আজ তৃখন্ডিত|
(ভারত শাসন করতে না পেরে প্রথমে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানে বিভক্ত করে| ওই সময় পরিকল্পিতভাবে দু'দেশের ম্যাপ তৈরী করা হয়, মাঝখানে ভারত আর দুইপাশে পাকিস্তান| এভাবে বিভাজন করতে পারে গাঁজাখোর আর ভিনদেশি প্রভূদের দালালরাই|)
আমরা এখন আর শহিদদের জন্য দোয়া করি না|
সেই ইংরেজদের দেখানো পদ্ধতিতেই শহিদ মিনার তৈরী করি, সেখানে নগ্নপদে গিয়ে ফুল দেই| অথচ মসজিদ জুতার পানিতে নাপাক করতে বিবেকে বাধে না|
আজ ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করলেও আমাদের ধর্ম প্রীতি জাগ্রত হয় না|
এখন আমরা বাঙালি জাতি!
আমাদের বাঙালিত্ব জাহির হয় সিনেমা হলে পতাকা দেখে সম্মান প্রদশনে কেউ না দাঁড়ালে!
বাঙালিত্ব জাহির হয় কুরআন বিরোধী রুসম রেওয়াজ পালনকালে!
অথচ যে ধর্মীয়গুরুদের রক্তে আজ ইংরেজদের দুঃশাসন থেকে আমরা রেহাই পেলাম কালক্রমে এই চির-সবুজ বাংলা পেলাম তাদের রক্ত ঝরিয়েই আজ আমরা আনন্দ পাই। শাহ আব্দুল আযীয রঃ যদি ভারতবর্ষকে দারুল হরব ফতোয়া দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো আজ পর্যন্ত ইংরেজদের প্রত্যক্ষ গোলামই থেকে যেতাম। পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা রশিদ আহমদ তর্কবাগীশ রঃ যদি ভাষা আন্দোলনের ডাক না দিতেন তাহলে আমরা বহু আগেই বাংলাভাষাকে চিরতরে হারাতাম।
আজ আমরা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বাররের নাম নেই কিন্তু তর্কবাগীশের নাম আড়ালেই থেকে যায়। আমরা ব্রিটিশ বেনিয়া থেকে মুক্তির গল্প বলি, সিপাহী বিপ্লবের গল্প বলি কিন্তু নেপথ্যে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের নাম ভুলেও আমাদের মুখে উচ্চারিত হয় না। সিপাহী বিপ্লবে আলেমদের ভূমিকা থাকায় বিপ্লবের পর আলেমদের পরিবারের ওপর জুলুম নির্যাতন, সুবিশাল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের প্রত্যেকটা গাছে কমপক্ষে ১ জন আলেমের লাশ ঝুলতে থাকার ঘটনাতো আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছেই ফেলেছি।
আজ সেই ইংরেজদের থেকেই আমাদের শিখতে হয় ইসলাম। তাদের কাছ থেকেই আমাদের জানতে হয় আমরা কেমন মুসলমান। আজ তারা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করাকে জঙ্গিদমন বলে প্রচার করে। আর তারা যখন জাতি, দেশ ও ধর্ম রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করে তখনই তাদেরকে জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যা দিয়ে যুগ যুগ ধরে তাদের ওপর চালাতে থাকে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার। আর আমরাও তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে থাকি আপনমনে।
পৃথিবীতে দ্বিতীয় এমন কোনও জাতি আছে বলে আমার জানা নেই যারা তাদের ধর্মীয়গুরুদের গালাগাল দেয়, তাদের ওপর হাত তোলে, তদের রক্তাক্ত করে, এমনকি তাদেরকে খুন করে ও খুন হতে দেখে তালি বাজায়। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ জানাজা পড়া ও লাশ দাফন করার মতো সহজ কাজের ন্যুনতম জ্ঞান রাখে এরকম আলেমও খুঁজে পাবে না। গ্রামের পর গ্রাম তালাশ করেও কোনও আলেম খুঁজে না পেয়ে বিনা জানাজায় দাফন করবে, যেমনটি ঘটেছিলো সিপাহী বিপ্লবের পর।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।যদি বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার কাছেই বেচে দিতে হয়, জাতির কাছে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষাই এতো প্রিয় হয়-
তাহলে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের কী দরকার ছিলো?
