![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার প্রত্যেকটা ফ্রন্টে ফ্রন্টে অবিরাম যুদ্ধ চলছে, কিছু লোক রাইফেল পিস্তল, মনোটাভ ককটেল নিয়ে লড়ে যাচ্ছে, বিপ্লব আনবে বলে, নতুন করে বাঁচতে শিখবে বলে। আবার কিছু লোক সেই রক্তাক্ত বাণীকে অগ্রাহ্য করে লিখে যাচ্ছে, গেয়ে যাচ্ছে শান্তির বাণী, তাদের ও স্বপ্ন দুনিয়া বদলে দেবে, রক্তের ইতিহাস সবুজের আস্তরণে একদিন ঢেকে যাবে। কেউ লড়ছে ধর্মকে আশ্রয় করে, আবার কেউ কেউ লড়ছে কোন একটি আদর্শকে আঁকড়ে ধরে। হোক না সে আদর্শ ভুল, মিথ্যে বা অবাস্তব, তবুও লড়ে যাচ্ছে। আবার কিছু লোক এই যুদ্ধের সাথে নিজেদের ঠিক ই মানিয়ে নিয়েছে, তবে বাস্তবতাটা হলো সবাই মারা পড়ছে, যাদের সাথে যুদ্ধ করছে তারাও, যারা যুদ্ধ করছে তারাও। পৃথিবীর কোন কিছুই অবিনশ্বর নয়। সব কিছুই চলছে ক্রমাগত রিফর্মেশনের মধ্য দিয়ে অথবা একেবারে ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে গড়ে। তবে যাকে গড়ছে তার মাঝেও চলছে রিফর্মেশন।
আধুনিক যুগে যত মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মানুষ রক্ত দিয়েছে তাদের বেশিরভাগই একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শের পেছনে। স্পেসিফিক ভাবে বলতে গেলে সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্য, আরো স্পেসিফিক ভাবে বলতে গেলে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বা মার্ক্সীয় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এ লড়াইয়ের মূল কথা হলো, এই জোড়াতালি দেয়া, পঁচা ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাটাকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন একটা সমাজ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু কী ভাবে? ১৯২১ সাল হতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম, এর পর রক্তপাত কম হয় নায়। এম এন রায় (মানবেন্দ্রনাথ রায় ১৮৮৭-১৯৫৪) এর মতো বড় তাত্বিক যিনি যুক্তিতে মহামতি লেলিনকে পরাজিত করে, তার থিওরি প্রুভ করেছেন অনেক আগেই। কিন্তু সামগ্রিক ফলাফল কি? আজ ও ঝাড়খন্ড হতে ছত্রিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ হতে মধ্য প্রদেশ সব খানেই লড়াই চলছে, সেই সাধের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। হাজার পাঁচেক সরকারি সৈন্য আর হাজার বিশেক গেরিলা ইতমধ্যে মারা গেছেন সেই যুদ্ধে। কমরেড চারু মজুমদারের অগ্নিঝড়া যুগে পশ্চিমবঙ্গের একদল মেধাবী তরুণ, অসাধারণ আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়ে একটা যুগের অবসান ঘটিয়েছেন। ৪০ বছরের দীর্ঘ কমিউনিস্ট শাসনের ইতিহাস ও এখন অতীত পশ্চিমবাংলায়। কিন্তু আসল লাভ টা কোথায় হলো?
