![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১/
খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে, মহান গ্রীক সভ্যতার যুগের কথা বলছি, তখন সমগ্র গ্রীক সম্রাজ্য কখনোই এক হয় নি বা ছিলো না। এক হবার কোন কারণ ও নেই, সমগ্র গ্রীস দেশটাই হলো দ্বীপে পরিপূর্ণ, এক দ্বীপ হতে অন্য দ্বীপের দূরত্ব কখনোই ৭০ কিলোমিটারের বেশি দূরে ছিলো না। আর সমগ্র গ্রীস দেশটাই ই ছিলো নগররাষ্ট্রকেন্দ্রিক এবং আলাদা আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র, যার মাঝে এ্যথেন্স আর স্পার্টা উল্লেখযোগ্য। এথেন্সে উন্মেষ ঘটেছিলো শিল্পকলা, নন্দনতত্ব, দর্শন, মহাকাব্যিক সাহিত্য আর সামষ্টিক গণতন্ত্র তথা প্রগতিশীলতার, সেখানে নেতৃত্ব দিতো তরুনেরা, তাই তারা জানতো কি করে বদলাতে হয়। প্রায় অভাবনীয় বিষয়ের মতো শোনালেও তৎকালীন এথেন্স তার নগররাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামোতে অনেক অনেক রিফর্মেশন গ্রহণ করেছিলো। যা ভাবাটা এখনো এই আধুনিক যুগেও কঠিন এবংন এটা তাদের প্রগতিশীলতার প্রমাণ। উদারণ স্বরূপ আমরা সোলন (Solon ৬৮৩-৫৫৮ খ্রিঃপূ), ক্লিসথেনিসস (Cleisthenes ৫৭০- খ্রিঃপূ) অথবা পেরিক্লিস(Pericles ৪৬১-৪২৯খ্রিঃপূ) এর সংস্কার দেখতে পারি। এর ফলে প্রাথমিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত আমরা এথেন্স থেকেই পাই। সে সাথে গ্রীক পার্সিয়ান যুদ্ধের সময় নাগরিকদের ভোটদানের মাধ্যমে যুদ্ধ অথবাবা দাসত্ব মেনে নেয়ার প্রশ্নের সমাধান বা ডেলিয়ান লীগ প্রতিষ্ঠা এথেন্সের প্রগতিশীলতার পরিচায়ক, এ ছাড়া সিনেট নিন্ম কক্ষে, উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা এথেন্সকে আজও রোল মডেল বানিয়ে রেখেছে।
অন্যদিকে এথেন্সের প্রতিযোগী নগররাষ্ট্র স্পার্টার দিকে তাকাই। স্পার্টানরা ছিলো যোদ্ধা জাতি। ৮ বছর বয়স থেকেই ছেলে মেয়েদের সেনা বাহিনীতে নাম লিখাতে হতো। জীবনের বাহুল্য বর্জন করে রাষ্ট্রের জন্য জীবনদান করতে হতো। এটাই ছিলো স্পার্টান জীবন ধারা। ইতিহাসে স্পার্টানদের কোন রিফর্মেশন দেখা যায় না, বরংচ অসংখ্য দাস বিদ্রোহ আর যুদ্ধ বিগ্রহের বর্বর ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নেই যেন স্পার্টাতে। স্পার্টাতেও গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছিলো, তবে সেটা প্রগতিবিহীন জিষ্প্রাণ গণতন্ত্র। কারণ সিনেটের সদস্য হবার জন্য নূন্যতম বয়স ছিলো ৬০ বছর। অর্থাৎ বৃদ্ধ কুপমুন্ডুক মাথা দিয়ে স্পার্টা চলছিলো। যার ফলে স্পার্টার প্রগতির ইতিহাস প্রায় শুন্য আর এটাই স্পার্টার পতনের অন্যতম কারণ। স্পার্টা প্রমাণ করে দিয়েছে বৃদ্ধ নেতৃত্ব কখনোই নতুন কোন কিছু বা বাস্তবিক কোন পরিবর্তন দিতে পারে না।