কী দরকার ছিলো লক্ষ লক্ষ ভাইয়ের শহীদ হওয়ার?
কী দরকার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষিতা হওয়ার?
উর্দু এবং হিন্দি ভাষার মধ্যে তো লেখ্য বর্ণমালা ছাড়া তেমন কোনও পার্থক্য নেই! তাহলে কেনো যুদ্ধ হয়েছিও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে?
কেনো রাষ্ট্র ভাষা বাঙলা চাই শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিলো বাঙলার মাটি?
জাতি কী শহিদদের সাথে গাদ্দারি করছে না?
আমরা চেতনা ব্যবসায়ীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে গলা ফাটাই অথচ ঘরে সারাদিন হিন্দি চ্যানেল চলে, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই সেগুলো গোগ্রাসে গিলে|
সবচেয়ে বড়ো চেতনাধারী (!) ছাগলের ৩নম্বর বাচ্চার মতো আমরা যুবক শ্রেণিদের তো এখন বলিউড মুভি ছাড়া খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব হারাম|
আড্ডা যেনো লেটেস্ট হিন্দি মুভির আলোচনা ছাড়া আর জমে না!
মা-বোনদেরকে কিছুই বলার নেই| তাদের বিষয় সবার সামনে স্পষ্ট| আমরা তাদের হিন্দি সিরিয়াল দেখা নিয়ে শত শত আর্টিকেল ছাপাই কিন্তু হিন্দি ফিল্ম যে আমাদের বদহজমির ঔষধ সেটা কিন্তু আমরা স্বীকার করি না|
(আমরা তো এখন মনে করি জন্মলগ্ন থেকে বাংলা গিলতে গিলতে বদ হজম হয়ে গেছে তাই হিন্দিই এর মহৌষধ)
যাইহোক এবার মূল কথায় আসি|
আমরা যতোদিন মুসলিম জাতি ছিলাম ততোদিন আমাদের চেতনাও উজ্জীবিত ছিলো|
আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে, ভাষার বিরুদ্ধে ও ধর্মের বিরুদ্ধ্যে প্রোপাগান্ডা কখনোই সহ্য করতাম না|
কিন্তু যখনই বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত হলাম,
তখন আর বাঙলা চর্চার প্রয়োজন অনুভব করি না|
বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দবোধ করি| অথচ এই ইংরেজরাই আমাদের ওপর ২০০ বছর নির্যাতন করেছে|
ভারতবর্ষের মতো অতি উর্বর ভূমিকে নীল চাষ করে ধ্বংস করে দিয়েছে|
ভারতবর্ষের কোটিকোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত্ִ করে এখন তারা ক্ষমতাধর!
সুবিশাল সম্রাজ্য ভারতবর্ষ তাদের কূটকৌশলে আজ তৃখন্ডিত|
(ভারত শাসন করতে না পেরে প্রথমে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানে বিভক্ত করে| ওই সময় পরিকল্পিতভাবে দু'দেশের ম্যাপ তৈরী করা হয়, মাঝখানে ভারত আর দুইপাশে পাকিস্তান| এভাবে বিভাজন করতে পারে গাঁজাখোর আর ভিনদেশি প্রভূদের দালালরাই|)
আমরা এখন আর শহিদদের জন্য দোয়া করি না|
সেই ইংরেজদের দেখানো পদ্ধতিতেই শহিদ মিনার তৈরী করি, সেখানে নগ্নপদে গিয়ে ফুল দেই| অথচ মসজিদ জুতার পানিতে নাপাক করতে বিবেকে বাধে না|
আজ ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করলেও আমাদের ধর্ম প্রীতি জাগ্রত হয় না|
এখন আমরা বাঙালি জাতি!
আমাদের বাঙালিত্ব জাহির হয় সিনেমা হলে পতাকা দেখে সম্মান প্রদশনে কেউ না দাঁড়ালে!