লাভের কথা আপাদত বাদ দেই, আসুন কার্যপদ্ধতির ভুল গুলোর দিকে ফিরে তাকাই, লাভ ক্ষতির হিসাবটা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখি। বর্তমানে সমাজতন্ত্রের দুইটি ধারা বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান, একটি হলো মস্কো পন্থী বা মস্কেট, অন্যটি হলো পিকিংপন্থী বা চীন পন্থী কমিউনিস্ট ধারা। দুইটি ধারার ই মূল কথা এক কিন্তু নেতা ভিন্ন। সবাই চাচ্ছেন সর্বহারা বা পলিতারিয়েতদের একনায়কতন্ত্র, সোজা ভাষায় বলতে গেলে শ্রমিক শ্রেনীর বা সর্বহারা শ্রমিক শ্রেনীর একনায়নতন্ত্র। কিন্তু এই শ্রমিক কোন শ্রমিক। যদি আমরা কমিউনিস্ট মেনিফেস্টুর দিকে তাকাই তা হলে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, এই শ্রমিক হচ্ছে শিল্প শ্রমিক। কিন্তু মার্ক্সের দেখা বা মার্ক্সীয় শ্রমিক শ্রেনী আর আমাদের এই উপমহাদেশীয় শ্রমিকশ্রেনী কি এক? এবার আসতে হবে এই প্রশ্নের উত্তরে।
সবার প্রথমে যে প্রশ্ন টা চলে আসে শ্রেনী জিনিষটা কি? শ্রুতি দ্যোতনা বা ভাবগত অর্থে শ্রেনী মানে দাঁড়ায় সম্প্রদায়। কিন্তু সমাতাত্বিক দৃষ্টিতে শ্রেনী জিনিষটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা জিনিষ। আমি তাত্বিক ব্যখ্যায় যাবো না, তবে এককথায় শ্রেনী বলতে আমরা বুঝাতে পারি ‘একই উৎপাদন ব্যবস্থায় নিয়োজিত একটি ক্ষুদ্র বা বৃহৎ বা মাঝারী মানবগোষ্টীই হলো শ্রেনী।’ এখন শ্রেনী নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের সব সময় উৎপাদনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্রেনী শব্দটা সরাসরি উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত। আর সে হিসাবে শ্রমিক শ্রেনীকে নিয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদের সামষ্টিক শ্রমিক শ্রেনীকে নিয়ে কথা বলতে হবে। কারণ চা শ্রমিক, চামড়া শ্রমিক, গারমেন্টস শ্রমিক প্র্যতেকে আলাদা আলাদা চরিত্রের অধিকারী। তাদের কারুর সাথে কারুর উৎপাদন ব্যবস্থায় মিল নেই। আর শ্রমিক কে নিয়ে কথা বলতে গেলেই আরেকটি শ্রেনীর কথা চলে আসে, সেটা হলো বুর্জোয়া বা মালিক শ্রেনী। মালিক শ্রেনী হলো সেই শ্রেনী যারা উৎপাদন যন্ত্রের মালিক। অর্থাৎ গার্মেনটস শ্রমিকের শ্রম বিক্রি হচ্ছে মালিকের কাছে, আর মালিক হলো সেলাই মেশিনের বা উৎপাদন যন্ত্রের মালিক। এ বিষয় নিয়ে পরে আসবো। এবার সাথে যদি আমি আমাদের দেশের বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকাই, তা হলে যা দেখতে পাবো, তা হলো, এ খানে শিল্প সেভাবে বিকশিত হয় নি, শিল্পের বিকাশের জন্য সে সকল প্রভাবক দরকার সে গুলোও সেভাবে বিকশিত হয় নি। এখানের মাটির উর্বরতার জন্য কৃষির বিকাশ ঘটেছে। বিশ্বের অনেক জায়গাতেই কৃষির বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু এ দেশের বা দুই বাংলার কৃষকের সাথে অন্য জায়গার কৃষকের বেশ কিছুটা মৌলিক পার্থক্য আছে। এই দেশে একটি বিশেষ শ্রেনীর কৃষকের বিশেষ বিকাশ ঘটেছে যার নাম ‘ক্ষেতমজুর’ শ্রেনী বা সোজা বাংলায় বর্গা চাষী। চাষীদের সাধারণ আকাঙ্খা বা শ্রেনী চরিত্র হলো, তারা একখন্ড জমির মালিক হবে, এবং তাতে ফসল উৎপাদন ও বিপনন করবে। অর্থাৎ অনেকটা পাতি বুর্জোয়া বা মধ্যবিত্ত চিন্তাধারার মতো। তাই অনেক তাত্বিক কৃষক শ্রেনী না বলে কৃষক সমাজ বলেন, সে যাই হোক। কিন্তু ক্ষেতমজুরের কোন ব্যাক্তিগত জমি থাকে না। সে অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে সাধারণত ১/৩ ফসল নেয়। এখন আমাদের কাছে এখনো এই ক্ষেত মজুরের শ্রেনী চরিত্রের কোন বিশেষ বিশ্লেষন নাই।