এখন আসি আমাদের দেশের কথায়, আমাদের দল গুলোর দিকে তাকান কি ডানপন্থী কি বামপন্থী, সব দলের মাথা গুলো হলো সেই ষাটোর্ধ বৃদ্ধ। আমাদের ছেলেরা স্কুলে দৌড়ায় রেসের জন্য চাকরির জন্য। যার সামগ্রিক মূল্যায়ন আমাদের মেধাহীন ষাটোর্ধ প্রশাসন।অর্থাৎ আমরা কি আনপ্রোডাক্টিভ আর ননপ্রোগ্রেসিভ স্পার্টার নতুন রূপে বাস করছি? সে সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব আপনার।
আমার সুপারিষ হলো, বৃদ্ধ গুলোর মুখে ঝামা ঘসে এদের সরিয়ে দাও, এরা আনপ্রোডাক্টিভ, এদের থেকে আর কিছুই পাবার নেই। এরা বাতিল মাল ব্যাতিত আর কিছুই নয়। এদের সরিয়ে সাম্নে এগিয়ে যান।
২/
রাজনীতি হলো, অনেকটা, প্রোগ্রামিং প্রব্লেম সলভিং বা ইনোভেটিভ সফটওয়্যার ডেভোলাপমেন্ট এর মতো, আমাদের কাছে, অনেক এ্যলগোরিদম (তত্ব) আছে, কিন্তু আমার প্ল্যাটফরম ( জনগনের শিক্ষা, সংস্কৃতি) অনুসারে, আমার দরকার অনুসারে সেই এ্যালগোরিদম কে মডিফাইড (সংযোজন-বিয়োজন) করে তা প্রয়োগ করা, বা সেই এ্যলগোরিদম যদি যোগ্য না হয় তা হলে নুতুন এ্যলগোরিদম বানিয়ে তা ইমপ্লিমেন্ট করা, সেটা আমি একাও করতে পারি যৌথ ভাবে (সাংগঠনিক) ভাবেও করতে পারি, তবে আমি যদি একটা এ্যলগোরিদম কে চূড়ান্ত বা ধ্রুব (ধর্ম গ্রন্থ) হিসেবে ধরে কাজে নামি এটা ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না, সেক্ষেত্রে প্রোগ্রাম সলভের সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায়, অথবা, সেই প্রোগ্রাম(রাষ্ট্র কাঠামো) স্লো করবে বা কমপ্লেক্সিটি প্রবলেম ফেস করবে। যার ফলে কোন সঠিক সমাধানই আসবে না। আর সমাধানের জন্য দরকার মেধাবী প্রোগ্রামার (রাজনৈতিক কর্মী/ তাত্বিক) বা মেধাবী প্রোগ্রামার গ্রুপ (সংগঠন)।
কিন্তু আমাদের দেশে মেধা কোথায়? মেধা সব পাচার হচ্ছে মার্কিন মুল্লুকে, অথবা নষ্ট হচ্ছে বস্তা পচা ১৫০-২০০ বছরের পুরোনো এ্যাল্গোরিদম মুখস্ত করতে করতে হতাশ হয়ে। পরিবর্তনের জন্য দরকার নিজের অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া, আর আমার গোলকে সাকসেসফুল করা। যারা সেটা করে নি, তারা আজ ও এ্যনালগ প্রোগ্রামিং/পাঞ্চ কার্ডের যুগে বসে সমস্যার সলিউশনের চিন্তা করছে। আর যারা সেটা করেছে, আজ তারা সি++,জাভা, সি সার্প (নয়া তত্ব) দিয়ে দ্রুত সলিউশন বের করে সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছে। তাই বলে আমি অগের এ্যলগোরিদম গুলোকে খারিজ করে দেই না, সে গুলো না থাকলে নতুন ভাবনার জন্ম আমাদের মাঝে নেবে না। তাই আজ আমাদের ভালো প্রোগ্রামার চাই, যে ভাংতে জানে গড়তে জানে। নতুন কিছুকে আকড়ে ধরার সাহস যার আছে তাকে। আছেন কি এমন কেউ?