বাঙালিত্ব জাহির হয় কুরআন বিরোধী রুসম রেওয়াজ পালনকালে!
অথচ যে ধর্মীয়গুরুদের রক্তে আজ ইংরেজদের দুঃশাসন থেকে আমরা রেহাই পেলাম কালক্রমে এই চির-সবুজ বাংলা পেলাম তাদের রক্ত ঝরিয়েই আজ আমরা আনন্দ পাই। শাহ আব্দুল আযীয রঃ যদি ভারতবর্ষকে দারুল হরব ফতোয়া দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো আজ পর্যন্ত ইংরেজদের প্রত্যক্ষ গোলামই থেকে যেতাম। পার্লামেন্ট সদস্য মাওলানা রশিদ আহমদ তর্কবাগীশ রঃ যদি ভাষা আন্দোলনের ডাক না দিতেন তাহলে আমরা বহু আগেই বাংলাভাষাকে চিরতরে হারাতাম।
আজ আমরা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বাররের নাম নেই কিন্তু তর্কবাগীশের নাম আড়ালেই থেকে যায়। আমরা ব্রিটিশ বেনিয়া থেকে মুক্তির গল্প বলি, সিপাহী বিপ্লবের গল্প বলি কিন্তু নেপথ্যে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের নাম ভুলেও আমাদের মুখে উচ্চারিত হয় না। সিপাহী বিপ্লবে আলেমদের ভূমিকা থাকায় বিপ্লবের পর আলেমদের পরিবারের ওপর জুলুম নির্যাতন, সুবিশাল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের প্রত্যেকটা গাছে কমপক্ষে ১ জন আলেমের লাশ ঝুলতে থাকার ঘটনাতো আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছেই ফেলেছি।
আজ সেই ইংরেজদের থেকেই আমাদের শিখতে হয় ইসলাম। তাদের কাছ থেকেই আমাদের জানতে হয় আমরা কেমন মুসলমান। আজ তারা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করাকে জঙ্গিদমন বলে প্রচার করে। আর তারা যখন জাতি, দেশ ও ধর্ম রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করে তখনই তাদেরকে জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যা দিয়ে যুগ যুগ ধরে তাদের ওপর চালাতে থাকে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার। আর আমরাও তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে থাকি আপনমনে।
পৃথিবীতে দ্বিতীয় এমন কোনও জাতি আছে বলে আমার জানা নেই যারা তাদের ধর্মীয়গুরুদের গালাগাল দেয়, তাদের ওপর হাত তোলে, তদের রক্তাক্ত করে, এমনকি তাদেরকে খুন করে ও খুন হতে দেখে তালি বাজায়। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ জানাজা পড়া ও লাশ দাফন করার মতো সহজ কাজের ন্যুনতম জ্ঞান রাখে এরকম আলেমও খুঁজে পাবে না। গ্রামের পর গ্রাম তালাশ করেও কোনও আলেম খুঁজে না পেয়ে বিনা জানাজায় দাফন করবে, যেমনটি ঘটেছিলো সিপাহী বিপ্লবের পর।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ছায়ানীড় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৮
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। চমৎকার আপনার উপলব্ধি। উপস্থাপনাও সুন্দর। প্রিয়তে নিলাম।
একটা অনুরোধ করব। ফেসবুকে আমার কবিতার পেজে আপনার পদচারনা একান্ত কাম্য। লিংকটা সংযুক্ত করছি। http://www.facebook.com/Charonkobi007
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ছায়ানীড় বলেছেন: লাইক দিয়েছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: সব কিছুর উত্তর একটাই....... আমরা হুজুগে
আমরা কিছুই দেখি না, কিছুই বুঝি না এবং দেখার বা বোঝার চেষ্টাও করি না........ ভাই, কি লাভ এতকিছু বুইঝা বা কইরা.....
যেদিন ঠেলায় পরমু সেদিন কাওরে কিছু কইতে হবে না......... তখন সবই বুঝুম সবই করতে চামু কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারুম না......
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ছায়ানীড় বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মনে হয় তাই থাকবে। হুজুগে বাঙালী।