এবার আসি শিল্প শ্রমিকের দিকে। বাংলাদেশে বা বৃহত্তর বাংলায় শিল্পের বিকাশ খুব ধীর গতির, বা তেমন একটা হয় নায় বলতে পারি। ত ছাড়া এই শ্রমিকদের অতীত ইতিহাস পরীক্ষা করলে দেখা যাবে প্রায় সব শ্রমিকই কৃষক পরিবারের স্বন্তান। সুতরাং তাদের মাঝে কৃষি অবশেষ বা কৃষকের অবশেষ বা পাতি বুর্জোয়া শ্রেনীর অবশেষ বিদ্যমান। হ্যা, এবার উদাহরণের সময়। গাজীপুরের শ্রমিকাঞ্চলে যাদের নিয়মিত যাতায়ত আছে তারা খুব ভালো ভাবেই ব্যপার টা অনুধাবন করতে পারবেন। আমার দেখা মতে, স্থানীয় শ্রমিকশ্রেনী যারা দিনাজপুরের তাদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শ্রমিকদের কুন্ডলী পরীক্ষা করলে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক গঠনে ও জলবায়ুতে শুষ্কতা ও রুক্ষতা ব্যপারটা একটু বেশি পরিমানেই বিদ্যমান। এর ফলে অতি দরিদ্র কৃষক ও খেতমজুর কে বছরে একটা সময় কর্মহীন হয়ে পড়তে হয়। এ সময় কৃষককে সার্ভাইবের জন্য হয় তার ভিটে মাটি বিক্রি করতে হয় অথবা মহাজন বা এনজিও কাছ থেকে ঋণ সহায়তা নিতে হয়। কিন্তু যেহেতু কৃষকের কোন অর্থনৈতিক ব্যকাপ নেই, সেহেতু সেই ঋণ পরিশোধ বাস্তবিক অর্থেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কৃষক একজনের ঋণ শোধ করতে যেয়ে অন্যের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। ফলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যেখানে কৃষক আর তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না। হয় তাকে ভিটে বিক্রি করে বাস্তুহারা হতে হয় অথবা ভিটি মাটি ফেলে পালাতে হয় শহরে। বাস্তুহারা এবং পলায়নপর কৃষক দুজনকেই জীবিকার তাগিতে শহর মুখী হতে হয়। আর যেহেতু আমাদের শাসন ব্যবস্থা কেন্দ্র ভিত্তিক, তাই রাজধানী ছাড়া অন্য জায়গায় শিল্পের বিকাশ খুবই ধীর গতির যেটা আগেই আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং সাবেক কৃষক হয় ঢাকা মুখী, আর হয়ে উঠে শিল্প শ্রমিক। ব্যপারটা খুব ই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মাঝে এই অবস্থাতেও কৃষকের চরিত্র অর্থাৎ ব্যাক্তিগত সম্পত্তির ধারণা রয়েই যায়। এই শ্রমিকদের আশা আকাঙ্খা নিয়ে যারা জানেন বা কথা বলেছেন, তাদের সাথে কথা বলে এই ধারণাটা মিলিয়ে নেয়ার অনুরোধ রইলো।