৩/
ডিয়ার পলিটিশিয়ান,
আমার সরল সোজা গ্রামের কৃষক আপনাদের চেয়ে ভাল পলিটিক্স বুঝে, কিন্তু বুঝার পরেও পিতা এবং পতির প্রতি সহানুভুতিশীলতার জন্য সিল টা বে জায়গাতেই মারতে হয়। তবে কৃষকের সাথে কথা বলে যতটা শান্তি পাওয়া যায়, তা আপনাদের টক ঝাল শো তে পাওয়া যায় না। কৃষকের দোষ শুধু একটাই, হালার পুতেরা চূড়ান্ত লেভেলের আইলশা। যেদিন এই আইলশামি দূর হবে, সে দিন পিতা ও পতিদের জয়া ও অর্ধাঙ্গী দের ঝাটা পেটা কইরা দূর করা হবে।
জয় বাংলা।
৪/
হে শহর, তোমায় শেষবারের মতো অভিবাদন, ফিরে যাচ্ছি শেকড়ে, যদি বা ফিরে না আসে, ক্লীন্ন মন আর অব্যাক্ত বেদন নিয়ে; ক্ষমা করে দিয়ো আমায়। আর যদি ফিরে আসি, নিয়ন আলো খেলবো লুকোচুরি তোমার সাথে আবার। হে নষ্ট শহরের নষ্ট মানুষেরা, তোমাদের পুতি দূর্গন্ধ ময় মনের গন্ধে আমি আর পারছি না। তাই চলে যাচ্ছি সবুজের ছায়াতলে। শেষ ইচ্ছে টা তো অনেক আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন বিদায়ের অপেক্ষা শুধু। শহর আর শহরের নিয়ন আলো, দুষ্ট কাক আর কালো ধোয়া ভুলো না আমায়, আমার পদচিহ্ন আঁকা আছে তোমার ই বক্ষে। তা ধারন করে মনে রেখো আমায়। হয়তো বা দেখা হবে আবার...
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৯
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: কি কইলেন বুঝলাম না, গিয়ান কম তো তাই
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
ইলুসন বলেছেন: ভাল পোস্ট।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
তুই কই যাচ্ছি !!!
পোষ্ট ব্যপক ভালো হইছে
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাব
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
অনিক্স বলেছেন: valo laglo
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: থ্যাঙ্কু
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
বাতায়ন এ আমরা কজন বলেছেন: অনেক কঠিন কথা অনেক সহজ করে বলেছেন ভাই। কিন্তু এদেশে সহজ কথা বোঝার মানুষ বড় কম। পোস্ট ভাল লাগলো। আসলেই এদেশের সাধারন জনগণ যেদিন থেকে মার্কা দেখে ভোট দেয়া বন্ধ করবে সেদিন থেকেই এ দেশের দূর্ণীতি অর্ধেক হয়ে যাবে। নেতারাও সেদিন থেকে অনেক বেশি জনতামূখী হবে বলে আমার বিশ্বাস। এদেশের সাধারন মানুষের বোধোদয়ের অপেক্ষায় আছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আপনি বলেছেন - "... আর এটাই স্পার্টার পতনের অন্যতম কারণ। ..."
কিন্তু আমার জানা ইতিহাস মতে এথেন্সের পতন হয়েছে স্পার্টার কাছে (see -Peloponnesian War)।
আরো দেখুন - "The golden age of Greek philosophy emerged precisely at the moment that the Athenian Empire was defeated." Source: www.augie.edu.
Fall of Athens - 3rd Century BCA
Fall of Sparta - 2nd Century BCA
প্রায় একই সময়ে উভয়ের পতন ঘটে। কাজেই আপনার পোস্টে - "... আর এটাই স্পার্টার পতনের অন্যতম কারণ। ..." দ্বারা কী বুঝাতে চাইলেন তা আমি বুঝলাম না।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: এথেন্স যুদ্ধে হেরেছে আবার জিতেছে, তবে নগররাষ্ট্র গুলো কখনোই এক হয় নায়। এথেন্স যোদ্ধা জাতির দেশ ছিলো না। যেটা ছিলো স্পার্টা, ইতিহাসে স্পার্টার স্থান আর এথেন্সের স্থান দেখুন, বুঝবেন কি কারনে এই বক্তব্য দেয়া হয়েছে। আর প্রথমেই সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে, "খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে"। আমি সামগ্রিক সিস্টেম কে নিয়ে আলোচনা করি নাই। (Solon ৬৮৩-৫৫৮ খ্রিঃপূ), ক্লিসথেনিসস (Cleisthenes ৫৭০- খ্রিঃপূ) এই সময় গুলো দেখার দরকার ছিলো। আপনি দেখেন নাই। আপ্নার তথ্য ৪৬০ খ্রি পূর্বের দিকা কার কথা। স্পার্টার রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাঙ্গার কথা বলা হয়েছে সম সাময়িক সময়ে।
তবে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিশ্লেষণগুলো পড়ে দেখলাম।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: good one
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ২,৩,৪ এ ভালো লাগা
২ টা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫২
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: সব দউশ বিরুধি দলের।
আমরা সবি নিষ্পাপ নউকার মাঝি।