এই শহুরে শ্রমিক বা সাবেক কৃষক এর স্বপ্ন হলো এক সময় সে শহরে কাজ করে বেশ কিছু টাকা জমিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যেয়ে তার জমি উদ্ধার করে, তাতে আবার চাষাবাদ করবে। অর্থাৎ তার চিন্তা শ্রমিকের মতো সামষ্টিক নয় বরংচ ব্যাক্তিকেন্দ্রিক। একজন শ্রমিক কখনোই ব্যাক্তিগত ভাবে চিন্তা করতে পারে না, তার চিন্তা হয় সামগ্রিক বা সামষ্টিক। এখন প্রশ্ন আসে এই শ্রমিকদের আমরা কি করে বা কোন শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করবো? শ্রমিক হবার দরুণ কর্মক্ষেত্রে সে সামষ্টিক আচরণ করতে বাধ্য হলেও, সে ব্যাক্তিগত চিন্তায় শ্রমিকের চেইন অফ কমান্ড ভাংতে সদা উন্মুখ। এর ফলশ্রুতিতে আমরা শ্রমিক নেতাদের হঠকারীতা প্রায়সই দেখতে পাই, আবার এক ই শ্রমিকাঞ্চলে চলা আন্দোলনের সময় এক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে তো অন্য কারখানার শ্রমিকেরা উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ সামগ্রিক শ্রমিক শ্রেনীর যে সামষ্টিক চরিত্রে কাজ করার কথা ছিলো তা এখানে নাই। আমরা ভারতের সিঙ্গুরের দিকে তাকাই টাটা মোটরস যখন কৃষকের জমি নিয়ে সেখানে কারখানা করতে চাইলো, তখন কৃষকেরা ফুঁসে উঠলো। কেন? কারণ কৃষক তার ব্যাক্তিগত জমি ছাড়তে চায় না, এক ই পরিস্থিতি আমরা বাংলাদেশের ফুলবাড়ী আন্দোলনে দেখি।
কিন্তু এই অবস্থা কেন? শ্রমিক কেন তার বিশুদ্ধ চরিত্র বজায় রাখছে না বা রাখতে পারছে না। এবার চলে আসতে হয় কিছু মৌলিক প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে। আমাদের এই অঞ্চলের বাম রাজনীতির ধারা আগেই আমি উল্লেখ করেছি। আমাদের আন্দোলন হতে হবে আমাদের মতো, মস্কো বা চৈনিকদের মতো নয়, এই শিক্ষা কমরেড চে গুয়েভারা, চারু মজুমদার, সিরাজ সিকদার রা অনেক আগেই দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ সেই লাইন ‘বিপ্লব রপ্তানিযোগ্য পন্য নয়।’ যদি তাই হতো তা হলে আদর্শিক ভাবে হয়তো সৎ (!) মানুষগুলোর এভাবে প্রাণ দিতে হতো না। আমার বিপ্লব আমার মতোই হবে এর প্রমাণ বিশ্বব্যাপী অসংখ্য আছে, যেমন বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলায় বিপ্লব, কিউবান বিপ্লব। আসুন একটু বিশ্লেষণে যাই। ১৯১৭ সোভিয়েত বিপ্লবের সূচনা, নেতৃত্বে শ্রমিক। আবার চীনের বিপ্লবের নেতৃত্বে কৃষক, আবার কিউবান বিপ্লবে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ছাত্র, কৃষক এবং জনতা। দুনিয়ার সব জায়গায় বিপ্লবের মডেল এক নয়, সেটা আলাদা আলাদা হতে বাধ্য। কারণ সারা দুনিয়ার মানুষ এক ই ভূ - প্রাকৃতিক ব্যাবস্থার মাঝে বাস করে না, তাদের ইকোনোমিক্যাল কন্ডিশন ও এক নয়। এক হবার কথাও নয়। যদি এক না হয় তা হলে এক সামরিক বিপ্লবের মডেল সারা দুনিয়ার জন্য হয় কি করে? এ্যনার্কিস্ট মুভমেন্ট সব সময়ের জন্য কখনোই না। কিন্তু আমাদের বামদের কদিকে তাকান, কেউ চূড়ান্ত নৈরাজ্যবাদী আবার কেউ অতিরিক্ত উদারপন্থী বা হারমোনিয়াম পার্টি। কারুরই নতুন ভাবে ভাববার ক্ষমতা নেই।
(চলবে)
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালোই চিন্তাই করেছেন। ভালো লাগলো
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। আর এটা আমার চিন্তা না, এটা দীর্ঘদিনের পর্যালোচনা
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
তাহমিদুর রহমান বলেছেন: দারুন লাগল
View this link
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে দয়া করে আর বিজ্ঞাপন দিবেন না। ভালো লাগে না
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯
ফয়সাল মাহাদী বলেছেন: অনেক তাৎপর্যপূর্ন